Logo
শিরোনাম

রাঙ্গামাটির সড়কের বাঁকে বাঁকে মুগ্ধতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 |

Image

পাহাড়ের ওপরে আঁকাবাঁকা সর্পিল গতিতে চলা এ সড়কটি এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি যুক্ত হয়েছে কাপ্তাইয়ের সঙ্গে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অসাধারণ এ উদ্যোগ এখন সবার নজর কেড়েছে। স্থানীয়দের কাছে সড়কটির নাম আসাম বস্তি-কাপ্তাই সড়ক। তবে অনেকের মত, সড়কটির নাম রাঙামাটি-কাপ্তাই লিংক রোড হলেই, নামেই পর্যটকরা বুঝে নিত যে, রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই চলাচলের পথ।

রাঙামাটির পাহাড়ের ওপর নির্মিত সড়কটি নিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ শফির সঙ্গে। তিনি বলেন, সড়কটি নির্মাণ নিঃসন্দেহে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি অসাধারণ সাফল্য। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। সবশেষে সফলতা এসেছে। এখন সড়কটি দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সড়কটি নির্মাণের শুরুটা অনেক কঠিন ছিল। ২০১৭ সালে ১৩ জুন এখানে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে এটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরোদমে কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটিকে দুই লেনে উন্নীত করা হয়। নির্মাণ করা হয় তিনটি নতুন সেতু। ২০২৩ সালে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি পুরোপুরি চালু রয়েছে। সড়কটি নির্মাণের ফলে রাঙামাটির সঙ্গে কাপ্তাইয়ের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে গেছে।

রাঙামাটি শহরে ঢুকে আসাম বস্তি নামটা শুনে মনে হলো, এখানে আসামের নাম কোথা হতে এলো। তবে বুঝলাম, আসাম বস্তি নামটা এখানে বেশ জনপ্রিয়, এক নামে পরিচিত। তবে ইতিহাস কেউ জানে না। একেকজন একেক কথা বলছেন। কারো মতে এককালে এখানে বস্তি গেড়ে আসাম থেকে লোক এসে থাকতেন। তাই এর নাম আসাম বস্তি। কারো মতে, স্বাধীনতার আগে এখানে আসাম থেকে কিছু লোক এসে বসতি স্থাপন করেন বলে নাম আসাম বস্তি। তবে নাম যা হোক না কেন, রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়ক রাঙামাটি অংশে শুরু হয়েছে আসাম বস্তি এলাকা থেকে। আর শেষ হয়েছে কাপ্তাইতে। যেহেতু শুরুটা এখান থেকে হয়েছে তাই এ প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে আসাম বস্তি-কাপ্তাই সড়ক

আসাম বস্তি-কাপ্তাই সড়কে এখন খুব বাইকারদের দাপট। নারী-পুরুষ সমানতালে মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন। তবে এ রোডে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গেলে পাহাড়ি পথে চলার অনভিজ্ঞ চালকের জন্য বিপদের আশঙ্কা থাকে। উঁচু-নিচু পাহাড়ি এলাকায় চলাচলে আলাদা কসরতের দরকার।

দেখলে মনে হয়, পাহাড়ের ওপর দিয়ে সরু কোনো রাস্তা। তবে রাস্তাটির যতটুকু করা হয়েছে তাতে দুটি গাড়ি অনায়াসে চলাচল করা কোনো সমস্যাই নয়। রাস্তার মাঝে মাঝে রয়েছে দাঁড়ানোর প্রশস্ত জায়গা। সড়কের এক পাশে পাহাড়ের সারি, অন্য পাশে কাপ্তাই হ্রদের জলরাশি। হ্রদ আর পাহাড়-দুদিকেই অসাধারণ সৌন্দর্য। বিশেষ করে এক পাশে উঁচু পাহাড়ের নিচে কয়েক স্তরের পাহাড়ের সারি। আর মাথার ওপরে মনে হবে কাছাকাছি রয়েছে মেঘের কারুকাজ। রাস্তা আর লেক ঘিরে এরই মধ্যে নানা পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ চলছে। প্রায় ডজন খানেক পর্যটন কেন্দ্র ও রিসোর্ট এরই মধ্যে হয়ে গেছে। চলার পথে লেকের ধারে বেরাইন্না লেক, বাগী লেক, রাইন্যা টুগুন, বড় গাং ইত্যাদি নানা বাহারি নামের পর্যটন স্পট দেখা যাবে। এখানে রয়েছে খাবার আয়োজন থেকে সব সুবিধা।

আসাম বস্তি-কাপ্তাই সড়কে ওঠার মুখে পাহাড়ের ভেতরে নজর কাড়ে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের। প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী ভয়হীনভাবে পাহাড়ের চারিদিকে ঘোরাফেরা করেন। কেউ কেউ সড়কের দৃষ্টিনন্দন স্থানে আড্ডারত। এ সড়কের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে বৌদ্ধমন্দির। মন্দিরে রয়েছে অসাধারণ নির্মাণশৈলী। জানলাম, এ পাহাড়েই রয়েছে বুদ্ধ গুরু মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির এর জন্মস্থান। যিনি এখানে বনভান্তে নামে পরিচিত। এখানে দেখা মিলবে দর্শনার্থীর লম্বা লাইন। আসাম বস্তি থেকে কয়েক মাইল যাওয়ার পর নজরে পড়ে লম্বা একটি সেতু। পুরো সেতুর ওপর দর্শনার্থীর ভিড়।

ঢাকা থেকে ব্যবসায়ী মুহিবুল হক সপরিবারে কাপ্তাই থেকে এ পথ দিয়ে এসেছেন রাঙামাটি। তিনি বলেন, রাঙামাটির এ সড়কে না আসলে অনেক কিছু দেখতাম না। সৃষ্টিকর্তা যে এত অসাধারণ সৌন্দর্য এখানে দিয়েছেন যে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। ইচ্ছে করে দিনভর দাঁড়িয়ে থেকে শুধু দেখতেই থাকি।

এখানে এসে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা মিলল রাঙামাটির মিলটন চাকমার। তিনি একটি টং দোকান দিয়ে চাসহ নানা ফল নিয়ে বসেছেন। বেশ বেচাবিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তিনি বলেন, এ সড়কটি হওয়ার পর ব্যবসার গতি বেড়েছে। এখন আর একা পারি না। সঙ্গে সহযোগী লাগে।

রাঙামাটির ফল ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, এ সড়ক হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছে। আগে পাহাড়ের ভেতরে থাকা আম, কাঁঠাল, আনারস পচে পড়ে থাকত। পাহাড় থেকে এগুলো বের করে এনে বিক্রি করা কঠিন হেয় যেত। এখন রাস্তার পাশে যে যেভাবে পারে ফল নিয়ে বসে যায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে এসব ফল। বাজারে আনাও সহজ হয়ে গেছে। যারা অল্প উৎপাদন করছে তারা পথিমধ্যে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে দিতে পারছেন। আর ব্যবসায়ীরা গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে পারছেন। ফলে ব্যবসায় গতি যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেকের অভাবও দূর হয়েছে।


আরও খবর



তারল্য সংকট ব্যাংক ঋণে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 |

Image



বিডি টু ডে  রিপোর্ট:


সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, উচ্চ সুদহার এবং তারল্যসংকটের প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের ঋণ বিতরণে। পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। 


এপ্রিলে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯.৯০ শতাংশ, যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তার আগে মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১০ শতাংশ। সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের নিচে নেমে এসেছে। 


আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে।



একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ঋণ বিতরণ বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরেই এপ্রিলে এসে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আর অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। 


আবার গত বছরের জুলাইয়ের পরই ঋণের সুদহার বেড়েছে অনেক বেশি। জুনের পর সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার পরই তা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সে জন্য ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদহারকেও বিবেচনায় নিয়ে কম ঋণ নিচ্ছেন। আবার অনেক ব্যাংক নগদ টাকার সংকটে ঋণ বন্ধ রেখেছে। 


এজন্য ঋণের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কমছে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন; যার কারণে ঋণের প্রবৃদ্ধি হ্রাসে একটা প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.২৮ শতাংশ। এই ঋণ বিতরণের হার কমে মে মাসে দাঁড়ায় ১১.১১ শতাংশ। জুন মাসে প্রবৃদ্ধির হার কমে হয় ১০.৪০ শতাংশ এবং জুলাই মাসে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৮ শতাংশ। 


আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৫ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.৬৯ শতাংশ। তবে অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়। পরে নভেম্বরে কমে তা হয় ৯.৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১৩ শতাংশে। 


এরপর আবার কমতে শুরু করে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৯.৯৫ শতাংশ এবং ৯.৯৬ শতাংশে। কিন্তু মার্চে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। 


মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ। তার পরের মাস এপ্রিলে আবার কমে তা এক ডিজিটের ঘরে নেমে আসে। এ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৯.৯০ শতাংশ।


আরও খবর



বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে আর কিছু মিডিয়া অপপ্রচারে নেমেছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 |

Image



বিডি টুডে ডেস্ক রিপোর্ট:


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুলরা গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে। 


পুলিশকেও ঢালাওভাবে আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও তাদের সেই মতলব আছে। বিএন‌পি আজকে গুজব ছড়িয়ে আমাদেরকে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিচিত করার চক্রান্ত করছে। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে ।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি এ কথা বলেন।



 আওয়ামী লীগের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এটি শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।



নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমে আগুন সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।


 আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু নয় যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। বিএনপি ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই, আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি দিয়ে চ‌লে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা নত করার দল নয়।


বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করবেন... ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? আপনাদের আন্দোলন তো ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন, বিএনপি নেতৃত্ব, বিএনপির এক দফা, বিএনপি দল সব ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতে থাকবে না। 


যে আন্দোলনে জোয়ার হয় না, সেই আন্দোলন কোনো আন্দোলন নয়। আজকে আন্দোলনের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা রাজপথে আছি জবাব, দিতে প্রস্তুত।



আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।



এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ,  ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,  ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজ‌লে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আরও খবর



পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে টিআইবির উদ্বেগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস ডেস্ক:


সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) বিবৃতিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সংবিধান পরিপন্থি হুমকি উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 



বিষয়টিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী একাংশের দুর্নীতির সুরক্ষা প্রদানের অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। 



গতকাল রোববার (২৩ জুন) সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।



বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া সাবেক পুলিশ কর্তাদের নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিকে উটপাখির আচরণসম উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে দেওয়া বিবৃতিটিই পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।



 পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠনের এমন বিবৃতি যে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের সুরক্ষা দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া—এমন মনে হওয়া মোটেও অমূলক নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সংগঠনের এ বিবৃতি একদিকে যেমন সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সরাসরি হুমকি ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, অন্যদিকে তেমনি নাগরিকের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিতের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।



 মূলত বাস্তবতাকে অস্বীকার করে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে ‘উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে’ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে—এমন মন্তব্য করা মোটেই অত্যুক্তি হবে না।”



গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির খবরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে—পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বক্তব্যকে বালখিল্যতার সামিল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্তাদের দুর্নীতির যে বিশাল, অস্বাভাবিক ও অনেকাংশে উৎকট খতিয়ান আমরা গণমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারছি, সেসব সংবাদকে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার খোঁড়া যুক্তিতে থামানোর চেষ্টা করা পুলিশের মতো একটি দায়িত্বশীল সংস্থার ভাবমূর্তি সুরক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা ও সৎসাহস নিয়ে প্রশ্ন জন্ম দেয়। 



এমন স্বার্থের দ্বন্দ্বে দুষ্ট যুক্তির বদলে বিপুল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ জানা যাচ্ছে, তার জন্য বিব্রতবোধ করে স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের তরফ থেকে নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত তদন্তে সহায়তার ঘোষণা দিলে তা বাহিনীর দুর্নীতি প্রতিরোধের সদিচ্ছার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতো। তা একদিকে যেমন পুলিশের ভাবমূর্তির জন্য সহায়ক হতো, অন্যদিকে পুলিশের প্রত্যাশিত পেশাগত মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো।’



পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পাশাপাশি দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন দুর্যোগ-সংকট মোকাবিলা ও মানবসেবায় পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 



এ বিষয়ে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই এবং এজন্য পুলিশবাহিনী যৌক্তিকভাবেই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু পুলিশের এই ভূমিকাকে দুর্নীতির তথ্য গোপনের মাধ্যমে অবৈধতা প্রসারের লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগ্রাম, দুর্যোগ কিংবা সংকটে পুলিশের অবদানকে আমরা শুধুমাত্র স্বীকারই করি না, প্রশংসার সঙ্গে স্মরণেও রাখি।



 কিন্তু এই অবদানকে অপরাধের সুরক্ষার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার বা অপরাধীর জন্য বিচারহীনতার সুযোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার দুরভিসন্ধি পুলিশের নৈতিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।’



গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির পর পুলিশকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম যেন সতর্কতা অবলম্বন করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।



 বিষয়টিকে শুধু দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই নয়, পুরো জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত হিসেবে মন্তব্য করেছে টিআইবি।


এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তথ্য প্রকাশ নিশ্চিতের পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা যে মন্ত্রণালয়ের, সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই তথ্য গোপনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে সুরক্ষা প্রদানে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে।



 দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাসহ একটি গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণে নিবেদিত দাবি করা সরকারের জন্য এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে! আমরা আশা করবো, পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওপর সাংবিধানিকভাবে অর্পিত দায়িত্বকে স্মরণ করে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ সব ধরনের অপরাধকে সুরক্ষা দেওয়ার এই হীন প্রচেষ্টা থেকে বেরিয়ে অভিযোগের নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত তদন্তে সহায়ক ভূমিকা পালনে উদ্যোগী হবে।’



আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি কমার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ |

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকাল মিলিয়ে মোট ২০ দিনের ছুটি চলছে। গত ১৩ জুন শুরু হওয়া এই ছুটি আগামী ২ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই ছুটি এক সপ্তাহ কমানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

শিক্ষা প্রশাসন সূত্র বলছে, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুলবে বুধবার (১৯ জুন)। প্রথম কর্মদিবস বা দ্বিতীয় কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ছুটি সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনার কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হলো, নতুন কারিকুলামে চলতি বছরের বেশ গ্যাপ রয়েছে। শীত ও অতিগরমের কারণে এবার ১৫ দিনের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সেই ক্ষতি পোষাতে গ্রীষ্মের ছুটি কাটছাঁট করা হতে পারে। পাঠদানের কর্মদিবস বছরব্যাপী কমেছে। এছাড়া ঈদের পর শনিবারের বন্ধ পুনর্বহাল রাখার কারণে কর্মদিবস কমে যাবে। তাই গ্রীষ্মের ছুটির এক সপ্তাহ কমতে পারে।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি কমানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব রয়েছে। এখন কী করবে, সেই সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

তার বক্তব্য, বাংলাদেশে আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় জুন-জুলাই মাসে অতি গরম থাকে। এই সময় ছুটি দেওয়া না দেওয়া সমান কথা। আমার প্রস্তাব হলো গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে তা শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়। সে বছরে ছুটি বাতিলের যুক্তি ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর আগে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হবে। সেই কারণে ছুটি বাতিল করা হয়।

গত বছর শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। বাতিল করা গ্রীষ্মকালীন ছুটি পরে শীতকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।


আরও খবর



পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কে চাকরি হারাচ্ছেন পুলিশ কর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 |

Image

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে এবার চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন শিথিল।

পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন।

পরীমনির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর প্রথমে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।

শৃঙ্খলা শাখার প্রতিবেদনে বলা হয়, নায়িকা পরীমনির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ আরম্ভ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নায়িকা পরীমনির বাসায় নিয়মিত রাতযাপন করতে শুরু করেন সাকলায়েন। বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) পরীমনির বাসায় সাকলায়েন অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখার দেওয়া তার ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ০৪/০৭/২০২১ থেকে ০৪/০৮/২০২১ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) পরীমনির বাসায় অবস্থান করেছেন। পরীমনির মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট (সিআইডি কর্তৃক মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত) পর্যালোচনায় দেখা যায়, তার ও পরীমনির আদান-প্রদানকৃত মেসেজসমূহ (২৯ জুলাই ২০২১ থেকে ৩ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত) সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির ফেসবুক আইডি ও গোলাম সাকলায়েন সিথিল নামে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথন এবং তাদের হোয়াটসআ্যাপ নম্বরে (১১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৪ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত) কথোপকথন সাধারণ পরিচিতি বা পেশাগত প্রয়োজনে স্থাপিত কোনো সম্পর্কের নয়। বরং অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমনির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমনি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।

তার ও নায়িকা পরীমনির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়, টেলিভিশনে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার ফলে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমনির সাথে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।

সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমনির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমনির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালার বিধি ৪-এর উপবিধি ৩(ঘ) বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ডের আওতায় কেন তাকে চাকরি হতে বরখাস্তকরণ করা হবে না, সে মর্মে ২য় কারণ দর্শানো নোটিস প্রদান করা হয়।

সাকলায়েনের বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনাস্তে ২য় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌অসদাচরণ-এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে বিধি ৪-এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আরও খবর