Logo
শিরোনাম

আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন রাঁচির একটি আদালত। জালিয়াতি ও চেক প্রতারণার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।

আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সহযোগী ক্রুনালের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে এই প্রতারণার মামলা করেছিলেন রাঁচির বাসিন্দা প্রযোজক অজয় কুমার সিং। তার অভিযোগ, আমিশা তাকে দেশি ম্যাজিক নামের একটি ছবির জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে বলেন। তিনি ছবিটি নির্মাণ ও প্রচারের জন্য আমিশার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আড়াই কোটি রুপি স্থানান্তর করেছিলেন। ২০১৩ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি।

প্রযোজক অজয় কুমার সিং মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমিশা ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার আশ্বাস দিয়েছিলেন- ছবিটি শেষ হওয়ার পরে সুদের সঙ্গে তিনি (অজয়) আসল ফেরত পাবেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে অজয়কে আড়াই কোটি ও ৫০ লাখ রুপির ২টি চেক দিয়েছিলেন আমিশা। কিন্তু চেকটি বাউন্স করে। এরপরই আমিশা ও ক্রুনালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জানা গেছে, এই মামলায় সমন পাঠানো সত্ত্বেও আমিশা কিংবা তাঁর আইনজীবী কেউই আদালতে উপস্থিত হননি।

তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আমিশার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।


আরও খবর



মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এটি সবার জন্যই ক্ষতিকর। এতে ছোটদের মধ্যে বাড়ছে চোখের সমস্যা। বড়দেরও জীবনযাত্রায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চেষ্টা করছেন স্ক্রিন টাইম কমাতে কিন্তু পারছেন না। সেক্ষেত্রে থেরাপিস্টদের কিছু পরামর্শ মাথায় রাখতে পারেন।

১. মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। জীবনধারার যে কোন পরিবর্তন আনতে এটাই হল চাবিকাঠি। অনেকেরই রাত জেগে সিরিজ দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করা অনেকটা নেশার মতো। একাকীত্ব কাটাতেও অনেকে রাত জেগে সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ার। সেক্ষেত্রে নিজেকে কাছেই নিজে প্রশ্ন করুন- যা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য ঠিক কিনা। তাহলে নিজেকেই অনুপ্রাণিত করতে পারবেন এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।

২, স্মার্টফোনের গ্রে-স্কেল সেটিংস পরিবর্তন করুন। থেরাপিস্টরা মনে করছেন ফোনের রঙিন আলো অনেক সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে।

৩. ফোনের নোটিফিকেশন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করে রাখুন। এতে মেসেজ এলেই ফোন দেখার অভ্যাসটা কমে যাবে।

৪. অফিসের কাজের ফাঁকে, পড়ার ফাঁকে, এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকের ফোন দেখার অভ্যাস আছে। নিজের সীমানা নিজেই ঠিক করুন। অল্প সময়ের বিরতিতে বরং চেষ্টা করুন কিছু এক্সারসাইজ করতে। এতে উপকার পাবেন।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার সময় নিজের কাছ থেকে মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট দূরে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই মোবাইলে চোখ রাখবেন না। সে সময়টা ধ্যান বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন।

৬. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ স্মার্টফোন থেকে মুছে ফেলুন। ওই সময়টা বই পড়া, গান শোনা বা কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা চর্চা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক বিষয়ে কর্মশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনায় কৃষিপ্রতিবেশ,জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর অনলাইন ও নাগরিক সাংবাদিক নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


গত ২৭-২৮ মার্চ জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুরে বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারে গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড ইউ এস এ আর্থিক সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপ্তী এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।


নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া,আটপাড়া,নেত্রকোনা সদর,মোহনগঞ্জ,কলমাকান্দা,পূর্বধলা ও মদন উপজেলার  ২৫ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক,

সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারসিক নেত্রকোনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান।


কর্মশালায় সাংবাদিকরা নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ,ফসলবৈচিত্র্য,নদী,হাওর,জলাধার,গাছ,মাছ,প্রাণিসম্পদ, মাটি,পানি,বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা  অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। 


আলোচনায়‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি—দর্শন, অনুশীলন—চচার্ এবং জনআন্দোলনের বিষয়,জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ,কৃষি ফসলের ক্ষেত্রে সংকট,বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত বিপর্যয়   বিষয়গুলো উঠে আসে। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকে বেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।


আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার  সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী, জলাধার গুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।


সংবাদকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি,কৃষি,জলাভূমি, বিল গাছ,মাছ,মাটি পানি বায়ুর সংকটগুলো তুলে আনেন এবং প্রত্যেকেই এলাকার বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে লিখে উপস্থাপন করেন। এলাকার পরিবেশগত সংকটগুলো সমাধান করলে ও চর্চা করলে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সুরক্ষিত হবে। কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষিত হবে বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে এবং  কৃষকের খাদ্যসার্বভৌমত্বও নিশ্চিত হবে। 


আরও খবর



চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

অস্থির চালের বাজার। দাম বাড়ছেই। সারা দেশে অভিযান, জরিমানা, শুল্ক ছাড়ের পরও নিয়ন্ত্রণে নেই চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এসব পদক্ষেপকে পাত্তাই দিচ্ছে না অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা।

গত সপ্তাহে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। এদিকে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ ও জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে সরকার।

আগামী পয়লা বৈশাখ থেকে সরু চাল, চিকন চাল, মোটা চাল এসব থেকে বের হয়ে জাতভিত্তিক চালের দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একই সঙ্গে মৌসুমভিত্তিক উৎপাদন খরচ নির্ধারণে মিলার, পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বৈঠক করে এটা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেব। পয়লা বৈশাখ থেকে তা কার্যকর হবে।

এদিকে দাম বাড়ানো নিয়ে একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মিলারদের দুষছেন খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, রোজার সময় বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক থাকার কথা। তাদের দাবি, কোনো কারণ ছাড়াই মিলগেটে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। ৮-১০ দিন আগে এ দুই জাতের চালের দর ছিল যথাক্রমে ৫২ থেকে ৫৪ ও ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। একই সময় চিকন বা মিনিকেট চালের কেজি ছিল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা, ভোক্তাদের এখন কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা দরে। দেখা যায়, এ তিন জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।

রাজধানীর মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আবুল কালাম। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দনি যে হারে বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। তাই আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে। রোজার শুরুতে আটাশ চাল কিনেছি ৫৪ টাকা। ২০ দিন পর একই চাল নিতে হলো ৫৮ টাকায়।

অপরদিকে দালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, ধান সংকটের কথা। দায়ী করছেন মৌসুমি মজুতদারদের। তাদের অভিযোগ কৃষকের কাছ থেকে কম দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ধান কিনে রেখেছেন। ফলে কৃষকের কাছে ধান নেই। মজুতদারের কাছ বেশি দামে থেকে ধান কিনতে বাধ্য হচ্ছেন মিলাররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মিল পর্যায়ে চালের কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসের তুলনায় বাজারে এখন সব ধরনের চালের দাম বেশি।

সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি চিকন চাল ৬৮ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ ও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসের এ সময় চিকন চালের কেজি ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ থেকে ৫৬ ও মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে গত এক মাসে এ তিন ধরনের চাল কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন আরও বলছে, শতাংশের হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, মাঝারি চালে ৬ দশমিক ৪৮ এবং ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দাম বেড়েছে চিকন চালের দাম।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৬ মার্চ, মঙ্গলবার বিকেলে, স্থানীয় একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে। এতে প্রবাসী সাংবাদিকরা ছাড়াও কম্যুনিটির ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি পলাশ রহমান বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। বহু প্রাণ ঝরিয়েছি। ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার মুখে পড়েছি। আমরা জানি স্বাধীনতার জন্য কতো ত্যাগ করতে হয়। কতো বিসর্জন দিতে হয়, কিন্তু ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামীদের ত্যাগ, তাদের উপর চালানো ইজরায়েলের গণহত্যা আমাদের স্তম্ভিত করেছে।

তিনি বলেন, রমজান মাস মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এ মাসকে মুসলমানরা এবাদতের মাস হিসাবে পালন করেন। কিন্তু এই পবিত্র মাসেও রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনির মজলুম মানুষরা। ইজরায়েল তাদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষকে তারা হত্যা করেছে। বৃষ্টির মতো বোমা ফেলে ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। দেড় শতাধিক ত্রাণ কর্মী এবং সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে। তারা গাজায় ত্রাণ ঢুকতে বাঁধা দিচ্ছে। ক্ষুধাকে অস্ত্র বানিয়েছে। যা পৃথিবীর জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম। 


পলাশ রহমান প্রশ্ন তুলে বলেন, আর কতো মানুষ মরলে, কতো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে বিশ্ববিবেক জাগবে? আর কতো শিশু, নারীর রক্ত ঝরলে আরব নেতাদের টনক নড়বে?

তিনি বলেন, হিটলার, মুসলিনিদের চেয়েও ভয়ঙ্কর দানব নেতানিয়াহুকে থামানোর মতো কী কেউ নেই বিশ্বে? যদি না থাকে আমরা কিভাবে এই বিশ্বকে একটি সভ্য বিশ্ব বলতে পারি!

পলাশ বলেন, পশ্চিমা নেতারা মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে তারা পছন্দ করেন। তাদের মুখে এখন আর মানবতার কথা মানায় না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে। তারা এক দিকে মানবতার কথা বলেন, অন্যদিকে নিরীহ মানুষ হত্যা করতে অস্ত্র সরবরাহ করেন।

তিনি বলেন, দানব ইজরায়েলকে থামতে হবে। তাদের রক্ত পিপাসার লাগাম টানতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন গড়তে হবে। অন্যথায় বিশ্বে এক ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পৃথিবী এক মহাযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে। যা আমাদের সবার ধ্বংস ডেকে আনবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মানবাধিকার বিষয়ে ইতালিয় ভাষায় প্রবন্ধ পাঠ করেন ভেনিসের সাবেক রাজনীতিক বেল্লাতো জাকমো এবং বিশ্ব শাক্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, হাফেজ, মাওলানা আবদুস সালাম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মৃতপ্রায় গণতন্ত্র বিষয়ে বক্তৃতার শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত করেন, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শাইখ আহমেদ। বক্তৃতা করেন, উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহসভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আকতার হোসেন বেপারী, স্থানীয় পৌর কমিশনার (বাংলাদেশি বংশউদ্ভূত) আফাই আলি, ভেনিস বাংলা স্কুলের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, আওলাদ হোসেন অন্তু, প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহসভাপতি সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, দপ্তর সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টগর, ফাহিম হোসেন মুন্না ও আনোয়ার হোসেন।


আরও খবর



বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঈদ মানে আনন্দ, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে সময় কাটানো। ঈদ মানে প্রিয় খাবার খাওয়া। তবে দেশ ভেদে ঈদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। আর এই খাবার গুলোই সেদেশের ঈদ আনন্দে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই

দক্ষিণ এশিয়ায় সেমাই


বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশে ঈদুল ফিতরের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো সেমাই। চাল বা গম থেকে তৈরি এক প্রকার সরু নুডলস যা রান্না করা হয় দুধ ও বাদাম যোগে। দেশ ভেদে যদিও এর নামে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। এই যেমন ঘন দুধ দিয়ে রান্না করা সেমাইকে পাকিস্তানে বলা হয় শির খুরমা।

রাশিয়ার খাবার মানতি


মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার নাম। এখানকার ১৫ শতাংশ অধিবাসী মুসলিম। রাশিয়ায় ঈদের দিনে তাদের অনেকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার - মানতি। সহজ কথায় যাকে আমরা মোমো বা ডাম্পলিং বলে চিনি। মাখানো আটার পুটুলির মাঝে থাকে ভেড়া কিংবা গরুর মাংসের কিমার পুর। এরপর তা ভাপে সেদ্ধ করা হয়। মাখন আর ক্রিমের সাথে এই ডাম্পলিং পরিবেশন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানতির রেসিপিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন ঈদের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কোনটি? সবাই একযোগে জবাব দেবে- মানতি

চীনে জনপ্রিয় শানজি-



চীনের বেশিরভাগ মুসলিমদের ঈদের দিনের খাবার হিসেবে প্রিয় খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী শানজি। ৩০ লাখ মুসলিমের এ দেশে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শানজিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।

ময়দার লেই দিয়ে মোটা করে নুডুলস বানিয়ে তা ভাজা হয় ডুবো তেলে। এরপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে অনেকটা মোটা চানাচুরের মতো। চীনের মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর মুসলিমদের খুবই জনপ্রিয় খাবার এটি। ঈদের আগে তাদের দোকানে গেলেই দেখা মিলবে মুচমুচে শানজির।

মধ্যপ্রাচ্যের খাবার মাখন কুকিজ


মোটা বিস্কুটের মাঝে খেজুরের পেস্ট, আখরোট কিংবা পেস্তা বাদামের পুর দিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাখন কুকিজ। ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় হালকা চিনির গুঁড়ো। পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে বিশেষ এই কুকি খুবই জনপ্রিয়। একই খাবার সিরিয়ায় পরিচিত মামুল নামে, ইরাকে একে বলা হয় ক্লাইচা আর মিশরে এর নাম কাহাক

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেটুপাট


ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ আয়োজনে রাখা হয় নানা ধরনের মুখরোচক মিষ্টি। এর পাশাপাশি থাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কেটুপাট। পাম গাছের পাতায় মোড়া এক ধরনের চালের আটার পিঠা এটি। পরিবেশন করা হয়, মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সাথে (ওপর আয়াম- নারকেল দুধ দিয়ে রান্না মুরগি অথবা সাম্বাল গোরেং কেনটাং- বিফ এবং আলুর ডিশ)।

ব্রিটেন জুড়ে বিরিয়ানি


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের মুসলিমদের কাছে ঈদের দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এখন বিরিয়ানি। চাল, মাংস এবং সবজি দিয়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারের সাথে থাকে দৈ এবং পুদিনার চাটনি।

ব্রিটেনে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু অনেকটা আমরাই। এখানকার জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত।

সোমালিয়ায় জনপ্রিয় কামবাবুর

পাতলা রুটি বা প্যানকেকের মত দেখতে খাবারটি সোমালিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। মাংস বা সবজির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্যানকেক। খাওয়া হয় চিনি আর দই দিয়ে। ইথিওপিয়ায় এটির নাম ইনজেরা।

বসনিয়ার তুফাহিজা

বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।

বার্মাতে শাই মাই ঈদ

বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন

ভারতে শের খুরমা


ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।

লেবাননের মামুল

লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।



তুরস্কে লোকুম

হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।

এই খাবারগুলো কোনটি কি আপনি খেয়েছেন? সময় করে বানিয়ে দেখতে পারেন ভিনদেশি খাবারগুলো।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪