Logo
শিরোনাম
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

আইন তৈরি হয় জনস্বার্থে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর প্রয়োজন আছে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম।

এ আইন নিয়ে সারাদেশে একটা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন প্রয়োজন আছে, কেউ বলছেন নাই আবার কেউ বলছেন অ্যাবেন্ডমেন্ট (পরিত্যাগ) দরকার। 

আইন হয় জনস্বার্থে, যেন দেশের মানুষের উপকার হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউজে ‘প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগে জামিন হতো না, তবে এখন কিছুটা জামিন হচ্ছে। আইনে বলা হচ্ছে কিছু কিছু অপরাধ জামিন যোগ্য, আবার কিছু অপরাধ জামিন অ-যোগ্য। পরিষ্কার কথা- জামিন অযোগ্য মানে এ নয় জামিন পাবে না। এটা আদালতের বিচারকের বিষয়, তিনি চাইলে জামিন দেবেন আবার না চাইলে জামিন দেবেন না। আমি আশা করছি বিচারকরা বিষয়টি দেখবেন যেন মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পায়।

এসময় তিনি আরো বলেন, অনলাইন বা সোস্যাল মিডিয়াতে কারো সম্পর্কে মিথ্যা বলা হয়, মিথ্যা প্রতিবেদনও হয় তখন এ আইনটি'র মাধ্যমে তা দমন করতে হবে। অনলাইন মিডিয়া কে কেউ অবৈধ কাজে ব্যবহার করবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) মাসুদ খাঁন, নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়,  নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনো জমির অংশবিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা কৃষি ভূমির মালিকানার বিধান রেখে সংসদে আরো একটি বিল পাস হয়েছে।

বিলে বলা হয়, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই হবে। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে বলা হয়, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরিস্তর কাটার সাজা সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। নতুন আইনের আওতায় কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিত করতে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকরা নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারসমূহ নিশ্চিত, ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতির ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের ব্যবহার প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি থেকে বেআইনি দখল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে।

ভূমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করা এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত নেওয়াসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা নয় : ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে গৃহীত হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে সমবায় সমিতির মাধ্যমে চা, কফি ও রাবার বাগান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম, রফতানমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনটি শিথিল থাকবে। এই আইনে বাস্তুভিটার অধিকার, বর্গাচুক্তি ও উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য ভাগের কথাও বলা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় বাবা-মার উপর অভিমান করে ছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা দেওয়ায় বাবা-মার উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে মোসাঃ জেনি আক্তার (১৪) নামের এক ছাত্রীর আত্মহত্যা। মর্মান্তিক ছাত্রী আত্নহত্যার এঘটনাটি ঘটেছে বুধবার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায়। নিহত ছাত্রী জেনি আক্তার বদলগাছী উপজেলার কেশাইল গ্রামের মমিন হোসেন এর মেয়ে ও কেশাইল নুরানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম' শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার প্রেম  সম্পর্ক জনিত কারণে নিহতের সাথে তার মা-বাবার ঝগরা হয়। এরি কোন এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন এর অজান্তে ঐ ছাত্রী তার বাবা ও মায়ের উপর অভিমান করে নিজ ঘড়ের মধ্যে ঢুকে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টার ভেতর কোন এক সময় শয়ন কক্ষের বাশের ডাসার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এক পর্যায়ে ছাত্রীর মা তার মেয়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ও ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এসময় পরিবার ও প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে ভেতর হতে সাড়াশব্দ না  পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঐ ছাত্রীকে ঘড়ের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সেখান থেকে নিচে নামিয়ে মৃত অবস্থায় পান।

সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধ এর পেক্ষিতে মৃতদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ১৯বছর পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর আত্রাইয়ে রতন হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল হামিদ কে দীর্ঘ ১৯বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সাহেবগঞ্জ দক্ষিন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রতন খন্দকার হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

 রতন খন্দকারের ছোট ভাই রিপন খন্দকার জানান,২০০৪সালের ১৬মে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বড় ভাই রতনকে পিটিয়ে হত্যা করে আব্দুল হামিদ ও তার সহযোগিরা।এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলার পর থেকে আব্দুল হামিদ পলাতক ছিল।ওই মামলার রায়ে বিজ্ঞ আদালত হামিদকে মৃত্যু দন্ড এবং আরো দুইজনকে যাবতজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। এছাড়া আরো একজন খালাস পায়। 

 আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন,রতন হত্যা মামলার রায়ে আদালত হামিদকে ২০০৯সালে মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত করে। ঘটনার পর থেকে হামিদ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় র‍্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হামিদকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।


আরও খবর



ফতুল্লায় আলামিন শেখ হত্যা মামলার

প্রধান আসামি হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কবিরাজ আলামিন শেখ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই। রবিবার রাতে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে হাফিজ মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইয়ের কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই’র নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 

পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি প্রথমে ক্লুলেছ হলেও পরবর্তীতে আমাদের লোকাল সোর্স এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ মাস্টার (৩৮) কে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার নিজ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত হাফিজ মাস্টার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, হাফিজুর রহমান ও নিহত কবিরাজ আলামিন শেখ পূর্ব পরিচিত। দু’জনে একসাথে লাইটার জাহাজে কাজ করতেন। 

হাফিজুর ধারনা করে আলামিনের কবিরাজি ঝাড় ফুকের দ্বারা সমাজের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। আসামী হাফিজুর কিছুতেই তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে আদর্শগত দিক থেকে তার পূণ্য হবে এই ধারনায় কবিরাজ আলামিন শেখ কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। 

হত্যার দিন হাফিজ ভিকটিমের সাথে মোবাইলে কথা বলে রাতে কবিরাজি রুমে আসে। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ভোর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী হাফিজ তার বন্ধু আলামিন শেখ কে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকান্ড শেষে হাফিজুর ফতুল্লা পাগলা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোররাতে (৮ সেপ্টেম্বর) ফতুল্লায় ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার এক কবিরাজকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শিগগিরই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে চায় মিয়ানমার। তবে রাখাইনের যে স্থানে রোহিঙ্গারা থাকবে সেখানে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে যেতে দিতে দ্বিধায় নেপিদো। ফলে টেকসই প্রত্যাবাসনে বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমকে ধীর গতি দিয়েছে ঢাকা।

চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নেপিদোতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শিগগিরই কিছু রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। প্রথম ব্যাচে দেশটি যাচাইকৃত তিন হাজার রোহিঙ্গাকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখাইনে উপস্থিতির বিষয়টিতে জোর দেয়া হয়। তবে এর প্রেক্ষিতে বৈঠকে কোনো উত্তর দেয়নি মিয়ানমার।

চলতি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। দলটি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আস্থা ও মনোবল বাড়ানো এবং প্রত্যাবাসনে রাজি করানোর কাজটি করবে। সেই সঙ্গে শেষ মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়টিও জড়িত ছিল প্রতিনিধি দলের কার্যক্রমে। তবে বাংলাদেশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের আসার সম্ভাব্য দিনক্ষণ দেবে ঢাকা।

বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল, ফলে বাংলাদেশ খুব সতর্কতার সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঢাকার অন্যমত অগ্রাধিকার, তবে সেই সঙ্গে এটি টেকসই করার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। তাই রাখাইনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোসহ মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।


আরও খবর