Logo
শিরোনাম

উপমহাদেশে ইসলামের বিজয়কাব্যের সূচনা করেছেন খাজা গরীবে নেওয়াজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন, ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, হিন্দুস্তান নামে পরিচিত উপমহাদেশের এ বিশাল জনবহুল ভূখণ্ডে রাতারাতি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় নি। এখানে কোন নবী রাসুল (আঃ), সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর শুভাগমন হয়েছে বলেও ইতিহাস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ মানুষ ছিল পথহারা। সমাজে ছিল জুলুম নির্যাতনের রাজত্ব। মানবাধিকারের ছিটেফোঁটাও ছিল না। সত্য পথ ও পথপ্রদর্শকের সন্ধানে মানুষ চাতক পাখির মত অপেক্ষা করছিলো। ঠিক সেই সময়ে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নির্দেশে পশ্চিমাঞ্চলের আরব দেশ থেকে পূর্বাঞ্চলের এ পাক-ভারত উপমহাদেশে  ত্রাতারূপে আবির্ভূত হন হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ মইনুদ্দীন চিশতী (রাঃ)। বহু প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ইসলামের খেদমতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তৎকালীন রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহান তার ইসলাম প্রচারের পথে বহু বাঁধা সৃষ্টি করেও সফল হন নি। হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) এর উসিলায় ও প্রত্যক্ষ আধ্যাত্নিক সাহায্যে ১১৯২ সালে ত্বরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বিরাজ চৌহানকে পরাজিত করতে সমর্থ হন মুহাম্মদ ঘুরী। এভাবে ইসলাম প্রচারের পথ সুগম হয়। তারই সেই পথ ধরে যুগে যুগে অগণিত অলি আল্লাহ্গণ মানুষের ঘরে ঘরে, এমনকি উঁচু পর্বতের চূড়ায়, গহীন অরণ্যে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।"


তিনি আরো বলেন, "হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রাঃ) এর দরবার ছিল গরীব-দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল। সে জন্যই তার উপাধি 'গরীবে নেওয়াজ' হয়েছে। বিশেষত তিনি মানুষের অন্তরকে জয় করেছিলেন। ধূসর মরুসম হৃদয়ে আল্লাহ্ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমের ঢেউ সঞ্চারিত করেছেন। ফলশ্রুতিতে ১২ শতাব্দীতে প্রায় ১ কোটি মানুষ তার পবিত্র হাতে হাত রেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আজ সমগ্র বিশ্বে প্রায় ১৬০ কোটি মুসলমানদের মধ্যে সিংহভাগ মুসলিম এই উপমহাদেশে। ইসলামের প্রকৃত অনুসরণের দিক থেকেও এ অঞ্চল এগিয়ে আছে এবং প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর খাটি আশেক হিসেবে স্বীকৃত।  নিঃসন্দেহে এটি মহান আল্লাহ্ পাকের বিশেষ অনুগ্রহ। তাই হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ (রাঃ) এর স্মরণ ও জীবনাদর্শ চর্চা আমাদের জীবনকে আল্লাহ্ ও তার প্রিয় হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত করবে।"


১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ মাদারীপুরে "আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মাদারীপুর জেলা" এর আয়োজনে, হযরত খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রাঃ) স্মরণে আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


দোজাহানের বাদশাহ্ প্রিয় নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করেন ডক্টর শাহ্জাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। হাজারো নবীপ্রেমিক জনতা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজকবৃন্দ সকলের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেন।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মিডিয়াকে সত্য ঘটনা প্রচার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়ার যে একটা সুনাম আছে, পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়ার তা নাই। তারা মিথ্যাই কিন্তু প্রচার করে সবচেয়ে বেশি। আর এই মিথ্যাটাকে কিন্তু কাউন্টার করতে পারেন শুধু আপনারা।

উপদেষ্টা আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে জোরদার করতে হবে। এরই মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য যারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আগ্রহী সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি মহানগরীর যানজট নিরসনে সভা-সমাবেশের জন্য মুক্তাঙ্গন নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সভা-সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য মহানগরীর জন্য মুক্তাঙ্গন ঠিক করে দিতে হবে যাতে যানজট হ্রাস পায়। তিনি এ সময় মেট্রোপলিটন এলাকায় অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন।

  1. লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আদালত থেকে রায় পেয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিন পেয়েছে। এসব অপরাধী পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচারসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
  2. উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে হয়তো সেটা জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী খুব সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তিনি এ সময় পুলিশকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন ও প্রোটোকল ডিউটি কমিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
  3. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে যেকোনো সমস্যায় থানায় যেতে পারে ও উপযুক্ত সেবা পায় থানার পরিবেশ ও কার্যক্রম সেভাবে রূপান্তর করতে হবে। থানায় সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ গড়ে তুলতে থানার কার্যক্রম আরো সক্রিয় ও যুগোপযোগী করতে হবে।
  4. পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই জাহাজ মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসে একটা দেশে গেছে। আবার ওই দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশে কি কোনো দেশের জাহাজ আসা নিষেধ আছে। তিনি বলেন, অনুমতি সাপেক্ষে যেকোনো দেশের জাহাজ আমাদের দেশে আসতে পারে। জাহাজটি রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যথা: খেজুর, পেঁয়াজ এগুলো নিয়ে এসেছে। এতে কেন আমরা বাধা দেব? তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিঘ্নকারী এসব ঘটনা যারা রটাচ্ছে তারা দেশের শত্রু।
  5. চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ 

সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন অতিরিক্ত কমিশনার হুমায়ূন কবীর চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার (অপারেশনস) নেছার উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫০ফিট মাটি খুঁড়ে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গভীর নলকূপের পরিত্যাক্ত গর্তে (মাটির ৫০ ফিট নিচে) পরে এক যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। এমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ৮ ডিসেম্বর নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চকদেউলিয়া গ্রামের মাঠে। গভীর নলকূপের পরিতাক্ত গর্তে যুবক পরে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের টিম পৌছে ৫০ ফিট মাটির নিচ থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন।

নিহত যুবক সেলিম রেজা (২৯) হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার হাটোইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। স্থানিয়রা জানান, মান্দা উপজেলার হাটোইর ও নিয়ামতপুর উপজেলার

 চকদেউলিয়া গ্রাম পাশাপাশি। স্থানীয় হাটোইর গ্রামের বাসিন্দা আসলাম হোসেন সহ কয়েকজন বলেন, আমাদের পাশের গ্রাম চকদেউলিয়া গ্রামের মাঠে জৈনক জয়নাল আবেদীনের একটি গভীর নলকূপ ছিলো। সম্পতি সেটি অকেজো হয়ে পড়লে পূর্বের বোডিং করা পাইপ উত্তোলন করে তার পাশেই নতুন করে বোডিং করা হয়। স্থানিয়রা আরো বলেন, নতুন কূপটি খননের পর সেখানে কিছু বালু পড়ে ছিলো। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রবিবার সকালে সেখানে গিয়ে বালু বস্তায় ভরে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সেলিম অসাবধানবশত পরিত্যক্ত কূপের গর্তে পরে যায়। ঘটনাটি মহূর্তের মধ্যে জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে শতশত লোকজন ভীড় জমান। তবে গর্ত অনেক গভীর হওয়ায় কেউ তাকে দেখতে না পেয়ে লোকজন হতাশ হয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ ও নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। ঘটনার ব্যাপারে নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ইনচার্জ সাহাদৎ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে এস্কেভেটরের সাহায্যে অন্তত প্রায় ৫০ ফিট মাটির নিচে গভীর গর্ত থেকে সেলিম রেজার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক নিয়ামতপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গর্তে পরে যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে

নিয়ামতপুর থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সেলিম রেজার মৃতদেহ স্বজন (পরিবারের) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন। এবার জবাব দিলেন কলকাতা ও বাংলা দখল বিষয়ে বক্তব্যের।

এরআগে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা চারদিনে কলকাতা দখল নিতে পারবেন বলেন মন্তব্য করেন। আবার বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী সম্প্রতি বাংলা- বিহার- উড়িষ্যা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আজ সোমবার বিধানসভায় দুটি বক্তব্যের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে ললিপপ খাব না।’

এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে ওই কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। যারা বলছেন, বাংলা-বিহার-উওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। তবে আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে, আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দেই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।’

মমতা বলেন, ‘আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'গোটা বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনো পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) গেছেন। দেখা যাক, কী হয়। আমাদের নীতি হল, আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের মন্তব্য করা থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো অতিরিক্ত মন্তব্য করবেন না, যাতে প্ররোচণার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একই বার্তা রাজ্যবাসীকেও।’

পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘কয়েকটা মিডিয়া যা করছে, তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু আবেদন করছি, যথাযথ থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে।’

বাংলাদেশে অশান্তি বাড়লে শরণার্থী সমস্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে- বিজেপির এমন আশঙ্কার জবাবে মমতা এদিন আবার কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখানে আসতে চাইছেন ওপার থেকে। কিন্তু সেটা বিএসএফ দেখছে। আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।


আরও খবর

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




যুদ্ধবিরতি কার্যকর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর চারটায় এই চুক্তি কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তি উভয় পক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ১০-১ ভোটে এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও লেবাননের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন নিশ্চিত করেন যে, স্থানীয় সময় ভোর চারটায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সীমান্তে ১৪ মাস ধরে চলা লড়াই অবসানের একটি পথ তৈরি হয়। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে হাজারও মানুষের প্রাণ গেছে।

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার ১০-১ ভোটে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পরপরই হোয়াইট হাউসে বক্তৃতা দিতে আসেন বাইডেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে তার কথা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে তারা দুজনেই সম্মত হয়েছেন। বৈরিতার স্থায়ী অবসানের লক্ষ্য নিয়ে এ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের যা অবশিষ্ট আছে, তাদের আর ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে দেওয়া হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েল সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেবে, যাতে হিজবুল্লাহ সেখানে আবার কোনো অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ না করতে পারে।

এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে হিজবুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসান ফাদলাল্লাহ লেবাননের আল জাদেদ টিভিকে বলেছেন, এ চুক্তি লেবাননের রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের সম্প্রসারণকে সমর্থন করলেও হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হাজারো মানুষ আমাদের প্রতিরোধে যোগ দেবে। আমাদের নিরস্ত্র করার যে প্রস্তাব ইসরায়েলি দিয়েছিল, সেটা ভেস্তে গেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন এক্স পোস্টে লিখেছে, এ চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় ইসরায়েলি ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু মাস ধরে চলা আলোচনার চূড়ান্ত পরিণতি।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শুক্রবার, ছুটির দিন। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তারপরও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৪২ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হো চি মিন শহরের দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর করাচি ও লাহোর। ভারতের দিল্লি রয়েছে ৭ নম্বরে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪