Logo
শিরোনাম

ডেঙ্গু রোগীর চাপ, ঠাঁই নেই হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী যেভাবে হাসপাতালে প্রতিদিন আসছে তাতে ডাক্তার-নার্স এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামনে সামাল দিবে এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। তারপরেও ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের মনোবল ভাঙ্গেনি। তারা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব তাদের চিকিৎসার জন্য। আমরা এখন মহাবিপদে আছি। হাসপাতালগুলোর কোন বিছানা খালি নাই। ওয়ার্ডের বারান্দা, করিডোর, সিঁড়ির নিচে কোথাও পা রাখার জায়গা নাই। রোগী আর রোগী। সবাই ডেঙ্গু রোগী। এই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ঠিকভাবে হচ্ছে না।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে। এর মধ্যে এত ডেঙ্গু রোগীর চাপ। এমনিতে একজন রোগীর অপারেশন করতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। সেখানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সামাল দিতে গিয়ে তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে সেদিকে লক্ষ্য রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডাক্তার-নার্সরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। তাদের কথা বলারও সময় নাই। তারা বলেন, আমাদের বিলম্বের কারণে একজন রোগী মৃত্যু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চেষ্টা করে যাব যেন কোন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা যেন ব্যহত না হয়। তবে আক্ষেপ করে ডাক্তাররা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসায় যেতে পারিনি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখাও হয় নাই। এই রোগীগুলো যদি আমার মা-বাবা-ভাইবোন ও আপনজন হতো তাহলে আমি যা করতাম তাই করছি। রোগী রেখে ডাক্তার হয়ে তো বাসায় ঘুমাতে পারি না।

রাজধানীর ছয়টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আর কিছু মানুষ জ্ঞান দিচ্ছে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে দুটি সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ডেঙ্গুর রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করে জানানো হয়েছে। অপরদিকে ৫৫টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু জ্বরের এডিস মশার সর্বাধিক বংশ বৃদ্ধি করার স্থান সনাক্ত করে তালিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে মশা নিধনে তেমন কোন কার্যক্রম স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়ে না। শুধু জেল-জরিমানা কোন সমাধান নয়। ভবনের বাইরে যেখানে মশা থাকুক তা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা বলেন, দয়া করে মশা মারুন। যেহেতু শত্রু চিহ্নিত, তাকে নিধন করা খুব সহজ। শত্রুকে নিধন না করলে সে ধ্বংস করে  যাবে।

প্রসঙ্গত, ১১টি রেড জোন এলাকার মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬টি। এগুলো হলো: যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫টি এলাকা হলো: উত্তরা, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মিরপুর ও তেজগাঁও। এডিস মশা বংশ বিস্তারের ৫৫টি ওয়ার্ডের  মধ্যে উত্তর সিটি এলাকায় ২৭টি, দক্ষিণ সিটিতে ২৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক। গতকাল ডেঙ্গু জ্বরে আরো ৯ জনের মৃত্যু এবং ২২৯২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে ৪৪৯৭৭ জন আক্রান্ত হলো। এর মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত ২২৫ জনের। এর মধ্যে ১৭৫ জনই ঢাকায়।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, এডিস মশা নিধন নিয়ে এত হৈচৈ হচ্ছে কিন্তু মশা নিধন নিয়ে কোন কিছু হচ্ছে না। এমন অভিযোগ আসছে। এই অবহেলা মহাবিপদ ডেকে আনবে। এর দায়ভার কে নেবে। সময় থাকতে মশা নিধন করতে হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ হোসেন বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবার ব্যাপারে যা যা দরকার তা করে যাচ্ছি। যেখানে জনবল প্রয়োজন সেখানে তাই দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহাখালী ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬ জন মেডিসিন কনসালট্যান্ট, ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ৪০ জন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একইভাবে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন কনসালট্যান্ট ও ১২ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন নার্স দেওয়া হয়। তবে রোগী যাতে না বাড়ে  সে জন্য  মশা নিধন করাটাই জরুরি।  


আরও খবর



ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

রাজনীতিবিদদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির নেত্রী রুমিন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় যেমন রাজনীতিবিদদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছিল, আমি গত কয়েকমাস ধরে দেখতে পাচ্ছি এমন। যখন আমরা আন্দোলন করেছি, তখন এরা ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল ভাই। এরা জায়গায় জায়গায় ছাত্রলীগ হয়ে লুকিয়ে ছিল। তখন নুরুল হক নুরু মার খেয়েছে, আমি সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সাকি ভাই তখন আন্দোলন করেছে। মার খেয়েছে, রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে, এসব দিন আমরা পার করেছি। তো এখন তারা আমাদের কথায় কথায় ভারতের দালাল, -এর এজেন্ট এসব বলে।

রুমিন ফারহানা বলেন, একটা দেশে ড. ইউনূস ও তার কিছু পোষা স্টুডেন্ট ছাড়া সবাই নির্বাচন চায়। প্রশাসন নির্বাচন চায়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সকল দল নির্বাচন চায়। বিদেশিরাও নির্বাচন চায়। নির্বাচন চায়না শুধু এ সরকার।

বিনিয়োগ কমে যাওয়ার বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, এ সরকার না ওপরে ওপরের জিনিসগুলো খুব ভাল দেখায়। আশিক চৌধুরীকে নিয়ে এসে একটা চমৎকার প্রেজেন্টেশন দিলো। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেল, ২৬ শতাংশ বিনিয়োগ কমে গেছে। গত বছরের ৯ মাসের সঙ্গে এ মাসের ৯ মাস তুলনা করলে ২৬ শতাংশ কমেছে বিনিয়োগ।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে রুমিন ফারহানা বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলব। নির্বাচিত অতি খারাপ সরকারও অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেটার হয়।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ভারতে ফের যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। কেদারনাথ ধাম থেকে গুপ্তকাশীর দিকে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

মূলত কেদারনাথ থেকে যাত্রীদের নিয়ে গুপ্তকাশী যাচ্ছিল হেলিকপ্টারটি। একপর্যায়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। রবিবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী ফেরার পথে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পাইলট ও ছয়জন তীর্থযাত্রী— যাদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

আর্যন এভিয়েশন কোম্পানির এই হেলিকপ্টারটি মাত্র ১০ মিনিটের যাত্রাপথে, গৌরিকুণ্ড ও সোনপ্রয়াগের মাঝখানে একটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।

এনডিটিভি বলছে, নিহত তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট থেকে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও খারাপ আবহাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

মূলত হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় কিছু লোক যারা গবাদি পশুর জন্য ঘাস সংগ্রহে বেরিয়েছিলেন তারা দুর্ঘটনাস্থলে ধোঁয়া দেখে খবর দেন। পরে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ এর উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই দুর্ঘটনার কথা এক্সে (পূর্বের টুইটার) জানিয়ে লেখেন, রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর পাওয়া গেছে। এসডিআরএফ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। আমি সকল যাত্রীর নিরাপদ উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করছি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ মে হিমালয়ের কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খোলার পর গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে এটা হেলিকপ্টার সংক্রান্ত পঞ্চম দুর্ঘটনা। এর আগে গত ৭ জুন আরেকটি হেলিকপ্টার কেদারনাথের দিকে যাত্রাকালে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিলে একটি সড়কে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

অবতরণের সময় সেটির পেছনের রটার একটি পার্ক করা গাড়ির ওপর পড়ে যায়। সেই ঘটনায় যাত্রীরা অক্ষত থাকলেও পাইলট সামান্য আহত হন।

মূলত কেদারনাথ হিমালয়ের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেখানে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার পরিষেবা জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনায় এসব পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে বিএনপি নেতার নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক প্রভাষক রাসেল আল ইসলাম সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা।

  বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় নব্বইরশী বাসষ্ট্রান্ডে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। বক্তৃতা করেন উ পেজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন,  শ্রমীক দল নেতা মাসুদ খান চুন্নু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, বিএনপি নেতা আবজাল হোসেন জোমাদ্দার, মতিউর রহমান বাচ্চু, আব্বাস মুন্সী, খেলাফত হোসেন খসরু, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা দলের দক্ষ সংগঠক রাসেল আল ইসলামের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ঈদের পরে দলীয় কর্মীরা গণ আন্দোলনের কর্মসূচি দিবেন।  


আরও খবর



‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জানিয়েছে, ষোড়শ সংশোধনী মামলার আসল লক্ষ্য ছিল বিচারপতিদের স্বাধীনতাকে সংকটে ফেলা। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পুনরায় ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যাতে তারা অক্ষমতা বা আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়বস্তু কী ছিল? এটি ছিল কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট প্রয়াস, যেখানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থেকে কেড়ে নিয়ে সংসদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেই হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়টি ঘোষণা করেন। ৫০ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণসহ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হলো। 

এদিকে এই রায় প্রসঙ্গে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী মন্তব্য করেন, যদি কোনো বিচারক তার বিচারিক দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের রোষানল কিংবা অসন্তোষের মুখোমুখি হন, তাহলে সংসদের সদস্যদের কলমের এক খোঁচায় তাকে অপসারণ করা সম্ভব, এটা কি কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায়? আমার গভীর বিবেচনায় এবং সহকর্মীদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে এর উত্তর, অত্যন্ত স্পষ্টভাবে, না

বাসস-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিচারপতিদের উচিত বিচারিক কাজে রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ানো। কারণ এমন মন্তব্য বিচারকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং তিনি তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে পারেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বিচারকদের উচিত রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ না করা, কারণ এতে বিচারব্যবস্থার সুনাম ও স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে এ কথা ব্যক্ত করেন।

রায়টিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার নতুন ভিত্তি পেয়েছে। এই রায় ইতিহাসে স্থান করে নেবে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবে। আগে ৯৪টি কারণে রিভিউ চাওয়া হয়েছিল। আমরা সবগুলো ভাল করে দেখেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রিভিউ করার মতো কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আদালতকে জানিয়েছি, আমরা আর এসব কারণ দেখাব না।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাত সদস্যের আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রাখে। এর পর রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন দায়ের করে, যার নিষ্পত্তি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে।


আরও খবর



ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলজুড়ে সাইরেন সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান ইসরাইলে আরো হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি অংশে সাইরেন বেজে ওঠে যখন ইরান তাদের নবম আক্রমণ শুরু করে। যা ভোর পর্যন্ত অব্যাহত চলে।

ইরানি মিডিয়ার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে তাদের ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হতে দেখেছে। যার পর থেকে ইসরাইলজুড়ে আবারও সাইরেন বেজে উঠে।

এদিকে ইসরাইলের বিমান বাহিনী হুমকি দূর করার জন্য যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাধা দেয়ার এবং আক্রমণ করার জন্য কাজ করছে।

সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পোস্টে জনসাধারণকে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।


আরও খবর