Logo
শিরোনাম

ইমামদের প্রতি তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইসলামকে শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবতার ধর্ম আখ্যায়িত করে ইমামদের প্রতি তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নির্যাতন না করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদেরকে তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে যাতে আমরা দেশের আরো উন্নয়ন করতে পারি।

শেখ হাসিনা ৩০ অক্টোবর জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ-২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে সারাদেশে ষষ্ঠ দফায় নবনির্মিত আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

নিজেদের ধর্ম পালনের পাশাপাশি দেশে বসবাসকারী অন্য ধর্মাবলম্বী যারা রয়েছেন তারা যেন সঠিকভাবে নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম করতে পারেন তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে শেখ হাসিনা বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে এই বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম শান্তি সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমাদের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং ওলামায়ে কেরামদের অনুরোধ করবো-ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম। যা আমাদের নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তার যে বিদায় হজের বাণী সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি।

সরকার প্রধান বলেন, কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশের কোনো ছেলে-মেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্যই আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের আবারো নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল কতৃর্ক আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর যে আক্রমণ এবং নির্বিচারে ছোট্ট শিশু ও নারী হত্যা করা হচ্ছে আমরা এটা কখনো চাই না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও মানবতার ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা চাই সকলে শান্তিতে বসবাস করুক। তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম সফরেও তিনি বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের কাছে যুদ্ধ থামানোর আহবান জানিয়েছেন বলেও জানান।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শেখ ড.আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াইজান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

বাসস


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রংপুর জেলা প্রতিনিধি :

মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক। হাইওয়ে কাজের জন্য বলদীপুকুর - জায়গীর মধ্যস্থলে অবস্থিত চায়না ক্যাম্প।সেখানে রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের চলে চুরির হিড়িক।ভিতরে কাজের আড়ালে তাদের রয়েছে আলাদা সোর্স, ভিতরে তারা নজরদারি করে রাখে কোন মালমাল চুরি করা সহজ হবে।হাইওয়ের কাজে ব্যবহৃত মালামাল চুরি করতে  আলাদা কিশোর গ্যাং তৈরি করে রন্জু আহমেদ।চায়না ক্যাম্পে তাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে,রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন ভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করে।তার কিশোর  গ্যাংয়ের সদস্যরা চায়না ক্যাম্পের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র সহ অবস্থান নেয়।সুযোগ বুঝে তারা চুরি করা মালামাল টিনের প্রাচীর ভেদ করে বাহিরে থাকা সদস্যদের কাছে পারাপার করে।চুরি শেষ হলেই তার গ্যাংয়ের সদস্যদের যেকোনো একজনের বাড়িতে রাখে।রন্জু আহমেদ রংপুরে ইলেক্ট্রিকের কাজ করে বিধায় তার চুরির মালামাল বিক্রি করা সহজ হয়।চুরির মালামাল বহনের জন্য তারা নিজেদের  আলাদা ভ্যানগাড়ি ব্যবহৃত হয়।ভ্যান গাড়িতে মালামাল তোলার পর রন্জু আহমেদের কাছে পৌছানোর পর্যন্ত তারা মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেগুলো বিক্রি করে তারা গভীর রাতে বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেয়ে মাদকের আসর জমায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের গ্যাংয়ের এক সদস্য বলেন, আমরা চায়না ক্যাম্পে থাকা সোর্সকে দিয়ে সেখানেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেছি এমনকি চাইনিজ অস্ত্রসহ।আমাদের দলের সকল সদস্যের কাছে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আমরা প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করি, আমাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে সেগুলো বাহিরে বের করি।কিছুদিন সিকিউরিটি গার্ড ঝামেলা করেছিলো,পরে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে এগুলো চুরি করি। এখন আর সমস্যা নেই, আমরা যা চুরি করি তা সিকিউরিটি গার্ডদের কয়েকজনকে ভাগ দেই।


পরে সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা জানান,আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি, এখানে কিশোর গ্যাং রাত হলেই চলে আসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে।কখন কাকে তারা মেরে ফেলে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

উল্লেখ্য, রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া চলাফেরায় এলাকার মানুষ আতংকিত। কারণ তারা চুরির মালামাল বিক্রি করে নেশা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জগৎখ্যাত মনীষী এরিস্টটলের অমর এই বাণী “দুর্ভাগ্যবান তারাই, যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই’’। এই বাক্যটি চলার পথে সর্বদা আমাদের বন্ধুত্বের গুরুত্বের কথা স্বরণ করে দেয়। সেজন্য জীবনে চলার পথে সকলের একজন হলেও বন্ধু প্রয়োজন। কেননা, বন্ধুহীন মানুষ চার্জ ছাড়া মোবাইলের মতো।

তাইতো বিখ্যাত মনীষী নিৎসে বলেছেন, ‘‘একজন বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে যেন একটি গুপ্তধন পেলো।”

হাসি-তামাশা, হট্টগোল, খুনসুটি, মান-অভিমান, বিরক্তি, হিংসা ও ভালোবাসা এসব মিলেই তৈরী হয় একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঠিক তেমনি দিন শেষে সব ভুলে প্রকৃত বন্ধুত্বের বন্ধনটা ঠিকই টিকে থাকে এবং নতুন সকালে ফের শুরু হয় বন্ধুত্বের সেই খুনসুটি।

বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যা হৃদয়ের গভীরে নিমেষেই দাগ কেটে যায়। সুতরাং প্রত্যেকের জীবনে অন্তত একজন বন্ধু থাকা প্রয়োজন, যে তার আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করবে।

প্রযত্নে প্রিয়বন্ধু

কি করে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠা যায় সেটা কেউ-ই হয়ত ছকে দিতে পারবে না৷ সঠিক বন্ধু পেলে সেটা বুঝে নিতে হবে৷ যদিও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম হয় না৷ সবটাই বেনিয়ম৷ কিন্ত্ত বেনিয়মেও নিয়ম শব্দ আছে৷ ফলে ভালো বন্ধু হওয়ার এবং বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিন।

দুজনে আলাদা

ওরা তো মানিকজোড়৷ এমন কথা আপনি এবং আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটিও মাঝেমধ্যেই শোনেন? বাহ খুব ভালো৷ কিন্ত্ত তার মানে এই নয় যে আপনারা দুজনে একই মানুষ৷ আপনারা দুজনে আলাদা মানুষ সেটা কখনওই ভুলবেন না৷ ফলে মতের অমিল হতেই পারে৷ অমিল হলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই৷ তাছাড়া দুজনের জীবনও আলাদা৷ ফলে একে অপরকে স্পেস দিন৷ যদি সব করেও দুজনের কথা না বলে মন খারাপ হয় এবং একে অপরকে ছাড়া ভালো না লাগে তাহলে আপনারা সত্যিই মানিকজোড়৷

বন্ধুত্ব সাবলীল

পাশাপাশি দু'জনকে বসিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে বন্ধুত্ব করা যায় না৷ প্রেমের মতোই বন্ধুত্বও সাবলীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া৷ ফলে প্রিয় বন্ধুরা কখনওই একসঙ্গে চুপচাপ থাকে না৷ তারা প্রানবন্ত এবং উচ্ছল থাকে৷ যদি কথাই বলতে ইচ্ছা না করে তাহলে সেই বন্ধুত্ব না করাই ভালো৷ জোর করে অন্তত বন্ধুত্ব হয় না৷

চিরকালের

প্রিয় বন্ধু চিরকালের৷ হতেই পারে দু'জনে আলাদা কলেজ গিয়েছেন৷ আলাদা শহর হয়ে গেল৷ কিন্ত্ত নিজেদের সংসারে ব্যস্ত হয়ে গিয়ে তারা কখনওই একে অপরকে ভুলে যাবেন না৷ বরং আরও বেশি করে একে অপরকে মনে করবেন এবং সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুনসুটি করবেন এমন হতে হবে বন্ধুত্ব৷ রাগ অভিমান করে পরস্পরকে ভুলে গেলে সেটা কখনওই প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়৷ যে কোনও উপায়ে সংযুক্ত থাকুন এবং মনের ভাব আদানপ্রদান করুন৷

ভালো হোক

ভালো বন্ধু সবসময় বন্ধুর ভালো চায়৷ নিজের ভালো হোক সকলেই চায়, তবে তার জন্য বন্ধুর ক্ষতি হোক এমন ভাবা কিন্ত্ত প্রকৃত বন্ধুর পরিচায়ক নয়৷ প্রকৃত বন্ধু চাইবেন তার নিজের উন্নতির পাশাপাশি আপনারও উন্নতি হোক৷ যেখানে কিংবা যত দূরেই থাকুন না কেন বন্ধুর কল্যাণ কামনাই প্রিয় বন্ধুর পরিচায়ক৷

পাশে আছি

রাত ৩টের সময়েও প্রয়োজনে বন্ধুর পাশে থাকা অপর বন্ধুর কর্তব্য৷ যে বন্ধুর জন্য আপনি এমন করতে পারবেন এবং যে বন্ধু আপনার পাশে সর্বদা থাকতে পারবে সেই আপনার প্রকৃত বন্ধু৷ ফলে এইরকম বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করুন৷


আরও খবর



আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আধুনিক ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর হাত ধরে একটু বিবর্তিত হচ্ছে। শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরে দুটি নতুন নিয়ম যুক্ত করার পাশাপাশি পুরোনো একটি নিয়মও ফিরিয়েছেন আয়োজকরা।

মুম্বাইতে বিসিসিআইয়ের সদর দপ্তরে আইপিএলের ১৮তম আসরের ‘ক্যাপ্টেনস মিট’ হয়। সেখানে ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়মের বদলগুলো অবহিত করা হয়েছে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ভারতীয় কন্ডিশনে রাতের ম্যাচে শিশিরের প্রভাব থাকে। এতে প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় বলে মনে করছে আয়োজকরা। এজন্য দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর যেকোনো সময় আরেকটি বল নিতে পারবে ফিল্ডিং দল।

তবে বল পরিবর্তনের আগে আম্পায়ার পরীক্ষা করে নেবেন আগের বলটি শিশিরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না।

আরেকটি নিয়মে এবার থেকে উচ্চতা এবং অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড বলে ডিআরএস নেওয়া হলে হক-আই এবং বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। সঙ্গে আইসিসি এখনো বলে থুতু বা লালার ব্যবহার শিথিল না করলেও করোনার সময় আরোপিত এই নিয়ম এবার থাকছে না আইপিএলে।


আরও খবর



ঝালকাঠির সড়কে দানব হয়ে উঠেছে অবৈধ ডাইসু, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অনুমোদনহীন যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে  তিন চাকার ডিজেলচালিত ডাইসু চলাচলের ফলে সড়কগুলো হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব যানবাহনের চালকদের বেশিরভাগেরই নেই বৈধ লাইসেন্স বা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একদিকে চালকরা নিজেরাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে পথচারীদের জন্যও তৈরি হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি।

নলছিটির বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা তিন চাকার এই ডাইসুগুলো মূলত ইট, বালু ও কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অদক্ষ চালকদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এগুলো ভয়ংকর হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে উপজেলার সড়কগুলোতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ডাইসুর কারণে ঘটেছে।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডাইসু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. নয়ন হোসেন নামে এক হেলপার।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নলছিটির সূর্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার ডাইসু উল্টে চাপা পড়ে মারা যান। 

এছাড়া ২০২২ সালে শুকতারা ব্রিকস এলাকায় ইটবোঝাই ডাইসুর নিচে চাপা পড়ে ভাবনা নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে এবং ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।

সুবিদপুর ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের ইটভাটাগুলোতে প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডাইসু চলাচল করে। বিশেষ করে পূর্ব গোদন্ডা সড়কে এসব যানবাহনের আধিপত্য বেশি। ভারী যানবাহনের চাপে সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

এছাড়া শব্দ ও বায়ুদূষণের কারণেও ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। ফজরের নামাজের পর থেকেই এসব যানবাহনের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পূর্ব গোদন্ডার বাসিন্দারা। রাস্তায় উড়তে থাকা ইটের গুঁড়া ও ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার পৌর এলাকা,দপদপিয়া,  মগড়, কুলকাঠি সহ একাদিক এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।  কখনো কখনো রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পরে থাকতে ও দেখা যায় এসব ঝুঁকিপূর্ন অবৈধ যানবাহন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মহলে প্রতিবাদ হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ যানবাহনের মালিকদের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন, ফলে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পান না সাধারণ মানুষ। মৌখিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার মেলেনি। ইটভটা যেসব এলাকায় বেশি সে এলাকায় এসব অবৈধ যানবাহনের দাপট দেখা যায় ও বেশি। 

নলছিটির সাধারণ মানুষ দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, প্রশাসন অবৈধ যানবাহন বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করুক এবং অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক। সামনে ঈদুল ফিতর তখন ডাইসু দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সড়ক পরিনত হতে পারে মৃত্যুপুড়িতে।

স্থানীয় সচেতনমহল বলেন, এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনুমোদনহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণ ও সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। অন্যথায় নলছিটি উপজেলার সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন তারা।  আরও বলেন সময় এসেছে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার না হলে এই প্রাণঘাতী অব্যবস্থাপনা নলছিটিকে আরও গভীর সংকটে ফেলবে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ সালাম জানান, খুব শিগগিরই এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জুলাই কন্যা’দের অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জুলাই কন্যারা ২০২৫ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাপূর্ণ ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার অর্জন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই কন্যাদের সাহসিকতার প্রতীক অভিহিত করে শনিবার (৩০ মার্চ) তাদের অভিনন্দনবার্তা পাঠান তিনি।

অভিনন্দনবার্তায় জুলাই কন্যাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের সবাইকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই স্বীকৃতি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে তোমাদের অসাধারণ সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং অটল অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রমাণ; সেই সংকটময় সময়ে তোমাদের কৃতি সত্যিকার সাহসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা কেবল প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওনি, একই সঙ্গে অস্থির একটি সময়ে জাতিকেও আশা দিয়েছ।

অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, পুরস্কারে যেমনটি বলা হয়েছে, অটল সংকল্পের সঙ্গে তোমরা সহিংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছ, নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণের মুখে তোমরা পুরুষ সহ-সংগ্রামীদের সামনে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছ। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল তখনো মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছ।

অভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, তোমাদের শক্তি, দৃঢ়তা এবং দৃঢ় সংকল্প বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী অগণিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তোমাদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা আমাদের সকলের কাছে স্মরণ করিয়ে দেয় যে ন্যায়বিচারের সাধনা কখনই সহজ নয়, তবে তা সর্বদা সার্থক। তোমরা বিশ্বকে দেখিয়েছ যে প্রকৃত নেতৃত্ব এবং ত্যাগ কেমন হয় এবং তোমাদের সাহসের মাধ্যমে তোমরা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরও ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করেছ।

জুলাই কন্যাদের জন্য দেশবাসী গর্বিত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমরা ভীষণভাবে গর্বিত এবং এটি তোমাদের প্রাপ্য এক স্বীকৃতি যা তোমাদের অটল স্পৃহাকে প্রতিফলিত করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তোমাদের সাথে আছে এবং একসাথে আমরা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতার আদর্শের দিকে কাজ চালিয়ে যাব, যা তোমরা এত সাহসের সাথে রক্ষা করেছ।

ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে তোমাদের সম্মুখসারিতে এবং কেন্দ্রীয় ভূমিকায় পাওয়ার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

তোমরা সমগ্র বাংলাদেশকে গর্বিত করেছ’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আরও একবার এই অসাধারণ অর্জনের জন্য অভিনন্দন।


আরও খবর