
টানা সাতদিন বায়ু দূষণের শীর্ষে রাজধানী ঢাকা। যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধুলায় ঢাকা পড়ছে রাজধানীর আকাশ। গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেই। প্রকল্পে দূষণ কমানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও নেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। এনিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে।
কুয়াশাচ্ছন্ন রাজধানীর আকাশ। তবে আসলে এটি শীতের কুয়াশা নয়। বরং গাড়ির কালো ধোয়া ও ধুলার কারনেই আকাশে তৈরী হয়েছে কুয়াসার মতো আবরন।
কালো ধোয়া ছড়ানো গাড়ির চলাচলে আইনে নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এখনও রাজধানীর গণপরিহনে কালো ধোয়ার দাপট। প্রতিদিন আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সামনেই রাস্তায় চলছে বায়ু দূষণকারি এসব পরিবহন।
বিএসটিআই মান অনুযায়ী দেশের গণপরিবহণ ও ট্রাকে ব্যবহৃত ডিজেলে সালফারের পরিমাণ থাকার কথা ৫০ পিপিএম। কিন্তু বাস্তবে তা দু’শ থেকে তিন’শ পিপিএম। বায়ু দূষণের অন্যতম উপাদান এই সালফার।
রাজধানী জুড়ে চলছে নানা রকম উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। দূষণ রোধে প্রতিটি প্রকল্পেই আছে অর্থ বরাদ্দ। কিন্তু সেই অর্থ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কতোটা ব্যয় করেন; তা নিয়েও নেই কোন নজরদারি। কিন্তু পরিণতিটা ভোগ করতে হচ্ছে নগরবাসিবে। বাতাসে ভাসা দূষিত সুক্ষ বা অতি সুক্ষ কণা রক্তের সাথে মিশে পৌছে যাচ্ছে মানুষের মস্তিকে। ফলাফল শ্বাস কষ্ট, উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনী, বা হৃদরোগ।
আন্তর্জাতিক জরিপে টানা গেলো সাতদিন ধরে দেশের বায়ুর বিশ্বের সবচে দূষিত বলে উঠে আসছে। যা নিয়ে দু:খ প্রকাশ করে বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়া হয়েছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসাকে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করলেন মন্ত্রী।