Logo
শিরোনাম

রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা, রামগড়  :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর বেলা ২টায় রামগড় উপজেলা প্রশাসন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় উপজেলার রামগড় ১নং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওর্য়াড়ের হাতির খেদা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ইজারা ব্যাতিত অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে পাইপসহ বালু উত্তোলনের দুইটি মেশিন একটি এস্কেভেটর ও বালু পরিবহনের জন্য বালু বোঝাই ব্যবহৃত ১টি ট্রাক এবং ৫ হাজার ঘনফুট সাদা বালু জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে ঘটনাস্থলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় রামগড় পৌরসভার ০৮নং ওয়ার্ড়ের সদু কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা মো.এরশাদ উল্ল্যাহ এর ছেলে অভিযুক্ত মো.ওমর শরীফ (৩২)কে আটক করা হয়। উক্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তি নিজের অপরাধ স্বীকার করায় "বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন" ২০১০ সংশ্লিষ্ট এর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে ৩ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উক্ত অর্থদন্ডের অর্থ নগদ পরিশোধ করায় আসামীকে সর্তক করে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেওয়া হয়।


এসময় পাইপসহ জব্দকৃত বালুর মেশিন দুইটি এবং বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকটি রামগড় থানার সংশ্লিষ্ট উপ-পরিদর্শকের নিকট জিম্মায় দেওয়া হয়। এবং এস্কেভেটর ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রাখা হয়। আদায়কৃত অর্থদন্ড চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে আদায়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হাতে নাতে প্রমান পাওয়ায় মো.ওমর শীরফকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ দুটি মেশিন একটি এস্কেভেটর বালু পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও ৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভারতে শুরু হয়ে গেল ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ৪৭ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ।

৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। একইসঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

এছাড়াও ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২১ কোটি। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করতে প্রস্তুত দেশটির সাধারণ জনগণ। ১০ লাখ ৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইভিএমের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভারতের জনগণ।

ভারতজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যশানাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রদেশিক দলও।

এদিকে, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, আকাশপথে এবং ড্রোনের সাহায্যেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।

হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে।

যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও। এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে।

প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।

 


আরও খবর



ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা। এবার সপ্তাহ জুড়ে অনলাইনে যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরেছেন তারাই আজ যাত্রা করছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ গত ২৪ মার্চ যেসব যাত্রী বুধবারের (৩ এপ্রিল) অগ্রিম টিকিট কেটেছেন কেবলমাত্র তারাই আজ কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় করছেন।

এদিন সকাল থেকেই শুরু হওয়া বিশেষ ট্রেন যাত্রায় ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। তবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে শুরুতেই৷ নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি কোনো ট্রেন।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রথমে ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯) ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টায়। দ্বিতীয় ট্রেন হিসেবে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৬) ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু পর্যটক এক্সপ্রেস ৫ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে গেলেও সাড়ে ৬টারও পর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা ছেড়েছে। তৃতীয় ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসও (৭০৯) ৪ মিনিট বিলম্ব নিয়ে সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ঢাকা ছেড়ে গেছে।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। টিকেট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না।

যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার পাশেই বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র‌্যাব- ৩ এর এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

আর প্ল্যাটফর্মের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও আবার দেখাতে হচ্ছে টিকিট। সেসব টিকিট স্ক্যান করে তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই ভেতরের দিকে তারা প্রবেশ করতে পারছেন।

স্টেশনে আসা যাত্রীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে সিডিউল অনুযায়ী যথাসময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

আব্দুল লতিফ নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার ফলে এখানে এসে বাড়তি সময় নষ্ট করতে হয়নি। খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। এখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। সিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে গেলেই হলো। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। এ বিষয়টিই আনন্দের।

উম্মে সালমা নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তেমন ভিড় কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কোনো ট্রেনে খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি যাত্রীদের জন্য একটি সুন্দর ঈদযাত্রা আমরা উপহার দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন যাত্রার ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৬ মার্চ।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর