Logo
শিরোনাম

রাণীনগর থানাপুলিশের অভিযানে চুরি যাওয়া ট্রাক্টর উদ্ধারসহ গ্রেফতার-২

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর(নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ট্রাক্টর উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার এবং ট্রক্টর উদ্ধার করা হয়। তবে জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন,উপজেলার খট্রেশ্বর পশ্চি পাড়া গ্রামের হেলাল টিকাদারের ছেলে আশিকুল টিকাদারের একটি ট্রাক্টর সদরের শাহী পেট্রোল পাম্প থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে চুরি হয়ে যায়। এঘটনায় ট্রাক মালিক আশিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোল চত্বর এলাকা থেকে হাসু মিয়া (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হাসু মিয়া নওগাঁ সদর উপজেলার ইলশাবাড়ী গ্রামের তালেবের ছেলে।হাসুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য মতে,শনিবার (৮মার্চ) সকালে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তরফমেরু গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের আলামিন মন্ডলের ছেলে রাকিব হাসান মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মতে,বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাছিরপাড়া ব্রীজের উপর থেকে চুরি যাওয়া ট্রাক্টরটি উদ্ধার করা হয়। ওসি আরো জানান,গ্রেফতারকৃতদের শনিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িরতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ট্রেন দুর্ঘটনায় ইমেজ সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

ট্রেন দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভুল সিগন্যালে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং এর জেরে টানা কয়েক দিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে রীতিমতো ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নিরাপদ বাহন হিসেবে রেলের সুনাম মুছতে শুরু করেছে। হারানো এই ইমেজ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরে রেলভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রেলসচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন রেলমন্ত্রী। ট্রেন চলে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিস্টেমের (সিআইবিএস) ভিত্তিতে। কিন্তু অনেক স্টেশন এখনো চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব স্টেশনকে দ্রুতই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সূত্র আরও জানায়, নির্মাণকাজ চলাকালে অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এমন স্থানেই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। পয়েন্টসম্যান ও স্টেশনমাস্টারের ভুলে এমনটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব স্থানে দ্রুত তদারকি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী জানান, বৈঠক হয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে। সেখানে নিরাপদ বাহন হিসাবে ট্রেনের ইমেজ ধরে রাখতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, প্রচলিত আইনকানুন অনুসারে ট্রেন পরিচালনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে। টিএলআর তথা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের দায়বদ্ধতা কম। অনেক ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে অপারেশনাল কাজ চালাতে হয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি যেমন রয়েছে, তেমনি অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্র্মচারীও বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কর্মরত। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোয় জোর দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে এমন নির্মাণাধীন রেলপথে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার ও জয়দেবপুরে সিগন্যালের ভুলে ট্রেন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসে রেল। এর পর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনার যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেও ছিল প্রায় একই রকম ভুল। রেলকর্মীদের এমন ভুলের খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনায় হতাহত এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় রেল থেকে যাত্রীরা যেন মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নন-ইন্টারলকিং বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালনায় চলে পেপার লাইন ক্লিয়ার বা পিএলসি। একটি চলন্ত ট্রেন সামনের স্টেশন অতিক্রম করবে কিনা, অথবা ট্রেনটিকে ক্রসিংয়ের জন্য কোথায় থামতে হবে, অথবা ট্রেনটির অনির্ধারিত স্টপেজ কোন স্টেশনে দেওয়া হয়েছে- এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা একটি কাগজে লেখেন স্টেশনমাস্টার। এরপর ওই কাগজটি নিয়ে স্টেশনের রেললাইনের পাশে উঁচু করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন স্টেশনমাস্টার। চলন্ত ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনে থাকা লোকোমাস্টার নেন সেটি। সেখান থেকে সামনের স্টেশন সম্পর্কে ধারণা মেলে। আর পয়েন্ট তৈরির কাজটি করেন পয়েন্টসম্যান। তাদের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এখানে বড় সমস্যা জনবল সংকট। ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। সহকারী স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যানসহ অপারেশনাল কাজে নিয়োজিতরা প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারেননি। দক্ষতা অর্জনের অভাবে ভুল করছেন কর্মক্ষেত্রে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে- অনেকে অবসরে চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করছেন। তাদের জবাবদিহিতা ওই অর্থে রেলের কাছে নেই। পুরনো সংকেত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে দক্ষ নয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া জনবল। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারের সরবরাহ করা পয়েন্টসম্যান রেলের বিশেষায়িত কাজ জানে না। এসব কারণে ভুল হচ্ছে।

দেশে মোট যাত্রীর ৮ শতাংশ রেলের। অথচ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে মোট পণ্য পরিবহনে রেলের অবদান ২৮ থেকে নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় ছিল ৫৬১ কোটি টাকা। যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করে এই আয় করেছে রেল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সময়মতো ট্রেন চালনা রেলের অন্যতম কাজ। এ কাজে গুরুত্ব কম। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আসা-যাওয়ায় বিলম্বের ঘটনা বেড়েছে। যাত্রাবিলম্ব ঘটে নানা কারণে। ইঞ্জিন ফেইলিওর, রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি, কোচের ত্রুটি, চালকের দুর্বলতাসহ নানা কারণ রেলসেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।


আরও খবর



বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।

কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের প্রত্যয় নামের একটি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আরও খবর



বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ |

Image

------ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ:

ঈদ আনন্দ উৎসব। পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিষিক্ত মুমিন আত্মার আবেগ বিধুর এক বেহেশতী অনুভূতির মহা সওগাত ঈদুল ফিতর। এ মধুর মুহূর্তটিতে একজন মুমিনের হৃদয় যেমন সিয়ামের লব্ধ পবিত্রতায় আলোক উদ্ভাসিত হয়ে উঠে, অপরদিকে সদ্য সমাপ্ত মাহে রমযানের বিদায়ে হয়ে উঠে দুঃখ ভারাক্রান্ত। একটি মাসের সিয়াম সাধনায় রহমত, মাগফিরাত লাভ করার মতো যোগ্য সাধনা হলো কিনা, যতটুকু হয়েছে তাও আবার গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কিনা, ইবাদতের এক মৌসুমী মাহে রমযান আবার ভাগ্যে জুটবে কিনা, ইত্যকার ভাবনায় মুমিন অন্তর হয়ে উঠে বিষাদময়। এই আর বিষাদকাতর অবস্থাতেই অশ্রু বিগলিত হয়ে জায়নামায সিক্ত করে প্রতিটি মুমিন মাহে রমযানকে জানায়‘আল বিদা’।

এর পরই আসে হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। “আস-সাওমু লি, ওয়া আনা উজযা বিহী” ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এক মাস সিয়াম সাধনার বদলা-মুজুরী লওয়ার মোবারক আনন্দঘন ঈদের মূহুর্ত। ধনী-গরীব নির্বিশেষে ঈদ জামাতে এক হয়ে—দুহাত উঠিয়ে প্রভুর পক্ষ থেকে আত্মপরিতৃপ্তির সাথে পুরষ্কার গ্রহণ করে সকলে। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম, সংযম, তিলাওয়াত, যাকাত, সাদকা – প্রভৃতি পেশ করার প্রতিদানে গ্রহণ করে নেয় রাব্বুল আলামীনের অপার সন্তুষ্টি। আর এরই নাম হলো ঈদ, এই হলো মুমিনের প্রকৃত আনন্দ উৎসব। এটাই হলো আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার শরীয়ত সম্মত প্রক্রিয়া।

বস্তুতঃ এই শরীয়ত সম্মত আর্দশ জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করার শপথ নবায়ন করার বার্ষিক অনুষ্ঠান হলো ঈদ উৎসব। তাই যুগপত এই ঈদের প্রভাতে প্রতিটি মুমিনের মুখেই ফুটে উঠে তৃপ্তির হাসি।

পক্ষান্তরে ভোগবাদী সভ্যতার অনুকরণে অর্ধ রমযান অতিক্রান্ত হতে না হতেই শুরু হয় ঈদের সাজ-সরঞ্জাম-জুতো, জামা, শাড়ী অলংকার ও প্রসাধনের বাজারে প্রচণ্ড ভীড়। নূতন নূতন ছায়াছবি মুক্তির সমারোহ, ভিডিও কর্ণারগুলোর অমার্জিত প্রচার, আর খাওয়া-দাওয়ার রকমারী উদ্যোগ।

অথচ সিয়াম সাধনায় শরীক না হয়ে এসবের মধ্যে সকল শক্তি নিয়োগ করে মার্কেটে মার্কেটে ছুটে বেড়ানো বা ইত্যাকার ভোগসর্বস্ব যে সমস্ত ইহ হল্লা হট্টগোল ঈদ উৎসব নামে অভিহিত করা হয়, এমন ঈদের সংগে কোন মুমিনেরই পরিচিত হওয়ার অবকাশ নেই। এ গুলো ইহুদী খৃষ্টান বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যর্থ অনুকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

এক কথায়—যারা রোযা রাখেনি, যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, কুরআনকে যারা সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মনে করেনা এবং যে রোজাদারের, যাকাত দানে অনীহা, পরশীর হক অস্বীকার করে, এ সমস্ত লোকদের কারো ঈদের জামাতে শরীক হওয়ার অধিকার নেই। ঈদের জামাতে তারা অনভিপ্রেত। তারা অবাঞ্ছিত। মুমিনের কাতারে তারা অন্যায় অনুপ্রবেশ কারী। এদের জৌলুষ, এদের বিত্তবৈভবের নগ্ন প্রদর্শনী, উদ্ধত অহংকার, এদের পশুসুলভ লালসার জিহ্বা এড়িয়ে চলা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য একান্ত অপরিহার্য।


আরও খবর