Logo
শিরোনাম

ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের নয় : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন একটি অসাম্প্রদায়িক, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের নয়। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

সোমবার বঙ্গভবনে বড় দিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী নেতবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা জানান। এ সময় তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে।

বড় দিন উপলক্ষে তিনি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী।

সাহাবুদ্দিন বলেন, যীশুখ্রিষ্ট পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়েছেন এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রপতি মনে করেন, যীশুর এই শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

মন্দের বিনিময়ে কারোর মন্দ করো না। সকল মানুষের দৃষ্টিতে যা উত্তম, ভেবে-চিন্তে তাই করো, যীশুর এই অমর উক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যীশুখৃষ্ট মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ত্যাগ, সংযম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন।

বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বর্তমান যুদ্ধ-বিগ্রহপূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন।

ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসেফরাস ডিক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিওসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে একটি কেক কাটেন এবং অতিথিদের সাথে ফটো সেশনে অংশ নেন।
সূত্র : বাসস

 


আরও খবর



করোনার প্রকোপ, ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রনের একটি নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে চলতি মাসের ৪ জুনে রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে। 

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে। 

ভারত ফেরত যাত্রী হরি দাস বলেন, ১০ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী মনিকা রানী বলেন, ১ মাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটির কিছু স্থানে ওমিক্রনের নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত সকল যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায়, তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়।


আরও খবর



প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এতে গুণগত কিংবা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই।

সোমবার বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বাজেটে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ব্যাংক হতে সরকার যদি লোন নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত।বাজেটের মৌলিক দিক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আমির খসরু বলেন, এই বাজেটে মৌলিক জায়গায় দূরত্ব রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, গুনগত দিক থেকে আমরা কোন পরিবর্তন দেখি না। কাঠামোগত কিন্তু আগের টাই রয়ে গেছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি প্রধান ও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানের রাজধানী তেহরানে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। হামলায় দেশটির দুই শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ও ফারেইদুন আব্বাসিও নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোররাতের এই হামলা পরিচালনা করে ইসরায়েলি বাহিনী। তেহরানের একাধিক আবাসিক ভবন এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। এতে বহু বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ছিলেন ইসলামি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট। ফারেইদুন আব্বাসি ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে এই দুই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

হামলার কারণে তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই হামলার মাত্র দুই দিন পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ফলে অনেকেই ধারণা করছেন, সেই সময়টিকেই টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, এই হামলায় শুধু আইআরজিসি প্রধান বা বিজ্ঞানীরাই নন, আরও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। অবশেষে শুক্রবার ভোরে তা বাস্তবে রূপ নেয়।


আরও খবর



ফিচার ‘নকল’ প্রমাণে মিলবে ৫০ হাজার ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামকে নকল করে হোয়াটসঅ্যাপের ফিচার তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন টেলিগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভ। একই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে টেলিগ্রামের ফিচার নকল করার বিষয়টি তুলে ধরে প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর আগে কটাক্ষ করে হোয়াটসঅ্যাপকে টেলিগ্রামের সস্তা সংস্করণও বলেন দুরভ।

 খবর : ইন্ডিয়া টুডে।

পাভেল দুরভের ঘোষণা অনুযায়ী, এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে টিকটকের মতো একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ কীভাবে টেলিগ্রামের বৈশিষ্ট্যগুলো অনুকরণ করেছে তা তুলে ধরতে হবে। ভিডিওটি টেলিগ্রামের একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলে জমা দিতে হবে। টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ব্যবহারকারীরা যেকোনো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে, তবে তাদের উচিত হোয়াটসঅ্যাপ থেকে দূরে থাকা। এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে টেলিগ্রামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদিকে দুরভ জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা যেসব ফিচার উপভোগ করে, তার অনেকগুলোই প্রথম চালু হয়েছিল টেলিগ্রামে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, টেলিগ্রাম একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তার উদ্ভাবনী চেতনা বজায় রেখেছে। অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ শুধু অনুকরণেই ব্যস্ত। প্রসঙ্গত, বর্তমানে টেলিগ্রামের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেসেজিং অ্যাপ। ২০২৪ সালে টেলিগ্রাম আয় করেছে ৫৪৭ মিলিয়ন ডলার। গত বছরের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, ব্যবহারকারীদের মাসে সর্বোচ্চ সময় ব্যয় করা সোশ্যাল মিডিয়ার তালিকায় টেলিগ্রামের অবস্থান অষ্টম, যেখানে শীর্ষ তিনে আছে যথাক্রমে টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুক। টিকটক ব্যবহারকারীরা মাসে ৩৪ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া ভারতের প্রায় ৪৫ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়মিত টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। রাশিয়ায়ও টেলিগ্রাম হোয়াটসঅ্যাপকে ছাড়িয়ে গিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এ বিষয় হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।


আরও খবর

দেশে চালু হলো গুগল পে

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




বাণিজ্য উত্তেজনার প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমবে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়েছে। সংস্থাটির মতে, এ বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।

সংস্থাটির ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপ্রেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ ও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রায় সব অর্থনীতির জন্যই একটি বড় ‘প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে তাদের মাত্র ৬ মাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপ এবং উদীয়মান ৬টি অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে।

সংস্থাটির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে একের পর এক শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্কহার ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে দুই অঙ্কে উঠেছে, যা গত প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। চীনসহ অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক বৃদ্ধির পাল্টা জবাব দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ট্রাম্পের অনিয়মিত বাণিজ্যনীতির কারণে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করছেন, শুল্ক বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং এখনো অনুমোদন না পাওয়া করছাড় নীতির মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

বিশ্বব্যাংক সরাসরি মন্দার পূর্বাভাস না দিলেও জানিয়েছে, চলতি ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে এমন এক দুর্বল অবস্থায় নামবে, যা ২০০৮ সালের পর মন্দা ব্যতিরেকে সবচেয়ে দুর্বল। আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ১৯৬০-এর দশকের থেকে কোনো একক দশকে সবচেয়ে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫