Logo
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে আলুতে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান মধ্যস্বত্তভোগী, ব্যবসায়ী ও ফরিয়ারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ মজিবর রহমান শেখঃইতিমধ্যে কোল্ড ষ্টোরেজগুলোতে আলু সংরক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলার কোল্ড ষ্টোরেজগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের পাশাপাশি ফরিয়া, মধ্যস্বত্তভোগী ও ব্যবসায়িরা আলু সংরক্ষণে ভীড় জমিয়েছেন।

তারা কৃষকের কাছে ৫০ কেজির বস্তায় দেড় থেকে ৩ কেজি আলু ‘ধলতা’ হিসেবে বেশি নেন। মৌসুম শেষে আলু বিক্রি করে অতিরিক্ত আলু থেকে কোটি টাকা মুনাফা হয় বলে জানা যায়। জেলায় মোট ১৫-১৬টি কোল্ড ষ্টোরেজ রয়েছে।

সরেজমিনে জেলার বেশ কয়েকটি ষ্টোরেজ ঘুরে জানা যায়, গত বছর ১৫ ষ্টোরেজে ২৬ লাখ বাস্তা আলু সংরক্ষন করা হয়। এ থেকে ২০-৩০ শতাংশ আলু বীজ হিসেবে ধরেও প্রায় ২০ লাখ বস্তায় গড়ে ২ কেজি হারে ৪০ লাখ কেজি আলু ধলতা হিসেবে বেশি নেওয়া হয়।

বিক্রির মৌসুমে (কেজি প্রতি ১৫ টাকা হিসেবে) যা থেকে মধ্যস্বত্তভোগী, ব্যবসায়ি ও ফরিয়ারা প্রায় ৬ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে। এর বদৌলতে বিনা পূজিতে অনেক ফরিয়ারা আলু কিনে তা ব্যবসায়িদের দিয়ে আর্থিক অবস্থার উন্নতি করেছেন।

এক সময় জেলায় একটি মাত্র কোল্ড স্টোরেজ থাকায় সেটিতে আলু সংরক্ষণে ¯প্রতি কেজি পাওয়া ছিল সোনার হরিন পাওয়ার মত। বেশিরভাগ প্রতি কেজি চলে যেত কালোবাজারীদের হাতে। ফলে অনেক বেশি মূল্যে প্রতি কেজি পেত কৃষকেরা। পরবর্তিতে শাহী হিমাগারের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সহ আরো কয়েকজন ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকটি কোল্ড ষ্টোরেজ দেন এবং কৃষকদের নানাভাবে আলু উৎপাদনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

ফলে কৃষকেরা সংরক্ষনের সুবিধা ও সহযোগিতা পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আলু চাষে এক বিপ্লব সাধিত হয়। যার সুফল কৃষক, আলু ব্যবসায়িসহ সকলেই পায়। ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকজন কোল্ড ষ্টোরেজের মালিক জানান, কল্যাণ সমিতির অন্তরালে আলু নিয়ে জেলায় একটি সিন্ডিকেট পাটি তৈরী করা হয়েছে। যাদের কাজ কৃষকদের ব্যবহার করে নিজেদের লাভ করা।

গত বছর থেকে কল্যাণ সমিতির লোকজন নতুন নিয়ম চালু করে। ঢাকা বা দেশের অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ি বা ফরিয়ারা ঠাকুরগাঁও জেলায় তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে আলু কেনার সময় ধলতা হিসেবে ২-৩ কেজি আলু নেওয়া শুরু করে।

সমিতির লোকজন বাধ্যতামূলক এটি ব্যবসায়ি ও ফরিয়াদের নিতে বাধ্য করেন। এতে করে অতিরিক্ত আলু থেকে লাভ কৃষক পায় না। জেলায় কিছু আলু বিক্রি হলেও এই সিন্ডিকেট পাটি বেশিরভাগ আলু দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আরাজী পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক নূর আলম বলেন, প্রতি বছর আমি কোল্ড ষ্টোরেজে ২ হাজারের মত বস্তা সংরক্ষণ করি। দাম কমলে ব্যবসায়িরা ১-৪ কেজি ধলতা নেয়।

সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বাকুন্দা গ্রামের কৃষক নরেশ চন্দ্র রায় বলেন, কোল্ড ষ্টোরেজে ৫৮ বস্তা আলু সংরক্ষণ করলাম। এই আলু বিক্রির সময় ব্যবসায়িরা ২-৩ কেজি আলু ধলতা হিসেবে বেশি নিবে।ষ্টোরেজ মালিকগণ আমাদের কাছে ধলতা নেয়না।

এসবি কোল্ড ষ্টোরেজের ম্যানেজার দবিদুর রহমান বলেন, এ বছর আলু সংরক্ষণ শুরু হলেও গত বছরের চেয়ে কম কৃষক আলু রাখছেন। আলু বিক্রির সময় ফরিয়ারা বস্তা প্রতি ২-৩ কেজি আলু ধলতা হিসেবে বেশি নেন। আমরা চাই কৃষকেরা লাভবান হোক। মূলত কল্যাণ পাটির লোকজন এখানে সিন্ডিকেট তৈরী করেছে। অনেক সময় স্যাম্পল দেখার পর ২/১টি খারাপ আলু ঢুকিয়ে দিয়ে দাম কমিয়ে দেয়। এ জাতীয় কারনে কৃষকেরা অনেক সময় বাজারদরের থেকেও কম মূল্যে আলু বিক্রি করে দেয়। 

ঠাকুরগাঁও আলুচাষী ও ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি রমজান আলী জানান, দেশের অন্যান্য স্থানে ভাড়া কম থাকলেও ঠাকুরগাঁওয়ের কোল্ড ষ্টোরেজের মালিকগন ভাড়া ঠিকমত নেন না। জেলার কৃষকদের কাছ থেকে যাতে করে ভাড়া বেশি নিতে না পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সংগঠন এবং কৃষকের কাছ থেকে ষ্টোরেজে আলু সংরক্ষণ ও বের করার সময় কল্যাণ সমিতির চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। 

ঠাকুরগাঁও কোল্ড ষ্টোরেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ জানান, ষ্টোরেজে ধলতা নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে তার থেকে বেশি নেওয়া হয় না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, জেলায় এ মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি পরিমানে আলুর আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরমর্শ প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমানে জেলার কৃষক, হিমাগার মালিক ও কল্যাণ সমিতির সমন্বয়ের মাধ্যমে আলু ফসল থেকে জেলাবাসী উপকৃত হবে বলে মনে করছেন তিনি।  

উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছর জেলায় আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন।



বিডি/টুডেইস/নিউজ



আরও খবর



রাণীনগরে মাদকের সাত মামলার আসামী চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াসসহ আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় মাটির নিচ থেকে চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াস (উপাদান) সহ আজিজার রহমান (৬৬) নামে এক আলোচিত মাদক কারবারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আজিজার উপজেলার কাশিমপুর সরদার পাড়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে আজিজারের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে বাড়ীর আঙ্গিনায় মাটি খুঁড়ে ড্রামে ভরে রাখা চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াস (উপাদান) উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়। এঘটনায় রাতেই আজিজারের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান,আজিজারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো সাতটি মাদক মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলা আদালতে  বিচারাধীন।এছাড়া অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে একই রাতে উপজেলার চাকদিন গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। 


আরও খবর



শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় পড়েছে চীন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন ভয়াবহ বন্যা প্রতি একশ বছরে মাত্র একবারই দেখা যায়। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পূর্ব সতর্কতা জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গুয়াংদং প্রদেশে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে চুচিয়াং নদীর জলপথগুলোর পানি উপচে পড়ছে। গুয়াংদং চীনের উৎপাদন শিল্পের সবচেয়ে বড় অঞ্চল। এই প্রদেশে আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাল সোমবার পর্যন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু শহরের কাছাকাছি চলে এসেছে বন্যার পানি। এতে নিচু ভবনগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়া জলে নিমজ্জ একটি প্যাগোডাও দেখা যাচ্ছে।

প্রাদেশিক জলবিদ্যা ব্যুরোর বরাতে সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে বেঈ রিভার নদীর আশপাশের তিনটি অঞ্চলে একশ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

চুচিয়াং নদীর ব-দ্বীপ অববাহিকা চীনের সবচেয়ে জনবহুল একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বসবাস করেন। তবে ওই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর শোনা যায়নি। এছাড়া সাধারণ মানুষকে গণহারে সরিয়ে নেওয়ার কোনো প্রক্রিয়াও চোখে পড়েনি।

গুয়াংদংয়ের পাশের প্রদেশ জিয়াংজি এবং ফুজিয়ানেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে।

চীনে প্রায়ই এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা, খরা এবং তীব্র দাবদাহ দেখা যাচ্ছে।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, জাককানইবি প্রতিনিধি :

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচী করেছে জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) বেলা ১২ টায় অগ্নীবিণা হলের সামনে থেকে জাতীয় ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাতে নিয়ে বিশাল র‍্যালি বের করা হয়।

সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় ছাত্রলীগের অন্যান্য  নেতাকর্মী  স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। দলীয় নেতাকর্মী ছারাও কর্মসূচীতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য সমর্থকরা। পদযাত্রাটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে অগ্নীবিণা হলের সামনে ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন স্লোগানও দেন সমর্থকরা। 

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার বলেন, "ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে কবি নজরুল শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। এই সমাবেশ থেকে  ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।"

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ষোষণার অংশ হিসেবে সারাদেশে একযোগে  ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে এই পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করা হয়।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বছরে ৪ বার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ কথা জানিয়েছে

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে চর্চা করা হচ্ছে

বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার


আরও খবর



রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি রামগড় সীমান্তে ভারতীয় মদ এবং ফেন্সিডেল সহ অন্তত দেড় লক্ষ টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। 

রামগড় ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় পহেলা মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় পর থেকে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবির অভিযানের উপস্থিতিটের পেয়ে মালমাল রেখে পালিয়ে যায়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৯টা থেকে জোন আওতাধীন পানুয়া বিওপির হাবিলদার মো.মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টহল দল ভূঁজপুর থানার রহমতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ১৯ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডেল আটক করে। এছাড়াও একই সময়ে বাগান বাজার বিওপির নায়েব সুবেদার মো.আল মামুন সিকদারের নেতৃত্বে ফেনী নদীর কুল রুহুল আমিনের চরে অভিযান চালিয়ে ৯৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করা হয়। আটককৃত মালামাল ভূ্ঁজপুর থানায় জিড়ি পূর্বক পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে। আটককৃত মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৬০০ শত টাকা।

রামগড় ব্যাটালিয়ন ৪৩ বিজিবির জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন পিএসসি জানান,  সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি জোন আওতাধীন এলাকায় চোরাচালান, অপরাধ দমনে বিজিবির অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর