Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু রোগীর চাপ, ঠাঁই নেই হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী যেভাবে হাসপাতালে প্রতিদিন আসছে তাতে ডাক্তার-নার্স এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামনে সামাল দিবে এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। তারপরেও ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের মনোবল ভাঙ্গেনি। তারা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব তাদের চিকিৎসার জন্য। আমরা এখন মহাবিপদে আছি। হাসপাতালগুলোর কোন বিছানা খালি নাই। ওয়ার্ডের বারান্দা, করিডোর, সিঁড়ির নিচে কোথাও পা রাখার জায়গা নাই। রোগী আর রোগী। সবাই ডেঙ্গু রোগী। এই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ঠিকভাবে হচ্ছে না।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে। এর মধ্যে এত ডেঙ্গু রোগীর চাপ। এমনিতে একজন রোগীর অপারেশন করতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। সেখানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সামাল দিতে গিয়ে তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে সেদিকে লক্ষ্য রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডাক্তার-নার্সরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। তাদের কথা বলারও সময় নাই। তারা বলেন, আমাদের বিলম্বের কারণে একজন রোগী মৃত্যু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চেষ্টা করে যাব যেন কোন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা যেন ব্যহত না হয়। তবে আক্ষেপ করে ডাক্তাররা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসায় যেতে পারিনি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখাও হয় নাই। এই রোগীগুলো যদি আমার মা-বাবা-ভাইবোন ও আপনজন হতো তাহলে আমি যা করতাম তাই করছি। রোগী রেখে ডাক্তার হয়ে তো বাসায় ঘুমাতে পারি না।

রাজধানীর ছয়টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আর কিছু মানুষ জ্ঞান দিচ্ছে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে দুটি সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ডেঙ্গুর রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে জানানো হয়েছে। অপরদিকে ৫৫টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু জ্বরের এডিস মশার সর্বাধিক বংশ বৃদ্ধি করার স্থান সনাক্ত করে তালিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে মশা নিধনে তেমন কোন কার্যক্রম স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়ে না। শুধু জেল-জরিমানা কোন সমাধান নয়। ভবনের বাইরে যেখানে মশা থাকুক তা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা বলেন, দয়া করে মশা মারুন। যেহেতু শত্রু চিহ্নিত, তাকে নিধন করা খুব সহজ। শত্রুকে নিধন না করলে সে ধ্বংস করে  যাবে।

প্রসঙ্গত, ১১টি রেড জোন এলাকার মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬টি। এগুলো হলো: যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫টি এলাকা হলো: উত্তরা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মিরপুর ও তেজগাঁও। এডিস মশা বংশ বিস্তারের ৫৫টি ওয়ার্ডের  মধ্যে উত্তর সিটি এলাকায় ২৭টি, দক্ষিণ সিটিতে ২৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। গতকাল ডেঙ্গু জ্বরে আরো ৯ জনের মৃত্যু এবং ২২৯২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে ৪৪৯৭৭ জন আক্রান্ত হলো। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ২২৫ জনের। এর মধ্যে ১৭৫ জনই ঢাকায়।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, এডিস মশা নিধন নিয়ে এত হৈচৈ হচ্ছে কিন্তু মশা নিধন নিয়ে কোন কিছু হচ্ছে না। এমন অভিযোগ আসছে। এই অবহেলা মহাবিপদ ডেকে আনবে। এর দায়ভার কে নেবে। সময় থাকতে মশা নিধন করতে হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ হোসেন বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে যা যা দরকার তা করে যাচ্ছি। যেখানে জনবল প্রয়োজন সেখানে তাই দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহাখালী ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬ জন মেডিসিন কনসালট্যান্ট, ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ৪০ জন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন কনসালট্যান্ট ও ১২ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন নার্স দেওয়া হয়। তবে রোগী যাতে না বাড়ে  সে জন্য  মশা নিধন করাটাই জরুরি।  


আরও খবর



সংস্কারের নামে বন অধিদপ্তরে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহালের আয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

এনামুল হক:

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বইছে সংস্কারের হাওয়া। সংস্কার প্রস্তাব থেকে বাইরে নয় বন অধিদপ্তরও। কিন্তু সম্প্রতি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে গৃহীত সংস্কার প্রস্তাবের পর তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে স্বয়ং বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। জানা যায় গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে বন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই গোপনে বৈঠক করে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে যা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বর্তমানে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগে রয়েছে। প্রস্তাবিত সংস্কার প্রস্তাবগুলোর একটা দফায় বলা হয়েছে, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদটি 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদে পদনাম পরিবর্তন, প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন এবং পর্যাপ্ত পদোন্নতি প্রদান নিশ্চিতকরণসহ অর্গানোগ্রামের মূল ধারার সাথে সমন্বয়করণ। 


বন অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা' পদের কর্মকর্তাবৃন্দ কোনোরকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০১১ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করে। এই প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকতার্র পদসহ ৭৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ২০১৬ সালে প্রকল্পটি শেষ হলেও ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় ৫৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করে তাদের পদায়ন করা হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ জন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হন। 


'স্ট্রেনদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ প্রটেকশন' নামক আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জন 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা'। প্রকল্পটি ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়।


বিভিন্ন নথিসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র ২ কর্মদিবস আগে তড়িঘড়ি করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়মিতকরণের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সে ধারাবাহিকতায় ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে নিয়মিতকরণ করা হয়। এখন একই সাথে দ্রুতগতিতে উক্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ এবং পদনাম পরিবর্তন করে 'সহকারী বন সংরক্ষক' এ পরিবর্তনের কাজ এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য যে, 'সহকারী বন সংরক্ষক' পদটি বন অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত ক্যাডার পদ যাতে শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এবং ফরেস্ট রেঞ্জার পদ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আইন বহির্ভূতভাবে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের পদনাম ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা জানান, 'বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমেও আসেন নি। এখন তাদের পদনাম ক্যাডার পদনামে পরিবর্তন করলে আমরা পদোন্নতিবঞ্চিত হবে, পদোন্নতি স্থবির হবে অন্যান্য পদগুলোতেও। এমনিতেই ক্যাডার-এনক্যাডার, প্রকল্প এরকম বহুমুখী মামলায় বহু বছর বনবিভাগের কার্যক্রম স্থবির। এসব জট কাটিয়ে গতিশীল হতে শুরু করা মাত্রই এমন সংস্কার প্রস্তাবকে আমরা দুর্নীতির সাম্রাজ্য বহাল রাখার চোখেই দেখি।'

তিনি আরও জানান, 'প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা মূলত বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক লবিং এ আসা। এখন তাদেরকে ক্যাডার পদে পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবের মাধ্যমে পতিত স্বৈরাচারের চিহ্ন বহাল ও শক্তিশালী করার নামান্তর। আমরা বিগত সরকারের আমলে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া এবং ভুতাপেক্ষভাবে রাজস্বে স্থানান্তরের বিষয়গুলো বর্তমান সরকারকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই।'

অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা যোগদানের পর থেকে বনবিভাগের নানা অসংগতি দেখি৷ জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে বনবিভাগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু যখন দেখি অবৈধ টাকার প্রবাহে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পরীক্ষা না দিয়ে ক্যাডার পদে আসার চেষ্টা করে এবং তাতে স্বয়ং জড়িত থাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, তখন আমরা কাজ করার নৈতিক শক্তিতে অনেক পিছিয়ে পড়ি।'


আরও খবর

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব আগেই দিয়েছেন। এবার জবাব দিলেন কলকাতা ও বাংলা দখল বিষয়ে বক্তব্যের।

এরআগে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা চারদিনে কলকাতা দখল নিতে পারবেন বলেন মন্তব্য করেন। আবার বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী সম্প্রতি বাংলা- বিহার- উড়িষ্যা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আজ সোমবার বিধানসভায় দুটি বক্তব্যের জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে ললিপপ খাব না।’

এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে উঠে ওই কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক। যারা বলছেন, বাংলা-বিহার-উওড়িষ্যা দখল করবেন, তারা ভাল থাকবেন। তবে আপনার সেই ক্ষমতা নেই। আর ভাববার কোনো কারণ নেই যে, আমরা বসে ললিপপ খাব। আমরা যথেষ্ট সক্রিয় এবং ধৈর্যের পরীক্ষা দেই। আমরা সবাই সবাইকে রক্ষা করব।’

মমতা বলেন, ‘আমরা অখণ্ড ভারতবর্ষের। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, 'গোটা বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে এবং তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনো পক্ষে নেই। আমরা সব পক্ষে। আজ বিদেশ সচিব (বাংলাদেশে) গেছেন। দেখা যাক, কী হয়। আমাদের নীতি হল, আমরা বিদেশনীতি মেনে চলব।’

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় বিধায়কদের মন্তব্য করা থেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘কোনো অতিরিক্ত মন্তব্য করবেন না, যাতে প্ররোচণার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একই বার্তা রাজ্যবাসীকেও।’

পরোক্ষভাবে বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘কয়েকটা মিডিয়া যা করছে, তা যথাযথ নয়। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে আপনাদের ব্যান করব। কিন্তু আবেদন করছি, যথাযথ থাকুন। আর কিছু ফেক ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল করছে।’

বাংলাদেশে অশান্তি বাড়লে শরণার্থী সমস্যা বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে- বিজেপির এমন আশঙ্কার জবাবে মমতা এদিন আবার কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখানে আসতে চাইছেন ওপার থেকে। কিন্তু সেটা বিএসএফ দেখছে। আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।


আরও খবর

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ঢাকায় হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল!

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এবার সেই সংকট আরও বেশি ঘনীভূত হয়েছে। বাজারে এক ও দুই লিটারের বোতল প্রায় ৯০ শতাংশ উধাও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ তেল দেওয়া হচ্ছে তাদের। বাজারে কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।

কারওয়ান বাজারের মুদি দোকনি নোমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। যার কারণে অন্য মালামাল বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে। মূলত দাম বাড়াতেই কোম্পানি ও ডিলাররা মিলে এমন কারসাজি করছে।

বাজারে তেল কিনতে আসা তোফায়েল বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি করছে না। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে।

আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে তেল সরবরাহ কমেছে। বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো।

এ বিষয়ে ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে দুই দফায় শুল্ক-কর কমায় সরকার। মূলত, কোনো পণ্যের ওপর শুল্ক-কর কমানো মানে ওই পণ্যের আমদানি বাড়বে এবং দাম কমবে। কিন্তু দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমার বিপরীতে উল্টো বাড়তে দেখা যায়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




সিপিবির সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি সভা উদযাপিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এই সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

সভায় সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাকিল আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আক্তার।

সূচনা বক্তব্যে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদ চরমভাবে লঙ্ঘন করে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যে পশ্চিমা দেশগুলো কথায় কথায় বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেয়, তারা আজ প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সম্পর্কে কার্যত নীরব। আরব লীগ এবং ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সিপিবির এই সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে প্যালেস্টাইনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্যালেস্টাইনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ প্যালেস্টাইনের এক অকৃত্রিম বন্ধু।

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।’

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে দখলদার শক্তির সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের দেশের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমরেডবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল সহ অন্যান্য সংগঠন  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন  সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



রোজায় বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হবে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রমজানকে সামনে রেখে বাজার ব্যবস্থা সহনশীল রাখতে সরকার চেষ্টায় থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, চাহিদা এবং জোগানের বিষয়কে যেন একটা সমানুপাতিক হারে রাখতে পারি। এ জন্য সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি। ইতোমধ্যে দেশে চিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রয়াত সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষাভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

স্বৈরশাসক হাসিনার সরকারের সমালোচনা করে শেখ বশির বলেন, দেশে বিগত ১৫ বছরে একটি ক্রিমিনালাইজেশন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রের মধ্যে আমাদের সমাজ অসম্ভবভাবে বিভিক্ত ছিল। ভীতসন্ত্রস্ত ছিল।

তিনি বলেন, আজকে ক্রিমিনালাইজেশন ইজ এভরি সেক্টর, ব্যবসা-ব্যাকিং হোক, সাংবাদিকতা হোক-আমাদের জাতীয় মসজিদের খতিব পালিয়ে গেছে। এমন একটা অবস্থা থেকে ছাত্রজনতার আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংগঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে কীভাবে একটা মর্যাদাপূর্ণ সমাজে আমরা রূপান্তরিত করতে পারি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪