Logo
শিরোনাম

ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জাস্টিন ট্রুডোর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এক শিখ নেতাকে হত্যার গুরুতর অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাত মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন শিখ সম্প্রদায়ের নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার।

হারদ্বীপ সিং ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক ছিলেন। তিনি ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতাও ছিলেন।

ট্রুডো জানিয়েছেন, হারদ্বীপের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন কানাডার গোয়েন্দারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন।

কানাডার আইনসভা হাউজ অব কমন্সে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ট্রুডো বলেছেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো বিদেশি সরকারের সংশ্লিষ্টতা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেছেন, কানাডা হলো মৌলিক আইনের দেশ। যারা দ্বারা স্বাধীন, মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভারত অবশ্য আগেই শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শিখ নেতাকে হত্যার অভিযোগ করার পাশাপাশি কানাডা পাভন কুমার রায় নামে এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারও করেছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর এমন বক্তব্যের পর কূটনীতিককে বহিষ্কারের খবর আসে।

এরআগে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জারের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল।

গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশ্য দিবালোকে সারের গুরু নানক শিখ গুরুদাওয়ারাতে নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করে দুই মুখোশধারী।

শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার। গত জুনে মুখোশধারীদরে গুলিতে নিহত হন তিনি। কানাডা দাবি করছে, তার হত্যাকাণ্ডর সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্টতা আছে।

তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একজন জনপ্রিয় শিখ নেতা ছিলেন এবং প্রকাশ্যে ভারতের পাঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি জানাতেন। তার ভক্তরা জানিয়েছেন, স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র চাওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ভারত এর আগে নিজ্জারকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। নয়াদিল্লির দাবি ছিল তিনি একটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দল পরিচালনা করতেন। তবে নিজ্জারের সমর্থকরা দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে কখনো এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমান পাওয়া যায়নি।

জাস্টিন ট্রুডো আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনা সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও তিনি অবহিত করেছেন।

কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন।

গত কয়েকমাসের মধ্যে নিজ্জারসহ আরও দুজন শিখ নেতা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক খালিস্তান লিবারেশেন ফোর্সের প্রধান অবতার সিং খান্ডা। যার যুক্তরাজ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। আর তৃতীয়জন হলেন পরমজিত সিং পাঞ্জওয়ার। তিনি পাকিস্তানের লাহোর শহরে গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। নিহত হওয়ার আগে ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ট্রুডো। ওই সময় তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠক হয়। মোদি ট্রুডোর কাছে অভিযোগ করেন, কানাডার মাটি ব্যবহার করে আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের আন্দোলন চলছে। কিন্তু কানাডা সরকার তেমন কিছু করছে না।

সূত্র: বিবিসি


আরও খবর

পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কক্সবাজার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছেই

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চলছে। এক শ্রেণির দালাল টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।

স্থানীয়দের হিসাবে, গত একমাসে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

তবে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের মতে, সংখ্যা আট থেকে নয় হাজার। সংখ্যা যাই হোক, ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

সীমান্ত এলাকার লোকজন বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। মংডু টাউনশিপ ঘিরে লড়াইয়ে আবারও রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ফেলে গত একমাস ধরে মংডু আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। এমনকি অনুপ্রবেশের আশায় সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার রোহিঙ্গা।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। রোহিঙ্গারা কাঠের নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে দালালদের সহযোগিতায় টেকনাফে ঢুকছে। এরপর তারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে পড়ছে। অনেকে টেকনাফে বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও আশ্রয় নিচ্ছে।

সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বোঝায় এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ উদ্বেগের।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা

সীমান্ত ঘেঁষা বাসিন্দারা বলছেন, গত এক মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য মংডু আশপাশের সীমান্তে আরও ৬০-৬৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

সীমান্তের একাধিক সূত্র বলছে, টেকনাফের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া উপকূল, উখিয়ার বালুখালী, ঘুমধুম সীমান্তসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। মংডুর উত্তরের প্যারাংপুরু দক্ষিণের ফাদংচা এলাকায় জড়ো হয়ে থাকা রোহিঙ্গারা দালালদের সহায়তায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণির দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ কিয়াত (বার্মিজ নোট) বা বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সীমান্ত পার করিয়ে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না। এতে নতুন করে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।

তিনি বলেন, রাখাইনের দখল নিয়ে জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির যুদ্ধের কারণে সেখানে নতুন সংকটে পড়েছে রোহিঙ্গারা। অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। এসব বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারির পরও অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। গত এক মাসে আট-নয় হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি কোস্ট গার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। সাত বছরে কাউকেই ফেরত নেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কার্যক্রম শুরু হলেও রাখাইনের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা থেমে যায়।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা নতুন আগতদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল, যা সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমরা ইউএনএইচসিআরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের পক্ষে আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনদের ঘরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ আহত রয়েছে। তাদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুনদের আবাসন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

উখিয়া, টেকনাফ নোয়াখালীর ভাসানচরসহ ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে আসে।

মংডু টাউনশিপ ঘিরে তীব্র লড়াই

গত ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে রাখাইনের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের সবকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। এখন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মংডু টাউনশিপ আশপাশের এলাকায় যুদ্ধ চলছে।

যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরকান আর্মি। এমনকি তারা মংডু টাউনশিপের পাশের পাঁচটি গ্রাম সুধাপাড়া, মংনিপাড়া, সিকদারপাড়া, উকিলপাড়া নুরুল্লাপাড়া দখল করে অন্তত ৫০-৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করেছে। মংডু আশপাশের গ্রামগুলোতে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।

রোহিঙ্গারা জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরও মংডু এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সমস্যা হয়নি। কিন্তু এখন তাদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফের বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজছে তারা।

 



আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক দুই আইজিপি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য করা হয়। তবে কোন মালায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি জানিয়েছে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় রাতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক দুই আইজিপিকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আইজিপি ছিলেন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ৬ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত। এরআগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।



ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত কমিশনার) রেজাউল করিম মল্লিক বাসস’কে জানিয়েছেন, সাবেক দুই আইজিপি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


আরও খবর

বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি : তারেক রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠিকানা যেখানেই হোক, সকল ক্ষেত্রে আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।
দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সমাবেশে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মিডিয়া সেল আজ রাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস’কে এ খবর জানিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কেউ মসজিদে যাই, কেউ মন্দিরে বা প্যাগোডায় কিংবা গীর্জায় যাই; তেমনি কারো উৎসব ঈদুল ফিতর, কারো বা দূর্গাপূজা কিংবা বড়দিন অথবা বৈশাখী পূর্ণিমা; সেটাও আমার আপনার সবার অভিন্ন পরিচয় নয়। বাংলাদেশের মানচিত্রে আপনার ঠিকানা হতে পারে পাহাড়ে, কারো আবার সমতলে, কেউবা থাকেন হাওড়ে আবার কেউ ছোট্ট দ্বীপে, নয়তো উপকূলের প্লাবন ভূমিতে কিম্বা সুন্দরবনের পাশে- সকল ক্ষেত্রে পরিচয় আমাদের একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশী। এমনকি যারা এই পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেন তারাও জনরোষ এড়িয়ে পালানোর সময় যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন সেখানেও তাকে এই ‘বাংলাদেশী’ পরিচয়টিই ব্যবহার করতে হয়েছে।’ 
তারেক রহমান বলেন, এই পরিচয় আমার আপনার যোগ্যতার মূল্যায়নের সময় যেমন নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি আমাদের অপরাধের ক্ষেত্রেও থাকবে একই মাপকাঠি। 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও বেগম সেলিমা রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংখ্যালঘুর কার্ড দিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। সেটা দেশেও যেমন হয়েছে, দেশের বাইরেও কম হয়নি। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আর দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে যুগ যুগ ধরে এই সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরুর স্পর্শকাতর বিষয় আর নির্যাতনের কল্পকাহিনী ফেঁদে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার অপচেষ্টা দেশে-বিদেশে বার বার কারা করেছে সেটাও আমরা সবাই জানি।’ 
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের এই পুরনো খেলার পুনরাবৃত্তি এদেশে আর করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এগুলোকে হয় কবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করি, নয়তো চিতায় পুড়িয়ে ভষ্ম করে দিই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এক ধর্মের উপাসনালয় আরেক ধর্ম অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুরক্ষিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে, বার বার  প্রমাণ করেছে এদেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই, আমাদের সবারই এক ও অভিন্ন পরিচয়, আমরা সবাই  বাংলাদেশী। শুধু কথায় নয় কাজেও এটার প্রমাণ দিতে হবে যখনই প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ আর শত সহ¯্র নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি জনগণের আস্থা আর বিশ্বাসের যে জায়গায় পৌঁছেছে, কতিপয় বিপথগামীর হঠকারিতায় সেটা বিনষ্ট হতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে দল আপোষহীন, তিনি দলের কত শীর্ষে অবস্থান করেন সেটা বিবেচ্য নয়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে দল সেটার প্রমাণ রেখেছে বলেও তিনি জানান। 
মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আর অনুশাসনকে পুঁজি করে যারা ধর্মীয় স্থাপনায় রাজনীতি করবে, বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা ধর্ম-বর্ণের বিভক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে তারেক রহমান পরামর্শ দেন। 
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো আর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে যেটা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য এখনো উন্মুক্ত। তবে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, যারা যে সংস্কারের প্রস্তাবনাই আনুন আমাদের সংষ্কার প্রস্তাবে সেগুলোর সবই অন্তর্ভুক্ত আছে। 
তিনি বলেন, বিজয় এখনো অনেক দূরে, সফলতার পথ অনেক দীর্ঘ, আমরা গত সতের বছর বিরোধী দলে ছিলাম, আজো আছি। এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়, বরাবরের মত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মত অতীতে যেমন সঙ্কটকালে দলের পাশে ছিলেন আগামীতেও বাংলাদেশের জনমানুষের প্রত্যাশার ভাষা বুঝে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করলে বিএনপি দেশের মানুষকে একটা নতুন আর পরিবর্তিত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবি এর উদোগে পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের স্থান নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

ধামইরহাট, নওগাঁ) প্রতিনিধি::


গতকাল ১৮ আগষ্ট  রবিবার সকাল ১০ টায় পত্মীতলা ১৪ বিজিবি সংলগ্ন পত্মীতলা সীমান্ত পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর স্হান চিন্তিত পুর্বক নওগাঁ জেলার প্রশাসন কৃতক ১৪ বিজিবিকে হস্তান্তর করা হয়।


এ সময় প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দীন বিজিবি এম এস  পিএস সি অধিনায়ক পত্মীতলা বাটলিয়ন। নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ পপি খাতুন কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল কবির।

এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন মেজর এস এম ইমরুল কায়েস সহকারী পরিচালক শাহআলম সহ স্হানীয় জনগন। পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান পি এস সি রিজিয়ন কমান্ডার রংপুর। কর্নেল মোঃ ইমরান ইবনে এ রউফ সেক্টর কমান্ডার রাজশাহী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর নির্ধারিত স্থান।


পত্মীতলা ১৪ বিজিবি এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ হামিদ উদ্দীন বলেন এই পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ উদ্ভোদন হলে বিজিবি সদস্যদের ছেলে মেয়ে ছাডাও এই এলাকার ছেলেমেয়ে লেখা পডা করার সুযোগ পাবে।


আরও খবর



নোবিপ্রবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার - নোবিপ্রবি প্রতিনিধি,


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএইচডির যাত্রা শুরু হয়েছে। 


দুইজন শিক্ষার্থী মো: মাহমুদুল হাসান ও মো: মাহবুবুল আলম শাওন-এর পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত পিএইচডি প্রোগ্রামের সূচনা হয়।


পিএইচডি প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত  প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রধান অধ্যাপক ড: মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড: আবদুল্লাহ আল মামুন ও  অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।  


তিনি শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় শিক্ষকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। 


উল্লেখ্য, DANIDA (Danish International Development Agency) এর অর্থায়নে "Climate-resilient aquatic food systems for healthy lives of young women and girls in Bangladesh (AQUAFOOD)" প্রকল্পের আওতায় দুজন শিক্ষার্থীই পূর্ণ শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত হবেন।


পিএইচডি প্রোগ্রামের বিষয়ে উক্ত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ফিশারিজ এন্ড মেরিন সাইন্স বিভাগ পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু করল। পিএইচডি গবেষণার মাধ্যমে নোবিপ্রবি উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণায় অনন্য অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

আরও খবর