Logo
শিরোনাম

স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে অশ্লিল ভিডিও সরবরাহকারী ৩ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতা সহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন নওগাঁর।গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ২২ জুন শনিবার দিনগত রাতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানাধীন কলেজ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি (অশ্লিল) ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতা সহ জাহিদুল ইসলাম সহ মোট ৩ জনকে আটক করেন। আটককৃত ৩ জন হলেন, জাহিদুল ইসলাম (৩৩)

পিতা- মোঃ সামসুদ্দিন মন্ডল, গ্রাম আওয়ালগাড়ি, থানা-আক্কেলপুর, জেলা- জয়পুহাট এবং মোঃ আবুল কালাম (৪০) পিতা আমজাদ হোসেন, গ্রাম পূর্ব খাদাইল, থানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁ ও রিপন হোসেন (৩০), পিতা আজিজুল হক, গ্রাম পশ্চিম কাদাইল, থানা-বদলগাছী, জেলা নওগাঁ। এছাড়া গ্রেফতার করে ও পলাতক আসামী শ্রী বণিক ঘোষ (৩৮), পিতা-শ্রী রণজিৎ ঘোষ, সাং-ঘোষ পাড়া, থানা-আক্কেলপুর, জেলা- জয়পুরহাট।

আটককৃত আসামীগণ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি চক্রের মূলহোতা জাহিদুলের নেতৃত্বে তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিক্সে অশ্লীল সিনেমা ও  ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ার পরই র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে উক্ত পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে সমর্থ হয় এবং পলাতক আসামী বণিক কৌশলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আটককৃত ৩ জনকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব।


আরও খবর



বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দাম নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে সহনীয় পর্যায়ে আনার সরকারি চেষ্টায় কমতি নেই। সয়াবিন ও পাম তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মূসক কমানো, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম ধরে দেয়া ইত্যাদি পদক্ষেপের একমাত্র টার্গেট বাজার নিয়ন্ত্রণ। অভিযানসহ নিয়ন্ত্রণমূলক আরো কিছু কাজও চলছে। কিন্তু, কাঙ্খিত ফল মিলছে না। বিশ্বে বাংলাদেশই এখন একটি দেশ, যেখানে প্রশাসনের চেয়েও সিন্ডিকেট শক্তিমান। চাল- তেল-ডিম-মাছ-সবজি এমন কি কচুর লতি-চ্যাপা শুঁটকিতেও সিন্ডিকেট। শ্রম বাজার, পরিবহন জগতেও সিন্ডিকেটের নাটাই। তা মাদকের কেনাবেচায়ও। এ থেকে মুক্তির কি উপায় নেই?

বাজারে গিয়ে মানুষ দিশাহারা। চড়া দামের জন্য বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না। চাল, চিনি, পেঁয়াজ, তেল, আলু, সবজিসহ সবকিছু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র সংস্কারের সমান্তরালে এই সিন্ডিকেট দমনও জরুরি। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের সাজার আওতায় আনার বিকল্প নেই। এরই মধ্যে চক্রটি বুঝিয়ে দিয়েছে, এরা দমবে না। সরকার বা কেউ তাদের দমাতে পারবে নাÑ এমন একটি ভ্যাংচি-আস্ফালন লক্ষনীয়। বর্তমান সরকার অরাজনৈতিক। তার কোনো ষ-া-গু-া, সিন্ডিকেট পোষার দরকার পড়ে না।

সেই বিবেচনায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে তাদের রুখে দেয়ার কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। তারপরও কেন কুলাতে পারছে না সরকার? এর বিপরীতে সিন্ডিকেট বা চক্র বিশেষ রীতিমতো বেপরোয়া। তারা যথেচ্ছ দাম বাড়িয়ে লুটে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কষ্টের অর্থ। সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মৌলিক ও প্রধানতম উপকরণ হচ্ছে নিত্য খাদ্যপণ্য। এই খাদ্যপণ্যের মূল্য যখন ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তখন জনরোষের সাথে দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়ে পারে না। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর গোশত ও ডিম।

এ সরকারও মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করছে। এই ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার এবং ভোক্তাসহ সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষার কথা। কিন্তু, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর। বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের ক্রিয়াকর্ম ঠিকই কার্যকর করে ছাড়ছে। ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ ঘটছে না বাজারে। দফায় দফায় দামের ডিগবাজিতে হতভম্ব ক্রেতা সাধারণ। সেই অস্থিরতা কাটাতে এবার নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডাররা একত্রে বসে ডিমের যৌক্তিক উৎপাদন খরচসহ উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিজনিত বন্যার কারণে দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ জেলার পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ লাখ ডিমের উৎপাদন কমে যায়, ফলে চাহিদা ও জোগানের মাঝে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়।

এমন সংকটকালে একটি মহল অতিরিক্ত মুনাফা লোটার চেষ্টা করলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিপিআইসিসি ১৫ দিনের যে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তাতে খামার থেকে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২ টাকায় পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সরকারের বাজার তদারকি সংস্থা, ডিম উৎপাদনকারী বড় খামারি ও পাইকারি আড়ৎদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এ উদ্যোগকে সফল করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, ডিমের দাম ইতোমধ্যে কিছুটা কমেছে।

 অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এমতাবস্থায়, আর কী করতে পারে সরকার প্রশ্নটি এসে যাচ্ছে আপনাআপনি। পাল্টা প্রশ্ন আসছে সরকার কী তাহলে ব্যর্থ? না, তা মোটেই ভাবা যায় না। এ সরকার ব্যর্থ হলে আশা-ভরসার আর জায়গা থাকে না। এমন কি দেশের কী পরিস্থিতি হবে- তা ভাবনায়ও কুলানোর মতো নয়। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে সবার সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি হুঙ্কার দিয়েছেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বলেছেন, তাদের দৌরাত্ম্য আমরা ভাঙব। কামনা থাকবে, এ হুমকি-হুঁশিয়ারিকে সফল করবেন তিনি এবং সরকার। এসব সিন্ডিকেট প্রতিদিন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে বলে মন্তব্যও করেছেন এই উপদেষ্টা।

রোগ যখন ধরতে পেরেছেন, সেইদৃষ্টে এখন ওষুধ প্রয়োগের অপেক্ষা। হোক তা মেডিসিন বা সার্জিকেল। বলতেই হয়, মেডিসিন বা ডাকদোহাইর ঝাড়ফুঁকে এরা দমবে না। কেস একদম সার্জিকেল। সার্জনের ভূমিকায় যেতেই হবে সরকারকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতেই হবে। পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। কোনো অজুহাত বা কাউকে দায়ী করারও আর অবকাশ নেই। মানুষ এসব শুনতে চায় না। তারা চায় অ্যাকশন।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যেও তা স্পষ্ট। সম্ভবত পাবলিক পাল্স ধরতে পেরেছেন এই অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকাডেমিশিয়ান। তিনি বলেছেন, বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত দামের জন্য সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। এরা নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও রোগ ধরে বলেছেন, কারওয়ান বাজারে ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই চারবার হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?

ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতে কোনও কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির জন্য নয়; নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বিগত সরকারের আমলের ন্যায় বর্তমানেও বহাল তবিয়তে থাকা সিন্ডিকেটের কারণে। এই সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মনগড়া বৃদ্ধি করছে। এতে বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা।

এখন পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। পুলিশ, শ্রমিক নেতা কিংবা দলীয় কোনো পারপাসে চাঁদাবাজি নেই। ট্রাক ভাড়াও আগের চেয়ে কমেছে। তারপরও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকার কারসাজি একদম না বোঝার বিষয় নয়। বিগত সরকারের আমলে বড় বড় যে সকল সিন্ডিকেট ছিল, তারা এখনো রয়েছে। আর তাদের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম দিনকে দিন বাড়ছে। তবে, কি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্র-জনতাকে আবারো সক্রিয় হতে হবে? সরকার পতনের পর ছাত্ররা যেভাবে বাজার তদারকি করেছিল, সেটি আবারো নিয়মিত করতে হবে?

বলার অপেক্ষা রাখছে না, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বাজার সিন্ডিকেটবাজ ও চাঁদাবাজদের পতন হয়নি। নিত্যপণ্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে যারপরনাই সক্ষমতা দেখিয়েই চলছে তারা। সরকারের এখন পর্যন্ত কার্যক্রম ঘুরছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়। দমনের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি। সরকার বিভিন্ন সংস্কারের জন্য কমিশন করেছে। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা নিত্যপণ্যের দামে আগুন নেভানোর কোনো কমিশন করেনি। সরবরাহ বৃদ্ধিতে আমদানির অনিয়ম দূর করতে দেশে একটি কমিশন কিন্তু আছে।

প্রতিযোগিতা কমিশন নামের কমিশনটির কাজ হচ্ছে বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিকারী রীতি-নীতি নির্মূল করার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করা। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও তাদের কাজ। এই পরিস্থিতিতে কমিশনটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাজারে কোথায় ও কীভাবে প্রতিযোগিতা বিনষ্ট হচ্ছে বা একচেটিয়া তৈরি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে আইনি উদ্যোগ নিতে পারে এই কমিশন। তারা ব্যবসায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে।

পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ টাস্কফোর্সের ও ভোক্তা অধিকারের কার্যক্রম সারা দেশে চালু করার কাজটিও বাকি। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী, মজুতদার, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা শোনানো হলেও সেই দৃষ্টে পদক্ষেপ নেই। বিশ্লেষকরা বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখছেন। বলছেন, এই সংকট মোকাবিলায় যতটা দ্রুততার সঙ্গে আমদানি করা দরকার ছিল, তা হচ্ছে না। কর ছাড় দেওয়া হলেও যথেষ্ট নয়। যে কারণে অভিযানে সাফল্য আসছে না।

 এছাড়া, বিচ্ছিন্ন কোনো শক্ত উদ্যোগেও এই সংকটের সমাধান আশা করা যায় না। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সমন্বিত ব্যবস্থা কাজে আসতে পারে। বাণিজ্যের সাথে অর্থ, কৃষি, মৎস্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে নিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন একটি ড্রাইভ দিতে পারে। তাহলে ডিম, মুরগি, গরুর গোশত, দুধ, সব্জি, মাছ, চাল-ডাল কোনটা কোন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রশ্ন কেটে যাবে। দায়িত্ব ভাগাভাগি না হয়ে কাজও চলে আসবে একটি অভিন্ন প্যাকেজে।

মনে রাখতে হবে, ছাত্র-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মসনদ তছনছ করে দিয়ে তাকে দেশছাড়া করেছে, সেখানে দায়িত্বশীলরা কেন ফ্যাসিস্টের অনুসারী বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না? কেন তারা বিপ্লবী চেতনায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারছেন না? সবাইকে মনে রাখা উচিত, এ সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বিপ্লবের যে প্রত্যাশা, তা সকলে এক হয়েই পূরণ করতে হবে।


লেখক: রিন্টু আনোয়ার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




পীর সাহেব চরমোনাই কী সফল হতে পারবে?

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস  বইছে। বসন্তের হিমেল হাওয়ায়  উজ্জীবিত  রাজনীতির ময়দানে  এখন প্রীতি - ভালবাসাার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে।   ছয়মাস আগেও যাদের সাথে মুখ দেখাদেখি হতনা, ভিন্ন ভিন্ন প্লাট ফরমে বাসা বেঁধে ছিল। যে সব মানুষদের সাথে মুখ দেখা  আজীবন  নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়, সেসব লোকগুলোর সাথে এখন প্রেম- প্রীতি দেয়া- নেয়া হচ্ছে। এখন একই ছাদের নিচে, একই টেবিলে বসে গেছে সবাই। আর কেউ মুখ ভেংচি দিয়ে দুরে চলে যাচ্ছেনা।  বরং দিনে দিনে প্রীতির বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলে মনেহয়।


 অবশ্য এর কারিগর পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ।  এদেশের দেওবন্দী স্রোতধারার সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন হল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  এই সংগঠনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) ।  নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম ( শায়েখে চরমোনাই)  

 যারা  ২৪ সনের বিপ্লবের কান্ডারী। যাদের ইসস্পাত এর ন্যায়  দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এই  গণ অভ্যুথ্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।  তারাই সর্বপ্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসার নজরে তাকিয়েছেন। আর কাউকে পিছনে  ফেলা নয়।  আর কারো প্রতি অশ্রদ্ধা নয়। বরং ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ রাজ্যে ফ্যাসিস্টদের চিরতরে উৎখাত করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে  এ জাতি যেন নতুন দিগন্তে পৌছাতে পারে, এদেশ থেকে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলে একটা সুস্হ- সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 


পহেলা কাজ কিন্তু পীর সাহেব করেছেন। তিনিই সকলের সাথে বারবার বৈঠকে বসছেন।তার দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের আমিত্ব মিটিয়ে দেশের ওলামায়েকেরামের দারস্ব হচ্ছেন বারবার। ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়,  কখনো তাদের অফিসে যাতায়াত, কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইসলামী দলগুলোর  প্রধান এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে মিলে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।


জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন! এটা কি কল্পনা করা যায়? আমিতো কোনদিন ভাবতেও পারিনি  জামাত আর চরমোনাই এর মধ্যে বরফ গলবে কোনদিন।  বরং রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য হল, জামায়াতের সাথে কোন দিন চরমোনাই এর সম্পর্ক হবেনা। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন।  আর সেখানে পীর সাহেব তাকে অভ্যর্থনা জানাল। বেচারা ডা: শফিকুর রহমান তো শেষমেষ চরমোনাই এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। চরমোনাইকে একটি দ্বীনি মারকাজ বলে আখ্যা দিলেন।


চরমোনাই ওয়ালাদের বড় চমক হল, এবারের চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের হাজির করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের দেওবন্দী হালকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে নিয়ে গেছেন, এটা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এদেশের তাওহিদী জনতার মনের কামনা- বাসনাও ছিল এটা। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলেন তিনি। যদিও মামুনুল হক সাহেব বরিশালের প্রোগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্লাট- ফরমে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরেও চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে মামুনুল হক সাহেবের উপস্হিতি পীর সাহেব এর সফলতা বলা যায়।


এভাবে পীর সাহেব চরমোনাই এগিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরী করতে চাচ্ছেন, অন্তত আগামী নির্বাচনে যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স থাকে।  মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিতে পারে এমন কোশেশ তিনি করে যাচ্ছেন।  


তবে পীর সাহেব চরমোনাই কী পারবেন সবাইকে এক দস্তারখানে নিয়ে আসার? এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বসে আছেন। যাদের থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা।  আবার যাদের সাথে নতুন করে প্রীতি গড়ে উঠছে, তারা কী এই প্রেমবন্ধন রাখবেন?   


তবে সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী, আর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকা নয়। এবার এক ছাতার নিচে যখন বসা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে চলুক। এই প্রত্যাশা সকলের।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।  আমিন।


আরও খবর



আইনশৃঙ্খলা উন্নতির অভিযানে কারো গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি হওয়ায় সারাদেশে অভিযান শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অভিযান চালাতে গিয়ে কোনো বাহিনীর কারো কোনো গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অভিযানে ব্যর্থতা পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে পুলিশ হোক, বিজিবি হোক, র‌্যাব হোক, আনসার বা কারা অধিদফতর হোক। ঠিকমতো কাজ না করলে তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

অভিযানের সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, আমি তো ভাবছিলাম, আপডেট আপনারা দেবেন। আপনারা সত্যি সংবাদটা পরিবেশন করেন, দেখেন ব্যবস্থা নিই কি না। দুই এসপির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের পর কিন্তু ব্যবস্থা নিয়েছি। সত্যি সংবাদের ভিত্তিতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, সাংবাদিকরা যে খবর প্রকাশ করছেন, তা যেন অতিরঞ্জিত না হয়। তাহলে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হয়ে যায়।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যথাযথভাবে করতেই সরকার এই কমিশন করেছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় গঠিত কমিশন তদন্ত করছে। তাদের রিপোর্টে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। আমরা আশা করি, দেশবাসী এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দোষীদের খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রতারণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলা প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদুর রহমান শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। প্রতারক হামিদুর রহমানের বিচার দাবি করেছেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান ২০১৯ সালে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রত্যেকের কাছে থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার করে টাকা নেন। পরে তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদপত্রও দেন তিনি। “ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এমন স্লোগান সংবলিত ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর ব্যানারে একটি করে ভুয়া সার্টিফিকেট দেন প্রতারক হামিদুর রহমান। কিন্তু এসব সনদ যাচাই করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, এগুলো আসলে ভুয়া। এরপর তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে হামিদুর রহমান নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ভুক্তভোগীদের মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোন শালিস বৈঠক হলেও টাকা ফেরত দেননি হামিদুর। গত এক সপ্তাহ আগে নাশকতা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় বর্তমানে জামালপুর জেল হাজতে রয়েছেন। এছাড়াও হামিদুরের বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে হামিদুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার ইসমাইল হোসেন,হাসমত আলী,খলিলুর রহমান,জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ অনেকের অভিযোগ করেন।  

প্রতারণার শিকার হাছেন আলী বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়। সে বলেছিল সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভাতা পাবেন। কিন্তু কোনো সুবিধা পাচ্ছিই না। এখন বুঝতে পারছি সে প্রতারণা করছে। যে সার্টিফিকেট দিয়েছে সেটা ভুয়া। তাই হামিদুরের প্রতারণার বিচার চাই।

প্রতারণার শিকার মো. আবদুস সামাদ বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মাসে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। আমি ছাগল বেচেঁ তাকে টাকা দেই। পরে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন সে টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। আমরা তার শাস্তি চাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,হামিদুর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তার বেয়াই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকার কারনে তিনি দাপট দেখিয়ে চলতেন। অন্যের জমি দখল ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রায় ২ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই হামিদুর। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়েও মানুষের সাথে প্রতারনা করেছেন তিনি। তাকে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান তারা।

হামিদুর রহমান কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী বলেন, একটা প্রতারক চক্র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসলে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আরও খবর



রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর