Logo
শিরোনাম

বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সাইবার নিরাপত্তায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। অন্যদিকে হামলাকারীরা নতুন সব মাধ্যমে আক্রমণ চালাচ্ছে। বর্তমানে কিউআর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে আক্রমণের হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। খবর টেকটাইমস।

সাধারণত কিউআর কোডে কোনো ওয়েবসাইট, পরিষেবা বা অনলাইনে থাকা তথ্যে প্রবেশ করা যায়। কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে বা পরে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এর অপব্যবহার করছে সাইবার অপরাধীরা। এ কারণে অনিরাপদ কিউআর কোডের বিস্তৃতি ও ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছে এফটিসি।

সম্প্রতি ভোক্তা বা ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কতামূলক ব্লগ পোস্ট দিয়েছে এফটিসি। সেখানে ক্ষতিকর কিউআর কোডের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। পাবলিক প্লেস বা যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে হ্যাকাররা এসব কোড ছড়িয়ে দিচ্ছে। স্ক্যামাররা যেসব কোড প্রচার করে সেগুলো স্ক্যান করার পর মূল ওয়েবসাইটের আদলে বানানো ভুয়া সাইটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কেউ লগ ইন করার চেষ্টা করলে হ্যাকাররা সহজেই প্রবেশ করা তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে। অথবা যে কোডটি স্ক্যান করা হবে সেটি ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে চোখের পলকেই তথ্য হাতিয়ে নেবে।

বর্তমানে বিভিন্নভাবে কিউআর কোডের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়ার ক্যাম্পেইন রয়েছে। পার্ক, রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাবলিক প্লেস এমনকি ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু সবাই এখন নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন তাই নতুন উপায় হিসেবে ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিউ আর কোড স্ক্যান করার কথাও জানাচ্ছে। এ ধরনের ক্যাম্পেইন থেকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছে এফটিসি।

নতুন পদ্ধতিতে সাইবার হামলার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সাইবার হামলার জন্য ৬০ হাজারের বেশি কিউআর কোড স্যাম্পল পাওয়া গেছে। সাইবারনিরাপত্তা কোম্পানি ট্রেলিক্সের সাম্প্রতিক জরিপ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন কারণে এফটিসি ব্যবহারকারীদের কোনো কিউআর কোড দ্রুত স্ক্যান করার নির্দেশনাযুক্ত ই-মেইল বা মেসেজ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য থেকে শুরু করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। এছাড়া কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে ইউআরএল যাচাইয়ের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

সব ধরনের সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখার কথাও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কথাও জানানো জয়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে কিউআর কোডেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া তথ্য বা লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে প্রতারণার চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। 

উদাহরণস্বরূপ কভিড-১৯ মহামারীর সময় অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিক ভুয়া কিউআর কোড ছড়িয়ে দিয়েছিল। যেটি ব্যবহারকারীদের ভ্যাকসিনবিরোধী ওয়েবসাইটে নিয়ে যেত। এছাড়া ম্যালওয়্যার ডাউনলোডে বাধ্য করতেও কিউআর কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। 

প্রযুক্তিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, বিভিন্ন উপায়ে প্রতিনিয়ত সাইবার আক্রমণের চেষ্টা চলছে। তাই কিউআর কোডের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারের শিকারে পরিণত হতে না চাইলে সব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।


আরও খবর



রাণীনগরে মহান মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ): 

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কর্মসচির প্রথমেই সকালে উপজেলা প্রশাসন ও থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরেন্দ্র গেইটে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।

এছাড়া র‌্যালিতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সকল সদস্য, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অপর দিকে রাণীনগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহান মে দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেন। বেলা ১১টায় রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, জেলা পরিবহন সভাপতি আসলাম হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফাা ইবনে আব্বাস, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনজির হোসেন, সেক্রেটারি শামিনুর ইসলাম শামীম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বিশাল এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


আরও খবর



রায়েরবাগে ট্রাফিক সার্জেন্ট বাপ্পির ওপেন চাঁদাবাজী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

যাত্রাবাড়ী ডেমরা শ্যামপুরে ট্রাফিক পুলিশের ট্রাক সি এন জি অটোরিস্কা ও পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি যেন ওপেন সিক্রেট। প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলছে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। ফলে বিতর্কিত হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের ভাবমূর্তি অন্যদিকে অবৈধ ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলছে নিরদ্বিধায়।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে চৌরাস্তার মোড়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলছে প্রকাশ্য চাঁদা নেওয়ার দৃশ্য। ঐ এলাকায় ডিউটিরত ৪/৫ টি ট্রাফিক পুলিশ টিম প্রকাশ্যে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছে দশ টাকা থেকে দুইহাজার টাকা পর্যন্ত।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী রায়েরবাগসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। এসব পয়েন্টে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সার্জেন্টগণ ফ্রি-স্টাইলে চাঁদাবাজি করছেন। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা গাড়ি আটকের পর মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে ।


এ চাঁদাবাজি দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি হচ্ছে। এজন্য দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের অনেক সার্জেন্ট সূর্য ডোবার অপেক্ষায় থাকেন। প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালামাল বহনকারী বিভিন্ন যানবাহন আটক করে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছেন। ব্যস্ততম এলাকার যানজট নিরসনের পরিবর্তে ট্রাফিক ও সার্জেন্টদের চাঁদাবাজির কারণে তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সার্জেন্ট বাপ্পি তার ৪/৫ জন বেতন ভুক্ত দালাল রায়েরবাগ এলাকায় ত্রাস হয়ে উঠছে ।

নগরীর যাত্রাবাড়ী থেকে রায়েরবাগ এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করছেন। শুধু তাই নয়, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নানা ব্রান্ডের গাড়ি কারণে-অকারণে থামিয়ে কাগজপত্র চেকসহ বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করছে। আবার অনেক গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটক রাখায় যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

গাড়ির কাগজপত্র চেক করা নয়, সাধারণ মানুষকে হয়রানি আর টাকা আদায়ই তাদের মূল টার্গেট বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। রাস্তায় লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনগুলো তাদের চোখে পড়ছে না। এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চালক ও মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা মাসোহারা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আর দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য ও সার্জেন্টরা এসিকে চাঁদাবাজির নির্ধারিত ভাগের টাকা পরিশোধ করতে হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশেরই একাধিক সদস্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, সার্জেন্ট বাপ্পি স্যার ও তার ৪/৫ জন বেতন ভুক্ত দালাল এই কাজে বেশি পারদর্শী ।


গতকাল ৮মে সকাল ১১.৩০টায় রায়েরবাগ ব্রিজের পাশে পুলিশের চাঁদাবাজির শিকার একটি প্রাইভেটকারের চালক জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ। যাত্রাবাড়ি থেকে সাইনবোর্ড মোড় পর্যন্ত তিনটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। কারণে-অকারণে গাড়ি থামিয়ে মামলা দেয়ার ভয় দেখানো হয়। আবার ট্রাফিক পুলিশের এসির ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার ভয় দেখানো হয়। আর তাদের চাহিদা মতো টাকা দিলে সব ঝামেলা চুকে যায়।

৮ মে সকাল ১১ টার দিকে সায়দাবাদ, ধোলাইপাড় মোড়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক পুলিশের এই চাঁদাবাজি নিত্যদিনের। যানজটের তোয়াক্কা না করে শুধু দিনে নয়, রাতভর চাঁদা নিতে তৎপর এসব ট্রাফিক সদস্যরা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে ন্যূনতম ১০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা বা তারও বেশি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। রাতের বেলায় যাত্রাবাড়ী, জুরাইন,রায়েরবাগ পোস্তাগোলা এলাকাতেও যানবাহন থামিয়ে পুলিশকে টাকা আদায় করতে দেখা যায় প্রতিদিন। গভীর রাত পর্যন্ত কাজলা ফ্লাইওভারের ওপর থেকে ট্রাক কভারভ্যান ও ট্যাক্সিক্যাব থামিয়ে চাঁদা আদায় করতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত।


আরও খবর



ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল রেমিট্যান্স প্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি মে মাসেও। এই মাসের প্রথম সাত দিনেই দেশে ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে।

সূত্র জানায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ছেয়ে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছ, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।


আরও খবর



চার দফা বেড়ে দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম চার দফা বেড়ে রেকর্ড দামে পৌঁছানোর পর বড় পতন হয়েছে। এবার ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি, যা এর আগে ছিল এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা।

২৩ এপ্রিল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা নির্ধারণ করা ছিল। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।

স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টির মাঝে তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশ দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ ঝড় ও বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 

সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বান্দরবান জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

সোমবার (১৯ মে) পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ। চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (২১ মে) রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

 বৃহস্পতিবার (২২ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর