Logo
শিরোনাম

সেনাপ্রধান হলেন ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস রিপোর্ট:


সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।



 নতুন দায়িত্ব নেওয়ায় তিনি সদ্য বিদায়ী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন।


 আগামী তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।



গত ১১ জুন আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান চিফ অব জেনারেল স্টাফকে (সিজিএস) জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি দিয়ে ওই তারিখ অপরাহ্ন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।



আজ রোববার (২৩ জুন) বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ব্যাজ পরিয়ে দেন।



 পরে সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর



গোপন রোগের কারণে যদি চুলকানি হয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ডা. দিদারুল আহসান: কিছু সংক্রামক অসুখ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতে পারে কিছু মারাত্মক যৌনরোগ। এমন রোগগুলো একসঙ্গে এসটিডি (ঝঞউ) নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগ হলো সিফিলিস বা ফিরিঙ্গি রোগ, গনোরিয়া বা বিষমেহ, ক্ল্যামাইডিয়া, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, এইডস (এইচআইভির জীবাণু), চ্যানক্রয়েড, গ্রানুলোমা ইনগুইনাল, লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম ইত্যাদি। এসব রোগের কিছুসংখ্যক অন্যান্য প্রক্রিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন এইচআইভি)।

চুলকানি হওয়ার কারণ : পুরুষের নিম্নাঙ্গের নানাস্থানে অনেক সময় তীব্র চুলকানি দেখা দেয়। এর পেছনে ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও আরও যেসব কারণ দায়ী তা হলো ছত্রাকের আক্রমণ, ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইটের আক্রমণ ছাড়াও যৌনাঙ্গে উঁকুন, খোসপাঁচড়া, মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়ামের সংক্রমণ। এসবের কারণে নিম্নাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। কিছু যৌনরোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ, যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙওয়ালা টিস্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহারেও চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, অ্যাকজিমা ও রক্তে কোনো সমস্যা ও অন্য কোনো রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গ চুলকায়। আঁটো পোশাক, যৌনাঙ্গ আর্দ্র হয়ে থাকলে, অপরিষ্কার থাকলেও চুলকানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

প্রতিকার : ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন তা আর না হয়।

প্রতিরোধের উপায় : সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। দই খান। এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমান। নিয়মিত গোসল করুন। অন্তর্বাস নিয়মিত রোদে শুকাতে দিন, যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যারা এ সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট, গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

রুম-৪৩২ (৪ তলা) গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা

০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪


আরও খবর



কে এই মাসুদ আজহার? ভারতের কেন এত ভয়?

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য ও চার সহযোগী। একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় তারা প্রাণ হারান। প্রশ্ন উঠেছে কেন ভারত এই মসজিদ ও মাদ্রাসা লক্ষ্য করে হামলা চালালো। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার ও সহচরদের হত্যা করা। তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন।

কে এই মাসুদ আজহার? 

ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার পর বারবারই উঠে আসে মাওলানা মাসুদ আজহারের নাম। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে বেড়ে ওঠা মাসুদ আজহারের ভয় গত ৩৫ বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতকে। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে মুক্ত করতে ভারতীয় বিমান ছিনতাই করেন অনুসারীরা। যা সেসময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে দায়ী করে আসছে ভারত। নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান মাসুদ আজহারকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। যদিও পাকিস্তান তা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে দিল্লির পাল্টা দাবি, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্য জনসভা করে বেড়ান আজহার। কিন্তু কীভাবে জইশ প্রধান হয়ে উঠলেন মাসুদ আজহার?

মাওলানা মাসুদের বেড়ে ওঠা

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ১৯৬৮ সালে জন্ম তার। বাবা আল্লা বক্স সাবির ছিলেন সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। বাড়ির প্রত্যেকে যুক্ত ছিলেন ডেইরি ও পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে। ছোটবেলার স্কুল ছেড়ে জামিয়া উলুম-ই-ইসলামি স্কুলে ভর্তি হন মাসুদ। তখন থেকেই কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য মন কাঁদত তার। ভারতের নিপীড়নের ব্যাপারে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। পড়াশোনায় মেধাবী মাসুদ আজহার কুরআনের হাফেজ। পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়েও।

নিজে স্কুলে পড়াতেন মাসুদ আর বাড়ির ব্যবসাও দেখতে। জিহাদ বিষয়ে লিখেছেন অসংখ্য বইও। পত্রিকার সম্পাদনা করার সূত্রেই অল্পবয়সীদের মধ্যে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

ভারতে গ্রেপ্তার ও বিমান ছিনতাইয়ে আলোচিত ঘটনা

১৯৯৪ সালে হরকত উল মুজাহিদিন নামে কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ভারতে গ্রেফতার হন মাসুদ। পরে তাকে মুক্ত করতে পরিকল্পনা ছক কষেন অনুসারীরা। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান আইসি ৮১৪ কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসছিল। বিমানটিকে ভারতের আকাশ থেকে ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যান মাওলানা মাসুদের অনুসারীরা। ১৫৪ জন যাত্রীর প্রাণের বিনিময়ে মাসুদ আজহার, মুস্তাক আহমেদ ‌জ়ারগর ও আহমেদ উমর সঈদ শেখের মতো ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ভারতের অটলবিহারী সরকার, যাদের জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

জইশ-ই-মহম্মদ গঠন

মুক্তি পাওয়ার পর ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠী গড়ে তোলা শুরু করেন মাসুদ। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ সক্রিয় করা থেকে সংসদে হামলা, সবকিছুতেই প্রধান মাথা ছিলেন মাসুদ। ২০০২ সালে গৃহবন্দি দশা থেকে মাসুদকে পাকিস্তান মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তালিবান ও লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মাসুদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সংস্থার গোয়েন্দারা।

২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে শেখ আহমেদ সইদ ওমর নামে মাসউদ আজহার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেই। এর পরই আমেরিকা মাসুদ আজহারের নাগাল পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমেরিকা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে এও জানায়, কান্দাহার বিমান অপহরণের সময় এক মার্কিন নাগরিকও সেই বিমানে ছিলেন। যদিও পাকিস্তান বলে আজহার হাইজ্যাকার নন।

এর পরই ভারতের গোয়েন্দাদের কাছে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্ট’-এ চলে আসে মাসুদ আজহারের নাম। জাতিসংঘের ঘোষিত সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম উঠেছে তার। সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে গুলি করে ২৬ পর্যটক হত্যার ঘটনায় আবার ভারতীয় গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাসুদ আজহার। এই হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ভারতের অভিযোগ। এর প্রতিশোধ নিতেই ‍বুধবার গভীর রাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। হামলায় পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ নিজেই।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলেছে, ভারত পাকিস্তানের যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদ। এই মসজিদ ও সংশ্লিষ মাদ্রাসায় হামলায় মাওলানা মাসুদের পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু। হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মা’ও নিহত হয়েছেন।

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মৌলভি আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’

তিনি বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে সময় বাড়লো আরো ৬ মাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

১৩ বছর ধরে ঝুলে থাকা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে টাস্কফোর্সকে আরো ছয় মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্টমঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আরশাদুর রউফ তদন্ত শেষ করতে ৯ মাস সময় চান।

তিনি আদালতে বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। আরো সময় দরকার। ৫ আগস্টে ডিবি অফিসে আগুন দেওয়া হয়। তখন অনেক রেকর্ড পুড়ে গেছে।

শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ তদন্ত শেষ করতে ছয় মাস সময় দেন।

তদন্তের গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেনি।

মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলি মো. শিশির মনির বলেন, বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে খারাপ ধারণার জন্ম দেয়। আমরা বলেছিলাম তিন মাস সময় দেওয়া হোক। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ছয় মাস সময় দেন।

এদিকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নথি পোড়ার কথা বলায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে টাস্কফোর্সের অধীনে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয় নাই। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ বলেছেন, ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ।



আরও খবর



নানা সংকটে জর্জরিত মহাখালী বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর যাত্রীদের নিয়ে এখান থেকে বাস ছেড়ে যায় এবং ছেড়ে আসে। প্রতিদিন গড়ে আসা-যাওয়া করে এক হাজার দূরপাল্লার বাস, যাতে পরিবহন হয় ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী। অথচ টার্মিনালটিতে যাত্রীসেবা বলতে কিছুই নেই। বিপুলসংখ্যক যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা নামমাত্র। মাত্র তিনটি শৌচাগার, তাও ব্যবহারের অনুপযোগী। যাত্রীদের জন্য থাকা বিশ্রামাগারটি দখলে নিয়েছে ভবঘুরে ও মাদকসেবীরা।

কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের কোনো যোগাযোগ খাতই উন্নত নয়। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সবকিছুতেই ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনগুলো অপরিচ্ছন্ন, খাবার হোটেল কিংবা টয়লেটগুলোয় অধিকাংশ সময়ই যাওয়া যায় না। অতিজরুরি না হলে কেউ যেতেও চায় না। আবার যারা যাচ্ছেন তাদের অভিজ্ঞতা কতটা যে বাজে হয়, সেটি বলে প্রকাশ করা যাবে না। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে এক্ষেত্রে।

মহাখালী বাস টার্মিনালটি পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার বাস চলাচল করলেও টার্মিনালটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৪০০ গাড়ির। আর বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত বাস এ টার্মিনালে প্রবেশ করে ও ছেড়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ বাসই রাখতে হয় টার্মিনালসংলগ্ন সড়কে। মহাখালী থেকে তেজগাঁওয়ের তিব্বত পর্যন্ত সড়ক ও লিংক রোডগুলোয় এসব বাস রাখায় যানজট সৃষ্টি হয় বনানী পর্যন্ত।

সড়কে গাড়ি রাখা প্রসঙ্গে মহাখালী-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী একটি বাসের চালক জানান, সব গাড়ি টার্মিনালে জায়গা হয় না। তাই গাড়িগুলো কখনো কখনো টার্মিনালের বাইরে রাখতে হয়। তবে রাস্তার ওপরে কোনো গাড়িই বেশিক্ষণ রাখা হয় না। ট্রাফিক পুলিশ সবসময় নজর রাখে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো বা যাত্রী ওঠানামারও এখন সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে সামান্য যানজট হয়, তবে সেটি বড় না।

বাস টার্মিনালের যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনা। সেই সঙ্গে ভ্যানগাড়ি ও ভাসমান দোকান বসিয়ে টার্মিনালের আশপাশে অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে বহিরাগতরা। ব্যস্ত টার্মিনালটির স্যানিটেশন নিয়ে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি রয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকারও অভিযোগ। নিম্নমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই বাড়ে ভোগান্তি। পরিবহন শ্রমিকদের জন্যও এ টার্মিনালে কোনো বিশ্রামাগার নেই।

এ বিষয়ে কথা হলে পরিবহন কর্মীদের বেশ কয়েকজন তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। তারা জানান, যাত্রীরা বাস টার্মিনালের স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিনিয়ত। এসবসহ নানা সমস্যার বিষয়ে বাস টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনকে সমাধানের জন্য একাধিকবার তাগাদা দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, মহাখালী টার্মিনাল ভবনের নিচতলায় রয়েছে দুটি শৌচাগার। একটি নারীদের এবং অন্যটি পুরুষদের ব্যবহারের জন্য। তবে সেগুলো খুবই নোংরা ও দুর্গন্ধময়। তার পাশেই রয়েছে উন্মুক্ত গোসলের জায়গা, যেটি পরিবহন শ্রমিক ও টার্মিনালের কর্মীরা ব্যবহার করেন।

এ নিয়ে ডিএনসিসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, মহাখালী টার্মিনালে টয়লেট সংকট নেই। পর্যাপ্ত টয়লেট আছে। সংকট তখনই বলা যাবে যখন দেখা যাবে মানুষ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ তো লাইন ধরে নেই। তার মানে সেখানে সংকট নেই। তবে এগুলো অপরিষ্কার, এর সঙ্গে আমিও একমত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সকালে হয়তো একবার পরিষ্কার করে, সারা দিন আর করে না। কিছুক্ষণ পর পর পরিষ্কার করতে গেলে বেশি লোকবল নিয়োগ দিতে হবে, ফলে খরচও বেশি হবে। এজন্য তারা এসব করে না হয়তো।

জানা গেছে, মহাখালী বাস টার্মিনালটির ইজারা নিয়েছে এসএফ করপোরেশন। এটি পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শেখ ফরিদ। অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে টার্মিনালে ইজারাদারের হয়ে কাজ করা সবুজ নামের এক তরুণ বলেন, টার্মিনালটি পর্যাপ্ত পরিপাটি করে রাখা হয়। যাত্রী বা পরিবহনসংশ্লিষ্ট কারো কোনো অভিযোগ কখনই আমরা পাইনি।

টার্মিনালে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রেও চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। এ নিয়ে ট্রাফিক বিভাগের কোনো উদ্যোগ বা নির্দেশনা কাজে আসছে না। ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ ও বাস মালিকরা বলছেন, টার্মিনালের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস বৃদ্ধির কারণে রাস্তায় রাখতে বাধ্য হচ্ছেন চালকরা। আবার অনেক দূরপাল্লার চালক টার্মিনালে প্রবেশে গাড়ির লম্বা লাইন থাকলে রাস্তার পাশেই গাড়ি রেখে বিশ্রামে চলে যান বলে অভিযোগ।

মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাড়ি নিয়ে আমরা বিড়ম্বনায় রয়েছি। টার্মিনালে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ গাড়ি রাখার জায়গা। কিন্তু প্রতিদিন এর দ্বিগুণের বেশি গাড়ি চলাচল করে। আমরা এগুলো রাখব কোথায়? সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্যবার বলেছি, আমাদের গাড়ি রাখার বিকল্প ব্যবস্থা করেন। তারা এখনো করেনি। এতে বাধ্য হয়েই সড়কে গাড়ি রাখতে হচ্ছে। বাইরে গাড়ি রাখলে তো আমাদেরও ক্ষতি, তেলসহ গাড়ির ছোটখাটো যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রায় একই কথা বলেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবুল।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঠামোগত ত্রুটির কারণেই টার্মিনালে যাত্রীদের অধিক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এজন্য কাঠামোগত সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, বাস টার্মিনাল শুধুই অবকাঠামো নয়। এটিকে অপারেশনও করতে হয়। মানে যাত্রীদের প্রয়োজনে এটিকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশের কাঠামোই যাত্রীবান্ধব নয়, পুরো হযবরল অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, টার্মিনালে নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম থাকবে, যেখান থেকে গাড়িতে যাত্রীরা উঠবেন এবং সেখানেই এসে বাসগুলো যাত্রী নামাবেন। কিন্তু আমাদের এখানে এমন অবকাঠামো নেই। প্লাটফর্মভিত্তিক এমন অবকাঠামো থাকলে নাগরিক সুবিধা দেয়া খুবই সহজ হয়। যাত্রীদের কোথায় পানি, টয়লেট বা বিশ্রামাগার প্রয়োজন, সেগুলো নজর রাখাও সহজ হয় তখন।


আরও খবর



রাখাইনে করিডর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: বিএসপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি’র জাতীয় স্থায়ী পরিষদের এক সভা ১ মে ২০২৫খ্রি: বৃহস্পতিবার পার্টির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে  বিএসপি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা  করেন পার্টির মহাসচিব  বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল আজিজ সরকার। সভায় সম্প্রতি রাখাইনে করিডর ও নারীর সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক  বিএসপি চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা  সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী  বলেন, 

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রাখাইনে মানবিক করিডর প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে ফেলে রাখাইনে যেকোন ধরনের করিডর প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা বিশ্বের বুকে নতুন করে আরেকটি গাজা/ফিলিস্তিন দেখতে চাই না। সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সিদ্ধান্ত  গ্রহন করতে হবে। সর্ত সাপেক্ষে মানবিক করিডরের বিষয়ে  অন্তবর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা সুস্পষ্ঠ বক্তব্য আশা করছি।

নারী সংস্কার কমিশনের  প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী যেকোন সংস্কার প্রস্তাবনা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি প্রত্যাখ্যান করছে। কেননা, নারী সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবনা সরাসরি কোরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক।

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, আধুনিক সভ্যতার মুল কারিগর হচ্ছে শ্রমিক ভাই-বোনেরা। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরী পায় না। পারিশ্রমিক তাদের হক। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক তাদের ঘাম শুকানোর আগে পরিশোধ করার তাগিদ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাঃ। আধুনিক বিশ্বে শ্রমিকদেরকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে হলে তাদের যুগোপযোগী মজুরি/বেতন নির্ধারণ ও প্রদান জরুরী। এসময় নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে আইন সংশোধন করার আহবান জানান বিএসপি চেয়ারম্যান।সভায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত নেতা মাওলানা  রইস উদ্দিন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রইস উদ্দিন হত্যার মামলা গ্রহন করে অপরাধিদের কঠোর স্বাস্থির দাবি  জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মুফতি মাওলানা খাজা বাকি বিল্লাহ্ আল আযহারী, অতিরিক্ত মহাসচিব ও স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আবুল  কালাম আজাদ, স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আসলাম হোসাইন, মো: ইব্রাহিম মিয়া, শাহ্ আলম অভি, মিরানা জাফরিন  চৌধুরী, সিমা আক্তার প্রমূখ।


আরও খবর