Logo
শিরোনাম

যে কারণে নিজের সিনেমার মুক্তি চান না মাহি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ততায় অভিনয়ে তেমন একটা নিয়মিত নন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ২০১৮ সালে ‘জান্নাত’ সিনেমার পর আর কোনো সিনেমায় তাকে দেখা যায়নি।  

এবার দীর্ঘ বিরতির পর সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ২৬ আগস্টে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা সিনেমাটি।  

দীর্ঘসময় পর রূপালি পর্দায় নিজের হাজির হওয়ার খবরে খুশি হওয়া কথা মাহির।  কিন্তু উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে। নিজের সিনেমা নিয়েই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন এ নায়িকা।  এমনকি সিনেমাটি মুক্তি না পেলেই তিনি খুশি হবেন- এমনটাই জানালেন মাহি।

কেন এমনটি চাইছেন মাহি? এক গণমাধ্যমকে তার কারণ জানিয়েছেন ‘আশীর্বাদ’র নায়িকা। বললেন,  ‘এখন মুক্তি দিলে গোঁজামিলে ভরা একটা ছবি মুক্তি দেওয়া হবে। কারণ, ছবিটির এখনো একটি রোমান্টিক গান বাকি আছে। পরে শুনেছি, সেটি নাকি শুটিংয়ের আমার আর রোশানের বিভিন্ন ফুটেজ ব্যবহার করে গানটি বানানো হয়েছে। এভাবে ছবিটি মুক্তি দিলে দর্শকরা ছি ছি করবেন।  তাই আমি চাই ছবিটি মুক্তি না পাক।’ 

জোড়াতালি দিয়ে সিনেমার শুটিং শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মাহিয়া মাহির। অগ্নি খ্যাত তারকা বলেন, ‘একটি সিনেমা ১০–১৫ দিন শুটিং হয়েছে। তাহলে ভাবুন কী হয়েছে সেটি। জোড়াতালি দিয়ে ছবিটির শুটিং শেষ করেছেন প্রযোজক।  এখানে প্রযোজকের তো কোনো সমস্যা নেই। তিনি তো অনুদানের দেওয়া টাকা থেকে লাভ করে ফেলেছেন। এখন সিনেমার কী হলো না হলো তা তার দেখার দরকার নেই। সমস্যা হবে আমাদের শিল্পীদের। কারণ, দর্শক ছবিটি দেখতে বসে আমাদের গালি দেবেন।’


আরও খবর



রাণীনগরে মহান মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ): 

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কর্মসচির প্রথমেই সকালে উপজেলা প্রশাসন ও থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরেন্দ্র গেইটে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।

এছাড়া র‌্যালিতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সকল সদস্য, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অপর দিকে রাণীনগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহান মে দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেন। বেলা ১১টায় রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, জেলা পরিবহন সভাপতি আসলাম হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফাা ইবনে আব্বাস, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনজির হোসেন, সেক্রেটারি শামিনুর ইসলাম শামীম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বিশাল এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


আরও খবর



তুমি যাকে শিরক বলছ, তা আমার কাছে ধর্ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক :

তুমি যাকে শিরক বলছ, তা আমার কাছে ধর্ম। তুমি মেনো না, কিন্তু আমাকে বাধা দিবে কেন? তুলনা করলে বা প্রতীক বানিয়ে উপাসনা করলে আমার ঈশ্বর ক্ষিপ্ত হয় না। এ কাজ আমার ধর্মের ঈশ্বরের কাছে কোনো অপরাধ নয়; আমার কাছেও অপরাধ নয়। আমার বিবেচনায় ঈশ্বর উপাসনার সকল পন্থাই বরং উত্তম। এ কোনো ক্রাইম নয়। 

ঈশ্বর কেমন, তাঁর চরিত্র কেমন, কিসে তিনি ক্ষিপ্ত হন, কিসে তিনি রাগান্বিত হন ইত্যাদি সম্পর্কে সব ধর্মের বর্ণনা এক রকম নয়। যেমন সনাতন ধর্ম অনুযায়ী ঈশ্বর জগৎ ও জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন দূর আকাশের কোনো শক্তি বা বস্তু নন। তিনি আকাশ থেকে শাসন করা রাজা নন। তিনি আকাশেও আছেন, মাটিতেও আছেন। তিনি জীবন ও জগতের সাথে মিশে আছেন –সৃষ্টির পাতায় পাতায় মিশে আছেন। এর বাইরেও তাঁর স্বতন্ত্র সত্তা আছে। তিনি একাধারে এক এবং বহু; তিনি একাধারে নিরাকার এবং সাকার। তাঁর কোনো শেষ নেই। জল যেমন বাষ্প হতে পারে, আবার বরফের মতো আকৃতি নিতে পারে; তেমনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সব হতে পারে। নিরাকার হতে পারে, সাকারও হতে পারে। এক হতে পারে, আবার বহুরূপও হতে পারে। তাই সব রূপের মাঝেই তাঁকে সন্ধান করা বা তাঁর উপাসনা করা সনাতন ধর্মে অপরাধ নয়, বরং ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের পন্থা। 

"বহু রূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর" –সনাতন ধর্মের অমোচনীয় বাণী। এখন আমি যদি এটা বিশ্বাস করি এবং এভাবে উপাসনা করি, এজন্য তুমি কি আমার উপর অত্যাচার করবে? আমার উপাসনার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত করবে? কেন করবে? আমি তো তোমাকে এভাবে উপাসনা করতে বলিনি! তুমি তোমার বিশ্বাস অনুযায়ী এবাদত কর। কিন্তু আমার ঈশ্বর উপাসনায় তুমি বাধা দাও কেন? 

"ব্রহ্ম হতে কীট পরমাণু, সর্বভূতে সেই প্রেমময়” –এটি আমার মৌলিক ধর্মীয় দর্শন। ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং প্রকৃতির সবকিছুতেই ঈশ্বরের উপস্থিতি –এ আমি বিশ্বাস করি। 

"আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে, ভূধর সলিলে, গহনে;

আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়, শশী তারকায় তপনে।" 

–ঈশ্বরকে আমি এভাবে দেখি; সর্বত্র দেখি।

মাদারীপুরে যে বট গাছটি তোমরা কেটে ফেলেছ, তার মধ্যে ঈশ্বরের বিশেষ উপস্থিতি আমি অনুভব করি। অসীমের এক প্রবল উপস্থিতির সন্ধানে সেখানে গিয়ে আমি শ্রদ্ধায় নিরব হই; অথবা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করি। আমি তো তোমার ক্ষতি করি না। এ আমার বিশ্বাস, আমি আমার মতো চলি। আমি তোমাকে বাধা দেইনি, বা তোমাকে সেখানে গিয়ে উপাসনা করতে বলিনি। তাহলে তুমি প্রকৃতির এই গাছটি কাটবে কেন? তুমি শুধু প্রকৃতির ক্ষতি করনি, তুমি আমার উপরেও জুলুম করেছ। 

হিমালয় থেকে সাগর পর্যন্ত যেখানেই বৃহৎ কিছু, সেখানেই আমার (ঈশ্বরের) বৃহৎ উপস্থিতি। গ্রহ, নক্ষত্র, হাতি, ঘোড়া, কচ্ছপ সবকিছুর মধ্যে যা কিছু বৃহৎ, তা আমার (ঈশ্বরের) বিশেষ উপস্থিতিতে বা বিভূতিতে বৃহৎ –এটা বেদ, উপনিষদ ও গীতার ঈশ্বর শিখিয়ে গেছে। আমি এই শিক্ষায় ও এই বিশ্বাসে গড়ে ওঠা। তুমি আরেক রকম শিক্ষায় ও আরেক রকম বিশ্বাসে গড়ে ওঠা। এজন্য আমি তোমাকে বাধা দেবো না, তুমিও আমাকে বাধা দেবে না –এটাই তো সংস্কৃতি হওয়া উচিত।  

হ্যাঁ, আমার বিশ্বাসের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা, এবং তোমার বিশ্বাসেরও যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা হতে পারে। সেটা সবাই করতে পারে, গণতান্ত্রিক সহনশীলতার সাথে। সত্য সন্ধান এবং জ্ঞান বিস্তারের জন্য আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা দরকার আছে। মিথ্যা বিশ্বাসগুলো যুক্তির দ্বারা অপনোদনের প্রয়োজন আছে। সুতরাং আমি ধর্মেরও সমালোচনার পক্ষে। কিন্তু একজনেরটা আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেয়ার বা জুলুম করার পক্ষে না। অন্যরা উপাসনা করে জন্য তার গাছটা কেটে ফেলার পক্ষে না। 

ঈশ্বর এমন হিংসাত্মক কেন হবেন, বা তার অনুসারীদের এমন হিংস্র আচরণ কেন করতে বলবেন? তাঁকে কখনো সামনাসামনি দেখতে না পাওয়ায় নিছক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে কে কিভাবে তাঁর উপাসনা করে –তাতে যদি অদেখা ঈশ্বরের মনে রাগ হয়ে থাকে, তবে তিনি নিজে সে জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন। সেই জাতির মানুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা রহিত করে দিতে পারেন। অথবা তিনি সহজেই দেখা দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভ্রান্তি নিরসন করে দিতে পারেন। দেখা না দিয়েও ঈশ্বর মানুষকে বদলে দিতে পারেন, কারণ তিনি সর্বশক্তিমান। মানুষের কোন উপাসনা পদ্ধতিতে তাঁর আপত্তি থাকলে সে মানুষকে বদলে দেওয়া ঈশ্বরের নিজের দায়। সেই দায় নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়ে মানুষ হয়ে মানুষের উপর উৎপীড়ন করা অপরাধ। 

আমার মতে ঈশ্বরকে এমন নিষ্ঠুর ও হিংসাত্মক চরিত্রের ভাবাটাও ন্যায়সঙ্গত নয়। তাঁর সাথে কারও তুলনা করলেই ঈশ্বর হিংসায় ফেটে পড়বেন – এমন হিংসুক স্বভাবের একজন মানুষের মতো চরিত্র ঈশ্বরের উপর আরোপ করলে তাঁর প্রতি ন্যায়বিচার করা হয় না। তাঁর প্রতিমূর্তি রচনা করে তাঁর উপাসনা করলে তিনি ব্যাপারটিকে প্রেমময় দৃষ্টিতে না দেখে হিংসার চোখে দেখবেন– ঈশ্বরের চরিত্র এমন হতে পারে না। এ আমি বিশ্বাস করি না; এটা আমার বিশ্বাসের ধরন। এভাবে বিশ্বাস করা আমার অপরাধ নয়। 

আমরা আমাদের শ্রদ্ধার ও প্রিয়জনের মূর্তিতেই আমাদের ভালবাসা দেই; ফুল দেই; আলো জ্বালাই। এতে আমার প্রিয়জন ক্ষিপ্ত হতে পারে না। ঘরে মা ও বাবার ছবি/মূর্তি শ্রদ্ধার সাথে রেখেছি –এজন্য আমার প্রতি পিতামাতার স্নেহ নষ্ট হওয়ার কথা নয়। আমার প্রিয়ার ছবি আমার মানিব্যাগে রেখেছি জন্য ঐ ছবিটির প্রতি হিংসায় আমার প্রিয়তমা জ্বলে উঠবে না। 

যতক্ষণ দেখিনি ততক্ষণ ঈশ্বর কাল্পনিক বটে। জাগতিক বা কাল্পনিক কোন কিছুর সাথে সেই ঈশ্বরের তুলনা করলে বা তাঁর ছবি বা মূর্তি রচনা করলে সেই বস্তু বা প্রতীকটির প্রতি ঈশ্বর হিংসা করবেন –ঈশ্বরের চরিত্র আমার কাছে এমন মনে হয় না। যে কোনো প্রকার তুলনায় বা প্রতিমূর্তি রচনায় শিরক হয়ে যাবে; ধর্ষণ, হত্যা, নিরীহ মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া, জুলুম, নির্মম অত্যাচার ইত্যাদির চেয়ে বড় অপরাধ হয়ে যাবে– আমার ধর্ম বিশ্বাস এমন নয়। 

এই যে আমার ধর্ম বিশ্বাস, একে ভুল প্রমাণের জন্য আপনি যুক্তি দেখাতে পারেন। কিন্তু এজন্য আমার উপর হামলা করতে পারেন না, জোর-জুলুম করতে পারেন না এবং আমার উপাসনার উপাদানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারেন না। আসুন সভ্য ও গণতন্ত্রী হই; আলোচনায়-পর্যালোচনায় সত্য সন্ধান করি। ধ্বংস ও অত্যাচারের পথ সঠিক নয়।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।

(বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে’, জানান তিনি।

একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আমরা জোরালো সমর্থন জানাই।

প্রসঙ্গত গত আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ভারত সে দেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার সহায়তা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জাপান সরকার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। সোমবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবে।

এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, এলপিজি বিতরণ, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি, পাশাপাশি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য জীবিকা নির্বাহ এবং কক্সবাজারে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুরক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা আশা প্রকাশ করেছেন, জাপান সরকারের সহায়তায় এই প্রকল্প রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কক্সবাজার ক্যাম্পে আমার প্রথম সফরের ঠিক পরেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি আশা করি এই বিস্তৃত পরিকল্পনাটি কক্সবাজার এবং ভাসানচর উভয় স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের সুরক্ষা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। জাপান এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং আইওএমের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করবে।


আরও খবর