Logo
শিরোনাম

শিপমেন্ট নিয়ে বেকায়দায় রপ্তানিকারকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল এবং কয়েক দফার অবরোধে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। শিল্পের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল সময়মতো কারখানায় পৌঁছাতে না পারায় তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দেশের শিল্পখাত। এতে ক্রেতার বেধে দেয়া সময়ে পণ্য রপ্তানি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। সৃষ্টি হয়েছে শিপমেন্ট বিলম্বসহ নানান জটিলতা। শুধু তাই নয়, অবরোধের প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সকল রুটে পণ্য পরিবহন ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কমে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার।

বিকেএমইএর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন: টি-শার্টের একটি চালান ১৫ নভেম্বর সমুদ্র পথে জার্মানিতে শিপমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। চলমান অবরোধের কারণে সময়মতো কারখানায় ফ্রেব্রিক পৌঁছানো যায়নি। একইসাথে ছিল গ্যাসের সংকটও। সময়মতো ফ্রেব্রিক না পাওয়ায় এখনও সব পণ্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। ক্রেতার বেধে দেয়া টাইমলাইন অনুযায়ী এখন বাধ্য হয়ে এয়ার শিপমেন্ট করা ছাড়া উপায় নেই, বলেন তিনি। মোহাম্মদ হাতেম আরও জানান, অবরোধের আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে আমরা ১২ হাজার টাকায় গাড়ি পাঠাতে পারতাম। এখন সেই ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ২৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। সকাল ১০টায় এবং রাত ১০টায় শিডিউল করে কারখানা থেকে রপ্তানি পণ্যগুলো চট্টগ্রামে পাঠাতে হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও শিডিউল করে কারখানায় আনতে হচ্ছে। 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পোর্ট অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি মো. লিয়াকত আলী হাওলাদার বলেন: অবরোধ কর্মসূচির কারণে পরিবহন সংকট রয়েছে। এ কারণে এখন আমদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে ১৫ হাজার টাকার জায়গায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাঈন উদ্দিন বলেন, পণ্য পরিবহনের সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২টি এবং কুমিল্লায় ২টি প্রাইম মুভার আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া, প্রতিদিনই গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালানো নিয়ে চালকরা আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতিতে ভাড়া আগের তুলানায় বেড়েছে।


তৈরি পোশাকের অর্ডার কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে: হরতাল অবরোধসহ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় কমতে শুরু করেছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের অর্ডার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনের তুলনায় তৈরি পোশাক শিল্পের অর্ডার কমে গেছে ২০  শতাংশের বেশি। নভেম্বরের শেষ নাগাদ অর্ডার কমার হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গার্মেন্টস মালিকরা। চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৩৫০টি কারখানাসহ বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত এবং ইপিজেডকেন্দ্রিক প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানা তৈরি পোশাক রপ্তানির সাথে যুক্ত। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে গড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পায় এসব প্রতিষ্ঠান। তবে এখন এই পরিমাণ অর্ডার পাচ্ছে না গার্মেন্টস মালিকরা। অক্টোবরে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস মালিকরা অর্ডার পেয়েছিলেন ১১৩ মিলিয়ন ডলার।

গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্ডার কমে গেছে। এরমধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতারা অর্ডার আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত চট্টগ্রামের প্রায় ৩৫০টি গার্মেন্টসে তৈরি পোশাকের অর্ডার ছিল প্রায় ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে এই অর্ডার নেমে এসেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ, নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত গার্মেন্টসগুলোতে অর্ডার কমেছে ২০. ৪৫ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ডেলিভারি কমেছে ৫০ শতাংশ: স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ কন্টেইনার সরবরাহ করা হয়। প্রায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার কন্টেইনারগুলো পরিবহন করে। কিন্তু দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রভাবে বর্তমানে কন্টেইনার ডেলিভারি নেমে এসেছে ২,০০০ এ। একইসাথে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি আসার সংখ্যাও কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলমান অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বিএনপির অবরোধকালীন সময়ে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ ডেলিভারি কমে গেছে। গত ২৭ অক্টোবর কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪১৩২ টিইইউ। এর পর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত গত ১৯ দিনের মধ্যে ১০ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টিইইউসের মধ্যে। ৯ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টিইউএসম পর্যন্ত। অবরোধের কারণে বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারির শিডিউলও বদলে যাচ্ছে। শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও অবরোধের সময় ডেলিভারি না নিয়ে অবরোধ নেই এমন দিনে কন্টেইনার ডেলিভারির দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি দিতে গিয়ে বাড়তি চাপে পড়ছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারিতে সরকারি ছুটি কিংবা অবরোধ নেই এমন দিনকেই বেছে নিচ্ছেন।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, কোনো বাড়তি চার্জ ছাড়াই বন্দর থেকে কন্টেইনার নেয়ার জন্য ৪ দিনের গ্রেস পিরিয়ড পান আমদানিকারকরা। এই প্রাথমিক গ্রেস পিরিয়ডের পরে, আমদানিকারকদের প্রথম সপ্তাহে ২০-ফুট কন্টেইনারের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার করে জরিমানা দিতে হয়। দৈনিক এই জরিমানা দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে ১২ ডলার এবং ২১তম দিন থেকে বেড়ে ২৪ ডলার হয়। ৪০-ফুট কন্টেইনারের জন্যও একই প্যাটার্নে চার্জের পরিমাণ হয় দ্বিগুণ। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণ সক্ষমতা ৫৩,৫১৮ টিইইউ। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার রয়েছে ২৭,৬৬৫ টিইইউ।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপিকে দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায়না.... নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, মিছে মিছে বাড়ি থেকে পালিয়ে থেকে লাভ নেই। দেশের উন্নয়নে কাজ করতে বিএনপি ছেড়ে নৌকায় আসুন। বিএনপি আর কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।  অস্ত্র আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণকে ভঁয় দেখিয়ে লাভ নেই। ভোটের মাধ্যমে জনসমর্থন প্রমান করতে হবে।

সাহস থাকলে নির্বাচনে এসে জনসমর্থন প্রমাণ করেন। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুরে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্তদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নয়নের কারনে গ্রাম এখন শহর হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তা ঘাট হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকে না। ভাতের অভাব এখন নেই। দেশে খাদ্যের অভাব নেই। বিদেশে খাদ্য আমরা রপ্তানি করবো ভবিষ্যতে। 

যে বৃদ্ধ মায়েরা-বাবারা শেষ বয়সে ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতো। এখন আর ছেলে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব মানুষের পাশে ভাতা নিয়ে দাড়িয়েছেন। একইভাবে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা দিয়ে ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫ টাকা করে চাল দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে আছে। তাই আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেন।

হাজীনগর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, নওগাঁ জেলা আ'লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন, নিয়ামতপুর উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি নাদিরা বেগম প্রমুখ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শীতে শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, সর্দি-কাশি, জ্বরেও কাবু হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অন্য দিকে, গোটা শীতকাল জুড়ে থাকে নানা উৎসবের আয়োজন। এসব উদযাপন করতে হলে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা প্রয়োজন। এজন্য খাওয়াদাওয়ায় একটা বাড়তি নিয়ম মেনে চলতে হবে। গোটা শীতকাল যাতে সর্দি, কাশি আর গলাব্যথায় না কেটে যায়, তার জন্য নিয়ম করে কয়েকটি খাবার খেতে হবে। যেমন-

১. শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সাইট্রাসজাতীয় ফলের জুড়ি নেই। পাতিলেবু, মোসম্বি ও কমলা যেমন জোগান দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর, তেমনই মেটাতে পারে ফাইবারের ঘাটতি। পেয়ারাতেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত এসব ফল খান।

২.অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণে সমৃদ্ধ পালং শাক শীতকালে সত্যিই হয়ে উঠতে পারে সুপার ফুড। ভিটামিন ও খনিজ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর সবুজ পালং শাক।

৩. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। বিট, গাজরের মতো শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




বুধবার থেকে আসছে টানা অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পঞ্চম দফায় আবার ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামী বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ফের ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

তবে জনস্বার্থে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থাকবে না এ কর্মসূচি। সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিবৃতির মাধ্যমে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।

বিএনপির একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




১২৭ জন এমপিকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন,প্রধান প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দিন থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে সেদিন থেকে আওয়ামী লীগ তার মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি করবে। 

মনোনয়ন ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেছেন যে, নির্বাচনে কাদেরকে মনোনয়ন দেবেন তার তালিকা পুরোপুরি ভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, ৩০০ আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগের এমপি আছেন তাদের মধ্যে অন্তত ১২৭ জন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। তাদেরকে নির্বাচনে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রমতে, আওয়ামী লীগ ধরে নিয়েছে বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কাজেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এটা মাথায় রেখেই মনোনয়ন তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি গতকাল ইঙ্গিত করেছেন যে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্য এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ১৭২ জন পুরনো প্রার্থী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য আবার টিকিট পাবেন। ১২৭ জন যে নতুন প্রার্থী রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন রয়েছেন যারা ২০০৮ বা ২০১৪ নির্বাচন করেছে। ২০১৮ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। 

এ রকম ব্যক্তিদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও বিভিন্ন সূত্র বলছেন। 

একেবারে নতুন এবং আনকোরা, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই প্রার্থী হননি এমন অন্তত ৩০ জন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মনোনয়নে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তাদেরকেও রাখা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, তরুণ এবং প্রবীণদেরকে মিলিয়ে এই মনোনয়ন তালিকা করা হয়েছে।

 সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এর মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত শরিকদের জন্য ৫০টি আসন ছেড়ে দেবে। 

এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে আসনগুলো শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে সেই আসনগুলোতে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। 

একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগ মহাজোটের অধীনে নির্বাচনে যাবে নাকি শুধুমাত্র ১৪ দলকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে তা নিশ্চিত নয়।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ ১৪ দলগত ভাবে নির্বাচন করতে চায়। জাতীয় পার্টিকে আলাদা অবস্থানে রেখে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায়। 

কারণ বিএনপি যদি শেষ মুহুর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে কোন আসন যেন প্রার্থী শূন্য না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

একাধিক সূত্র বলছে যে, প্রার্থীতা মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। 

যে সমস্ত আসন ঝুঁকিপূর্ণ, যে আসনগুলোয় আওয়ামী লীগ কখনোই নির্বাচিত হতে পারেনি, সেই সমস্ত আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ভবিষ্যতে সংগঠন গোছাতে পারে।

 নির্বাচনে হারার পরও যেন তারা সাংগঠনিক কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে পারে। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র বলছে, যে যারা ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মী তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বগুড়া, লক্ষ্মীপুরের মতো বিএনপি প্রবণ এলাকাগুলোতে সাংগঠনিক ব্যক্তিদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 

তবে এবারের নির্বাচনে চমক হিসাবে বড় বড় শিল্প গ্রুপের অন্তত তিনজন ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। 

এছাড়াও নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আরও কিছু নাটকীয় চমক থাকবে বলেও জানা গেছে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৯ এবং ঢাকার বাইরের ৭০১ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন, ঢাকার বাইরের ৪ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৯৩ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩১ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩