Logo
শিরোনাম

বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘটবে ১০ ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহাসমাবেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হবে যে হুঁশিয়ারি বিএনপি নেতারা দিচ্ছেন তাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উল্টো সেদিন বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের এক বক্তব্যকে ঘিরে।

কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশের সব কিছু পরিচালিত হবে খালেদা জিয়ার কথায়। একইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। তাদের কোনো কোনো নেতা বলছেন যে, তাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।

বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যকে ঘিরে অনেকের মধ্যে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো আগামী ১০ ডিসেম্বর কিংবা তার পরবর্তী সময়ে দেশে কি কোনো ঘটনা ঘটতে চলেছে?

শুক্রবার ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বিএনপির নেতাদের বক্তব্যকে পাত্তা না দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের পতন ঘণ্টা বাজবে।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে যারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছে তাদের চেয়ে আর কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপলক্ষে ৪ ও ৫ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি।


আরও খবর



চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ গবাদি পশু বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

গত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরও দেশে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি আছে। জানা গেছে, এই বাড়তি পশুগুলোর চাহিদা হবে কমবেশি ২০ লাখ। খামারিদের কথা চিন্তা করে কোরবানিতে এবারও পশু আমদানি দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে থাকবে করা পাহারা। গরুর খামারি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে কয়েক দশক ধরে কোরবানিতে বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় গরুর প্রাধান্য ছিল। তখন কোরবানি উপলক্ষে গড়ে ২৪-২৫ লাখ গবাদি পশু দেশের বাইরে থেকে আসত। ধীরে ধীরে সেই চিত্র পাল্টেছে। গত কয়েক বছর দেশি পশু দিয়েই কোরবানি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আনা লাগছে না। মীর কাদিমের সাদা গরুও এবার বেশি সংখ্যায় মোটাতাজা করা হয়েছে। এগুলোর শৌখিন ক্রেতার কোরবানির চাহিদা মিটাবে বলে জানা গেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশু রয়েছে। আর দেশে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ১০ লাখের মতো। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ পশু বেশি আছে।

গত বছর সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২টি অন্যান্য পশু ছিল।

চাহিদার চেয়ে দেশে কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ বছরও পশু আমদানির অনুমতি দেবে না সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানির অনুমতি দিলে দেশের খামারিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।

এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, দেশে চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু রয়েছে। পশু আমদানির প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরো বলেন, কোরবানি নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। যদি কেউ আমদানির চেষ্টা করে তাহলে সে ঠকবে।

কোরবানি উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে পশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে সেজন্য কঠোর নজরদারি থাকবে। কেউ যদি চোখ ফাঁকি দিয়ে পশু আনতে চায় তবে বিজিবি ব্যবস্থা নেবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২ অনুবিভাগ) এ টি এম মোস্তফা কামাল বলেন, কোরবানির পশুর প্রস্তুতি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রী বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এস এম যোবায়দুল কবির বলেন, আশা করা যাচ্ছে এ বছরও দেশি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে। তবে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সব তথ্য জানাবেন।

গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি করা হয় ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি করা হয় ময়মনসিংহ বিভাগে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি, বরিশাল বিভাগে চার লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২টি গবাদি পশু কোরবানি করা হয়।

ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২টি পশু কোরবানি করা হয়। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া কোরবানি করা হয়।

খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩টি ভেড়া কোরবানি করা হয়। ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সুন্দরবনে আগুন নেভাতে সময় লাগবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের গভীরে লাগা আগুন নেভাতে পুরো এলাকা ঘিরে ফায়ার লাইন করে অর্থাৎ আগুনের চারপাশের এলাকায় গাছপালা এবং মাটিতে নালা কেটে পানি ছেড়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন সুন্দরবনের আগুন লেগে যায়।

রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়, এখন সেখানে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোড়েলগঞ্জ ও মোংলাসহ চারটি উপজেলার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর মো: কায়মুজ্জামান বলেন, রোববার সকাল নাগাদ গভীর বনের প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আগুন যে এলাকায় লেগেছে সেটি ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

সকাল ১০টার দিকে গভীর বন থেকে আবার লোকালয়ের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই আছি। আমরা সুন্দরবনের আড়াই কিলোমিটার ভেতরে কাজ করছি। তবে নেভাতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আশা করছি, আগুন আর বাড়বে না।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, একটি পয়েন্টে আগুন নেভানো হয়েছে আর আড়াই কিলোমিটার ব্যপ্তি নিয়ে যে আগুন সেটি ফায়ার লাইন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুরোদমে কাজ চলছে।

মূলত নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম, কোস্টগার্ড ছাড়াও স্থানীয়দের সাথে মিলে আগুন নেভানোর কাজটি করছে ফায়ার সার্ভিস।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সুন্দরবনের যেখানে আগুন লেগেছে সেটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া বন হিসেবেই স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। এটি লোকালয় থেকে অন্তত চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে এবং সেখানে আশপাশে কোনো খাল বা পানির উৎস নেই।

এদিকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে সুন্দরবনের আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বন বিভাগ।

ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও কিভাবে নেভানোর কাজ হচ্ছে


মো: কায়মুজ্জামান বলেন, আগুন সুনির্দিষ্ট এক জায়গায় জ্বলছে না। বরং খণ্ড খণ্ড আকারে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে বিরাট এলাকা জুড়ে।

তিনি বলেন, আমরা যে অঞ্চলটিতে আগুন জ্বলছে সেটি পুরোটা ঘিরে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এখন আর এই আগুন বাড়বে না বলেই আমরা আশা করছি।

তবে আগুন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাতে পুরোপুরি নেভাতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুনের পুরো এলাকা ঘিরে কর্ডন লাইন করে পানি ছেড়ে দেয়ায় আগুন ওই লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর ওই দলের সাথেই ঘটনাস্থলে আছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের স্থানীয় সাংবাদিক মো: ইয়ামিন আলী।

তিনি জানান, সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আমি দেখছি যে অন্তত অর্ধ-শতাধিক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আবার আগুন কমলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গায়।

ধারণা করা হচ্ছে, দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকায় ৪০-৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল। যেসব জায়গায় শুকনো পাতা বা গুল্ম বেশি সেখানেই আগুন জ্বলেছে।

ইয়ামিন আলী বলেন, ধরেন এক জায়গায় গুল্ম চলছে। আবার ৫০ মিটার দূরে আরেক জায়গায় জ্বলছে। এমন করে বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট আকারে আগুন বা ধোঁয়া এখনো দেখা যাচ্ছে।

কিভাবে ও কখন আগুন লাগলো


মোড়েলগঞ্জের জিওধরা এলাকার আমুরবুনিয়া গ্রামের পাশেই ভোলা নদী। সেই নদী পার হলেই সুন্দরবনের ওই অংশের শুরু। সেখান থেকেই আগুনের দূরত্ব কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার ভেতরে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের এত ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো সে সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন।

তবে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় পাতা ও গুল্মের স্তূপ তৈরি হয়।

কোনো কারণে তার একটিতে আগুন লেগে হয়তো ধীরে ধীরে আশপাশে ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এর বাইরে গত এক দশকে অনেকবারই এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পর জীবিকার তাগিদে বনের ভেতরে ঢোকেন এমন ব্যক্তিদের ধূমপানের প্রবণতা কিংবা মৌমাছি তাড়াতে মশালের ব্যবহারের কথাও অনেকে বলে থাকেন।

তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা এখনই এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি আগুনের সূত্রপাত কখন হয়েছে সেটি সম্পর্কেও এখনো কেউ নিশ্চিত নন।

সাংবাদিক ইয়ামিন আলী বলেন, লোকালয় থেকে বনের ভেতরে অন্তত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এই আগুন নজরে আসতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন বনের ভেতরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। যে এলাকায় আগুন লেগেছে তার থেকে বন বিভাগের কার্যালয় অনেক দূরে। আর গভীর বন হওয়াতে ওই এলাকায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

নেভানোর চেষ্টা শুরু হলো কখন


রোববার সকাল নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ সরাসরি ঘটনাস্থলে শুরু হলেও এর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে শনিবার থেকেই। বিকেলেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় ফায়ার সার্ভিসের দল। কিন্তু রাতের অন্ধকার আর সুন্দরবনের ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীর ঝুঁকির কারণে রাতে কাজ শুরু করতে পারেনি তারা। এছাড়া ওই এলাকায় কাছাকাছি খাল বা নদী না থাকায় পানিও নিতে হয়েছে বেশ দূর থেকে।

আবার রাতেই ফায়ার লাইন কেটে পানি ছাড়ার কাজ শুরু না হওয়া রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকের মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি বলেই জানান কর্মকর্তারা।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম তারেক সুলতান জানান, দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

তবে সকালের জোয়ারের কারণে এখন পানির প্রবাহ ভালো থাকায় কাজটা কিছুটা সহজ হয়েছে।

তিনি বলেণন, ভাটার সময় হয়তো একটু ঝামেলা হবে। তবে যেভাবে ফায়ার লাইন কর্ডন করে পানি দেয়ার কাজ চলছে তাতে আশা করি দ্রুতই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুন লেগেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের আগুন নেভাতে দুদিনের বেশি সময় লেগেছিল।

এসব আগুনের পেছনে বন ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা, বন-সংলগ্ন নদ-নদী মরে যাওয়া, অসচেতনতা, নাশকতা, ফেলে দেয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুনকে দায়ী করা হয়।


আরও খবর



শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে সবশেষ ফলাফল যা বলছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইন:

প্রশাসন ও ইসির সাথে বিরোধে জড়িয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই এড. জামিল হাসান দুর্জয়।


ইসির মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণার বিরুদ্ধে তিনি গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন,চেম্বার জজ আদালতে যার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে রোববার বিকেল ৩ টায়।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সকল মানুষের দৃষ্টি এখন আগামিকালের রায়ের দিকে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় তার পক্ষে আসার সম্ভাবনা কম।কারন তিনি ইসি ও স্থানীয় প্রশাসের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন এবং তার নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের শক্ত প্রমান রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

অনেকে বলছেন, রায় তার পক্ষে যাবে। তবে তার পক্ষে গেলেও তা তার কোন উপকারে আসবে না।যদি রায় পক্ষেও যায় তবে ইসি লীভ পিটিশন দায়ের করতে পারেন।গড়াতে পারে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত।কারন হিসেবে তারা মনে করছেন, ইসি ও প্রসাশন দুর্জয়ের বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বারবার আইন ভাঙার কারনে সংঘটিত যে বিরোধ তাতে নাখোশ তারা।

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শুক্রবারও চষে বেড়িয়েছেন।তার এ একগুয়েমি ও আইন না মানার ঐদ্ধত্যকে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন ভাল চোখে দেখছে না।ফলে রায় তার পক্ষে গেলেও প্রশাসনের মানসিকতা তার পক্ষে যে থাকবে না তা প্রতিটি ভোটার তা অনুধাবন করতে পারছেন।

এছাড়াও প্রার্থিতা বাতিলের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভোটারদের উপর পড়েছে এবং রোববারের রায় পক্ষে গেলেও তিনি আর প্রচারণায় আসতে পারছেন না, প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার কারনে।

বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচনী মাঠ তার জয়ের পথে অনুকূলে ছিল কিন্তু অরাজনৈতিক আচরনের কারনে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্ত থাকা জয়কে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে দুর্জয়ের প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিএ কে ভাগ্যবান মনে করছেন অনেকেই।ভাগ্য তার সহায় হয়েছে বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ।তারা বলছেন, দুর্জয় নিজের সর্বনাশ নিজে না করলে জটিল হত আব্দুল জলিলের জয়কে স্পর্শ করা।

এদিকে জলিলের প্রচারণার একটি গাড়ি বহরে একজন শিশু পৃষ্ট হয়ে তেলিহাটিতে মৃত্যুবরণ করায় ইসি আজ সকাল ৯ টায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য গ্রহন করেছে।তার বক্তব্যে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন সন্তুষ্ট কি না বা এ ব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ নেয় তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা, ভোটার, নানা ধরনের জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যদি দুর্জয় প্রার্থিতা ফিরেও পায় তবুও ৬৫% থেকে ৭০% ভোট জলিল ও ৩০% থেকে ৩৫% ভোট জামিল হাসান দুর্জয় পেতে পারেন।অথচ দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের আগে এই চিত্র ছিল উল্টো।

জানা গেছে, এখানকার ভোটাররা চেয়ে আছেন উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে।আদালতের রায় দুর্জয়ের দিকে গেলে উল্লেখিত ভোটের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।আর আদালতের রায়ে যদি ইসির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে এবং কোন পক্ষ যদি আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে শ্রীপুরের নির্বাচনটি হয়ে পড়বে একপেশে, প্রতিদ্বন্দিতাহীন।সেক্ষেত্রে আব্দুল জলিল বিএ দ্বিতীয়বারের মত নিশ্চিতভাবেই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

তিনি নির্বাচিত হলে এখানে তৃতীয় ধারার রাজনীতির সূচনা হবে।সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ও প্রয়াত এমপি এড রহমত আলী পরিবার রাজনৈতিক সংকটে পড়বেন।নির্বাচন পরবর্তি এখানকার ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য হারারেন ক্ষমতাসীনরা।তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাবে বর্তমানের দুই শক্তিতেই ফাটল ধরবে।টার্নিং পয়েন্টে এসে দাড়াবে রাজনীতি।

আর যদি রোববারের রায়ের বিপক্ষে কোন পক্ষই যদি আর আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে নির্বাচনটি ২১শে মে অনুষ্ঠিত হবে।তবে কোন এক পক্ষ যদি রোববারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়ে পিটিশন দায়ের করেন তবে ২১ মে'র অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করা হতে পারে,এমন সম্ভবানাও রয়েছে বলে অভিমত রয়েছে।


আরও খবর