Logo
শিরোনাম

বৈঠকে বসছেন চীনা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার স্বশরীরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার বালিতে জি-টুয়েন্ট সম্মেলনের আগে দু'নেতা বৈঠকে বসছেন।

সম্মেলনে অংশ নিতে রবিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান বাইডেন। আসিয়ান সম্মেলন শেষে কম্বোডিয়া ছাড়ার আগে তিনি জানান, চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর ইচ্ছে নেই যুক্তরাষ্ট্রের। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখা এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বেইজিংয়ের ভূমিকার প্রতিক্রিয়া জানাতেই আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ছায়াসঙ্গী চীনের সঙ্গে তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, উইঘুর মুসলিম নির্যাতনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে ওয়াশিংটনের। আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাইডেন বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে যোগাযোগ ও আলোচনার দরজাও সবসময় উন্মুক্ত থাকবে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



রাজশাহীতে তীব্র খরায় ঝরছে আমের গুটি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

অব্যাহত তাপপ্রবাহপোকার উপদ্রব  সেচ সংকটে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। আমচাষীদের ভাষ্যচলতি মৌসুমে এমনিতেই রাজশাহীতে গাছে আম এসেছে কম। যা আছে তা ঝরে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক বাগানের অন্তত ৫০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে। বিরূপ  আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে গাছে পাতা ছাড়া কিছুই থাকবে না।

কৃষি বিভাগ  ফল গবেষকরা বলছেনকিছু গুটি ঝরে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেগুলো টিকে আছে সেগুলো ভালোভাবে পরিচর্যা করলে আর ঝরবে না। গুটি ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় রাতে অথবা খুব ভোরে সেচ দিতে হবে। বড় গাছগুলোয় এক বছর পর পর ফলন হয়। কোনো বার কম তো কোনো বারে বেশি। তবে যারা প্রকৃত আমচাষীতারা বাণিজ্যিকভাবে ঘন পদ্ধতিতে আম চাষ করছেন। এতে তারা লাভবানও হচ্ছেন। কারণ ছোট গাছগুলোয় প্রতি বছরই ভালো আম ধরে এবং গুটি ঝরে পড়ে না। তাছাড়া আমচাষীরা এসব গাছ ঠিকভাবে পরিচর্যাও করতে পারেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছেচলতি মৌসুমে রাজশাহীচাঁপাইনবাবগঞ্জনওগাঁ  নাটোরে ৯৩ হাজার ২৬৬ হেক্টর জমির আমগাছে ফলন এসেছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন। তবে এককভাবে শুধু রাজশাহী জেলার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমির গাছে আম ধরেছে যা গত বছরের চেয়ে ২৪ হেক্টর বেশি। চলতি বছর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  লাখ ৬০ হাজার ১৬৫ টন।

রাজশাহীর আমচাষী  ব্যবসায়ীরা জানানচলতি মৌসুমে বাগানে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। সেই মুকুল থাকলেই অনেক আম হতো কিন্তু গত ২০  ২১ মার্চের বৃষ্টির কারণে মুকুলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আগে যেসব গাছে মুকুল এসেছিলসেগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেগুলো এখন প্রচণ্ড খরায়  পোকার উপদ্রবে ঝরে যাচ্ছে। আমগাছে পানি  কীটনাশক প্রয়োগ করেও গুটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই আমের কিছু গুটি ঝরে যায়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অনেক বাগানে ৫০-৬০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতেরাজশাহীতে গত ২৩ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস।


 আর ২৫-২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৪১-৪২ দশমিক  ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ৩০ এপ্রিল ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ৫২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস বলছেআগামী কয়েকদিন  তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিহারীপাড়া গ্রামের আসিফ ইকবালের ৩০ বিঘার বাগানে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। বড়মাঝারি  ছোট সব রকমই গাছ আছে বাগানটিতে। ৭২ জাতের আম রয়েছে বাগানে।

তিনি বলেন, হপার পোকা  আচা পোকা বাগানে আমের ক্ষতি করছে।


 এছাড়া আম ছিদ্রকারী পোকা উড়ে এসে হুঁল ফুটিয়ে চলে যাচ্ছে। সেজন্য কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। অতিরিক্ত খরার কারণে গাছে থাকা অবস্থাতেও আমের বোটা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে। যারা পরিমিত সেচ  সঠিক মাত্রায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারছেন তাদের গাছে আম এখনো বেশ বিদ্যমান আছে। কিন্তু যারা করতে পারছে না তাদের আম দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী জেলার বেশির ভাগ আম বাগান চারঘাট  বাঘা উপজেলায়।


 বাঘা উপজেলার সাদি এন্টারপ্রাইজ কয়েক বছর ধরে বিদেশে আম রফতানি করছে।  প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আসাফুদ্দৌলা বলেন, এবার বেশির ভাগ গাছে আম নেই। চাষীরা গাছের কোনো পরিচর্যা করছেন না। ফলে যেসব গাছে কিছু আম আছেসেখানেই পোকার উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। এখন বাগানে মাছি পোকালেদা পোকানাশক বিষ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার আমচাষী তৌহিদুর রহমান পারভেজ বলেন, প্রচণ্ড গরমে আম শুকিয়ে কালো রং ধারণ করছে। এছাড়া পোকা ছিদ্র করায়  বোটার রস খাওয়ায় আম শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। এতে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি। অনুমোদিত মাত্রার বাইরে ওষুধ ব্যবহার করিনি


 শ্রমিকরা আগেই সতর্ক করেছিলেনশুধু অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ দিয়ে পোকার আক্রমণ থেকে আম বাঁচানো যাবে না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তার বাগানের সব আম পোকায় শেষ করে দিয়েছে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার এমনিতেই আমের মুকুল কম ছিল। তার ওপর ফুল ফোটার সময়ে ২০  ২১ মার্চ বৃষ্টি হয়ে আমের অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো টিকে ছিল সেগুলো রোদের তাপে ঝরে পড়ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্যশারমিন সুলতানা বণিক বার্তাকে বলেন, রাজশাহীতে বৃষ্টির অভাব  প্রচণ্ড খরার কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সতর্কতার সঙ্গে গাছ পরিচর্যা করতে হবে।  ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় অল্প পরিমাণ পানি  পরবর্তীতে ইউরিয়া  পটাশ সার দিতে হবে। এছাড়া আমের গুটি রক্ষায় বরিক এসিডও স্প্রে করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন


, আমের মৌসুমে গাছে যে পরিমাণ মুকুল আসে তা কিন্তু শতভাগ থাকবে নাএটাই প্রকৃতির নিয়ম। তবে  বছর গাছে কিছুটা মুকুল কম এসেছে। তবুও এখন পর্যন্ত গাছে যে পরিমাণ মুকুল বা গুটি আছে সেগুলো বড় হলে আমের সংকট হবে না।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর



মে মাসের তাপমাত্রা হবে আরও ভয়ংকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাসসকে বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারাদেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।

দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মন্তব্য করেন, আগের তাপদাহের বিপরীতে এ বছর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসাও একথা সমর্থন করেন।

দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।

তারা বলছেন, তাপদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ , পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।

বিকেল ৩টায় জারি করা আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, যশোরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার এক দিন পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও উচ্চ আর্দ্রতা নগরবাসীদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি প্রবল তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মতো এপ্রিল মাসে সাধারণত বাংলাদেশ   গরম থাকে, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এ মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রাধান্য পায়।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিটস্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরো অসহ্য করে তোলে।

চরম আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও কিছু করতে পারছে না বা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আয়াজুর রহমান নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, আমার পড়াশোনা বা কিছু করতে ভালো লাগছে না।. . . আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।

পরিস্থিতি গৃহিণী ও নারীদের চরম দুর্দশায় ফেলেছে। বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে। এক গৃহিণী বলেন, আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে, মনে হয় চুলার কাছে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাব।

তাপদাহ হাজার হাজার লোককে শহরের মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা এবং গ্রামীণ খোলা মাঠে জড়ো হতে বাধ্য করে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তির জন্য মানুষ বৃষ্টি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করছেন।

তাপদাহের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকে হাসপাতালগুলো বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। এসময় তাপজনিত অসুস্থতা নিয়ে বেশিসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। এই দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান বলেন, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা গরমজনিত অন্যান্য রোগেও ভুগছে।

শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)সহ অন্যান্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছে।

দুই দিন আগে আইসিডিডিআরবির মুখপাত্র এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান  বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ  (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় ৫০০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সংকট মোকাবেলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে।

ডাক্তাররা হিটস্ট্রোক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার এবং সূর্যের সংস্পর্শে আসার সময় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাক পরার এবং তাপদাহের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে পানির পাশাপাশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার এবং কাজের সময় এক বা দুই ঘণ্টা পর পর বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যদি তা বেশি হয় তবে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির কর্মহীনতাসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে।


আরও খবর



অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডলার সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডলারের কবজায় এখন দেশ আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ, কমছে এর মজুত আইএমএফের কঠিন শর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির অনেক খাতের প্রসার সংকুচিত করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার ডলারের কারণেই অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে জনজীবনও অনেকটা বিপর্যস্ত এই সুযোগে রাজনীতিও উত্তপ্ত

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকট এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সীমাবদ্ধ নেই; বরং বস্তি থেকে ওপরতলার হেঁশেল, চায়ের টেবিল থেকে মন্ত্রিপাড়াসবখানেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে তাদের মতে, ডলারের মজুত না বাড়ালে আর আমদানি দায় শোধ করার সক্ষমতা না বাড়লে, সরকার-উদ্যোক্তা কেউই হাত খুলে খরচ করতে পারবে না ফলে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের স্থবিরতা কাটবে না

অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মতে, আমদানিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালক রিজার্ভ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নেতৃত্বে আছে ডলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহনীয় হয়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়লে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আগুনে ঘি ঢালে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করায় ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে অর্থনীতিতে কম পণ্য আমদানি করেও বেশি ডলার খরচ করতে হয় ওই সময় থেকেই মজুত ভেঙে দায় শোধ করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সময়ে রপ্তানি আর প্রবাসী আয়ে ভর করে যেভাবে ডলারের মজুত স্থিতিশীল রাখার কথা, সেটা ধরে রাখা যায়নি সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করেছে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানও চালানো হয়

একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ফল হয় উল্টো এতে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দরে বড় পার্থক্য রয়ে যায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ডলার পাঠানোর বদলে হুন্ডির দিকে ঝোঁকেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সরকারি হিসাবেই ৩৪ বিলিয়ন ডলার  আইএমএফের হিসাবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, ডলার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর সংকট স্বীকার করেই আমাদের চলতে হবে। এটিকে একেবারে বাদ দিয়ে চলতে পারব না। সহজ কথা হলো, ডলার সাশ্রয় করতে হবে, আয়ও করতে হবে। আয় করার জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আরও প্রণোদনা দিয়ে আয়টা বাড়ানো সম্ভব। ডলার আমরা ছাপতে পারব না। তা কামাই করেই আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভরতার কারণে আমাদের ডলার প্রয়োজন। আমরা যদি স্থানীয়ভাবে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।

ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোতে হাহাকার চলছে। জানা গেছে, অন্তত ২০টি ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আমদানি ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিও কমছে। ডলারের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে ঘাটতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতির আমদানি। এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও সংকট। সরকার প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়েও আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রয়োজনীয় ডলার পাচ্ছে না। জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পণ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য রপ্তানিতে। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশ

উদ্যোক্তাদের লোকসান বাড়ছে। তারা এখন বেশি দাম দিতে রাজি থাকলেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ কাজ হারাবে। গত সপ্তাহে মেইড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান জ্বালানি সংকটে পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন

বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির আদেশ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দেশে ডলারের দরের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে দর বেশি হওয়ায় প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গুজবের কারণে প্রবাসীরা চলতি মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও আস্থা ফেরেনি

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার জানান, ব্যাংকে টাকা পাঠালে তা ঠিকমতো পাওয়া যাবে কি না, নিয়ে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন। সরকারের ঘোষণার পর কেউ কেউ কিছুটা মনোবল পেলেও অনেকেই পুরো আস্থা ফিরে পাননি। যদিও তাঁরা নিজেরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠান বলে জানিয়েছেন

জানা যায়, হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিবৃতি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা মাস শেষে জানা যাবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩০টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে। তাদের পরিবার মুচলেকা দিলে ওই সব হিসাব চালু করার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলার সংকটে ব্যয় বাড়লেও পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি থেকে আহরিত শুল্ক আয়ে প্রায় ধস নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের আয় কমছে। আয়কর, ভ্যাট দেওয়ার হারও কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘাটতি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান

ডলার সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগছে। কাঁচামালে টান পড়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটা পণ্য উৎপাদন সেবায় কতটা ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করছে, তার চিত্রও সামনে স্পষ্ট হবে

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানি কমে যাবে। পরিণামে তা ডলার সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জন্য তিনি রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন

ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ পরিচালক অর্থনীতিবিদ . জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার সব সময়ই বিশ্বে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সংকটের সময় এটা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রমে এর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সংকট কাটাতে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হবে। জন্য রেমিট্যান্সে জোর দিতে হবে। প্রথম কাজ হলো এমএফএসগুলোকে কাজে লাগানো। এর জন্য প্রবাসী-অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। তিন আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি চক্র বিদেশে বসে কারসাজি করে। বিদেশি মিশনের গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে এদের রোধ করতে হবে


আরও খবর