Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হওয়া কোনো রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে যেন ঢাকায় পাঠানো না হয়।

রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডা. আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আইভি ফ্লুইড সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসময়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি, কোথাও স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। রোগীদের হাসপাতালে রাখছে এবং আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।

ডা. আহমেদুল আরও বলেন, আমরা আমাদের রোগীদের জিম্মি করে কোনো অসাধু চক্রকে লাভবান হতে দেবো না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দেশপ্রেমিক না।


আরও খবর



বান্দরবানে অস্ত্র-গোলাবারুদ, জ্যামারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবানে বিজিবি অভিযানে বিপুল পরিমান অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল জ্যামারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। 


রুমা ব্যাটালিয়ন (৯ বিজিবি) রেববার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকা সংলগ্ন গহীন জঙ্গলে একটি আস্তানা স্থাপন করে একদল পাহাড়ী সন্ত্রাসী তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির রুমা ব্যাটালিয়ন (৯ বিজিবি) এর  অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক, পিপিএম, পিএসসি'র নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি গহীন জঙ্গলে একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ২ টি অটোমেটিক কারবাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, ১টি সেমি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩ টি এসবিবিএল, ২১ রাউন্ড তাজা গুলি, ০১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, ০১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিগন্যাল জ্যামার, ০১টি অডিও/ভিডিও রেকর্ডার, ০১টি ভিডিও ক্যামেরা, ০১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বোতাম ক্যামেরা, ০১টি key ডিভাইস হিডেন ভিডিও রেকর্ডার, ০১টি দূরবীণ,০২টি ওয়াকিটকি, ০১টি ল্যাপটপ, ০২টি পাওয়ারফুল লাইট, ০১টি সোলার সিস্টেম, ০১টি আকাশ টিভি রিসিভার ও ০১টি আমব্রেলা, ০২টি এন্ড্রয়েড  মোবাইল, ০২টি বাটন মোবাইল, দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, বাংলা মদ, ০১টি হেলমেট এবং রান্না করার প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।


এছাড়াও বর্ণিত স্থানে অবজারভেশন পোস্ট, পরিখা, অস্থায়ী অস্ত্রাগার, বিশ্রামাগার, কুক হাউজ ইত্যাদির সন্ধাষ পাওয়া যায় যার সবকিছু সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে।


আরও খবর



১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিচ্ছেন ৬ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তোফাজ্জল নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামিরা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।

ওই ৬ শিক্ষার্থী হলেন— ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া , মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া , পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ , জিওগ্রাফির আল হসাইন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে ওই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এজাহার উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



যশোরের কেশবপুরে মাছ চাষিদের মাথায় হাত, পথে বসেছে ঘের মালিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার - যশোর, জেলা প্রতিনিধি::

যশোরের কেশবপুরে বন্যায় ৩৬৪০ টি মাছের ঘেরন ও ২৪২০ টি পুকুর ভেসে গেছে। এছাড়াও কৃষিতে হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি, এতে ৩১৭৩হেক্টর আমন ধান তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলের ক্ষেতও। এর ফলে মাছ চাষী ও কৃষক পড়েছেন ব্যাপক আর্থিক অনটনে। টানা বৃষ্টি ও হরিহর নদের পানির কারণে কেশবপুরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। 

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় মাছ চাষিদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, সরজমিনে কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার ফয়েজ হোসেনের বাড়ি ঘরে র ভিতর পানি ঢুকে পড়ায় তারা পাশের একটি উচু ঘরে আশ্রয় নিয়েছে, এছাড় বাড়ির উঠানে বন্যার পানিতে জাল ফেলে মাছধরছেন ফারুক হোসেন নামক এক যুবক, অপর দিকে খান পাড়ার কয়েকটি পরিবারের লোকজন যশোর- চুকনগর সড়কের মধ্যকুল তেল পাম্পে এলাকার একটি উচু ভবনে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

হরিহর নদের মধ্য কুল এলাকায় পানি ঢোকা বন্ধ করতে বাদ নির্মাণ করতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টির পাশাপাশি নদনদীর উপসে পড়া পানিতে পুর পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তলিয়ে গেছে। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পাড়ায় অনেক  উচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। মধ্যকুল গ্রাম আব্দুর রহিম বলেন, তার মাছের ঘের ভেসে গেছে বহু ক্ষতি হয়েছে উপজেলার কৃষি অফিসে জানা গেছে- বন্যায় ৩১৭৩ হেক্টর আমন ধান:৩০০ হেক্টর সবজি ২১ সেক্টর মরিচ ৩০ হেক্টর হলুদ সাড়ে ৯ হেক্টর তুলা ২১ হেক্টর আখ  সাড়ে ২৫ সেক্টর পানের বরজ,২৫ হেক্টর কুল খেত তলিয়ে গেছে,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা বলেন বন্যার পানিতে কেশবপুরের প্রায় ৩৬৪০ টি মাছের ঘের ২৪২০ পুকুর ভেসে গেছে, এতে মাছ চাষীদের প্রায় ২০১৫ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে এতে ৫০ কোটি টাকার মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আরও খবর



জুলাই বিপ্লবে শহীদ ১৪২৩, আহত ২২ হাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জুলাই বিপ্লবে শহীদের সংখ্যা ১৪২৩ জন। এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা খুব দ্রুত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য সচিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি

তরিকুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদের সংখ্যা ১৪২৩ জন। তবে এ সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা খুব দ্রুত করতে সক্ষম হবো

আহতদের নিয়ে তিনি বলেন, আহদের নিয়ে কাজ করাটা খুব দুরূহ। কারণ, এই সংখ্যা বিপুল। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার আহত মানুষের তালিকা আছে। তবে এর সঙ্গে সংযোজন-বিয়োজন হবে

তিনি জানান, আন্দোলনে গিয়ে পঙ্গু বা অঙ্গহানি হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৫৮৭ জন। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৯২ জন দুই চোখেই গুলি খেয়েছেন বা দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে


আরও খবর



মুকুটহীন সম্রাট আল্লামা আহমাদ শফি রহ:

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী,শিক্ষক ও কলামিষ্ট :

আল্লামা আহমাদ শফি রহ, কে বলা হয় মুকুটহীন বাদশা। আলেম- উলামা এবং সাধারণ মানুষের মাঝে তাঁর ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তা ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর মত এরকম গ্রহণযোগ্য আলেম আর  ইতিপুর্বে দেখা যায় নি। দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যমণিতে পরিণত হয়েছিলেন।


ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার, কতুবে আলম সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ, এর বিশিষ্ট শাগরেদ এবং খলিফা  ছিলেন আল্লামা আহমাদ শফি।  মাওলানা মাদানী যেমন ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে অবদান রেখে বিশ্ববিখ্যাত নেতা রুপে আভির্ভুত হয়েছিলেন, এমনি ভাবে মাওলানা মাদানী বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের সেরপুরুস্ত এবং  আধ্যাত্মিকতার সাধনায়  প্রাণপুরুষ ছিলেন,  ঠিক আল্লামা আহমাদ শফি যেন স্বীয় উস্তাদের পরিপুর্ণ অনুসারী। 


আল্লামা আহমাদ শফি দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহলিয়া দারুল উলুম  মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব  পালন করেন।  তবে হাটহাজারীর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি হাটহাজারীকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান।  এমনিতে হাটহাজারী দেশ সেরা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আল্লামা আহমাদ শফির তীক্ষ্ন মেধায় জামেয়াকে  আরো উর্ধে নিতে  সক্ষম হন। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের আনাচে- কানাচে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম।  তাঁর যোগ্য পরিচালনায় যেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সোনালী জীবন ফিরে আসে।


হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষারমান তিনি অনেক উন্নত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এক সময় হাটহাজারী শুধু নামেই চলেছে। কিন্তু আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব মাদ্রাসার মহাপরিচালক এর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে, তিনি শিক্ষাব্যবস্হাকে ঢেলে সাজান। তা'লীমের মান অনেক উচ্চতায় নিয়ে যান।


শিক্ষার মান বাড়াবার জন্য তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসাকে বেফাকভুক্ত করেন। বাংলাদেশ বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যার ( কওমী শিক্ষাবোর্ড) এর অধীনে তাঁর হাটহাজারী মাদ্রাসাকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর থেকে হাটহাজারীর ছাত্ররা বেফাক বোর্ডে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে। 


আল্লামা আহমাদ শফি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যাহ এর চেয়্যারম্যান সেই ২০০৮ সন থেকে। তিনি চেয়্যারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই হাটহাজারী মাদ্রাসা বেফাকের আওতায় নিয়ে আসেন। এবং ছাত্রদের বেফাকের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায়ে  তা'লিমী হালাত শীর্ষ পর্যায়ে পৌছে দেন।


একজন খ্যাতনামা মুহাদ্দিস ছিলেন তিনি। অতি আকর্ষীয় ছিল তাঁর বুখারী শরীফের দরস। বহু বছর যাবত তিনি বুখারী শরীফ সহ সিহাহ সিত্তার দরস দিয়েছেন। হাজার হাজার ইলম পিপাসু ছাত্র তাঁর থেকে উপকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশের  খ্যাতনামা সব প্রতিষ্ঠানে তাঁর শিষ্য রয়েছে। দেশের সব জায়গাতে জরীপ চালালে দেখা যাবে, প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে আল্লামা আহমাদ শফির শাগরেদ। কেউ হয়ত সরাসরি, আর কেউ হয়ত কারো মাধ্যমে তিনি  আল্লামা আহমাদ শফির  ছাত্র।

অনেক মেধাবী একজন শিক্ষক ছিলেন তিনি। হাদীস পড়াবার ক্ষেত্রে  একজন মুহাদ্দিসের যেমন স্মরণশক্তি এবং মেধার প্রয়োজন, তেমনি গুনেই তিনি পরিপুর্ণ ছিলেন।


আজো স্মরণ হয় আল্লামা আহমাদ শফির সেই দরসের কথা। আমাদের খতমে বুখারীর প্রধান মেহমান ছিলেন তিনি। বুখারী শরীফের শেষ হাদীস পড়ানোর পর  তিনি  যখন সনদ বর্ননা করেন, তখন তো তাক লেগে গিয়েছিল পুরো মাহফিলের লোকদের মাঝে। একদম তাঁর থেকে নিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম  পর্যন্ত হাদীসের সুত্রপরম্পরা মুখস্হ বলে গেলেন। বড় প্রাণবন্ত হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানটি। 


একজন বাগ্মী ছিলেন তিনি। পুরো বাংলাদেশের খ্যাতনামা  দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের  ইসলামী সন্মেলনের  প্রধান মেহমানের অাসন অলংকৃত করেছেন বহু বছর ধরে। ঘন্টার পর ঘন্টা তিনি তাকরীর করেছেন। ক্লান্তহীন ভাবে তিনি দ্বীনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌছেছেন।


 বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে দেশের বাইরে তাঁর জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে।  বিভিন্ন মুসলিম কান্ট্রিতে দ্বীনের প্রচার- প্রসার এর নিমিত্তে ছুটে বেড়িয়েছেন।  সেসব জায়গায় দ্বীন ইসলামের আলো প্রজ্বলিত করেছিলেন তিনি। 


আল্লামা আহমাদ শফি সাহেবের বেশী জনপ্রিয়তা এবং পরিচিতি লক্ষ্য করা যায়, ২০১০ সনে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।  দ্বীন ইসলামকে বাতিলের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত এবং  বেদআত- শিরক ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য হেফাজত ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি ছিলেন। হেফাজতের কার্যক্রমে তিনি ব্যাপক ভাবে প্রসংসিত হন।


সবচেয়ে বেশী তিনি পরিচিতি লাভ করেন,  ২০১৩ সনে হেফাজতের আন্দোলনের মাধ্যমে। হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসুচিতে দেশব্যাপি ব্যাপক সাড়া পড়ে। বিশেষ করে হেফাজতের লংমার্চ কর্মসুচি এবং শাপলা চত্তরের মহা-সমাবেশে  তাঁর পরিচিতি আরো বেশী বেড়ে যায়।   ওসব কর্মসুচিতে  লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যার জন্য তার জনপ্রিয়তা আরো উর্ধে চলে যায়। দেশ - বিদেশের সকল মিডিয়ায় আল্লামা আহমাদ শফির জনপ্রিয়তা উঠে আসে। একজন অবিসংবাদিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশ্বের মানুষের কাছে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।


বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান এর মহাপরিচালক এবং  লাখো আলেমের উস্তাদ এবং পীর ছিলেন। যার কারণে যেখানে যেতেন, সেখানে যেন তাঁকে সকলে মাথায় করে রাখত। তাঁকে এমন ইজ্জত করতেন ছাত্ররা যারা কল্পনা করা যায় না। এমনিতে কওমী অঙ্গনের ছাত্ররা আদবী - আখলাকী, আর প্রিয় উস্তাদকে কাছে পেলে যেন তাঁর জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিত।


আল্লামা আহমাদ শফি রহ, শেষ জীবনে হুইল চেয়ারে ছাড়া চলতে পারতেন না। তাই তো দেখা গেছে, শায়েখের হুইল চেয়্যার ধরার জন্য ছাত্ররা পাগলপারা ছিল। বহু জায়গায় দেখাগেছে, হুইল চেয়্যার চলে না, সেখানে  ছাত্ররা হুজুরের চেয়্যার মাথায় করে মঞ্চে ওঠায়েছেন। তিনি যেরকম আমাদের মাথার মুকুট, ঠিক ছাত্ররা সেটা বাস্তবে দেখায়েছিলেন।


তিনি রাজা ছিলেন না। দুনিয়াবী কোন পাওয়ার ছিলনা। তবে তিনি ইলমে হাদীসের জগতের সম্রাট, আধ্যাত্মিকতার  ভুবনের বাদশা বলা যায়। লক্ষ লক্ষ ছাত্রের মুরুব্বী যিনি, তিনি দুনিয়ার রাজা- বাদশার থেকে অধিক সন্মানী ছিলেন।


দুনিয়ার রাজা- বাদশাদের সন্মান তো টাকা দিয়ে কিনতে হয়, পাইক- পেয়াদা, কর্মকর্তা- কর্মচারী সবই তো টাকা দিয়ে কেনা। কিন্তু আল্লামা আহমাদ শফি যে রাজত্ব করেছেন, সেটা কোনদিন টাকা দিয়ে কিনতে হয়নি। এ সন্মান ও ইজ্জত ছিল মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে। 


মা'জুর হওয়ার পর থেকে হেলিকপ্টারে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সফর করেছেন, সবই ছিল ভক্তবৃন্দের স্বতস্ফুর্ত খেদমত। কত মানুষ তাঁকে পাওয়ার জন্য, তাঁর সোহবত গ্রহণের জন্য  ব্যাকুল হয়েছিল তাঁর হিসাব নেই।


জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি দ্বীনি মারকাজে কাটিয়েছেন। বলা যায়, পুরো জীবন  তিনি  আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করেছেন।  পরিশেষে আল্লাহর রাস্তায়  থাকা অবস্হায় বিদায় নিয়েছেন।


জীবন  ও কর্মঃ


 জন্মঃ ১৯২০ সনে চট্রগ্রাম জেলার রাঙুনিয়ার থানার পাখিয়ার টিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ  করেন। 

পিতার নামঃ বরকত আলী, মাতার নামঃ মেহেরুন্নেছা


শিক্ষাজীবনঃ


 প্রাথমিক শিক্ষা মায়ের কাছে। এরপর ১০ বছর বয়সে দারুল উলুম হাটহাজারীতে ভর্তি হন। সেখানে একটানা দশ বছর লেখাপড়া করেন  


১৯৪১ সনে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। সেখানে  চার বছর কৃতিত্বের সাথে লেখাপড়া করেন। ইলমে হাদীস,ফিকাহ, তাফসীর বিভিন্ন বিষয়ে বুৎপত্তি অর্জন করেন। 


আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব, তিনি  বিশ্ববিখ্যাত আলেম ও  বিশ্ব কুতুব  এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহা নায়ক  সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ,  এর  বিশেষ একজন শাগরেদ। তিনি মাদানী রহ, এর নিকট বুখারী শরীফের এর দরস নেন। পাশাপাশি তিনি  মাদানী এর নিকট বায়আত গ্রহন করেন। অতি অল্প সময়ে মাদানী রহ, এর নিকট থেকে খেলাফত বা পীরত্ব লাভ করেন।


মাদানী রহ, এর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মি ছিলেন। ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে   স্বীয় উস্তাদের সোহবতে থেকে তিনিও অনেক অবদান রেখেছিলেন।


উল্লেখযোগ্য উস্তাদঃ


১/ সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ, 

২/ শায়খুল আদব এ'জাজ আলী রহ, 

৩/ ইব্রাহিম বলিয়াবী রহ: 

৪/ শায়েখ ফখরুল হাসান রহঃ

৫/ মাওলানা জহিরুল হাসান রহঃ 


কর্মজীবনঃ


দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফিরে তিনি ১৯৪৬ সনে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। 


অনেক সুনাম- সুখ্যাতির সাথে তাঁর শিক্ষকতার জীবন চলেছে। অত্যান্ত মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন সব জায়গাতে।


১৯৮৬ সনে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। একদম মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন তিনি হাটহাজারীর মহাপরিচালক। একটানা ৩৪  বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসা এবং এদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।


তিনি ছিলেন কওমী মাদ্রাসা  সর্বোচ্চ বোর্ড,  "আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমীয়া" এর চেয়্যারমান। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যা ( কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড)  এর চেয়্যারম্যান। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়্যাত এর চেয়্যারম্যান।  হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়্যারম্যান। 


অবদানঃ


আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব, কওমী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরনীয়। বাংলাদেশে কেউ এমন মহৎ কাজটি আর করতে পারেনি। তিনি কওমী মাদ্রাসার  দাওরায়ে হাদীসের সনদকে মাষ্টার্স বা এম এ সমমান সরকারের কাছ থেকে আদায় করেছেন। এদেশর কওমী মাদ্রাসাগুলোকে জাতির সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়াবার কায়দা তিনি করে গেছেন।


ছিন্ন- ভিন্ন আলেম সমাজকে তিনি এক প্লাট- ফরমে  আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। ব্যক্তিত্বের গুণে আলেমদের এক টেবিলে বসাতে পেরেছিলেন। মানে অসম্ভবকে সম্ভব  করতে সক্ষম হয়ে ছিলেন তিনি।


সর্বশেষ ২০১৭ সনের ১১ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  কওমী সনদের স্বীকৃতি দেন। দাওরায়ে হাদীসের সনদ মাষ্টার্সের মর্য্যাদা পায়।


বিশেষ সন্মানঃ


আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব  ২০০৫ সনে শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ভুষিত হন। বাংলাদেশের জাতীয় সীরাত কমিটি এ  মর্য্যাদা তাকে প্রদান করেন।


রচনাবলীঃ


তিনি একজন  প্রতিভাবান লেখক ছিলেন। কলমের ময়দানে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।  মুহাদ্দিস হিসেবে, পীর হিসেবে যেমন তাঁর খ্যাতি রয়েছে, ঠিক লেখক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম- সুখ্যাতি।


উর্দু - বাংলা মিলিয়ে তাঁর প্রায় ২৫ টি গ্রন্হ রয়েছে। যে গুলো থেকে আলেম- উলামা এবং সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।

১/ হক ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্ধ , ২/ ইসলামী অর্থ ব্যবস্হা, ৩/ ইসলাম  ও রাজনীতি ৪/ ইজহারে হাকিকত ৫/ মুসলমানকে কাফির বলার পরিণাম, ৬/ ধুমপান কি আশির্বাদ না অভিশাপ ৭/ একটি সন্দেহের অবসান ৮/  একটি গুরুত্বপুর্ণ ফতোয়া ৯/ তাবলীগ একটি অন্যতম জিহাদ ১০/ ইসমতে আম্বিয়া ও মিয়ারে হক ১১/সুন্নাত ও বিদআতের সঠিক পরিচয় ১২ / বায়আতের হাকীকত ১৩/ আল বয়ানুল ফাসিল বায়নাল হক্কে ওয়াল বাতেল ১৪/ আল হুজাজুল কাতিয়া লি দাফয়েল নাহজিল খাতিয়া ১৫/ আল খায়রুল কাছীর ফি উসুলিত তাফসীর ১৬/ ইসলাম ওয়া সিয়াসাত ১৭/  ইজহারে হাকিকত ১৮/ তাকফীরে মুসলিম ১৯ / চান্দ রাওয়েজাঁ ২০/  ফয়ুযাতে আক্ষদিয়া ২১/   ফয়জুল জারী ( বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্হ) ২২ / মিশকাতের ব্যাখ্যাগ্রন্হ 


আল্লামা শফির উল্লেখযোগ্য ছাত্রঃ


চট্রগ্রামঃ


হাটহাজারী মাদ্রাসার  বর্তমান যত শিক্ষক আছেন,সকলেই আল্লামা শফির ছাত্র। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যদের নাম লিখছি:


১/ মাওলানা আব্দুস সালাম চাটগামী ( রহ,)

২/ মাওলানা শেখ আহমাদ দাঃ বাঃ

 ৩/ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ( রহ,)


৪/ আল্লামা দিদার কাসেমী দাঃ বাঃ


ঢাকাঃ


১/ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব, মোহতামিম,ফরীদাবাদ মাদ্রাসা।ও মহাসচিব, বেফাক।

২/ মাওলানা আনোয়ার শাহ,  সাবেক নায়েবে মোহতামিম,জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, বর্তমান শায়খুল হাদীস, জামেয়া ফজলুল করীম, হাসনাবাদ,ঢাকা।

৩/ মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী ( রহ,) মোহতামিম, মাখজানুল উলুম, খিলগাঁও।

৪/ মাওলানা রুহুল আমীন খান উজনবী, দা: বাঃ

মোহতামিম, জামেয়াতুস সাহাবা, উত্তরা, ঢাকা।

৫/ ডঃ মুশতাক আহমাদ দা: বা: উপপরিচালক,  ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ও শায়খুল হাদীস, তেজগাঁও রেলষ্টেশন।

৬/ মাওলানা আহমাদ মায়মুন  দা: বাঃ মুহাদ্দিস, জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ,ঢাকা। 

৭/ মাওলানা জাকির হোসেন, টঙ্গী।


ফরিদপুরঃ

১/ মুফতী আব্দুল কাদের রহঃ সাবেক মুহতামিম, জামেয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম। 

২/ মাওলানা কারামাত আলী দাঃ বাঃ

মোহতামিম,মদীনাতুল উলুম ফরিদপুর।

৩/ মুফতী ইসমাতুল্লাহ কাসেমী, পীর সাহেব নগরকান্দা।


 সিলেটঃ


১/ মরহুম তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী 

২/  শেখ জিয়া উদ্দীন, আংগুরা মুহাম্মদ পুর,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেন্দ্রীয় জমিয়ত,

৩/  মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মুহতামিম দরগাহ মাদ্রাসা,

৪/ মুস্তাক আহমদ খান,

৫/ শায়খুল হাদীস মাওলানা মোহাম্মদ মুফতী ইউসুফ হরিপুর মাদ্রাসা।


৬/ শায়খুল হাদিস আল্লামা শিহাব উদ্দিন চতুলী।

মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস দারুল হাদিস চতুল ঈদগাহ মাদ্রাসা।


 উল্লেখযোগ্য কিছু খলিফাঃ


১/ আল্লামা শেখ আহমাদ সাহেব, হাটহাজারী।

২/ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব, হাটহাজারী।

৩/ মাওলানা নোমান আহমাদ সাহেব, মোহতামিম ও শায়খুল হাদীস, বরুড়া, কুমিল্লা।

৪/ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব, মোহতামিম,ফরীদাবাদ,ঢাকা।

৫/ মাওলানা নুরুল আমীন সাহেব, ফরীদাবাদ,ঢাকা।

৬/ মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী,(রহ,) মোহতামিম,শায়খুল হাদীস,  মাখজানুল উলুম,ঢাকা।

৭/ মাওলানা জাকির হোসেন, মোহতামিম, শায়খুল হাদীস, জামেয়া নুরিয়া,টঙ্গী।

৮/ মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেব, শায়খুল হাদীস, জামেয়া শারইয়্যাহ, মালিবাগ।

৯/ মাওলানা আহমদ মায়মুন সাহেব, মুহাদ্দিস, জামেয়া শারইয়্যাহ, মালিবাগ।

১০ / মাওলানা রুহুল আমীন খান উজনবী,  মোহতামিম, জামেয়াতুস সাহাবা, ঢাকা।


এভাবে দেশ- বিদেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্র ও খলিফা রয়েছে আল্লামা শফি সাহেবের। যেগুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রতিভাবান আলেম, ওয়ায়েজ,লেখক,পীর, এভাবে যারাই যেখানে দ্বীনের খেদমত করছেন, তাদের অধিকাংশ আল্লামা শফির শাগরেদ।


ইন্তেকাল: 


১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ঢাকার আসগর আলী হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। 


সন্তান - সন্ততিঃ


দুই ছেলে, তিন মেয়ে।


জানাযা দাফনঃ


১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ হাটহাজারী মাদ্রাসায় বাদ জোহর জানাযা হয়।  জানাযাতে ইমামতি করেন, হযরতের বড় সাহেবজাদা।


বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ লোক সমাগম হয় আল্লামা শফির জানাযাতে। কত যে মানুষ, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলার সাধ্যে রাখেনা।


পুরো হাটহাজারীর আশপাশের পাঁচ / সাত কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য ছিল।কোথাও তিলধরনের ঠায় ছিল না।  মানুষ যে যেখানে পেরেছে, জানাযায় দাঁড়িয়েছে।  এক অভুতপুর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল সেদিন। মিডিয়ার  ক্যামেরাগুলো অচল। এত্ত মানুষ ক্যামেরাবন্দী সম্ভব ছিল না।


কোন মিডিয়া পাঁচ লক্ষ,কোনটা তাঁর অধিক লোকের কথা উল্লেখ করেছিল।


হযরতকে এক নজর দেখার জন্য  লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটেছিল হাটহাজারীতে।  জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল হাটহাজারী এবং তৎপার্শ্ববর্তী এলাকা।


আল্লামা শফিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্হানে, মাকবারায়ে জামেয়াতে দাফন করা হয়।


একজন অবিসংবাদিত আলেমেদ্বীন এবং আধ্যাত্মিক সাধক ছিলেন আল্লামা আহমাদ শফি রহ,। এদেশের পরতে পরতে তাঁর অবদান। বিশেষ  করে মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে, দ্বীনি দাওয়াত পৌছানোর ক্ষেত্রে এবং বাতিল শক্তির মোকাবেলায় তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এদেশে লক্ষ - কোটি উলামায়ে কেরাম ও আমজনতার হৃদয়ে তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তাঁর অবদান চিরস্মরনীয়।

মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দুআ করি, আল্লাহ তায়ালা হযরতকে জান্নাতুল ফিরদাউসে সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।


আরও খবর