Logo
শিরোনাম

আম পান্না তৈরি করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গরমে ঠাণ্ডা পানীয় পান করতে সবাই পছন্দ করে। এটি ক্লান্তি দূর করে। শরীরকে চাঙ্গা রাখে। তাপ কমাতে সাহায্য করে। এ সময় শরীরকে সতেজ করার জন্য আম পান্নার চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। এটি কেবল আপনার তৃষ্ণাই মেটায় না। বরং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার জন্যও এটি উপকারী। আম পান্নার অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। চিনি ছাড়া আম পান্নাতে ক্যালোরি কম থাকে। পুষ্টিতে ভরপুর থাকে।

চিনি যোগ করলে কাঁচা আমের টক ভাব কেটে যায়। তাই ওজন কমানোর জন্য আম পান্না গুড় দিয়ে বানাতে হবে। চিনি সহ আম পান্নাতে প্রায় ১০০ বা তার একটু বেশি ক্যালোরি থাকে।

ডায়েটিশিয়ান নাতাশা মোহন ওজন কমানোর-বিশেষ আম পান্নার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, স্বাস্থ্যকর এই আম পান্নাতে মাত্র ৫৫ ক্যালোরি রয়েছে। তাই ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলুন এই মজাদার পানীয়টি।

· এক গ্লাস আম পান্না তৈরি করতে, একটি কাঁচা আম নিন। এবার পানি দিয়ে প্রেসার কুকারে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আমটি সিদ্ধ করুন।

· এবার সিদ্ধ আমটি ঠাণ্ডা হলে কেটে নিন। একটি মিক্সার গ্রাইন্ডারে কিছু পুদিনা পাতা এবং বরফের টুকরো দিয়ে মিক্স করুন।

· এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিন। তারপরে এতে পরিমাণমত আনারদানা, জিরা গুঁড়া, গুড়, কালো গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে নেড়ে নিন। এবার এটি গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। উপভোগ করুন ঠাণ্ডা আম পান্না।


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রতারণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলা প্রায় দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হামিদুর রহমান শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান। তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। প্রতারক হামিদুর রহমানের বিচার দাবি করেছেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের মধ্যপলাশতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান ২০১৯ সালে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রত্যেকের কাছে থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার করে টাকা নেন। পরে তাদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয়পত্র ও সনদপত্রও দেন তিনি। “ঘরে ঘরে জাগ্রত করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এমন স্লোগান সংবলিত ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর ব্যানারে একটি করে ভুয়া সার্টিফিকেট দেন প্রতারক হামিদুর রহমান। কিন্তু এসব সনদ যাচাই করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন, এগুলো আসলে ভুয়া। এরপর তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে হামিদুর রহমান নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ভুক্তভোগীদের মামলা হামলার ভয়ভীতি দেখান। এই ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠক হলেও কোন শালিস বৈঠক হলেও টাকা ফেরত দেননি হামিদুর। গত এক সপ্তাহ আগে নাশকতা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। হামিদুর রহমান নাশকতা মামলায় বর্তমানে জামালপুর জেল হাজতে রয়েছেন। এছাড়াও হামিদুরের বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে হামিদুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার শিকার ইসমাইল হোসেন,হাসমত আলী,খলিলুর রহমান,জমিলা বেগম ও আবেদন বেগমসহ অনেকের অভিযোগ করেন।  

প্রতারণার শিকার হাছেন আলী বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নেয়। সে বলেছিল সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভাতা পাবেন। কিন্তু কোনো সুবিধা পাচ্ছিই না। এখন বুঝতে পারছি সে প্রতারণা করছে। যে সার্টিফিকেট দিয়েছে সেটা ভুয়া। তাই হামিদুরের প্রতারণার বিচার চাই।

প্রতারণার শিকার মো. আবদুস সামাদ বলেন,সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মাসে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে হামিদুর আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। আমি ছাগল বেচেঁ তাকে টাকা দেই। পরে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এখন সে টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। আমরা তার শাস্তি চাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,হামিদুর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তার বেয়াই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকার কারনে তিনি দাপট দেখিয়ে চলতেন। অন্যের জমি দখল ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে প্রায় ২ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই হামিদুর। একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হয়েও মানুষের সাথে প্রতারনা করেছেন তিনি। তাকে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানান তারা।

হামিদুর রহমান কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী বলেন, একটা প্রতারক চক্র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আসলে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা বলতে কিছু নেই। যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান,এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের ধাওয়া, ট্রাক উল্টে এক ডাকাত নিহত, দু'জন আহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডাকাতী করে পালিয়ে যাওয়ার সময় থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের ধাওয়ায় ডাকাতবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে একজন ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দু'জন ডাকাত। পুলিশের তারা খেয়ে পালাতে গিয়ে ট্রাক উল্টে ডাকাত নিহত ও আহতের ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টারদিকে নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর নামক এলাকায়। এরপূর্বে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতী করে পালিয়ে যাবার সময় মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ডাকাতবাহী ট্রাকের পিছু নেয়। এমনকি রাত সারে ৩টারদিকে চৌমাশিয়া বাজারে সড়কের উপর পুলিশ বালুবাহী ট্রাকদিয়ে বেরিকেট দিলে ডাকাতবাহী ট্রাকটি সেই বেরিকেট পারিদিতে গিয়ে একটি বিদ্যুতের পোল ভেঙ্গে ও ফুটপাতে থাকা ৪ দোকানের উপর দিয়ে ট্রাকনিয়ে দ্রুত গতিতে নওগাঁর দিকে পালাতে থাকে। এসময় তাদের পিছু নেয় মহাদেবপুর থানা পুলিশ পাশাপাশি নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পুলিশের তারার মুখে দ্রুত গতীতে পালাতে গিয়ে নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর নামক এলাকায় ডাকাতবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ডাকাত নিহত হয়। এছাড়া দু'জন ডাতাত আহত হয়। আহত দু'জন ডাকাতকে পুলিশ আটক করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় সংবাদ সংগ্রহকালে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আহত দু'জন ডাকাতের নাম হলো, মাছুম (৩২) ও রুবেল (৩১)। তারা দু'জন পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের আর,এম,ও ডাক্তার আবুজার গাফফার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতীর চেষ্টাকালে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী বেরিয়ে এলে ডাকাতরা ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এখবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ, নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ এবং নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ডাকাতদের বহনকারী ট্রাকটিকে ধাওয়া করে এবং চৌমাশিয়া বাজার সহ ৬টি স্থানে বেরিকেট দেয়। কিন্তু ডাকাতবাহী ট্রাকটি সব বেরিকেট ভেঙ্গে পালিয়ে যাবার সময় নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় পৌছার পরই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জন ডাকাতকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক জনের মৃত্যু হয়।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই মহাদেবপুর ও নওগাঁ সদর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ অভিযানে নামেন। অভিযানে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাও অংশ নেয়।হতাহতদের নাম পরিচয় এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তারা কৌশল হিসেবে একে অপরকে চিনিনা বলছিল। আহত দু'জন ডাকাত কে পুলিশি হেফাজতে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে এছাড়া নিহত ডাকাতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা বলেন,

যেহতু ডাকাতীর ঘটনাস্থল মহাদেবপুর থানা এলাকায় এজন্য মহাদেবপুর থানাতেই মামলা হবে। তিনি আরো বলেন, যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। ডাকাতদের ওই ট্রাক থেকে একটি গরু ও দুটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ  প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৮৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলায় ৫৮৫ সদস্যের কমিটি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে আল তৌফিক লিখনকে আহ্বায়ক ও রাইয়ান বিন কামালকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। রোববার (২ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কমিটি প্রকাশ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল কমিটির অনুমোদন দেন। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে খালেদ সাইফুল্লাহকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিকে সিনিয়র যুগ্ম-সদস্যসচিব, শাহরিয়ার দিপুকে মুখ্য সংগঠক ও সাকিবুল ইসলাম রায়হানকে মুখপাত্র করা হয়েছে । এ ছাড়া যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে, গোলাম রাব্বি রিশব ,মিরাজ আহমেদ রনি ,সামির আব্দুস সালাম ,পিয়াল মাহমুদ অনিক ,ইমামুল হক মেশকাত ,তানজিলা আক্তার অরভি ,মাইশা মেহজাবিন ,তাসনিয়া তানহা ,তাসফিয়া আকন ,মাহাদি সাকিব ,অর্না ,আজিজুল হক ,মোঃ মেহেরাব হোসেন ,সাব্বির আহমেদ ,মেহেদী হাসান ,নাঈম হোসেন সংগ্রাম ,নাইম মাহমুদ ,বাইজিদুর রহমান শান্ত ,শাহিনুর রহমান রাজু ,তাসকিন তাবাসসুম মাইশা ,শফিউল আলম নাহিদ ,আব্দুল্লাহ আল হাদি গোলাম রাব্বি রিশব, অনুম ,সাকিবুল ইসলাম ,নওশীম আঞ্জুম রোহান ,আল শাহরিয়ার নিবির ,মুক্তা ,মুনায়েম ,পলাশ ,সিনথিয়া রিধি। 


আরও খবর



আরেফিন স্যারের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শরিফুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক উপাচার্য যিনি প্রায় পাঁচ দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন, অধ্যাপনা করেছেন আজকে তাঁর জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়, এক ধরনের ফ্যাসিজম। যে কারণেই হোক যাদের কারণেই হোক এই যে স্যারকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হলো না তাতে স্যারের কিছু যায় আসে না কারণ স্যার সবকিছুর উর্ধ্বে। এই ঘটনায় ছোট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছোট হয়েছে। 

আরেফিন স্যারের পরিবার বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহকর্মীরা চাইলে মর্যাদার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। যাদের কারণে যাদের ব্যর্থতায় যাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বাধায় সেটি হলো না এবং একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি হলো আল্লাহ তাদের বোধ দিক! 

যারা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধা ছিল না তাদের কাছে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন পরিবারকে বললো না আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। এখনো দাফন হয়নি। তারা বলুক আরেকটা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক। অন্তত দাফনের আগে দায়িত্ব নিয়ে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে সম্মান দিক! কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাবেক উপাচার্যের জন্য তা করছে না? 

সাংবাদিকরা যখন বর্তমান উপাচার্যকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন কেন তিনি উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন? আমি নিশ্চিত করে বলছি গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবার সাথে কথা হয়েছে। কেউ দায়িত্ব নেননি বরং নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।

যাই হোক, এসব কথা বলে লাভ নেই। স্যারের পরিবার ভীষণ বিনয়ী। আরেফিন স্যরের জানাজার নামাজ বাদ জু'মা ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে ( সড়ক ৬/এ) হবে। এখানেই বিভাগ, অ্যালামনাই, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভাগের ব্যাচগুলোর পক্ষ থেকে স্যরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর আগে স্যরের পারিবারিক বাড়ির (১, নর্থ রোড) কাছে, ভুতের গলি বাইতুল আকসা মসজিদে  সকাল এগারোটায় আরেকটি জানাজার কর্মসূচি হয়েছে।

আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ব্যক্তি আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকালে সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কিংবা মনিরুজ্জামান মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা পড়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ভিন্নমতের মানুষসহ সবার প্রতি তিনি অমায়িক ছিলেন। সবার পাশে থাকতেন। 

এই দেশে এমন মানুষ পাওয়া বিরল যিনি বলতে পারবেন আরেফিন স্যার কারো সাথে কোনদিন কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি তো বলবো শুধুমাত্র অমায়িক ব্যবহার বা ভালো আখলাকের কারণে আরেফিন স্যার আল্লাহর রহমতে জান্নাতবাসী হবেন। 

আবারো বলি, গত ২৪ বছর ধরে স্যারকে দেখেছি। এমন বিনয়ী শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য শিক্ষক এই দেশে খুব বেশি আছে বলে দেখিনি। দিন রাত সবসময় একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল হোক তিনি যেই আদর্শের। এমন কোন মানুষ নেই যার সংকটে তিনি পাশে থাকেননি। 

স্যারকে প্রথম দেখি ২০০১ সালের মার্চে। এরপর গত ২৪ বছরে কখনো স্যারের সরাসরি ছাত্র, কখনো সাংবাদিক, কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, কখনো অভিভাবক হিসেবে স্যারকে পেয়েছি‌।‌ স্যারের সেই সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে শুরু করে টিচার্স ক্লাব, উপাচার্য কার্যালয়, উপাচার্য বাংলো, টিএসসি নানা জায়গায় নানা পরিচয়ে স্যারকে দেখেছি‌। সবসময় সবাইকে তিনি মানুষ হবার কথা বলতেন!

দেখেন এক জীবনে তো কম মানুষ দেখলাম না। উপাচার্য বলেন, শিক্ষক বলেন, মানুষ বলেন, অভিভাবক বলেন  এই যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন অন্তঃপ্রাণ শিক্ষক বিরল! সত্যি বলতে তাঁর ব্যক্তিগত কোন জীবন ছিলো না। বলতে গেলে পুরো জীবনটা অন্যের জন্য কাটিয়েছেন।‌ যে কেউ যে কোন সংকট নিয়ে গেলে তিনি শুনতেন।‌ সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। 

স্যারের ছাত্র ছাত্রী কিংবা স্যারকে সামনাসামনি দেখেছে এমন মানুষদের জিজ্ঞেস করলেই জানবেন কতোটা শিক্ষার্থী অন্তঃপ্রাণ তিনি ছিলেন। আমার সাথে স্যারের সম্পর্কটা সবসময় দারুণ ছিলো কারণ সম্পর্কটা নিঃস্বার্থ ছিলো।‌ আমি বলবো, এই দেশে তাঁর চেয়ে ভালো একাডেমিসিয়ান থাকতে পারেন কিন্তু শিক্ষার্থী বান্ধব এমন শিক্ষক এমন অভিভাবক এমন উপাচার্য বিরল! আমি অন্তত পাইনি। 

আমাদের সেই স্যার গতরাতে চলে গেলেন। আজকে বাদ জুমা জানাজার নামাজ শেষে স্যরের মরদেহ রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরে দাফন করা হবে। আল্লাহ আমাদের স্যারকে জান্নাতবাসী করুন। অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যার আপনার জন্য! আপনি বেঁচে থাকবেন হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এরমাধ্যমে দেশটিতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্কি কার্নি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন  ।

রবিবার (৯ মার্চ) রাতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে নতুন দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। আর নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীও হবেন। দলীয় প্রধান হতে মোট চারজন প্রার্থী লড়েছিলেন। সেখান থেকে মার্ক কার্নি নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি এমন সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হওয়ার পরই কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডিয়ান পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে ‘নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কার্নি। তিনি বলেছেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সবসময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের, কোনো ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলার মতো বাণিজ্য লড়াইয়েও কানাডা জিতবে।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডেকেছেন তিনি। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাব কিছুটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত মার্ক কুর্নি। তিনি বলেছেন, “আমেরিকা কানাডা নয়। এবং কানাডা কখনো, কোনোদিন কোনোভাবে আমেরিকার অংশ হবে না।

সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, এ সপ্তাহের যে কোনো একদিন কানাডার গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করবেন মার্ক কার্নি। কানাডার গভর্নর জেনারেল যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিনিধি। নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি এপ্রিলের শেষ দিকে কানাডায় নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন।

গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রিত্ব ও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। এমন সময়ই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।


আরও খবর