Logo
শিরোনাম

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। চট্টগ্রামে দুই হাজার পাঁচশ’ টন, গাজীপুরে দুই হাজার টন এবং নারায়ণগঞ্জে প্রচুর বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে। এতে করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে উৎপন্ন বর্জ্যকেও একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে কাজ করছে সরকার। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলতায়নে ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শেয়ারিং’ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্জ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে অতীতে যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হতো তার পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে।

কারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের আয় বাড়লে ভোগ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আর ভোগ বাড়লে ময়লা-আবর্জনাও বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, বর্জ্য সকল দেশের জন্যই একটি চ্যালেঞ্জ। বর্জ্যকে একটি সষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় আনতে স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা-উপজেলা ও পৌরসভাতেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। উন্নত বিশ্ব যেভাবে বর্জ্য কালেকশন করে ইনসিনারেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সেই ফর্মুলা ফলো করেই আমাদের দেশেও কাজ করা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, লেক ও খালসহ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামেও এখন প্রচুর ময়লা-আবর্জনা উৎপন্ন হয়। গৃহস্থালি, শিল্প-কলকারখানা, কনস্ট্রাকশন বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য। ময়লা-আবর্জনাতে ক্ষতিকারক অনেক উপাদান থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের হানিকর হতে পারে। বিশেষ করে মেডিকেল বর্জ্য। সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন-এসটিএস-এ ময়লা-আবর্জনা রাখায় প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। 

এতে করে পথচারী এবং আশপাশে বসবাসরত মানুষের ব্যাপক সমস্যা হয়। তাই দুর্গন্ধ যেন না ছড়ায় এবং প্রযুক্তিগত বিকল্প ব্যবস্থার সুযোগ আছে কিনা তা পর্যালোচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সে স্বপ্নের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে কাজ শুরু করেন। স্বাধীনতার পর এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন অর্জন করেছে তা বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। দেশ পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। দেশ উন্নত হলে এর সুফল জনগণই পাবে। দেশের ক্ষতি হলে এর ফলাফল দেশের নাগরিকেই ভোগ করতে হবে। তাই দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। 

এছাড়া, জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সকল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।




আরও খবর



ঢাকার বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর বিষের ভেতর বসবাস করছে রাজধানীর মানুষ। ঢাকার বাতাসে এসব বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

বিশ্বের ২৭টি স্থানে পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহনগুলি রাসায়নিক উপাদানগুলির উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যানসার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।

এ বছরের শুরুতে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং ২০৫০ সালে দেশটিতে ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ৭১- বিধিতে ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের উত্থাপন করা নোটিসের জবাবে লিখিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।

নোটিসে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এখানে নিয়মতান্ত্রিক পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যদি গাবতলী টার্মিনালকে আধুনিকায়ন করা হয়, তাহলে এসব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান তিনি।

লিখিত জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালটি যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৫) অধীনে নর্দান রুটে গাবতলী পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বর্তমান অবস্থান থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত করা হবে। তবে টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ১২ দশমিক ৮০ একর জায়গা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন অস্থায়ী টার্মিনালটি ৬ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের। সেই সঙ্গে ২৬০টি গাড়ি রাখার জন্য ডিপো নির্মাণ করা হবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালকে সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসম্বলিত মাল্টি মোডাল স্টেশনে রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে গাবতলী বাস টার্মিনালকে সিটি বাস টার্মিনালে রূপান্তর করা হবে এবং হেমায়েতপুরে আধুনিক আন্তজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেগুলো হলো-

রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪




দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, সাময়িক বরখাস্ত ৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

গাজীপুর মহানগরের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেন ধাক্কার ঘটনায় তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা হলেন- আপ ঘুন্টি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. আবুল হাসেম, পয়েন্টস ম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হয়েছেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

স্টেশন মাস্টার জানান, কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকো মাস্টারসহ (ট্রেনের চালক) চারজন আহত হয়েছেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসন আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আহত চারজনকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন অপেক্ষা করছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪