Logo
শিরোনাম

ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিকল্প নেই। তা না হলে বিদেশি শক্তি বারবার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ পাবে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর পথ বের করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, কোনো দেশের নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না। বরং যারা এই বিদেশিদের নির্দেশ মানবে, জনগণ তাদের মেনে নেবে না। কেননা এখানে বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশিদের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্যামল দত্ত।

আলোচকরা বলেন, ভূ-রাজনীতির প্লেয়ার কিছু সংখ্যক দেশ। তারা নিজেদের স্বার্থে অন্য আরেকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। আর এই ভূ-রাজনীতিতে মার্কিনিদের বড় স্বার্থ হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থন পাওয়া। অন্যান্য দেশকে নিজেদের সমর্থনে রাখার প্রক্রিয়া হিসেবে উপনিবেশ ব্যবস্থা চলে যাওয়ার পর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। আর এই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কিছু উপাদান লাগে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতাসহ আরো কিছু। এগুলোর মানও তারাই ঠিক করে দিয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, যখন তাদের পছন্দ মতো সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়, তখন তারা নিজেদের মতো আইন করে বিশেষ দলকে সুবিধা দেয়। এক্ষেত্রে তারাই যদি সরকার নির্বাচন করে তাহলে জনগণের ভোটাধিকার কোথায় থাকল?

ভূ-রাজনীতিতে টিকে থাকতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে জানিয়ে আলোচকরা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক দর্শন ও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী প্রতিবেদনে দেখব যে, সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন বা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথা বারবার বলা হয়েছে। এখন ভূ-রাজনীতিতে আলোচনায় বাংলাদেশ। আর এই আলোচনা একটা কারণ হচ্ছে, আমরা ভৌগোলিক একটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। সেটা সব সময় ছিল। এখন আরো বেশি হচ্ছে, কারণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা। আর অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির একটা সম্পর্ক আছে। এখন যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, আমাদের অর্থনৈতিক যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক ভিতটা শক্ত করতে হবে।

তবে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো বাইরের দেশের নির্দেশনায় চলবে না। সেই পরিস্থিতিও নেই জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, গ্লোবাল ভিলেজের মধ্যে থেকেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু কারো নির্দেশনায় বাংলাদেশ চলবে এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণও তা মানবে না। আর তাই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের কথা বলা বন্ধ করতে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করীম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন।


আরও খবর



পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদকের ৭১ চিঠি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ৭১টি মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য এখন পর্যন্ত ২৭টি এমএলএআরের বিষয়ে জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। এর সঙ্গে পাচার করা অর্থের বিষয়ে যথাযথ তথ্য পরে জানাতে পারব। আজ আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গেও এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি

তিনি বলেন, দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে বিষয়টি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে সে অর্থ ফিরিয়ে আনতে তারা যাতে সহযোগিতা করে সে বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি। বৈঠকে আমরা তাদের যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, আশা করছি ওইসব দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে

আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কো-অপারেশন বিভাগের প্রধান মিশেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার পাবলো প্যাডিন পেরেজ, নাদের তানজা এবং কিশওয়ার আমিনের সমন্বয়ে একটি টিম দুদকে বৈঠক করেন

এসময় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, দুদক মহাপরিচালক মো আক্তার হোসেন, পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ ও গোলাম শাহরিয়ারের সমন্বয়ে একটি টিম সংস্থাটির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন

দুদক সূত্রে জানা যায়, সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করা হয়। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল তাদের পক্ষ হতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছেন

বৈঠকগুলোতে গুরুত্ব পেয়েছিল- দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেডবেইজড, মানিলন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যু


আরও খবর



ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ভাসমান আমড়ার বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঝালকাঠি, রাজাপুর প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির এর আগে পেয়ারার সুখ্যাতি ছিল এবার যোগ হলো আমাড়ার নাম।আমড়ায় আছে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি,এ, ক্যলসিয়াম,ফসফরাস অনেক পুষ্টিগু।আশ থাকায় আমড়া হজমে সহায়তা করে এছাড়াও রয়েছে আমড়া খাওয়ায় নানা উপকারিতা। 

দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির  প্রভাবে  ঝালকাঠির ভিমরুলী ভাসমান হাটে পেয়ারার দরদামে ধস নেমেছিল। সেই অস্থিরতা কাটিয়ে মৌসুমের শুরুতেই জমজমাট হয়ে উঠেছে আমড়ার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমজমাট থাকে ভিমরুলীসহ আশপাশের বাজার। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে ৩০ কোটি টাকারও বেশি আমড়া বিক্রি হবে। যা গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে।

শুধু ভিমরুলীই নয়, সদর উপজেলার শতদশকাঠি, ডুমুরিয়া, আতাসহ আশপাশের কমপক্ষে দশটি গ্রামে আমড়ার ভাসমান বাজারের বিস্তার ঘটেছে। সাধারণত ভাদ্র মাসের শুরুতেই জমতে থাকে আমড়ার বাজার। চলে টানা দুই মাস।

ভাসমান আমরা বাজার সম্পর্কে স্থানীয় ও চাষিদের সাথে  কথা বল্লে তারা জানান, "এ বছর পেয়ারা বিক্রি করে কোনো লাভই তুলতে পারিনি। তারচেয়ে বর্তমানে আমড়ার বাজার সন্তোষজনক। প্রতিমণ আমড়া বিক্রি করছি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা দরে। এই দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।

 পেয়ারায় ফলন ভালো পাচ্ছি না। পাতায় ছত্রাক ধরেছে। ফল সাইজে ছোট হয়ে গেছে। এজন্য পেয়ারা গাছ কেটে আমড়া চাষ করেছি বছর পাঁচেক হলো। ইতোমধ্যে ফলন পেতে শুরু করেছি।

চাষীরা জানান, পেয়ারার চেয়ে আমড়ার ভালো দিক হলো– এই ফল দ্রুত পঁচে যায় না। ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যে কারণে পঁচে যাওয়ার ভয়ে চাষীদের বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয় না।

ভাসমান বাজারে কর্মসংস্থান হয়েছে একাধিক শ্রমিকের। দূর দূরান্ত থেকে এসে কাজ করেন তারা। তাদের সাথে কথা বল্লে তারা বলেন,, বড় বাগান থেকে আমড়া পড়তে লোক লাগে। আমাদের কারও বাড়ি পিরোজপুর করাও বাড়ি  আরও দূরে  হলেও পেয়ারা-আমড়ার মৌসুমে ভিমরুলী, আটঘরম কুড়িআনা এলাকায় থাকি। দৈনিক মজুরিতে ফল পেড়ে দেই গাছ থেকে।

এদিকে,  বাজারের পাইকারী ক্রেতাদের সাথে কথা  বল্লে, পেয়ারার বাজার এ বছর তুলনামূলক কমে গেছে। কিন্তু আমড়ায় চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। পরিপক্ব ভালো সাইজের আমড়ার মণ ১৪/১৫শ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। এত দাম দিয়ে কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আমরা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে কীভাবে লাভ করবো?

আবুল কালাম নামে এক চাষী বলেন, "অন্য ফসলের তুলনায় আমড়া চাষে খরচ কম। একবার গাছ টিকে গেলে ৫/৭ বছর ধরে ভালো ফলন আসে। তখন শুধু পরিচর্যা করলেই হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আরও সহজ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের আমড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে।তিনি বলেন, সারাদেশেই দক্ষিণাঞ্চলের আমড়ার চাহিদা খুব বেশি।

এবিষয়ে  ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে বলেন , আমড়ার চাষ ঝালকাঠিতে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৬০২ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। আবাদি জমি থেকে ৪ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন আমড়া উৎপাদন হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ফসল হচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া। এই জেলার ভাসমান বাজারকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দ্বার খুলেছে তাতে আমড়া চাষ ভালো ভূমিকা রাখছে। কিছুদিন আগে পেয়ারা ছিল।


আরও খবর



চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে কমিটি গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে বিবেচনার জন্য একজন সাবেক সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই কমিটি করা হয়েছে

এদিকে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। তবে তারা এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চান তারা। এছাড়া অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা


আরও খবর



৭ দিনে ভারত গেলো ৪১১ টন ইলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ১৩১ ট্রাকে ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানিয়েছে, শনিবার (৫ অক্টোবর) ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয় ট্রাকে ১৯ টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি রপ্তানি হয়েছে

এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কিভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না

একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারতে রপ্তানির কারণে ইলিশ মিলছে না আড়তগুলোতে। যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম প্রায় দ্বিগুণ। ছোট ইলিশ ৫০০-১০০০ টাকা ও বড় ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় সরকার। এরমধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর এর মধ্যে রপ্তানি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

ইলিশ রপ্তানিকারক বেনাপোলের সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ বছর ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রপ্তানি করা কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০-৭০০ টন ইলিশ যেতে পারে

বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হলেও অনেকে প্রতিষ্ঠান এখনো ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারেনি


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হলো ডিএমপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে দেয় উশৃঙ্খল গাড়িচালকরা। অবৈধ রিকশা আর ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে শুরু করে প্রধান সড়কে। যে যেভাবে পারছে নিয়ম ভাঙছে। এতে যানজটে নাকাল হয়ে পড়ে রাজধানীবাসী। এ অবস্থার লাগাম টেনে ধরেছে ডিএমপি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে একদিনেই ২৯২টি মামলা ও ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। এ ছাড়া অভিযানকালে ৩৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৫টি গাড়ি রেকারিং করা হয়েছে

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক বার্তায় এই তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, মেগাসিটি  ঢাকার প্রায় দুই কোটি মানুষের জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। রাজধানীর ৩৩৯টি পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। ট্রাফিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন বলে জানান তিনি

তিনি আরও বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অবৈধ ও আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে


আরও খবর