Logo
শিরোনাম

ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিনির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে গরম মসলার বাজার অস্থির। ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। তাই হু হু করে বাড়ছে গরম মসলার দাম। পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে লাভের পরিমাণ কমে। মূলধন বেশি লাগে। ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পণ্য ক্রয় করে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মসলার দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীত এলে দেশে ভাজা-পোড়াসহ অন্যান্য মসলাদার খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া বছরের শেষ বলে অনেক অনুষ্ঠান-আয়োজন থাকে। তাই মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। অপরদিকে মসলার বাজারের বৃহৎ অংশই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট আর এলসি বন্ধ থাকায় বাড়ছে গরম মসলার দাম। কেননা চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় জোগান না বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

জানা যায়, ভারত ও চীন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি মসলা আসে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও মসলা আমদানি করা হয়। তবে শুধু ধনিয়া, জিরা, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, কালিজিরাসহ হাতেগোনা কয়েকটি মসলা উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় সেগুলোর উৎপাদনও কম। তাই এসব পণ্যও আমদানি করতে হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

গোলমরিচ ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা ও জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম ২৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২০০ টাকা, দেশি হলুদের দাম ২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা, মেথি ১২৫ টাকা, ধনিয়া ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

অপরদিকে, কয়েকমাস আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকায় ওঠে, যা এখন সামান্য কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতিটি মসলা পণ্য ৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ঐ গ্রামের কশরত আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

 বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

চলমান তীব্র তাপদাহে রোববার হিট স্ট্রোকে সারাদেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এর আগে একদিনে হিট স্ট্রোকে এত মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই। 

গতকাল থেকে পঞ্চম দফায় হিট এ্যলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল  ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ওপরে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবারের চেয়ে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে চলতি মাসে তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। আজও তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে। ৫ বিভাগে প্রচণ্ড দাবদাহর মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই তিন বিভাগে আবহাওয়া সহনীয়। চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ,যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬, খুলনায় ৪২ দশমিক ২ , সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ২, মোংলায় ৪১, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসসহ ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে।

হিট স্ট্রোকে ১৭ মৃত্যু 

সংবাদদাতারা জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে কাওরান বাজারে যাওয়ার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন মো. সেলিম (৫৫) নামের এক যাত্রী। মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসারে হিটস্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে মারা যান ব্যবসায়ী শাহাদাত্ সরদার (৫২) ও দুপুরে মারা যান কৃষক মোসলেম ঘরামী (৫৮)। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হিটস্ট্রোকে জাহাঙ্গীর আলম (৫৩) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে হিট স্ট্রোকে মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া থানার কাদিপুর গ্রামে হিট স্ট্রোকে দলীপ বিশ্বাস (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আইনজীবীর সহকারী সুলতান উদ্দিন (৭৮) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হিট স্ট্রোকে হাবিবা রিক্তা নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের মৈখালী গ্রামে বিলে ধান কাটতে গিয়ে হিট ষ্ট্রোকে মারা গেছেন কালাম সানা (৫০) নামের এক কৃষক। নওগাঁর রাণীনগরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে কৃষি শ্রমিক রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে গরমের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ  নেতা রিয়াজুল ইসলামের (৪২) মৃত্যু হয়েছে। যশোরে আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিট স্ট্রোকে জাকির মিয়া (৩০) নামে এক  যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মানিকগঞ্জে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নে মোজাহার আলী (৬৩) নামে এক রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আখতার মুক্তা হিট ষ্ট্রোকে মারা গেছেন। একই উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে চা বিক্রেতা ফেরদৌস আলম ঠান্ডু(৫০) মারা গেছেন। এদিকে গাইবান্ধায় গত কয়েকদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২টি গরু ও শতাধিক মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া  গেছে।

মধ্য মেতে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা: কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। ঘূর্ণিঝড়ই যদি বাস্তবে সৃষ্টি হয় তবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রিমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ মের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর