Logo
শিরোনাম

২০ বছর পর ভারতের পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আসনে গান্ধী পরিবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image




বিডি টুডেস  ডিজিটাল ডেস্ক:



ভারতের ১৮তম লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে বসলেন কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী। এর মাধ্যমে ২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল। 



সর্বশেষ রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন লোকসভায়। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আর রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত।



গত ৮ জুন দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত বৈঠকে রাহুলকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। এরপর বিষয়টি রাহুলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। 



গত মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী লোকসভার প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা পদে মনোনীত করা হয়েছে।



২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯-এ ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে। এর মাধ্যমে এক দশক পরে লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ।


এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেরালার ওয়েনাড় এবং উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি দুটি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই পরিস্থিতিতে তাকে বিরোধী দলনেতা করার জন্য কংগ্রেসের অন্দরে জোরালো দাবি উঠেছিল।



বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে গতকালই নির্বাচিত স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আপনার সফল নির্বাচনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই হাউজটি ভারতের জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আপনি সেই কণ্ঠের চূড়ান্ত বিচারক।



 সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে কিন্তু বিরোধী দলও ভারতের জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে। এবং এবার, বিরোধীদল গতবারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। বিরোধীরা আপনার কাজে সাহায্য করতে চাইবে। এই হাউজে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 



আমরা নিশ্চিত যে, বিরোধীদের কথা বলার অনুমতি দিয়ে, ভারতের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দিয়ে, আপনি ভারতের সংবিধান রক্ষায় আপনার দায়িত্ব পালন করবেন।’


আরও খবর



ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



সদরুল আইন:


ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ (১২ জুন) থেকে ১০ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলা শুরু হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাত্রার সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।


ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, ঈদুল আজহায় চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১, ২, ৩ ও ৪) চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬) ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮) চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম; কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল (৮ ও ৯) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ১২ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরে ৭ দিন চলাচল করবে।


এ ছাড়া পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল (১৫ ও ১৬) জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে আগামী ১৩-১৫ জুন (৩ দিন) ও ঈদের পরে ২১-২৩ জুন (৩ দিন) চলাচল করবে।


অন্যদিকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১১ ও ১২) ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (১৩ ও ১৪) ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৭ ও ১৮) পার্বতীপুর-দিনাজপুর-পার্বতীপুর; গোর-এ-শহীদ ঈদ স্পেশাল (১৯ ও ২০) ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও রুটে শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।



আরও খবর



বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে আর কিছু মিডিয়া অপপ্রচারে নেমেছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে ডেস্ক রিপোর্ট:


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুলরা গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে। 


পুলিশকেও ঢালাওভাবে আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও তাদের সেই মতলব আছে। বিএন‌পি আজকে গুজব ছড়িয়ে আমাদেরকে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিচিত করার চক্রান্ত করছে। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে ।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি এ কথা বলেন।



 আওয়ামী লীগের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এটি শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।



নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমে আগুন সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।


 আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু নয় যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। বিএনপি ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই, আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি দিয়ে চ‌লে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা নত করার দল নয়।


বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করবেন... ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? আপনাদের আন্দোলন তো ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন, বিএনপি নেতৃত্ব, বিএনপির এক দফা, বিএনপি দল সব ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতে থাকবে না। 


যে আন্দোলনে জোয়ার হয় না, সেই আন্দোলন কোনো আন্দোলন নয়। আজকে আন্দোলনের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা রাজপথে আছি জবাব, দিতে প্রস্তুত।



আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।



এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ,  ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,  ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজ‌লে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আরও খবর



ঢাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দিনের অর্ধবেলা কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে।

বুধবার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শিক্ষকরা তাদের নিয়মিত কার্যক্রম থেকে বিরতি নেন। এদিন কোনো ক্লাস হয়নি। তবে পরীক্ষা থাকলে তা নেওয়া হয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধবেলা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, তিন দিনব্যাপী চলমান এ কর্মসূচিতে পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে। তবে ক্লাস নেওয়া হবে না। কোনো শিক্ষক তাদের অফিসে যাবেন না, স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে বিরতি নেবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, দ্বিতীয় দিনও আমরা আমাদের অর্থবেলা কর্মবিরতি জারি রেখেছি এবং ক্লাসগুলো নেওয়া হচ্ছে না। পরীক্ষা যদিও এসব থেকে মুক্ত। এছাড়া পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ভিত্তিতে আমরা আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এতে কোনো ব্যতয় ঘটবে না। দাবি অনাদায়ে ৩০ তারিখ আমরা পূর্ণবেলা ও ১ তারিখ থেকে যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততদিন সম্পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাবেন শিক্ষকরা। এতে পরীক্ষাও অন্তর্ভুক্ত হবে।


আরও খবর



লেগুনা থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

যানজটের হাত থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ বেতার রাজস্ব ভবনের পাশ দিয়ে শহীদ শাহাবুদ্দিন রোড থেকে শুরু করে কামাল সরণি হয়ে মিরপুর- নম্বর পর্যন্ত তৈরি করা হয় ৬০ ফিট সড়ক রোডটিতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা লেগুনা আর এই লেগুনা থেকে লাইন খরচের নামে বছরে প্রায় সাড়ে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে স্থানীয় একটি চক্র 

সরজমিন দেখা যায়, বাংলাদেশ বেতার জাতীয় রাজস্ব ভবনের পাশে গড়ে উঠেছে অলিখিত লেগুনা স্ট্যান্ড। সিরিয়ালে একের পর এক লেগুনা এসে থামছে। যাত্রীবোঝাই করে আবারো যে যার গন্তব্যে ছুটছে। মিরপুর- নম্বর বড়বাগ এলাকারও একই অবস্থা। মিরপুর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলকারী এসব লেগুনাগুলোর সামনের গ্লাসে লাগানো রয়েছে ডিজিটাল সিটি পরিবহনের ব্যানার। আর যেই লেগুনাগুলো মিরপুর- নম্বরের বড়বাগ এলাকা থেকে ছেড়ে এসে ৬০ ফিট হয়ে ফার্মগেট যাচ্ছে সেগুলোতে সাঁটা রয়েছে ঢাকা-ইন্দিরা পরিবহনের স্টিকার। মো. সুমন মিয়া নামে এক লেগুনাচালক বলেন, ডিজিটাল পরিবহনের ব্যানারে এই রোডে অন্তত পঞ্চাশটি লেগুনা চলে। আর ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলে দেড়শ মতো লেগুনা

সবমিলে ৬০ ফিট রোডে প্রতিদিন দুই শতাধিক লেগুনা চলাচল করে এর প্রতিটিকেই রোড খরচ হিসেবে লাইনম্যানদের টাকা দিতে হয় তিনি বলেন, ডিজিটাল সিটির ব্যানারে চলা লেগুনাগুলোকে দিনপ্রতি মোট ৬৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয় তিন ধাপে এই টাকা তোলা হয় মিরপুরের মাথায় ৫শ’, মাঝে পাবনা গলি এলাকায় ১শআর বেতারের মোড়ে ৫০ কারা এই চাঁদার টাকা তোলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার মোড়ে ডিজিটাল পরিবহনের ব্যানারে চলা লেগুনা থেকে টাকা তোলেন লাইনম্যান বাবু ছাড়াও শাহজাহান, সবুজ, আলমগীর, মনির, চন্নুসহ আরও অনেকেই এসব চাঁদা আদায় করে কোনো কোনো গাড়ির লাইন খরচ মহাজন (গাড়ির মালিক) দিয়ে দেন কোনো গাড়ির রাস্তার খরচ আবার চালকের কাছ থেকেও নেয়া হয় আর এই টাকা না দিয়ে কেউ রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারবে না


শেরে বাংলা নগর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িও এই রাস্তায় চলে তাকেও চাঁদার টাকা দিতে হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মগেটগামী এক লেগুনার চালক বলেন, আজকে আমরা কথা বললে কাল থেকে আর আমাদের রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না কাজ থাকবে না না খেয়ে মরবে আমার পরিবারের সদস্যরা উল্টো নির্যাতন করা হবে মো. সজীব নামে ফার্মগেটগামী এক লেগুনা চালক বলেন, মিরপুর- বড়বাগ থেকে ফার্মগেটগামী ঢাকা-ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলাচলকারী লেগুনাগুলোকে সময়ভেদে দিনে থেকে ৯শটাকা চাঁদা দিতে হয় ফার্মগেট এলাকার দেলোয়ার হোসেন চুন্নু মিয়ার হয়ে লাইনম্যানরা এই চাঁদার টাকা ওঠায় অপ্রাপ্ত বয়সী এসব চালককে কখনো পুলিশ ধরে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চাঁদার টাকা থানা থেকে নেতা সবার পকেটেই যায় তাই গাড়ির সামনে লাগানো স্টিকার দেখে কেউ গাড়ি আটকায় না চালকদের দেয়া তথ্য মতে, ডিজিটাল সিটি পরিবহনের ব্যানারে চলা ৫০টি লেগুনা থেকে প্রতিদিন ৬৫০ টাকা করে মোট ৩২ হাজার ৫শটাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে যা মাসে দাঁড়ায় লাখ ৭৫ হাজার টাকা বছরে কোটি ১৭ লাখ টাকা আর ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের ব্যানারে চলা ১৫০টি লেগুনা থেকে প্রতিদিন ৮শটাকা করে মোট লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয় যা এক মাসে দাঁড়ায় ৩৬ লাখ টাকা বছরে কোটি ৩২ লাখ টাকা এই একটি রাস্তা থেকে শুধুমাত্র লেগুনা থেকেই বছরে প্রায় কোটি ৪৯ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে 

 

বিষয়ে লাইনম্যান বাবু বলেন, আমি, শাহজাহান, সবুজ আমরা এই তিনজন প্রতিদিন মোস্তফা ভাইয়ের হয়ে টাকা তুলি। আমরা সামান্য বেতনভুক্ত কর্মচারী। টাকা তোলার পরিবর্তে দিনপ্রতি ৬শটাকা করে পাই। বাকি সবকিছুই মোস্তফা মির্জা নিয়ন্ত্রণ করে। তার সঙ্গে আরও অনেকে আছেন। ছাপড়া মসজিদ এলাকায় তাদের অফিস আছে। তিনি সেখানেই বসেন। তবে এলাকাটিতে গিয়ে তার কথিত অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকার অনেক বাসিন্দা জানান, মোস্তফা বর্তমানে জেলে আছে। তবে নিজের নাম না বললেও মোস্তফার বোন পরিচয় দেয়া এক চা দোকানি বলেন, মোস্তফা ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি এসব কিছুই জানেন না। ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ২৮/ গ্লোব সেন্টারে অবস্থিত ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের অফিসে গিয়েও কাউকেই পাওয়া যায়নি।  

এদিকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে লেগুনায় চলাচলকারী উত্তর পীরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, মাঝে মধ্যে দুই-এক টাকা কম দিতে চাইলোও নেয় না। হেল্পার-চালকেরা খুব খারাপ ব্যবহার করে। গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে। কিন্তু চাঁদার টাকা ঠিকই দেয়। এই চাঁদা না দেয়া হলে আমাদের লেগুনা ভাড়া অনেক কমে আসতো। মিরপুর বড়বাগের বাসিন্দা মো. দুলাল জানান, এই লেগুনার জন্য প্রতিদিন জ্যাম লেগেই থাকে। রাস্তার ওপরই লেগুনাগুলো পার্ক করে রাখা হয়। যেখানে খুশি দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছে-নামাচ্ছে। কাউকেই যেন এরা তোয়াক্কা করে না। মনিপুরের বাসিন্দা সাদিয়া আক্তার বলেন, ছেলেকে প্রতিদিন স্কুলে দিতে যাই। কী যে অবস্থা বলে বোঝানো যাবে না। সড়কটিতে ঠিকমতো হাঁটারও উপায় নেই। রাস্তাটিতে নিয়মিত চলাচলকারী আমতলীর বাসিন্দা মো. ফয়সাল বলেন, এই রাস্তায় একমাত্র ভরসা লেগুনা। তবে লেগুনাতে উঠলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যাত্রীর জন্য মোড়ে মোড়ে দাঁড়য়। সব চেয়ে বেশি অসুবিধা হয় সকাল বেলা। স্কুলগুলোর সামনে যেইভাবে লেগুনাগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, তাতে অন্য গাড়ি আর পথ চলতে পারে না। দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়

বিষয় শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহাদ আলী বলেছেন, মূলত  লেগুনা বা রাস্তার গাড়ি চলাচলের বিষয়টি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দেখভাল করে। আর লেগুনা থেকে টাকা নেয়ার যেই বিষয় বা চাঁদার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। যদি আমরা তেমন অভিযোগ পাই, অবশ্যই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো


আরও খবর



২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। 


অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার (১০ জুন) ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৪’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।



আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব দেওয়ার জন্য এই সম্পূরক বিল আনা হয়।



চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।


 ৪০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বাজেট অপরিবর্তিত রয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।


সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।



সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন চার জন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দুটি মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনা হয়।


 সেগুলো হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।



আরও খবর