Logo
শিরোনাম

সোমবার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে বাস চলাচল করবে। প্রাথমিকভাবে ৮টি বাস দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিআরটিসি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোমবার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি ডিপো থেকে ৮টি বাস চলবে। তবে, এগুলো একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আপাতত এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীদের বাসে তুলবে বিআরটিসি। এরপর এক টানেই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নেমে যাবে ফার্মগেটে।

ফার্মগেটে নামিয়ে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন সংসদ ভবনের খেজুরবাগান এলাকার বঙ্গবন্ধু গোলচত্বরে। সেজন্য উত্তরার যাত্রীরা উঠতে পারবেন খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি কিংবা বিজয় সরণি থেকে। সে ক্ষেত্রে আগেভাগে বাসে চেপে বসা যাত্রীদের কমপক্ষে দুটি ট্রাফিক সিগন্যাল পেরিয়ে উঠতে হবে এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে, এর জন্য যাত্রীদের বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার বেশি অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদ্দীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ থাকছে না।

তাজুল ইসলাম বলেন, আপাতত ভাড়ায় টোল যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় আমরা গাড়ি চালাব। যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা এবং জনগণকে সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য, তাই এখন বাস চালু করা। বিআরটিসি কোনো জায়গায় লাভ করবে, কোনো জায়গায় লস করবে।

তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহন চলাচল করলে গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের সময় লাগবে কম। কিন্তু অসুবিধা একটাই, মাঝপথে ওঠানামার সুযোগ নেই।

তিন আরও বলেন, যাত্রীদের সাড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে।


আরও খবর

মেট্রোরেলের সময়সূচি পরিবর্তন

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫




কুবিতে তিন দপ্তরে 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গত ১২ জানুয়ারি গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা অর্ণব সিংহ রায়কে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উক্ত ঘটনায় 'বিশৃঙ্খলার' অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে, উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দপ্তর প্রধানরা মন্তব্য করতে নারাজ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তর, প্রক্টর দপ্তর এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরে এই অভিযোগপত্র জমা দেন তারা। অভিযোগপত্রের বিষয় জানতে দপ্তর প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা 'এ বিষয় কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না' বলে জানান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের মাহফুজ অন্তর, মার্কেটিং বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শাহাদাত তানভীর রাফি, ফার্মেসী বিভাগের ১৫তম আবর্তনের সাদী, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৬তম আবর্তনের মোহাম্মদ রাফি দ্বারা 'গণিত বিভাগের টিচার্স রুম ভাঙচুরের হুমকি, সাংবাদিকদের পা চাটা গোলাম বলে আখ্যায়িত এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকির' মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্বেও হলের সামনে জ্বালাও পোড়াও, প্রশাসনিকভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি, সিনিয়র পেটানোর মনোভাব, গণিত বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের খেলায় মারামারির মূল হোতাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

পাশাপাশি অভিযোগপত্রে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানায় তারা।

অভিযোগপত্রের বিষয় গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী হুজাইফা হামিম বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য দূর করা। আইনের সুসংহত প্রয়োগ করা। কিন্তু এই ঘটনার পর মনে হচ্ছে নতুন করে একটি দল সাধারণ ছাত্র নাম ধরে সেই পুরনো ক্ষমতা প্রয়োগের খেলায় মেতে উঠেছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে যেরকম ঔদ্ধত্য দেখা গেল, এর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে সামনে আরও খারাপ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে। বিচার নিশ্চিত করার নামে একটা মব জাস্টিস বলি বা এটাক বলি, আমরা যেন তারই প্রতিচ্ছবি দেখলাম। যা হতাশাজনক।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফরহাদুল ইসলাম নাঈম বলেন, 'গতকাল যে ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সুষ্ঠু বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনো শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকবে না। আমরা এখানে মারামারি দেখতে আসি নাই। কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার বিচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। নিজের হাতে আইন তুলে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বেও কেউ মেনে নেয়নি, বর্তমানেও কেউ মেনে নিবে না।

গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, 'গতকাল বাইরের বিভাগ থেকে কয়েকজন গণিত বিভাগের অভ্যন্তরে টিচার্স রুমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে। এমনকি নানান পোস্টে শিক্ষকদের নাম ধরে উনাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। একজন গণিত বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যারা এই স্পর্ধা দেখিয়েছে তাদের বিচার এর আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, 'আমার কাছে একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। এটা যদি শৃঙ্খলা বিরোধী কিছু হয় তাহলে প্রক্টর স্যারের কনসার্ন লাগবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐরকম মন্তব্য করতে পারব না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন, 'আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা একটা মিটিং করব তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

 উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'আমি এখন ঢাকায় আছি। এই মূহুর্তে অভিযোগপত্র না পাওয়ায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। আগামীকাল অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র দেখে মন্তব্য করতে পারব।


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছেন ৫ আগস্টে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণদের পজেটিভ ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ এর ধারক ও বাহক। তাই তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা অনেক। একজন তরুণকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ বয়সটি খুবই সাংঘাতিক সময়। এই বয়সে যদি ভুল করে কারোও পা পিছলে যায় তাহলে সেই তরুণকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই তরুণ বয়সে যেন কোন ভাবেই কারো পাল্লায় পড়ে নিজেকে নষ্ট করা না হয় সেই বিষয়ে নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখতে এবং গুরুজনসহ বড়দের প্রদান করা আদেশ-নিষেধগুলো মেনে চলতে তরুণদের প্রতি আহব্বান জানান নওগাঁ জেলা প্রশাসক। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে নওগাঁয় শুরু হওয়া তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন তিনি। সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম।

এরপর বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর উদ্যোগে নওগাঁ শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যানের মধ্যে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান, মৌসুমী'র মনিটরিং অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের অনুপ্রেরনায় উজ্জিবিত হয়ে আগামী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পজেটিভ ভাবনা নিয়ে তরুণদের অংশ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেলা জুড়ে জুলাই বিপ্লবের চিত্র প্রদর্শনী, ক্রীড়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সফল ও গুনিজন সংবর্ধনা, দুর্নীতি বিরোধী ও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা


আরও খবর



কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের দাবিতে (কুকসু) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পদার্থবিজ্ঞান ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের  আরাফ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আটটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, গণতন্ত্রের চর্চা, সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিকাশ, ক্যাম্পাসের শান্তি বজায় রাখা, লেজুড়বৃত্তিক ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্তি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা।

কুবির ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ফার্মেসী বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, 'ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে এসে রাজনীতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে তৈরী হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির নামে অপরাজনীতি বন্ধ হবে। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ চালু করবে এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্র প্রতিনিধি তৈরীর একটা সুযোগ সৃষ্টি করবে।'

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি, যা আমাদের জন্য লজ্জার। এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো একটি যৌক্তিক দাবি আসলে তা প্রশাসনের সাথে এটা উপস্থপনা করার জন্য ওইভাবে কোনো ছাত্রসংগঠন নেই। আমরা এই সমস্যার দ্রুত অবসান চাই। আমরা চাই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন (কুকসু) হউক যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক যে কোনো দাবি তুলে ধরতে আর কোনো সমস্যা না  হয় এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, নেতৃত্ব বিকাশ এবং সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।'

কুবি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমার এখন কোনো মন্তব্য নেই। আলোচনা করে পরে জানানো হবে। 


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




মূল্যস্ফীতির কারণে বড় ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

চলতি বছরে (২০২৫) পাঁচটি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয়টি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এছাড়া আরও চার ঝুঁকির বিষয়গুলো হলো- চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা।

সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হিসেবে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বিশেষ করে বন্যা ও উচ্চ তাপমাত্রা এবং দূষণকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে দূষণকে শীর্ষ তিন ঝুঁকির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। দেশ দুটিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সবুজ অর্থনীতি রূপান্তরের ক্ষেত্রে দূষণ সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আরও দুটি বিষয় খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে বেকারত্ব, অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। এ দুটি বিষয়ের কারণে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির গড়পড়তা হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবমতে, ২০২২ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ুগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যান্য উদ্বেগকে ছাপিয়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত।

দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালায় ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।


আরও খবর



রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগানে গিয়েছিলাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ড. শফিকুল ইসলাম, লেখক ও গবেষক :

সৌদি সরকারের অ্যাপস এর ঝামেলা মিটিয়ে ওখানে যেতে পারা এখন চ্যালেঞ্জিং। এই অ্যাপস এখন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের হয়রানির মতো। সার্ভার ডাউন, কিংবা ডাটা এরর কিংবা ভ্যাকেন্সি নেই- এ ধরণের মেসেজ দিয়ে হাজীদের ভূগান্তি দেয়। যাই হোক, চিকন লাইন এখানেও আছে। সেভাবে মুয়াল্লেমের সহযোগিতায়  যেতে সক্ষম হয়েছি।  আমার বৃদ্ধ বাবামার জন্য এটা খুবই জরুরি ছিল। আর আমার গবেষক মন বেহেশতের বাগান না দেখে যাবে না- এই ছিল পন। যারা ভবিষ্যতে আসবেন তারা আগে থেকেই নুসুক এপস ডাউনলোড করে শিডিওল নিয়ে রাখবেন বা মূয়াল্লেমকে আগে থেকে বুকিং দিতে বলে দেবেন। আগে এটা সহজ হলেও এখন কড়াকড়ি হয়েছে। ভিসা ও অ্যাপস এর কোড মিলিয়ে দেখে। তারপর ঢুকতে দেয়। 

.

মাত্র দশ মিনিট সময় দেয়, ওখানে প্রবেশের পর মন মানসিকতার গভীরতা নরম হয়ে  একেবারে ফানাফিল্লার পর্যায়ে চলে যায়। দশ মিনিট মনে হয় দুমিনিট। দশ মিনিট পেরিয়ে গেলে ওখানকার হুজুর কাম সিকিউরিটির লোকজন তাড়া দেয় ইয়া হাজ্জী ইয়া হাজ্জী বলে বের হতে বলে। ওদের চিতকার চেঁচামেচিতে ধ্যান বা প্রার্থনারত ক্রন্দন বা ফানাফিল্লা পর্যায় ভেঙ্গে বের হবার চেষ্টা করতে হয়। তখনই মনে পড়ে রিয়াজুল জান্নাত ছেড়ে চলে যাবো, দুটি ছবি নিয়ে যাবো না? -তাই কি হয়। ভবিষ্যতে যদি দেখতে মন চায়। তাই দ্রুত বের হতে হতে কয়েকটি ক্লিক করা। আপনারা দেখতে পারেন। 

.

রিয়াজুল জান্নাত কি?

মসজিদে নববির ভেতরে একটা জায়গা আছে, তার নাম রিয়াজুল জান্নাত। রিয়াজুল জান্নাত বলতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময়ে তৈরি করা মসজিদকে বোঝায়। মিম্বর ও হুজরাহর মধ্যবর্তী স্থান। মসজিদে নববিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক এবং তাঁর জমানার মূল মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানকে নবীজি বেহেশতের বাগানসমূহের একটি বাগান বলেছেন। এটাই রিয়াজুল জান্নাত। এই জায়গায় সবুজ-সাদা রঙের কার্পেট বিছানো আছে। মসজিদের অন্য কার্পেটগুলো লাল রঙের। ভিন্ন রঙের কার্পেট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না রিয়াজুল জান্নাতের সীমানা। এ স্থানে নামাজ পড়া অতি উত্তম।

.

রিয়াজুল জান্নাত বা বেহেশতের বাগান সম্পর্কে কয়েকটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ইবনে হাজাম (রা.) বলেন, রিয়াজুল জান্নাতকে জান্নাতের বাগান বলা হয়েছে রূপকভাবে। ওলামায়ে কেরামরা রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের মতে, এখানে জিকির করলে রহমত ও সৌভাগ্য লাভ করা যায়। নুরুদ্দিন সামহুদির লেখা অফা আল অফার দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত, রিয়াজুল জান্নাতে ইবাদত বেহেশতের বাগানে পৌঁছায় এই অর্থে ও তা রূপক অর্থবোধক। আল্লাহ এই স্থানটুকু হুবহু বেহেশতে স্থানান্তর করবেন। এই অংশ অন্যান্য জমিনের মতো নয়। পবিত্র স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ রাখি। রিয়াজুল জান্নাতের ভেতরে কয়েকটি স্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোকে রহমতের স্তম্ভ বলে। রাসুল (সা.)-এর তৈরি মসজিদে খেজুরগাছের খুঁটিগুলোর স্থানে উসমানি সুলতান আবদুল মাজিদ পাকা স্তম্ভ নির্মাণ করেন। এগুলোর গায়ে মর্মর পাথর বসানো এবং স্বর্ণের কারুকাজ করা।

.

উস্তুওয়ানা হান্নানা (সুবাস স্তম্ভ)


প্রথমদিকে রাসুল (সা.) মিম্বর ছাড়াই খেজুরগাছের একটি কাণ্ডে হেলান দিয়ে খুতবা দিতেন। পরবর্তী সময়ে জুমার খুতবা দেওয়ার জন্য দুটি সিঁড়ি ও একটি বসার স্থান তৈরি করা হয়। মিম্বরে নববির ডান পাশে খেজুরগাছের গুঁড়ির স্থানে নির্মিত স্তম্ভটি। এতে নিয়মিত সুগন্ধি মাখানো হয় বলে একে সুবাস স্তম্ভ বলা হয়। এটি বর্তমানে স্তম্ভ আকারে আর নেই। একে উস্তুওয়ানা হান্নানাও বলা হয়।

.

উস্তুওয়ানা সারির


সারির অর্থ বিছানা। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইতিকাফ করতেন এবং রাতে আরামের জন্য তাঁর বিছানা এখানে স্থাপন করা হতো। এ স্তম্ভটি হুজরা শরিফের পশ্চিম পাশে জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, সেখানে তাঁর জন্য খেজুরপাতার তৈরি মাদুর এবং একটি বালিশ রাখা হতো। বুখারি শরিফে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মধ্যস্থতার জন্য এই স্তম্ভের কাছে বিছানা পেতে বসতেন।

.

উস্তুওয়ানা উফুদ (প্রতিনিধি স্তম্ভ)


বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিদল উস্তুওয়ানা উফুদে বসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে কথা বলতেন। এ স্তম্ভও জালি মোবারকের সঙ্গে রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরবের বিভিন্ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতেন। তিনি তাঁদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতেন ও এর সৌন্দর্য ব্যাখ্যা করতেন। ফলে বহু গোত্র ইসলাম গ্রহণ করে। এটাকে ‘গণ্যমান্য মজলিশ’ও বলা হয়, যেখানে বড় বড় সাহাবায়ে কিরামও বসেছেন। একে প্রতিনিধি স্তম্ভও বলে।

.

উস্তুওয়ানা আয়েশা (আয়েশা স্তম্ভ)


নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এমন একটি জায়গা রয়েছে, লোকজন যদি সেখানে নামাজ পড়ার ফজিলত জানত, তাহলে সেখানে স্থান পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করত।’ স্থানটি চিহ্নিত করার জন্য সাহাবায়ে কিরাম চেষ্টা করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভাগনে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.)–কে সে জায়গাটি চিনিয়ে দেন। এটিই সেই স্তম্ভ। এই স্তম্ভটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর।

.

উস্তুওয়ানা আবু লুবাবা (তওবা স্তম্ভ)


হজরত আবু লুবাবা (রা.) থেকে একটি ভুল সংঘটিত হওয়ার পর তিনি নিজেকে এই স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হুজুরে পাক (সা.) নিজে না খুলে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এর সঙ্গে বাঁধা থাকব।’ নবী করিম (সা.) বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে আল্লাহ আদেশ না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত খুলব না।’ এভাবে দীর্ঘ ৫০ দিন পর হজরত আবু লুবাবা (রা.)–এর তওবা কবুল হলো। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে তাঁর বাঁধন খুলে দিলেন। এটি উস্তুওয়ানা উফুদের পশ্চিম পাশে রওজায়ে জান্নাতের ভেতর অবস্থিত।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫