Logo
শিরোনাম

রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

গাজী শাহনেওয়াজ : কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ত্রুটিপূর্ণ ওয়েব সাইটের সঙ্গে চুক্তি বাতিল : জানা যায়, দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৭১টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার থেকে তথ্য পায়। সেই সুবাদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়সহ ইউটিলিটি বিল পরিশোধের সাইটগুলোয় কয়েক কোটি নাগরিকের তথ্য থাকে।

এদিকে, সরকারি তথ্য বাতায়ণের আওতায় প্রায় ৩৪ হাজার ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর বাইরে আরো প্রায় ৫ হাজার সরকারি ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটের অধিকাংশই আইসিটি বিভাগের অধীনে এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোথাও ত্রুটি হলে সরকার ও দেশের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এনআইডি বলেছে, তাদের সার্ভার সুরক্ষিত। তবে প্রকৃত অপরাধী কে সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। অতি গোপনীয়তা রক্ষা করে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নীতি-নির্ধারণী সব কর্তৃপক্ষই মুখে কুলুপ এঁটেছে। দায় এড়াতে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে। ফলে রহস্য খুলছে না তথ্য ফাঁসের। দেশের ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্রে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস হলেও তারা বলছে, তাদের তথ্য ভান্ডার বা সার্ভার সুরক্ষিত। এই তথ্য শুধু ইসির তত্ত্বাবধানে আছে বলা যায় না। কারণ আইসিটি বিভাগও ডুপ্লিকেট কপি করে তাদের তত্ত্বাবধানে রাখে।

ইসির মতো এই বিভাগও তথ্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে সেবা দিচ্ছে। অন্যের কাছ থেকে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হতে শুধু ইসি কিংবা আইসিটি বিভাগের কাছ থেকে কেনা সেবা সীমাবদ্ধ রাখার কথা থাকলেও তারা অন্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। ফলে কোন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিকের গোপন তথ্য পাচার হচ্ছে বা হয়েছে এ নিয়ে এক ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রের নাগরিকের তথ্য ফাঁস ইস্যুতে বিব্রত সরকারও।

এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ভিক্টর একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সরকারকে ছয় বার ই-মেইল দিয়েও তারা কোনো সাড়া পায়নি।

মারকোপোলোস বলেন, অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন তিনি গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তার মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর। প্রথমে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। পরে স্রোতের মতো ব্যক্তিগত তথ্য এসে জমা হতে থাকে। ভিক্টর আরো বলেন, আমি কখনো এত বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনার মুখোমুখি হইনি। আমার পর্যালোচনা বলে, প্রায় ৫ কোটি মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই মানুষগুলো নানাভাবে ক্ষতির শিকার হলেন।

এদিকে ইসি ও আইসিটি বিভাগ এ নিয়ে দফায় দফায় সভা করেও নিশ্চিত হতে পারেনি কীভাবে এতো নাগরিকের তথ্য পাচার হলো। মূল সেবা কর্তৃপক্ষের গাফলতির সুযোগে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বড় বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছে।

এনআইডির তথ্য সংবলিত সার্ভার অরক্ষিত : কারও তথ্যই গোপন নেই। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের সঙ্গে এনআইডির সার্ভার যুক্ত থাকায় নাগরিকদের সব তথ্যই বাইরে চলে গেছে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করলে সরাসরি এনআইডির তথ্য ভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে চলে আসত।

জানা গেছে, বিষয়টি শনাক্ত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওআরজিবিডিআরের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডির তথ্য ভান্ডারে ঢোকার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয় গঠন করা বিশেষজ্ঞ দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নাগরিকদের ফাঁস হওয়া তথ্যের অপব্যবহার ঠেকানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনো জানায়নি সরকার। জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের এনআইডি আছে।

প্রযুক্তিবিদরা বলেছেন, এনআইডিতে কোনো ব্যক্তির ঠিকানা, জন্ম-নিবন্ধন, ফোন ও পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ এমন সব তথ্য থাকে, যা দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যায়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্য একাধিক ডার্ক ওয়েবে বা চোরাগোপ্তা সাইটে বিক্রি করা হয়ে থাকতে পারে। এতে ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে তার আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হতে পারে। এর পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে দেশের কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই- মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হলে এনআইডির নম্বর পরিবর্তন করা জরুরি। প্রযুক্তির সহায়তায় তাতে ডিজিট সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারলে, পুরোনো এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে কেউ আর কোনো অপকর্ম করার সুযোগ পাবে না।

এখন করণীয় কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে। যদি কেউ এ কাজ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।



আরও খবর



খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও পুষ্টির স্তর উন্নয়ন প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ২০২৩ সালের সিকিউরিটি মনিটরিং অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দারিদ্র্য অপুষ্টি এখনও হাত ধরাধরি করে চলছে নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার অঞ্চলে অপুষ্টির হার অত্যন্ত বেশি, যেখানে ২৯% শিশু কম ওজনসম্পন্ন এবং ৩৫ শতাংশ শিশুই খর্বাকৃতিতে ভুগে থাকে এই প্রেক্ষাপটে অপুষ্টি দূর করে জনসাধারণকে সচেতন করবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে

কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা উল্লিখিত মত তুলে ধরেন। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচি (বিএইচপি)- অ্যাডোপ্টিং মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ ফর নিউট্রিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। পুষ্টি উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাল্টিসেক্টরাল মিনিমাম নিউট্রিশন প্যাকেজবাস্তবায়নে করণীয় ঠিক করতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাহাব উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অসীম বরন সেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুর রহমান মিঞা, বিএইচপি- পল্লী কর্মসূচির অপারেশন প্রধান ডা. মনোয়ারুল আজিজ প্রমুখ। প্রশিক্ষক ছিলেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প কর্মকর্তা অমিত কুমার মালাকার। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএইচপি- এরিয়া ইনচার্জ মেহনাজ বিনতে আলম

ডা. মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টির মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি বার্তাসমূহ সকলের নিকট পৌছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আরও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

ডা. মনোয়ারুল আজিজ বলেন, পুষ্টি উন্নয়ন খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় দরিদ্র পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য। সেজন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের পাশাপাশি পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি অপুষ্টি দূরীকরণ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ বেসরকারি সংস্থাকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান


আরও খবর



রাশিয়া ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করছে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

রাশিয়া ১৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পাশাপাশি রাতভর মাইকোলাইভ এবং ওডেসা অঞ্চলে আক্রমণে ২৪টি ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। সোমবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ১৮টি ড্রোন এবং সবকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার বলেন, শস্য রফতানির জন্য ব্যবহৃত বন্দরগুলোর স্থান ইজমাইল আবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং ভিলকোভ শহরের একটি বিনোদন কেন্দ্র আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এসব হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মাইকোলাইভের আঞ্চলিক গভর্নর ভিটালি কিম বলেন, ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি ভবনে আগুন লেগেছে। অন্যদিকে একটি বিস্ফোরণ তরঙ্গে আশপাশের অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আঞ্চলিক গভর্নর ওলেক্সান্ডার প্রোকুদিনের মতে, খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার এক হামলায় কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে। রাশিয়ার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বেরিল শহরের একটি জনাকীর্ণ বাস স্টেশনে হামলা চালায়।

সোমবার ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালিয়ার বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী বাখমুত এলাকায় রাশিয়ার বাহিনীর কাছ থেকে দুই বর্গকিলোমিটার, পাশাপাশি দক্ষিণ ইউক্রেনে পাঁচ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জয়ের পরিণতি নিয়ে ভাবতে বলছেন ইউক্রেনের প্রধান ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। যুদ্ধবাজ ভ্লাদিমির পুতিনকে বারবার নির্বাচিত করে দ্বিতীয় হিটলার তৈরির জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেন তিনি।

প্রায় ২৫ বছরে ধরে রাশিয়া শাসন করছেন পুতিন। এর মধ্যে চার বছর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

জেলেনস্কিকে উদ্ধৃত করে দ্য মিরর এক প্রতিবেদনে বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে সব সম্মান খুইয়েছে রাশিয়া। বারবার পুতিনকে নির্বাচিত করে দ্বিতীয় হিটলার তৈরি করেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন সিবিএসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন হেরে গেলে এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হতে পারে। রুশরা যদি পোল্যান্ড পৌঁছে, এরপর কী হবে? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? আমরা অতীতে ফিরে যেতে পারব না। কিন্তু আমরা এখানেই এর সমাপ্তি ঘটাতে পারি।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




ধামরাইয়ে স্কুল শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার): 

ঢাকার ধামরাইয়ে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ধামরাই উপজেলার আয়োজনে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফুটবল ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর -২৩) সকাল দশটার দিকে ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুটবল ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন ও খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,ঢাকা -২০ ধামরাই আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।

এ’সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এনামুল হক আইয়ুব, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজ উদ্দিন সিরাজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা,ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শ্রী নির্মল কুমার দাস , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফী প্রমূখ।


উপজেলার ৩২ দল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল দল টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করেন এর মধ্যে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন দুটি দল। ফাইনালে অংশগ্রহণ কারী দুটি দল হচ্ছে কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় বনাম বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়।


খেলায় কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১ -০ গোলে বান্নল লাক্ষু হাজী উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে

জয়লাভ করে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ভূমি ও গুচ্ছ গ্রামের রেশন কার্ড আত্মসাৎ করার অশুভ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ। 

শনিবার (৩০ ই সেপ্টেম্বর)  রামগড়ে স্থানীয় গোধূলি রেস্তোরাঁয় বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জহর লাল ঘোষ নামের স্থানীয় বাসিন্দা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ভূমি ও রেশন কার্ড দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অফিসের সহযোগীতায় ঘুষের প্রসঙ্গে  আমার সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন। অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা উল্লেখকরে  বলেন, জহরলাল বোোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাতপাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ভুমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে অন্যায় ভাবে তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে একই সাথে পারিবারিক রেশন কার্ড থেকে তার  বোনকে বাদ দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন।  

উল্লেখিত জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু নেতাদের নিকট বিচার দাবী করলে আমি সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করায়  ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে ও তদসংশ্লিষ্ট অফিসকে দায়ী করেন। 

 তিনি আরো বলেন, হিন্দু  নেতা হিসাবে বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ তুলে  অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। 

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কাজে রামগড় ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে কবুলিয়ত না থাকা সত্ত্বেও  নামজারী মামলার সুপারিশ করায় তার বিরুদ্ধে  শাস্তি দাবী করেন এবং সুবিচারের আশায় তার বোন গীতা রানী ঘোষ খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২/২০২৩নং বিবিধ মামলা রুজু করেন যা আদালতে চলমান আছে এবং রেশন কার্ডের ওয়ারিশনে তার স্ত্রী সন্তাদের অন্তভূক্তের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র বরাবর তার বোনের আবেদনে শুনানীতে জহর লাল ঘোষের স্ত্রী সন্তানদের বাদ দিয়ে বোন গীতা রানীকে অন্তভূর্ত করতে নির্দেশ দিলেও জহর লাল একক ভাবে সেই রেশন কার্ড ভোগ করছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন  জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। ওই সময় জহর লাল  তার বোনকে সৎ বোন দাবী করে নামজারী মামলার বিরুদ্ধে ভূমি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানী হয়। 

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।জহরলাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। জহরলাল ঘোষের সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া।তার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঘুষ দাবির বিষয়টিও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ফ্রান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্স সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স। বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশটি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।

বৈঠকে অংশ নিতে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ম্যাক্রোঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এর ১০ মিনিট পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হয়।

এর আগে সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

সকালে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে গেলে সেখানে ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাদুঘর পরিদর্শন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। শেষ পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে গতরাতে ঢাকায় আসেন। ৩৩ বছর পরে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক সফরে ঢাকায় এলেন তিনি।

রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজন করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশ নেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। পরে জলের গান ব্যান্ডের শিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করেন ম্যাক্রোঁ।


আরও খবর