Logo
শিরোনাম

চা বার বার ফুটিয়ে খেলে যেসব বিপদ হতে পারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কর্মব্যস্ততার মাঝে ক্লান্তি দূর করতেও এক কাপ চায়ের জুড়ি নেই। অনেকে আবার ঘন ঘন চা খেতে বেশ পছন্দ করেন। এজন্য এক বার চা বানিয়ে রেখে দেন আর বার বার সেই চা ফুটিয়ে খান।

অনেক চায়ের দোকানেও অনেক সময় একাধিক বার ফুটিয়ে রাখা চা-ই পরিবেশন করা হয়। এতে চায়ের স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞের মতে, চা বার বার ফুটিয়ে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বার বার চা ফুটিয়ে খাওয়ার নানা ক্ষতিকর দিকের কথা বলা হয়েছে। যেমন-

বেশি সময়ে ধরে চা গরম করা হলে চায়ে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন দুটিই নষ্ট হয়ে যায়। চায়ের স্বাদ তেঁতো হয়ে যায়। এটি শরীরের পক্ষেও ভালো নয়। বার বার গরম করা চা পান করলে খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

চায়ের পাতায় এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস। বারবার গরম করলে সংখ্যায় এগুলো বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়াযুক্ত চা খেলে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এতে স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।

চায়ের মধ্যে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্যাথেচিন থাকে। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বার বার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। এতে হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ডায়রিয়া, পেটের সমস্যাও হতে পারে।


আরও খবর



নওগাঁয় নেশাগ্রস্থ স্বামীর হাসুয়ার কোপে স্ত্রীর হাত বিচ্ছিন্ন, গণপিটুনীতে স্বামীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় নেশা গ্রস্থ স্বামীর হাসুয়ার কোপে স্ত্রীর হাত বিচ্ছিন্ন, গণপিটুনীতে স্বামীর মৃত্যু। এঘটনাটি নওগাঁ সদর উপজেলার আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকায় ঘটে।নেশাগ্রস্থ স্বামী সুমন (৩২) এর হাসুয়ার এলোপাতাড়ি কোপে স্ত্রী ময়ূরী আক্তার (২৪) গুরুত্বর আহত হয়েছে। এসময় স্ত্রীর একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এছাড়া একাধিক স্থানে গভীর জখমের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামী সুমনকে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়। 

নিহত সুমন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাবু সরদারের ছেলে।

জানা যায়, গত প্রায় ৪ বছর আগে নওগাঁ শহরের আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে ময়ূরীর সাথে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন তার স্ত্রীর সঙ্গে আনন্দনগর বাবু বাজার এলাকায় শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করতেন। সুমন বিভিন্ন সময় নেশাগ্রস্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করতেন এবং স্ত্রীকে সাংসারিক কোন খরচ দিতেন না। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টারদিকে সুমন মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করেন। তার এক পর্যায়ে হাসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলা এবং হাতে কোপ দেন। এতে স্ত্রীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন নির্মম ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয়রা সুমনকে গণপিটুনী দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে নিলে ময়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। পুলিশ আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী দু জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের গণপিটুনীতে স্বামী সুমন মারা গেছে। সুমনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়ূরীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা শেষে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। 


আরও খবর



খোলামেলা আলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ |

Image

নির্বাচন,আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মানবিক করিডর ইস্যুসহ উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

২৫ মে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রথম দফায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে একে একে কথা বলেন নেতারা। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ পাবেন না বলে ধারণা করেছিলেন।

 তাই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনের জন্য একটু শক্তিশালী প্রশাসন দরকার, সেটি প্রস্তুত হলেই নির্বাচন আয়োজন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন। মঞ্জু আরও বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেছে তার দল।

সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে থেকে গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মতের পার্থক্য থাকবে এটা মেনে নিতে হবে, কিন্তু কোনটা কার্যকর হবে সেটা ঠিক করবে জনগণ।

তিনি আরও বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, তা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়ক্ষেপণ করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে, তখন কিছু করার থাকবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের এ অর্জন মেনে নিতে পারছে না। পারলে একদিনে তা ধ্বংস করে দেবে। এটা যাতে কোনোভাবেই না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গেলো কয়দিনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার মন খারাপ ছিল। এজন্য তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

 মাঝনদীতে মাঝি বদলাতে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য ড. ইউনূসের ওপর সবাই আস্থা রাখাতে চায় বলে তাকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেকক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার দলনিরপেক্ষ অবস্থা বজায় রাখতে পারছে না। এটি পরিহার করে নিরপেক্ষ আচরণ দেখতে চাই। এক সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার দেখতে চাই না।

 মানবিক করিডরসহ জাতীয় কোন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া নেয়া উচিত নয় বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন সাইফুল হক।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




অদৃশ্য মহামারি থ্যালাসেমিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে রেজিস্ট্রারভুক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকটা অদৃশ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা ব্যয়ের ভার এতটাই বেশি যে, সব রোগীর জন্য সেবা দিতে বছরে প্রয়োজন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য— যদি সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় প্রতি মাসে একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ রেজিস্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছে, যাদের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকৃত রোগী সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার ব্যয়ে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর চিকিৎসা ব্যয় শুধু বাড়তেই থাকে। সমস্যা আরও গভীর হয় যখন দুইজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান জন্ম দেয়, যেটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। আমি নিজে এই বিষয়ে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করব এবং আমার তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জায়গায় এই রোগ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করব।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক। তিনি বলেন, বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া বাহক শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে।

শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিনই নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন। তাই নিরাপদ রক্তের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।



আরও খবর



হার্ভার্ডের ছয় কোটি ডলারের সরকারি অনুদান বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও জাতিগত হয়রানির অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ছয় কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস) ।

সোমবার এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ইহুদিবিদ্বেষ এবং জাতিগত বৈষম্য মোকাবেলায় হার্ভার্ডের অব্যাহত ব্যর্থতার কারণে বহু বছরের এই বহুমুখি অনুদান বাতিল করছে এইচএইচএস।

রয়টার্স লিখেছে, গত কয়েক সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান এবং চুক্তি জব্দ বা বাতিল করেছে।

হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, তারা শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাতিগত পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইহুদি শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে দিচ্ছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে রয়টার্সের জানানো মন্তব্যের অনুরোধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বলেছিল, স্থগিত বা বাতিল হওয়া অনুদানগুলো নিজেদের পক্ষে পুরোপুরি বহন করা সম্ভব নয় আর তাই গবেষকদের জন্য বিকল্প তহবিলের ব্যবস্থা করতে কাজ করছে তারা।


আরও খবর



ঈদের দিনেও রায়েরবাগে গরুর হাটের বর্জ্যে নাকাল জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

রাকিব হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :

ঈদুল আজহার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই রাজধানীর বেশিরভাগ কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা শেষ হলেও, হাট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত দনিয়া অস্থায়ী গরুর হাট এখন যেন এক উন্মুক্ত ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। গরুর গোবর, মূত্র, রক্ত ও প্লাস্টিক বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘর থেকে বের হলেই মানুষকে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। বেড়েছে মশার প্রকোপ। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জানান, "ঈদের দিনে পরিবার নিয়ে মসজিদে যেতে বের হয়েছি, কিন্তু হাটের পাশে দিয়ে হাঁটতেই অসহনীয় দুর্গন্ধে ফিরে আসতে হয়েছে।"

একই অভিযোগ করেন রায়েরবাগ এলাকার রিকশাচালক ফারুক হোসেন, "ভাই, সকাল থেকে যাত্রী নাই, সবাই হাটের পাশে আসতেই চায় না। গন্ধে রাস্তায় দাঁড়ানো যায় না।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং ইজারাদার উভয়ের চরম দায়িত্বহীনতার কারণেই এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একাধিক এলাকায় ঈদের আগেই পরিচ্ছন্নতা টিম কাজ শুরু করলেও দনিয়া, রায়েরবাগের মতো ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকায় এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।

সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না আসলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, “কিছু এলাকায় ইজারাদারদের অবহেলার কারণে ময়লা অপসারণে বিলম্ব হচ্ছে।”

পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, গরুর বর্জ্য ও মূত্র থেকে ছড়াতে পারে ব্যাকটেরিয়া, সংক্রামক রোগ ও ডেঙ্গুর মত রোগবাহীর উপদ্রব।

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বিলম্ব হলে ঈদের খুশি শেষ পর্যন্ত পরিণত হতে পারে এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।

এলাকাবাসীর দাবি করেছেন দ্রুততম সময়ে দ্রুত বর্জ্য অপসারণ, জীবাণুনাশক ছিটানো ওসড়ক ধুয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোরবানির পশুর হাট এক মৌসুমি বাস্তবতা। তবে হাট শেষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা না গেলে তা ঈদের আনন্দের বদলে জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দনিয়ার হাটের ঘটনা তার বাস্তব উদাহরণ। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫