Logo
শিরোনাম

রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গাজী শাহনেওয়াজ : কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ত্রুটিপূর্ণ ওয়েব সাইটের সঙ্গে চুক্তি বাতিল : জানা যায়, দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৭১টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার থেকে তথ্য পায়। সেই সুবাদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়সহ ইউটিলিটি বিল পরিশোধের সাইটগুলোয় কয়েক কোটি নাগরিকের তথ্য থাকে।

এদিকে, সরকারি তথ্য বাতায়ণের আওতায় প্রায় ৩৪ হাজার ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর বাইরে আরো প্রায় ৫ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটের অধিকাংশই আইসিটি বিভাগের অধীনে এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও ত্রুটি হলে সরকার ও দেশের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এনআইডি বলেছে, তাদের সার্ভার সুরক্ষিত। তবে প্রকৃত অপরাধী কে সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। অতি গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।



আরও খবর



২৮ হাজার ৬২৫ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশিসহ ২৮ হাজার ৬২৫ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। সাজা শেষ হওয়ার পর তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।

৯ সেপ্টেম্বর দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে সাজা শেষে তাদের নিজ নিজ দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাই হওয়ার পর আকাশ ও স্থলপথে ফেরত পাঠানো হয়

এই সংখ্যায় কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে এখনো ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৬ হাজার ৭২ অভিবাসী আটক রয়েছেন। তাদের সাজা শেষে নিজ নিজ দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর ফেরত পাঠানো হবে



আরও খবর



কেশবপুর পানিতে প্লাবিত, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার (যশোর) জেলা  প্রতিনিধি 

যশোরের কেশবপুর টানা বর্ষনে প্লাবিত হয়েছে ৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  অনেক স্কুলের কক্ষে পানি ঠুকে পরেছে,বন্ধ রাখা হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। অন্যথায় ক্লাস নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান, একারনে লেখা পড়া ব্যহত হচ্ছে স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীদের।

স্কুল মাঠে পানি থৈথৈ করার কারনে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা থেকে,সম্প্রীতি টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক সূত্রে জানা গেছে  কেশবপুর ৩২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ টি কলেজ  ১১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬ টি মাদ্রাসা প্লাবিত হয়েছে, এছাড়া পৌরসভা সহ ১১ টি ইউনিয়নের ১০৪ টি গ্রমের ৪০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ গুলো তে পানি ঢুকে পড়ায় ক্লাস নিতে হচ্ছে অন্যত্র,বন্যার কারনে স্কুলে শিক্ষার্থী কমে গেছে। রাজনগর বাঁকাবর্ষি মোড়লপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, বন্যার কারনে পানি তিন টি কক্ষেঢুকে পড়ায় পাসে মকবুল হোসেনের বাড়িতে পাঠদান করানো হয়।শিক্ষার্থীদের বাড়ি ঘরে পানি উঠায় চতুর্থ ওপঞ্চম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরিক্ষা দিতে পারেনি, মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিচুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বন্যার পানি মাঠে জমে থাকায়  খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মধ্যকুল মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ কপিল উদ্দিন বলেন,মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষে পানি ঢোকার কারনে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। 

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলছেন, বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ উচু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠানো হয়েছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা এস এম জিল্লুর রশিদ বলেনবন্যায় প্লাবিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোর তালিকা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২১১ কোটি ৩১ লাখ (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সেপ্টেম্বরের ২৮ দিনেই যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, তা গত বছরের সেপ্টেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে প্রায় ৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার। তার আগের বছর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৪ কোটি ডলার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এই হারে রেমিট্যান্স এলে মাস শেষে প্রবাসী আয় ২২৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৮ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পু‌লি‌শের ক‌মিউ‌নি‌টি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আ‌সে‌নি

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ অঙ্ক দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে রাজধানী

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দুঃসহ যানজটে ভুগছে রাজধানীবাসী। কোথাও এতটুকু রাস্তা ফাঁকা নেই। এই যানজটের প্রধান কারণ অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশের পট পরিবর্তনের পর সুযোগ বুঝে রাজধানীর সীমান্ত এলাকার অলিগলিসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঢাকায় ঢুকে পড়ে লাখ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ
যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। গত দুদিনে ২৯২১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা হয়েছে ৮৮৮টি। জরিমানা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৭ হাজার টাকা। ভুক্তভোগিদের মতেট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত না রাখলে যানজট কমবে না। ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের একজন নেতা বলেন৬ লাখ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইকের মধ্যে ২৯২১টি রিকশা আটক কোন প্রভাব ফেলবে না। পুলিশকে আরও জোরালো অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে এগুলোর কারখানায় অভিযান চালিয়ে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে


ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন নগরের এক অন্যরকম এক আতঙ্কের নাম। জানা গেছেনগরীর রামপুরাবনশ্রীবাড্ডা,শনির আখরা, দনিয়া, রাযেরবাগ, যাত্রাবাড়িবাসাবোবৌদ্ধ মন্দিরমুগদাসিপাহীবাগমানিকনগরমান্ডাসায়েদাবাদকোনাপাড়াবসিলাসহ বিভিন্ন এলাকাতেই আগে থেকেই চলতো হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। দেশের পট পরিবর্তনের পর পুলিশ নিস্ক্রিয় হওয়ায় এগুলো ঢাকার ভিআইপি এলাকাতেও প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়বিমানবন্দর সড়ক এমনকি এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতেও এগুলো চলতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় হওয়ার পর ভিআইপি সড়ক ও এলাকাতে এগুলোর চলাচল কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরেও বনানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলতে দেখা গেছে। একই চিত্র ছিল মতিঝিলগুলিস্তানআরামবাগকাকরাইলপুরানা পল্টনসহ ব্যস্ততম এলাকাগুলোতেও


নগরীর নিম্ন এলাকাগুলোয় এই ব্যাটারিচালিত রিকশা নামানোর ব্যাপারে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয় না। যেমন- গুলশান-বনানী কিংবা বারিধারায় চাইলেই এসব গাড়ি হুট করে নামানো যায় নাকিন্তু যাত্রাবাড়িসায়েদাবাদমুগদামানিকনগরমান্ডা কিংবা সিপাহীবাগের মতো এলাকাগুলোতে যে কেউ যখন-তখন নামিয়ে ফেলতে পারে এসব রিকশা। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় আরও যানজট বাড়ছেবাড়ছে রাস্তায় বিশৃঙ্খলাও। অথচনিয়ম রয়েছে রাস্তার হিসাব করে যেকোনো নামানো বিষয়টি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যেন রাস্তায় নামানোই এখন সহজ একটি প্রক্রিয়া


রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকালালবাগহাজারীবাগআজিমপুরসহ ধানমন্ডিমোহাম্মদপুরমিরপুর এবং উত্তরাতেও ব্যাপক সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে অবাধে
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়প্রায় প্রতিদিন রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের বেপরোয়া চলাচলে প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। কিছু কিছু ঘটনা আলোচনায় আসছে। বাকি অনেক ঘটনা জানতেও পারছে না মানুষ


জানা গেছেএসব রিকশা থেকে প্রতি মাসে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যা স্থানীয় থানাসহ রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতা-কর্মীরা ভাগ পেয়ে থাকে। ঢাকা শহরের মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন রাস্তার বিষফোঁড়া। এলাকার ভেতরের রাস্তায় এসব রিকশা চলাচলের কথা থাকলেও এগুলো সব সময় মহাসড়কে উঠে আসে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা


বিশেষজ্ঞদের মতেএসব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না রাজনৈতিক কারণেই। কারণ দিনশেষে এ থেকে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। যার ভাগ রাস্তার পাতি নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসন পর্যন্ত পেয়ে থাকে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চাঁদাবাজি বন্ধ রয়েছে। অনেকের মতেএগুলো নির্মুল করার এখনই উপযুক্ত সময়
দেশের অনেক সড়কেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলে থাকে ধীরগতির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাভ্যানইজিবাইকনসিমনকরিমনমাহিন্দ্রা গাড়িগুলো। অন্যদিকেদূরপাল্লার পরিবহনগুলো দ্রুত গতির হয়ে থাকে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সরু রাস্তা ও ধীরগতির অবৈধ যানবাহনের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্ভোগও


অনুসন্ধানে জানা গেছেট্রাফিক বিভাগের কাছে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও পুরো দেশজুড়েই চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। ধারণা করা হয় এ সংখ্যা ৫০ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরগুলোতে চলাচল করছে। সারা দেশে এই অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার অটোবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের খরচ হচ্ছে। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে এক লাখ ইজিবাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ১১০ মেগাওয়াট এবং মাসে ৩৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা


খোঁজ নিয়ে জানা গেছেঅধিকাংশ গ্যারেজ চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার বিদ্যুতের বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করেন বুয়েটের প্রফেসর ও গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেনরেজিস্ট্রেশনবিহীন যেসব গাড়ি যেমন- ব্যাটারিচালিত অটোরিকশানছিমনকরিমন সেগুলোর বিষয়ে করণীয় কী এগুলো কেউ ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে না। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর হাদিউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেনসিঙ্গেল সড়কগুলো যখন সরাসরি মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় আর আইন করা হয় এসব তিন চাকার যান মহাসড়কে ওঠা নিষেধতাহলে বিকল্প রাস্তা প্রয়োজনের জন্য। তিনি বলেনগত ১৫ বছরে কয়েক লাখ মানুষের কর্মনির্ভর করে এখানে। তিনি বলেনসব মহাসড়কের দুই পাশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস রোড চালু করতে হবে। এতে মহাসড়ক একদিকে ঝুঁকিমুক্ত হবে এবং থ্রি-হুইলারসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ হবে। আনফিট যানবাহন সরিয়ে নিতে হবে


ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক)  বলেনরাজধানীর যত্রতত্র চলছে ব্যাটারিচালিক রিকশা। ট্রাফিক পুলিশ নগরীর ১০৯টি পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কোন কোন দিন প্রায় ৩হাজার ব্যাটারিচালিক রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে
খোন্দকার নজমুল হাসান আরও বলেনশুধু আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব নয়। এ জন্য নগরীর সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাটারিচালিক রিকশা দ্রুতগতির হওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। সাধারণ মানুষ ব্যাটারিচালিক রিকশা ব্যবহার বন্ধ করলে বা কমিয়ে দিলে চালকদের মধ্যে আগ্রহ কমবে। সকলের সহযোগিতা থাকলে ব্যাটারি চালিত রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে সফল হবে পুলিশ


আরও খবর



গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ফরিয়াদ রস তুজ বিন নেহী,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

সুলতানে দ্বীন শাহে্ জমীন,

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

মাকছুদে তান মাতলুবে জান,

মাহকুম হায় তু সারা জাহান।

মুশকিল কোশা ইয়ে আজিজী, 

মাওলা মেরে ফরিয়াদ সুন্।

আসসালাম আয় আফেতাবে গাউছিয়ত, আসসালাম আয় মাহেতাবে কুতুবিয়ত। আসসালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া, আসসালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।


ফজলে কর ইয়া রব মুহাম্মদ মুস্তাফা কে ওয়াস্তে সাইয়্যেদে কাওনাইনে শাহে্ আম্বিয়া কে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহাল আলামীন ইয়ে র্আজ মেরী হো কবুল, ইসতাজেব হাজা দোয়ায়ি মুস্তাফা কে ওয়াস্তে।


দূর কর রঞ্জ দেলী হায় ছখত মুঝকো, বেকালী উছ শাহে্ সিদ্দিক্বে আকবর বাছাফা কে ওয়াস্তে।


ফজ্লকে হাতোঁছে মুঝ্কো মেওয়ায়ে মাক্সুদ্ খিলা, উছ ওমর ফারুকে আ-দিল বেরিয়া কে ওয়াস্তে।


দো-জাহাঁ মেঁ হযরতে উসমান-কে রোছে মুঝে, মাত্ খাজাল কিজিয়ো তু উছ ছাহেব হায়া কে ওয়াস্তে।


বারেগাহে আলী মে তেরে হায় ইয়ে মেরি ইলতিজা, হল্লে মুশকিল হো মেরি মুশকিল কোশা কে ওয়াস্তে।


বুলবুলে বাগে মদিনা কুররাতুল আইনে রাসূল, ইয়ানী বিবি ফাতেমা খায়রুন্নেছা কে ওয়াস্তে।


দে খুশী দিলকো মেরি ছর ছব্জ কর নখ্লে মুরাদ, উছ জিগর খাস্তা হাসান ছাহেব লেওয়াকে ওয়াস্তে।


হার তরফ ছে ফৌজ গমনে আকে ঘেরা হায় মুঝে, দে পানা ইয়া রব শহীদে কারবালা কে ওয়াস্তে।


কাওন তুজ বিন দাদ ইছ আছি কো দেবে ইয়া খোদা, জোদতর ফরিয়াদ রস যইনুল আবা কে ওয়াস্তে।


মাই বহুত হায়রান হোঁ কর রহম কি মুঝপর নজর, বাকের ও জাফর আলী ওয়া মুছা রেজা কি ওয়াস্তে।


মুছা ও কাজেম ত্বকী ও বানকী ও আস্করী, আওর ইমামে মাহদীয়ে পীরে হুদাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, গাউছুল আ’যম পীরানে-পীর দস্তগীর শেখ সৈয়দ আবু মীর মুহীউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানী রাদ্বিআল্লাহু তা’য়ালা আনহু রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশতী আজমীরি সাঞ্জীরি রহমাতুল্লাহি তা’য়ালা আলাইহি রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ’যম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াছাল্লাম গাউছুল আ’যম গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছে জামান সৈয়দ আবুল বশর আল মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল ওয়ারা সৈয়দ মইনুদ্দীন  আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


ইয়া ইলাহী ছব উঠালে দরদমন্দৌ হোকে বোঝ, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাউছুল আ'যম সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী রাহনুমাকে ওয়াস্তে।


তোমারি এস্কেতে, তোমার এস্কেতে রাখিও মোদের আবাদ, খুদীকে মিটায়ে যেন পাই খোদার স্বাদ। দুয়েরী পর্দা উঠায়ে দাও,দয়া করি দেখা দাও-ধরা দাও ওগো দয়াল নবীজি।


(এরপর ব্যক্তিগত ফরিয়াদ মাতৃভাষায়/আরবী/ফার্সীতে করা যাবে) আরবী মুনাজাত রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল্ আখেরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার,ওয়া সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলা খায়রি খালক্বিহি ওয়া নূরে জাতিহী মুহাম্মাদীন ওয়াআলিহি ওয়া আছহাবিহি আজমাইন। বিজুদি কালেমায়ে তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম।


আরও খবর