Logo
শিরোনাম

ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিনির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে গরম মসলার বাজার অস্থির। ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। তাই হু হু করে বাড়ছে গরম মসলার দাম। পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে লাভের পরিমাণ কমে। মূলধন বেশি লাগে। ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পণ্য ক্রয় করে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মসলার দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীত এলে দেশে ভাজা-পোড়াসহ অন্যান্য মসলাদার খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া বছরের শেষ বলে অনেক অনুষ্ঠান-আয়োজন থাকে। তাই মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। অপরদিকে মসলার বাজারের বৃহৎ অংশই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট আর এলসি বন্ধ থাকায় বাড়ছে গরম মসলার দাম। কেননা চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় জোগান না বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

জানা যায়, ভারত ও চীন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি মসলা আসে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও মসলা আমদানি করা হয়। তবে শুধু ধনিয়া, জিরা, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, কালিজিরাসহ হাতেগোনা কয়েকটি মসলা উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় সেগুলোর উৎপাদনও কম। তাই এসব পণ্যও আমদানি করতে হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

গোলমরিচ ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা ও জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম ২৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২০০ টাকা, দেশি হলুদের দাম ২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা, মেথি ১২৫ টাকা, ধনিয়া ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

অপরদিকে, কয়েকমাস আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকায় ওঠে, যা এখন সামান্য কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতিটি মসলা পণ্য ৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছেন দলিল লেখকরা। গত রোববার থেকে তারা এই কর্মসূচী পালন করছেন। সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা। সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মুখোমুখি অবস্থানের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির দাতা গ্রহীতারা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া জানান,চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন।  যোগদানের পর দলিল লেখকদের সাথে বৈঠক করেন সাব-রেজিস্ট্রার। বৈঠকে সাব-রেজিস্ট্রার দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আমাকে সহযোগীতা করবেন,আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো। দলিল প্রতি বাড়তি সাড়ে ৫ হাজার টাকা চান তিনি। বাড়তি টাকা না দিলে একটা দলিলও পাশ হবে না। তাৎক্ষনিক দলিল লেখকরা বাড়তি টাকার বিষয়ে আপত্তি জানালে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন সাব-রেজিস্ট্রার। সনদ হারানোর ভয়ে দলিল লেখকরা আর কিছু বলার সাহস করেনি। ফলে বাড়তি টাকা দিয়েই দলিল করতে বাধ্যহয় দলিল লেখকরা। এতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা গ্রহীতারা দারুণভাবে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাব-রেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় দলিলের প্রতি পাতার জন্য ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন এবং এক অফিস আদেশও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে সাবরেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি হয়। এতে সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষনা দেন দলিল লেখকরা। 

বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন হিলারী বলেন,বকশীগঞ্জে যোগদানের পরেই দলিল প্রতি বাড়তি অর্থ দাবি করেন সাব-রেজিস্ট্রার। তার দাবি না মানায় কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,সনদ বাতিলের হুমকি,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও তাদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছেন সাবরেজিস্ট্রার মুহাম্মদ তামীম। এই কারনেই সাব-রেজিস্ট্রারের অপসারনের এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছি। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে।  

মেরুরচর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে কষ্ট করে এলাকায় ৫ শতক জমি কিনেছেন। জমি রেজিস্ট্রি নিতে দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মবিরতির কারনে দলিল করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, যখন জানতে পারি আমার নাম ভাঙিয়ে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহীতাদের কাছে বাড়তি টাকা নেয়, ঠিক তখনই আমি দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দেই।  এতেই দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হন। দলিল লেখকরা তার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও কর্মবিরতি করছেন। অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।


আরও খবর



নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। আগের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

মঙ্গলবার মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিমিয় করা হচ্ছে। আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।

নির্বাচনে বিদেশি কোন কোন দেশ থেকে কারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে, তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশন হাতে পেয়েছে জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, বিদেশিরা নির্বাচন দেখতে আসবে না এমন কথা কেউ এখনও বলেনি।

বিএনপি যদি নির্বাচনে নাও আসে তাতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত। শুধু বিএনপি নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান করেছে কমিশন। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রাজি আছে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা) এর নতুন রেজিস্ট্রার হয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।

 ড. হারুন গত ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর নতুন রেজিস্ট্রার-কে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। 

নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার যোগদানের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 


এরপর ভাইস-চ্যান্সেলরের সভাপতিত্ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এবং নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। 

উল্লেখ্য, ড. হারুন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে এইচএসসি, ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও ২০০০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। 

চাকরিরত অবস্থায় তিনি ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্স থেকে ‘প্ল্যান্ট জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর বেশকিছু গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিকমানের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউট, রোটার‌্যাক্ট ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি রোটারি ক্লাব অব টাঙ্গাইল সিটির পাস্ট প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৮১ এর ডেপুটি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক ছিটকে পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকা ধানবাহী ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের চৌমাশিয়া ( নওহাটামোড়) বাজারের পার্শ্ববর্তী খোর্দ্দনারায়নপুর কল্পনা চাউল কল নামক স্থানে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক হলেন, নওগাঁর মান্দা থানাধীন প্রসাদপুর বাজারের মৃত ডাঃ ছয়ফুদ্দিন এর ছেলে সামসদ্দীন ওরফে ডিউ (৫৪)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সামসদ্দীন ওরফে ডিউ তার পরিবার তথা স্বজনদের সাথে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়ে) বাজারে আসেন। এক পর্যায়ে সে তার  পালসার মোটসাইকেল যোগে নওহাটামোড় থেকে নিজ বাড়ি প্রসাদপুর বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পথে দূর্ঘটনাস্থলে পৌছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী ট্রাক তার সোটরসাইকেল কে সজোরে ধাক্কাদিলে সে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সাথে বাড়ি খেয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করেন। এসময় পেছনে আসা তার স্বজনরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে জীবিত আছেন ভেবে দূর্ঘটনাস্থল থেকে তাকে ও তার মোটরসাইকেল টি নিয়ে প্রসাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এমন খবর পেয়ে স্থানিয় নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহ দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে মহাসড়কের উপর জড়ো হওয়া লোকজন কে  সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

প্রতিবেদক কে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর মান্দা প্রেস ক্লাব এর সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম।

অপরদিকে সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান প্রতিবেদক কে বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার আগেই তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সে মারা গেছে।


আরও খবর



মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর