Logo
শিরোনাম

সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারী (কঃ) জীবনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক গবেষক :

শাহসূফী হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারি পাকভারতে মুসলিম রাজত্বের আমলে বাগদাদ নগর নিবাসী এক বিশিষ্ট সৈয়দ পরিবার দিল্লী শহরে আগমন করেন। কিন্তু সেখানকার আবহাওয়া তাঁদের স্বাস্থ্যের প্রতিকূল হওয়ায় তাঁরা সেই স্থান থেকে বাংলার রাজধানী গৌড় নগরে পদার্পণ করেন।তখন ইলিয়াস শাহী বংশের বিখ্যাত বাদশাহ গিয়াসুদ্দিন আজম শাহ বাংলার পরাক্রমশালী স্বাধীন নরপতি ছিলেন। তাঁর রাজত্বকাল ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল। তিনি অতি ধর্মভীরু ন্যায়পরায়ণ রাজা ছিলেন।

তিনি জগদ্বিখ্যাত পারস্য কবি মাননীয় হাফেজের সাথে পত্রালাপ করতেন। তাঁর সভাসদগণের সকলেই জ্ঞানবান ছিলেন। দরবারে ধার্মিক জ্ঞানীর যথেষ্ট সমাদর ছিল।

কথিত আছে যে, উপরোক্ত বাগদাদ নগর নিবাসী সৈয়দ পরিবারে বহু লোক ধার্মিক, জ্ঞানী, যুদ্ধ-নিপুণ, খোদাভীরু অলি দরবেশ ছিলেন। বাদশাহ তাঁদের অতি সম্মান আদরের সাথে গ্রহণ করেন এবং ব্যক্তিগত উপযুক্ততা অনুসারে শাহী খান্দানের গৃহশিক্ষক, শাহী মসজিদের ইমাম, বিচারালয়ের কাজী এবং সেনানায়ক পদে নিযুক্ত করেন। এইভাবে তাঁরা বংশানুক্রমে প্রায় দুইশত বৎসরের অধিককাল বাংলার রাজধানী গৌড় নগরে পরম সুখে সম্মানের সাথে কালাতিপাত করেন। একসময় গৌড়ের সুলতান যুদ্ধে পরাজিত হন এবং গৌড় নগরে বসন্তরোগ মহামারী রূপে দেখা দেয়। দলে দলে নগরবাসী গৌড় ছাড়তে থাকে। পূর্ব থেকেই গৌড় নগরবাসী সৈয়দ পরিবারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চট্টলা। উপরোক্ত গৌড়ীয় সৈয়দ পরিবারের অপর সদস্য সৈয়দ সুলতান (১৫৫০খ্রি.-১৬৪৮খ্রি.) মতান্তরে কাজী সৈয়দ হামিদুদ্দিন শাহ গৌড় নগর থেকে চট্টগ্রাম এসে পটিয়া থানার অন্তর্গত চক্রশালায় বসবাস শুরু করেন।

তিনি একজন ইসলাম ধর্ম প্রচারক, প্রসিদ্ধ কামেল পীর ছিলেন। তাঁর বংশধরের মধ্যে সৈয়দ আব্দুল কাদের শাহ অন্যতম। একদা তিনি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে হিজরত করেন। তাঁরই পুত্র সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহ। সৈয়দ আতাউল্লাহ শাহের পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল্লাহ শাহ। সৈয়দ তৈয়বুল্লাহ শাহের তিন পুত্রের মধ্যে মধ্যম পুত্র সৈয়দ মতিউল্লাহ শাহ মাইজভান্ডার গ্রামে বসবাস করেন। এই স্থানে সৈয়দ মতিউল্লাহ শাহের তিনপুত্র জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর তিন পুত্রের মধ্যে সৈয়দ আবদুল করিম আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী সৈয়দা মোশাররফ জান বিবির কোলে ২৭ আশ্বিন হযরত শাহসূফী আল সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী প্রকাশ বাবা ভান্ডারী কেবলা জন্মগ্রহণ করেন। হযরত শাহসূফী মাওলানা আল সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী কেবলা কাবা (.) হযরত কেবলা কাবা (.)-এর স্থলাভিষিক্ত ত্বরীকা- মাইজভান্ডারীয়ার পূর্ণ প্রতিষ্ঠাতা।

 আল্লাহ প্রেমে বিভোর জন সমাগমের মহা স্বর্গীয় সমারোহে মাইজভান্ডার শরীফে প্রতিবছর ২৭ শে আশ্বিন পবিত্র খোশরোজ উদযাপিত হয়ে থাকে। তিনি শৈশব থেকেই ধর্মের প্রতি আসক্ত ছিলেন। সাত বৎসর বয়স থেকে তাকে নামাজ রোজা অভ্যস্ত দেখা গিয়েছিল। নির্জনতায় প্রিয় শিশু গাউছ গ্রাম্য মক্তবের শিক্ষা সমাপন করে উচ্চতর দ্বীনি এলেম, শিক্ষাকালে ১৫ বৎসর বয়সেছায়েমুদ্দায়ারঅর্থাৎ সারা বৎসর রোজা রাখতেন। মাদ্রাসার ছুটির ফাঁকে ফাঁকে তাঁর জেঠা পীর হযরত কেবলা কাবা (.) এর নিকট প্রায়শঃ হাজির থাকতেন।

করুণাময়ের সান্নিধ্য লাভের অভিলাষে পাঠ্যাবস্থা থেকেই কঠোর সাধনায় রত থাকতেন এবং ২৮ বৎসর বয়সে পীরের রুহানীয়তের যাবতীয় আধ্যাত্মিক শক্তি তাঁর আত্মায় সঞ্চারিত হয়। হযরত ছাহেব কেবলা কাবা (.) নিজ হস্তে স্বীয় জোববা মোবারক তাকে পরিয়ে দেন। অতঃপর বাবাজান কেবলা কাবা (.) আল্লাহ পাকের একত্বের তৌহিদ আহরণে চলে গেলেন পার্বত্য অঞ্চলের গভীর অরণ্যে।

দীর্ঘ ১২ বৎসরকাল সাধনা পরিপূর্ণ করে ফিরে আসেন নিজ বাসস্থান মাইজভান্ডার শরীফে। সাধনা, সংযম আধ্যত্মিক শক্তির প্রভাবে সংসারের সাথে সকল সম্পর্ক ছেদ করে গোশানশীল অবস্থায় থাকেন। দুই বৎসর পর থেকে ২৩ বৎসর যাবত জবান মোবারক বন্ধ রাখেন। সবাই বিস্ময়ে নির্বাক, তাঁর হস্ত মোবারকদ্বয়ে পানি ঢালার অপরূপ দৃশ্য দেখে। পানির উছিলায় মকছুদ পূরণ কত না বেদনা উপশম হত। তিনি আল কোরআনের মর্মকথা, তৌহিদের মূলমন্ত্রে প্রণীত ত্বরীকা মাইজভান্ডারীয়ার নির্দেশিত পথে মানুষকে দিয়েছেন খোদাপ্রাপ্তির সহজ সরল পথের দিশা, জানিয়েছেন রহমানুর রাহিমের অফুরন্ত সওগাত। বাবা ভান্ডারী কেবলা (.) বেলায়ত প্রাপ্তি এবং বুজুর্গীয় গৌরবোজ্জ্বল পূণ্যে মাইজভান্ডার শরীফ ধন্য।

তাঁর আধ্যত্মিক ছোঁয়ায় এসে দ্বীন দুনিয়া দো-জাহানের ত্বরক্কী লাভ করতে দরবারে পাকে আগত মুসলমান ছাড়াও ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সর্বকালের সকল জায়েরীনদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। মাইজভান্ডারী ত্বরীকা নবুয়্যতে মোহাম্মদীয় জাতে পাকে আত্মপ্রকাশ। সেইরূপ এই বেলায়তের ধারা পদ্ধতি অনুযায়ী ফয়েজ বিতরণে সমর্থ। হযরত বাবা ভান্ডারী কেবলা (.) ২২ চৈত্র ১৩৪৩ বাংলা, এপ্রিল ১৯৩৭ ইংরেজী, ২২ মহরম ১৩৫৩ হিজরী রোজ সোমবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ৭১ বৎসর মাস বয়সে তাঁর প্রভুর সাথে মহামিলনের ইচ্ছায় চলে গেলেন (ইনালিল্লাহে……..রাজেউন) প্রতি বৎসরই ২২শে চৈত্র লক্ষ লক্ষ শোকাতুর আশেকের আগমনে ভরে উঠে মাইজভান্ডার শরীফের প্রাঙ্গণ। এই পবিত্র দিনে প্রতিটি মুহূর্তে আসক্তজন ‘‘আল্লাহু আল্লাহু’’ জিকিরে মত্ত থেকে স্ব স্ব কামনা বাসনা পূর্ণ করে নিজ নিজ স্থানে ফিরে যায়।


‘‘বায়াত’’ শব্দটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বিক্রি হওয়া। যাকে ত্বরীকতের পরিভাষায় পীরের হাতে হাত রেখে চাদর ধরে বা পাগড়ী ধরে গুনাহ হতে তাওবাকরতঃ আবদ্ধ হওয়াকে কথ্য ভাষায় মুরিদ বলা হয়। এই মুরিদ আল্লাহ রাসূলের সমস্ত নিয়মনীতির মাধ্যমে পীরের নির্দেশনা পরামর্শ মেনে চলে।


ত্বরীকাতে কামিয়াব হওয়ার পূর্বশর্ত হল নিজ মুর্শিদের প্রতি একান্ত মহববত। একত্ববাদ আন্তরিক আকর্ষণ থাকা। মুর্শিদের প্রতি ভক্তি তাজিমে থাকাই প্রধান আদর্শ বা শর্ত। ‘‘হযরত মাওলানা আল সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী প্রকাশ বাবা ভান্ডারী কেবলার দেখানো সহজ-সরল পথ অবলম্বন করে সেই সংস্পর্শ তৌহিদের অনুকূলে যে গমন করতে থাকবে ‘‘ইনশাল্লাহ’’ অনতিবিলম্বে সেই নূরে মোহাম্মদীর নূরকে চিনতে সক্ষম হব।
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো, তাঁর সকল নবী আসমানী কিতাব, কেয়ামত তকদীরের উপর পরিপূর্ণ ঈমান আনয়ন কর। খাঁটি অন্তরে দ্বীন ইসলাম তাওহীদে সমর্পিত হও এবং তৎ পর্যন্ত পৌঁছিতে উছিলা বা অবলম্বন খোঁজ। আল্লাহ মাদের সবাইকে সেই তওফীক দান করুন।


আরও খবর



বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমল ২ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার (১৯৮ কোটি) বা প্রায় ২ বিলিয়ন কমে গেছে।

২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে,  (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। এর আগে গত ২৩ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯৩২ কোটি ডলার।

এছাড়া নিট রিজার্ভ এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৩ আগস্ট নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে বকেয়া ঋণ পরিশোধ ও আমদানি দেনা মেটানোর কারণে রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার দিতে হচ্ছে। এতেও রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার পরও মূলত রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতির কারণে রিজার্ভ কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই-আগস্ট মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ব্যয় পরিশোধে ১৩১ কোটি ডলার দিতে হয়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে ২১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এসেছে।

প্রতি মাসে গড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের মতো আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রাখতে হবে।

ব্যাংকাররা জানান, ডলারের আন্তপ্রবাহের চেয়ে বহিঃপ্রবাহ বেশি হচ্ছে। আবার রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সেই তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, তিন মাস আগে প্রবাসীরা গড়ে দৈনিক ৭ কোটি ডলারের বেশি পাঠালেও চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত তিন মাসের (১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর) ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার করে। অর্থাৎ প্রবাসীরা চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। আর জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে পৌনে ৭ কোটি ডলার করে। তার আগের মাস জুনে প্রবাসীরা প্রতিদিন পাঠিয়েছিলেন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার করে। ওই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ডলার। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছিল ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৯৬৩ কোটি ডলার।

রফতানি আয় আগের চেয়ে কমে যাওয়াকে অনেকেই রিজার্ভ কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে রফতানি আয় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়লেও আগস্টে পূরণ হয়নি রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা।

ডলারের বাজারে অস্থিরতা : এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলারের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকে চাহিদার তুলনায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে বেশি দামে ডলার কিনে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে আমদানিকারকের কাছে বিক্রি করছে।

রফতানি ও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রের ডলারের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানিকারকদের কাছে এখন ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু ব্যাংক প্রতি ডলারে ১১৪-১১৫ টাকা দাম নিচ্ছে। কারণ, প্রবাসী ও রফতানি আয় কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। না হলে ঋণপত্র খুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো।

এই ঘটনায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধানকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বাফেদার বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে গিয়ে অনেকে ডলার কেনাবেচা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না। তিনি বলেন, বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য এসব ব্যাংকের ট্রেজারি-প্রধান দায় এড়াতে পারেন না। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো যাতে ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, সে জন্য ব্যাংক মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জবাবে ব্যাংক-মালিকরা বলেছেন, ডলারের দাম কিছুটা বাড়ানো হলে তাতে সংকট কমতে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানায়, সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে ডলারের বাজার পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ও ব্যাংকের সার্বিক তারল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। সভায় বলা হয়, ডলারের সংকট এখন কমে এসেছে। সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই কোনও ব্যাংক যাতে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বিএবির পক্ষ থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপত্তি জানায়। অবশ্য হুন্ডি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ব্যাংক মালিকরা। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়ানো হলে হুন্ডিতে ডলারের দাম আরও বাড়বে।

 


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরক্কোয় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিক ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে ২৯৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মাটির ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর মারাখেস।

মারাখেসের ৩৩ বছর বাসিন্দা আব্দেলহক এল আমরানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘আমরা খুবিই শক্তিশালী কম্পন অনুভব করি। আর আমি বুঝতে পারি এটি ভূমিকম্প। আমি ভবন নড়তে দেখছিলাম। তখন আমি বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। মানুষ আতঙ্কিত ও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল। শিশুরা কান্নাকাটি করছিল; বাবা-মায়েরা এতে বিরক্ত হচ্ছিল।’

মরক্কোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটলাস পরবর্তমালার কিছু এলাকায় সব বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর সেসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ওই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আব্দেলহক এল আমরানি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চলে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ আসলেও কেউ আর নিজ ঘরের ভেতর যাননি।

এই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত মধ্যরাতে যেসব ভূমিকম্প সংঘটিত হয় সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কিছুটা সময় লাগে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সুদহার ১০.১৪ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থার উদ্যোগে দুই মাস পর সেপ্টেম্বরে নেওয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার করিডোর ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতি ছয় মাসের গড় সুদহার হচ্ছে ‘স্মার্ট’ রেট। সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের ‘স্মার্ট’ সুদহার জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসের ‘স্মার্ট’ রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) তা ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আইএমএফ-এর পরামর্শে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে গত জুলাই থেকে ‘স্মার্ট’ রেট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের জন্য প্রযোজ্য ‘স্মার্ট’ রেট ঘোষণা করে জানিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেপ্টেম্বর মাসে মাসে ঠিক করা ঋণের এ সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে না বাণিজ্যিক ব্যাংক। গত জুন ও জুলাই দুই মাসে ‘স্মার্ট’ রেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, ৬ ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)।

মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারের রাশ টেনে ধরতে গত জুলাই মাস থেকে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক দেশেই প্রত্যাশার চেয়েও কমে আসায় বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদেরও তা অনুসরণ করার পরামর্শ ছিল। সেই নীতিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রত্যাশা করছে, আমানতে সুদহার বাড়লে আমানতকারীদের মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা কিছুটা সহজ হওয়ার প্রত্যাশাও রয়েছে। নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ব্যাংকেরেই আমানত সুদহার বাড়তে শুরু করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লিঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্মাট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে। এতে এ খাতের ঋণ সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।

অবশ্য কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক আরও এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করতে পারবে, তবে তা শুধু বছরে একবারের বেশি হবে না।

নতুন সুদহার নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলো স্থির বা পরিবর্তনশীল যেকোনো একটি নির্ধারণে গ্রাহকের সম্মতি অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংক চাইলে সর্বোচ্চ মার্জিনের মধ্যে যেকোনো একটি অঙ্কে সুদহার নির্ধারণ করে দিতে পারে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নিজ বাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত পৃথক দুই বিবৃতিতে দুই এমপির প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বীর মক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি মরহুম এ কে এম শাহজাহান কামাল-এর আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। 

এছাড়া শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয় মো : গোলাম ফারুক পিংকু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী এমপি,লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ান কবির পাটোয়ারি,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. রাসেল মাহমুদ মান্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ বাবর প্রমুখ। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামালের পারিবারিক সূত্র জানায়, তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় । আর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বাদ আসর লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ স্কুল মাঠে। পরে তাঁর নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

এ কে এম শাহজাহান কামাল দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।  এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

শাহজাহান কামাল ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার আটিয়াতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে লক্ষ্মীপুর মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, চৌমুহনী মদনমোহন কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পাস করেন এবং একই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ও ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর



রাণীনগরে প্রচারনায় আ.লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদ রানা জুয়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)  :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জিএম মাসুদ রানা জুয়েল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন।  সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বুধবার বিকেল চারটায় উপজেলার আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয় গেইট থেকে  প্রচারপত্র বিতরনের মধ্য দিয়ে এই প্রচারণা শুরু করেন তিনি। মাসুদ রানা জুয়েল উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। তিনি রাতোয়াল গ্রামের বাসিন্দা।

প্রচারনা শুরুর আগে মাসুদ রানা জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন,সার্বিক উন্নয়নের গতিশীলতাকে ধরে রাখতে এবং এলাকাকে মাদক,সন্ত্রাস মুক্ত করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন পেলে অবশ্যই বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। তিনি বলেন,আমি শিক্ষা বিভাগের সাথে জড়িত। আত্রাই রাণীনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ থেকে শুরু করে সার্বিক দিক দিয়ে হ য ব র ল  অবস্থা হয়ে আছে। এবিষয় গুলোর দিকে নজর দিবো। এছাড়া এলাকার যে সকল কাজ অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবো। তিনি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সব অর্জন আওয়ামীলীগের হাত ধরেই। তাই উন্নয়নের গতিশীলতা ধরে রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচিত করার আহŸান জানান।

 প্রচারনায় উপজেলা যুবলীগের ক্রিয়া সম্পাদক জিএম ফিলিপস রানা প্রিন্স,আবাদপুকুর মহাবিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার শেখর আহম্মেদ,সম্পাদক আসাদুল ইসলাম আকাশসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর