Logo
শিরোনাম

আজও মাঠে থাকবে আ.লীগ-বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে আজও রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এরমধ্যে গত বুধবার (১২ জুলাই) নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে এক দফার ঘোষণায় পদযাত্রার কথা জানায় বিএনপি। একই দিন শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা আসে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুই দলের প্রথম দিনের কর্মসূচি। আজ দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের রাজনীতিতে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ।

এদিন সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফার দাবি আদায়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ থেকে ঘোষণা আসে গতকাল ১৮ ও ১৯ জুলাইয়ের পদযাত্রা কর্মসূচির। এরমধ্যে প্রথম দিনে গাবতলী থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করে দলটির নেতাকর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ ‍বুধবার (১৯ জুলাই) আব্দুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকা পর্যন্ত পদযাত্রা করবে দলটি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিএনপির পদযাত্রার বিপরীতে একই সময়ে সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার কর্মসূচির ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যদিও আগে থেকে আন্দোলনরত বিএনপি ও তার মিত্রদের কর্মসূচির দিনে শান্তি সমাবেশ ও সতর্ক অবস্থানের কর্মসূচি পালন করে আসছিল সরকার দলীয়রা। তবে এখন থেকে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা হিসেবে পালিত হবে বলে ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীনরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন সব জেলা ও মহানগরে শান্তি ও উন্নয়ন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শোভাযাত্রার আগে সাতরাস্তায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন সব জেলা ও মহানগরে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। এদিন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে থেকে ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। সমাবেশের পর শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও সিটি কলেজের সড়ক হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পদযাত্রাটি টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর-১, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা (আগারগাঁও), বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, এফডিসি, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল (শাপলা চত্বর), ইত্তেফাক মোড় এবং দয়াগঞ্জ রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে বিকেল ৪টায় ১৩ কিলোমিটারের পদযাত্রা শেষ হয়। এদিন বিএনপি ছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া দলগুলোও পালন করে এই কর্মসূচি। এর মধ্যে ছিল, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুধু ঢাকা মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে তারা। এদিন আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পদযাত্রা শুরু হবে। পরে বিমানবন্দর, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজার, বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাপাড়া, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ীতে (চৌরাস্তা) বিকেল ৪টায় ২৪ কিলোমিটারের পদযাত্রা শেষ হবে। রামপুরা ব্রিজে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি পদযাত্রায় যুক্ত হবে। পদযাত্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানার নেতাকর্মীকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সফল করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



আইলার ভয়াল দিনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।


ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।



আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।


এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


 অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।



প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



আরও খবর



পুঁজিবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভূক্তির নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে গতিশীলতার মাধ্যমে সার্বিক অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন। ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ডিএসইর দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির। কিন্তু নানা প্রচেষ্টার পরও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হতে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসই'র চেয়ারম্যান ড. হাসান বাবু বলেন, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতিতে গতি আসবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে, যা পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে এবং দেশের অথনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও গতিশীলতা আনতে সরকারের বিশেষ গুরুত্ব প্রতীয়মান হয়েছে। এজন্য তিনি সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী উল্লেখ করে ড. হাসান বাবু বলেন, দীর্ঘমেয়াদী মূলধন সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো পুঁজিবাজার। তাই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের পুঁজিবাজার সরকারকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

ডিএসই'র চেয়ারম্যান আরো বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পুঁজিবাজারকে অধিকতর গতিশীল করতে প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত সকল ধরণের উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী এবং তৈরী পোশাক খাতের গ্রীন ফ্যাক্টরীগুলো পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দেন। ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়িয়ে দেশের শেয়ারবাজারকে আরো শক্তিশালী করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগকে দায়িত্ব দেন। এজন্য সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সরকারি সংস্থা ও সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।


আরও খবর



নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

তরুণ ও যুব সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পর্নো গ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ জন সদস্যকে নওগাঁর আগ্রাদিগুন বাজার থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের অভিযানিক দল।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ২০ এপ্রিল নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নো গ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী ১। মোঃ মাসুদ রানা (২৮), পিতা-রায়হান কবীর, সাং-আওয়ালদিঘী, ২। মোঃ আতোয়ার হোসেন (৩৮), পিতা-মৃত তমিজ উদ্দিন, সাং-আওয়ালদিঘী, ৩। মোঃ নুরুজ্জামান (৩০), পিতা-নুর ইসলাম, সাং-উত্তর কাশিপুর, সকলের থানা-ধামুইরহাট, জেলা-নওগাঁ কে আটক করেন।

আটককৃতরা নওগাঁ জেলার ধামুইরহাটের আগ্রাদিগুন বাজারস্থ তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটার এর হার্ডডিস্কে অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত বলে জানিয়েছেন র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পেয়ে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি অভিযানিক দল ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজারস্থ পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারীদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নোগ্রাফি ব্যবসায়ীদেরকে আটক করেন।

পরে আটককৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই পরিপ্রেক্ষি‌তে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কালবৈশাখীর রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ জানান দিচ্ছে শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই। পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত চুলা। টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর সঙ্গে ভাঙল কালবৈশাখীর রেকর্ড। এই দাবদাহে ৪৩ বছরের মধ্যে চলতি মাসে সবচেয়ে কম কালবৈশাখী হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে ৯টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

এই এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ ছিল। গণমাধ্যমকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি। এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। এবার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গেল।

এই তাপপ্রবাহের মাসে বজ্রঝড় বা কালবৈশাখীর সংখ্যা গেছে কমে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ১৯৮১ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার গবেষণায়। এই ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে ৩৬৫টি বড় বজ্রঝড় হয়। সবচেয়ে বেশি ঝড় হয়েছিল ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে, ১৪টি। আর ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম চারটি করে ঝড় হয় এপ্রিলে।

গত বছরের এপ্রিলে বজ্রঝড় হয়েছিল সাতটি। ২০২২ ও ২০২১ সালে হয় যথাক্রমে নয়টি ও আটটি। আর এ বছর মাত্র একটি।

দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয় মে মাসে। এর পর আছে জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাস। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তাও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটিও অস্বাভাবিক।

এপ্রিল মাসে ঝড় কমে যাওয়ায় অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহকেই কারণ মনে করেন বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম সাইফুল ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, তাপমাত্রা বৈশ্বিকভাবে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ বছরের এপ্রিল ভারতে ১২২ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। আমাদের যে বায়ুপ্রবাহ তার সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উডিষ্যার সম্পর্ক আছে। এ সময় এসব অঞ্চলে সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প বজ্র মেঘের সৃষ্টি করে। কিন্তু এবার ভারতের ওই সব অঞ্চলেও প্রচণ্ড গরম পড়েছে। আর্দ্রতাপূর্ণ জলীয় বাষ্প জড়ো হয়ে বজ্র মেঘ সৃষ্টি করেনি। তাতেই এ বিড়ম্বনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এ অবস্থা দেখছি আমরা।


আরও খবর