Logo
শিরোনাম

আস্থাভোটে আনোয়ার ইব্রাহিমের জয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে আস্থাভোটে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

গত মাসের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমের পর জোট সরকার গড়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। তবে ক্ষমতা পোক্ত করতে তাকে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পাস করার প্রয়োজন দেখা দেয়। পার্লামেন্টের ২২২ আসনের নিম্নকক্ষে বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। উপপ্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ফাদিল্লাহ ইউসুফ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। পরে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীপক্ষের ১২ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের কণ্ঠভোটে উতরে যান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার। এ সময় জোটসঙ্গীরাও তাকে সমর্থন দেন। 


আরও খবর



কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে। মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। এভাবে চির নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে।

আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি। তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৬২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার জন্মদিনের। তবু বাঙালি মানসে এখনো তিনি দিবাকরের মতো সমান সমুজ্জ্বল, তার কিরণ এতটুকু ম্লান হয়নি।

প্রতি বছরই এ দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু আমাদের নতুন করে দিয়ে যায় আত্মপরিচয়ের তাগিদ। আত্মশক্তির উদ্বোধনের আহ্বান, মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার বারতা। কালবৈশাখীর মত্ত মেখে বন্ধহীন বেগে। অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝপানে এক দিন তুমি এসেছিলে এ লিখিলে নব মল্লিকার গন্ধে, সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবন-হিল্লোল-দোল ছন্দে, খামলের বুকে। সেই যে নূতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি, এসেছি জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে। হে নূতন, দেখা দিক্ আবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।

জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছেন, খ্যাতির কলরবমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে, সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজন স্তব্ধতায় শান্তিতে।

রবীন্দ্রমোদীরা মনে করেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছেন, তাতে এই ভাষা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সব ভাব-অনুভূতির প্রকাশ এবং নির্মল হাস্য-কৌতুকের বাহন হতে সমর্থ হয়েছে। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, গায়ক ও চিত্রশিল্পী। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বভারতী তার বিপুল কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কীর্তি। অনেকেই মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। একইভাবে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নেওয়া বাংলা গদ্যকেও তিনি চূড়াস্পর্শী সাফল্য দান করেন।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তিনিই প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক।

রবীন্দ্রসাহিত্য, বিশেষত রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তার গানই (আমার সোনার বাংলা) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার অনেক গান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও খবর



চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার করায় হলুদ সাংবাদিক রাশেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিক সেজে ''জেএসআর'' চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপে অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত টায়ায় সাংবাদিক মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি উখিয়ার কোর্ট বাজার অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন 'জেএসআর' স্টুডেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দীন।

এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য'তে বলেন, মোহাম্মদ রাশেদ (প্রকাশ টায়ার রাশেদ) গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে আমাদের শপিংমলে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্লাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের হুমকী দিয়ে ফিরে যান। পরে একইদিন রাত ১টায় আমাকে টাকা নিয়ে তার ধুরুমখালী অস্থায়ী অফিসে আসতে বলেন। আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে আবারো টাকা দাবি করে একটি স্যাম্পল অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে বলে মেসেজ করে হুমকী দেন। যার স্কিনসর্ট আপনারা দেখেছেন। চাঁদার টাকা দাবী করার মেসেজটি সে নিজে ডিলিট করে দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় রাশেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করলে আমি উখিয়ার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং রাশেদ নামের কোন গণমাধ্যম কর্মী উখিয়াতে নাই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্টান চাঁদা দাবির সব তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন, কিছু অপসংবাদিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাশেদ তার নিজস্ব গণমানুষের দর্পন নামের একটি অনুমোদনহীন ভুয়া নিউজ পোর্টালে আমাদের নামে মিথ্যা, ভূয়া, ভিত্তীহীন গুজব প্রচার করে আমাদের প্রতিষ্টানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার কারী ভুয়া সাংবাদিক রাশেদ যে ১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা অডিট রির্পোট বলে প্রচার করেছে সেটির কোন সত্যতা নেই।

১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে আমার কাছে সব গুলো ডকুমেন্টস আপনারা দেখেন। এই ব্যয় গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়েছে। এইটাকে দুর্নীতি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সকল ভিত্তিহীন বিষয়ের কর্ণপাত না করে বিচলিত না হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় এক মাস আগে সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় জাহাজটি। এর আগে, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় জাহাজটি নোঙর করবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

দুই মাস আগে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাস পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ঐ জাহাজ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়েলার হক আইনুল, শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে।

এছাড়াও আরো আছেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ, খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল, ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির, নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম, নেত্রকোনার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন, নাটোরের অর্ডিনারি সীম্যান মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে বুধবার (১৫ মে) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩ টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে, একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

 


আরও খবর



কাওরানবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


রাজধানীর কাওরানবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটসহ স্থানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।


শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে আগুনের খবর পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


প্রদ্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃষ্টিভেজা সকালে হঠাৎ করেই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে কাওরানবাজার। লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে একটি টিনশেড রুম থেকে ধোঁয়া দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলের ওই জেনারেটর রুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত।


আগুন লাগার খবরে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে একে একে আরও ইউনিট কাজে যুক্ত হয়।


আরও খবর



শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে সবশেষ ফলাফল যা বলছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইন:

প্রশাসন ও ইসির সাথে বিরোধে জড়িয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই এড. জামিল হাসান দুর্জয়।


ইসির মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণার বিরুদ্ধে তিনি গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন,চেম্বার জজ আদালতে যার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে রোববার বিকেল ৩ টায়।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সকল মানুষের দৃষ্টি এখন আগামিকালের রায়ের দিকে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় তার পক্ষে আসার সম্ভাবনা কম।কারন তিনি ইসি ও স্থানীয় প্রশাসের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন এবং তার নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের শক্ত প্রমান রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

অনেকে বলছেন, রায় তার পক্ষে যাবে। তবে তার পক্ষে গেলেও তা তার কোন উপকারে আসবে না।যদি রায় পক্ষেও যায় তবে ইসি লীভ পিটিশন দায়ের করতে পারেন।গড়াতে পারে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত।কারন হিসেবে তারা মনে করছেন, ইসি ও প্রসাশন দুর্জয়ের বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বারবার আইন ভাঙার কারনে সংঘটিত যে বিরোধ তাতে নাখোশ তারা।

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শুক্রবারও চষে বেড়িয়েছেন।তার এ একগুয়েমি ও আইন না মানার ঐদ্ধত্যকে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন ভাল চোখে দেখছে না।ফলে রায় তার পক্ষে গেলেও প্রশাসনের মানসিকতা তার পক্ষে যে থাকবে না তা প্রতিটি ভোটার তা অনুধাবন করতে পারছেন।

এছাড়াও প্রার্থিতা বাতিলের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভোটারদের উপর পড়েছে এবং রোববারের রায় পক্ষে গেলেও তিনি আর প্রচারণায় আসতে পারছেন না, প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার কারনে।

বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচনী মাঠ তার জয়ের পথে অনুকূলে ছিল কিন্তু অরাজনৈতিক আচরনের কারনে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্ত থাকা জয়কে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে দুর্জয়ের প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিএ কে ভাগ্যবান মনে করছেন অনেকেই।ভাগ্য তার সহায় হয়েছে বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ।তারা বলছেন, দুর্জয় নিজের সর্বনাশ নিজে না করলে জটিল হত আব্দুল জলিলের জয়কে স্পর্শ করা।

এদিকে জলিলের প্রচারণার একটি গাড়ি বহরে একজন শিশু পৃষ্ট হয়ে তেলিহাটিতে মৃত্যুবরণ করায় ইসি আজ সকাল ৯ টায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য গ্রহন করেছে।তার বক্তব্যে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন সন্তুষ্ট কি না বা এ ব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ নেয় তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা, ভোটার, নানা ধরনের জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যদি দুর্জয় প্রার্থিতা ফিরেও পায় তবুও ৬৫% থেকে ৭০% ভোট জলিল ও ৩০% থেকে ৩৫% ভোট জামিল হাসান দুর্জয় পেতে পারেন।অথচ দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের আগে এই চিত্র ছিল উল্টো।

জানা গেছে, এখানকার ভোটাররা চেয়ে আছেন উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে।আদালতের রায় দুর্জয়ের দিকে গেলে উল্লেখিত ভোটের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।আর আদালতের রায়ে যদি ইসির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে এবং কোন পক্ষ যদি আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে শ্রীপুরের নির্বাচনটি হয়ে পড়বে একপেশে, প্রতিদ্বন্দিতাহীন।সেক্ষেত্রে আব্দুল জলিল বিএ দ্বিতীয়বারের মত নিশ্চিতভাবেই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

তিনি নির্বাচিত হলে এখানে তৃতীয় ধারার রাজনীতির সূচনা হবে।সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ও প্রয়াত এমপি এড রহমত আলী পরিবার রাজনৈতিক সংকটে পড়বেন।নির্বাচন পরবর্তি এখানকার ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য হারারেন ক্ষমতাসীনরা।তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাবে বর্তমানের দুই শক্তিতেই ফাটল ধরবে।টার্নিং পয়েন্টে এসে দাড়াবে রাজনীতি।

আর যদি রোববারের রায়ের বিপক্ষে কোন পক্ষই যদি আর আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে নির্বাচনটি ২১শে মে অনুষ্ঠিত হবে।তবে কোন এক পক্ষ যদি রোববারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়ে পিটিশন দায়ের করেন তবে ২১ মে'র অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করা হতে পারে,এমন সম্ভবানাও রয়েছে বলে অভিমত রয়েছে।


আরও খবর