মোঃ নাঈম হোসাইন,দশমিনা (পটুয়াখালী) :
পটুয়াাখালীর দশমিনায় এলজিইডি'র একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্ট ভেঙে তিন বছর ধরে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। উপজেলা সদরের বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দশমিনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার পুল পর্যন্ত এলজিইডি'র গুরুত্বপূর্ণ এ কার্পেটিং সড়কটির মাঝখানে কালভার্টটি ভেঙে আছে তিন বছর ধরে। কালভার্টটি সংস্কার বা পুনঃ নির্মানের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। স্থানীয়রা বলছেন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই এ ভোগান্তির মূল কারণ।
জানা যায়, এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনসহ দশমিনা, কাটাখালী ও গোলখালী গ্রামের কযয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্টটির প্রায় অর্ধেক অংশ ভেঙে গেছে। কালভার্টটি নির্মাণকালীন সময় আরসিসি ঢালাইয়ে ব্যবহৃত লোহার রডগুলো এলোপাথাড়িভাবে বের হয়ে খাড়া হয়ে আছে। ভেঙে যাওয়া অংশে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কালভার্ট দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রিক্সা, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, শিশু, বৃদ্ধ, মহিলা, রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দিয়ে এলাকার শিক্ষার্থীদের আশপাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে হয়। কয়েক গ্রামের কৃষকরা হাটবাজারে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য আনা নেয়া করে।
স্থানীয়দের আশংকা এলাকার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এ সড়কের কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করায় যেকোন সময় গর্ত ও লোহার রডগুলোর কারণে ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা।
দশমিনা গ্রামের বিউটি বেগম বলেন, এর আগে এ কালভার্ট থেকে দুটি টমটম গাড়ি পড়ে গেছে।
একই গ্রামের রিক্সাচালক ওহাব খাঁ বলেন, রাস্তার পাশে লাইট না থাকায় অনেকেই রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
একই গ্রামের বাবুল প্যাদা বলেন, এ রাস্তা দিয়ে ভারী ভেকু মেশিন যাওয়ার সময় কালভার্টটি ভেঙে গেছে।
বেগম আরেফাতুনেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্খী সারামণি ও মিম জানায়, আমরা সাঁতার জানিনা। কালভার্টের নিচে গভীরতা বেশি। বর্ষাকালে ওই কালভার্ট খ্বু ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়।