শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁ 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে' উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন নওগাঁর কৃতি সন্তান ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের (আদেশ) অনুরোধক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন, ২০২৩ এর ১০ (১) ধারা অনুসারে আবুল কালাম আজাদকে কয়েকটি শর্তে নিয়োগ দেয়া হয়।
ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক। এবং তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলা সদর শহরের চকএনায়েত মহল্লায় বলে জানা গেছে। নওগাঁর কৃতি সন্তান নিয়োগ পাওয়ায় নওগাঁ জেলায় আনন্দের জোয়ার বইছে।
প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে একাধারে।
মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপাচার্য পদে আবুল কালাম আজাদ এর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর হবে। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যেকোনো সময় তার এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ ইং সালে নওগাঁর এক জনসভায় ভার্চ্যুয়ালিতে যুক্ত হয়ে নওগাঁতে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ৪ বছর পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-নওগাঁ আইন, ২০২২ ইং এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। এর পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়। যেখানে ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদকে উপচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্থান এখনো নির্বাচন না হলেও উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন নওগাঁবাসী। কোথায় স্থাপিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়টি তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে সর্ব-সাধারন সহ সচেতন মহলে জল্পনা কল্পনা। তবে সচেতন মহল সহ সর্ব-সাধারণের দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, সকল সুবিধা যেন পায় এমন স্থানেই হোক বিশ্ববিদ্যালয়টি।