Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মনঃ


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও কঠোর অবস্থান করেছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ঘটিকায় মহাসড়কের ভবেরচর বাসষ্টান্ড এলাকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন,এ সময় তিনি বলেন,যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশে তারা সর্তক অবস্থানে আছেন।এছাড়াও বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এড্যাঃমৃণাল কান্তি দাসের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে,এ সময় তিনি বলেন,অনেক খেলা হয়েছে,এবার কিন্তু মাইর হবে, যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্তক অবস্থানে আছি।


এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভবেরচর,ভাটেরচর,জামালদী,বাউশিয়া,বালুয়াকান্দী,গুয়াগাছিয়া ইউঃপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন এর নেতৃত্বে চাষীরচরে, বাউশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃমিজানুর রহমান প্রধান এর নেতৃত্বে বাউশিয়ায়,বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল  নেতৃত্বে বালুয়াকান্দিতে,ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃহাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু'র নেতৃত্বে ইমামপুরে, বালুয়াকান্দী ইউঃপি যুবলীগ নেতা মোঃজুয়েল প্রধান এর নেতৃত্বে তেতৈতলা হাঁস পয়েন্টে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

এদিকে সড়কপথে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই বাউশিয়া পাখির মোড়, দরি বাউশিয়া, ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড, আনারপুরা, ভাটেরচর ও জামালদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ সদস্য সংখ্যাও। চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় ঢাকামুখী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শনে এসে পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান

বলেন, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে সামনে রেখে তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি। দেশব্যাপী ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। পুলিশ সদরদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরল ঢাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সারা দেশে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহ (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় ৮ মে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে। তবে চলমান পরীক্ষা সরাসরি নেওয়া হবে। তাপপ্রবাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



‘গঙ্গাসহ ৫৪ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করছে ভারত’ : ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, শুধু ফারাক্কা বাঁধ নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে তারা সব সময় গড়িমসি করেছে এবং তারা এই সমস্যার সমাধান করেনি, করছেও না।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে এই যুক্তি; করছি, এই হয়ে যাবে, এখন ভালো অবস্থা আছে, এই করে করে কিন্তু সরকার কাটিয়েছে।

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।


এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা বরাবরই লক্ষ করেছি, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রতিবেশী—যার কাছে আমাদের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি সব সময়। তার পরেই আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশকে একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য সব সময় তারা তাদের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।

এই ব্যর্থতার মূল কারণ হচ্ছে, যে সরকার এখন আছে, সেই সরকার পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার। তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃত অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা তাদের (ভারতের) কাছে অত্যন্ত দুর্বল।

বাংলাদেশের মানুষকে তার অধিকার আদায়ের জন্য তার নিজেকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। সরকার মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক এবং তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে মাত্র তিনদিনে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো সেই নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। আমাদের নেতাকর্মী যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।


মাফিয়া রাষ্ট্র তৈরি করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখনকার সরকারের মদদপুষ্ট যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তারা সবাই তথাকথিত সরকারের গুণকীর্তন গায়—একটা মাত্র উদ্দেশ্য, এই সরকার টিকে থাকলে তারা তাদের লুণ্ঠন, বিদেশে টাকা পাচার করে সম্পদ তৈরি, তারা সেগুলো করতে পারবেন।

ফখরুল বলেন, 'ফারাক্কা দিবস আমাদের ওই কথাই মনে করিয়ে দেয়, জনগণের শক্তির কাছে বড় শক্তি আর কিছু নেই। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন জনগণের মানুষ। তিনি সব সময় জনগণের কথা বলেছেন, জনগণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কোনো দিন ক্ষমতার আশে পাশে যাননি।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস আমাদের জন্য একটা প্রতীক, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতীক। আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের যে লক্ষ্য; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, সেই লক্ষ্যে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি, অবশ্যই আমরা সেখানে জয়লাভ করব।


আরও খবর



দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর



এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে।

প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে।

প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।

বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।


আরও খবর