
ইসলামকে শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবতার
ধর্ম আখ্যায়িত করে ইমামদের প্রতি তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা বা নির্যাতন না করার
জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদেরকে তৃণমূলে শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে
যাতে আমরা দেশের আরো উন্নয়ন করতে পারি।
শেখ হাসিনা ৩০ অক্টোবর ‘জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও
পুরস্কার বিতরণ-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী
প্রদর্শনী কেন্দ্রে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে সারাদেশে ষষ্ঠ দফায় নবনির্মিত
আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
নিজেদের ধর্ম পালনের পাশাপাশি দেশে বসবাসকারী অন্য
ধর্মাবলম্বী যারা রয়েছেন তারা যেন সঠিকভাবে নিজ নিজ ধর্ম-কর্ম করতে পারেন তা
নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
কোরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে শেখ হাসিনা বলেন,
‘যার যার ধর্ম সে পালন করবে এই বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অন্যের
ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে। কারণ, ইসলাম
শান্তি সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে
তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে
এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, আমাদের সকল মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং ওলামায়ে
কেরামদের অনুরোধ করবো-ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম। যা আমাদের নবী করিম
হযরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তার যে বিদায় হজের বাণী সেই বাণীই আমরা অনুসরণ
করি।
সরকার প্রধান বলেন, কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশের
কোনো ছেলে-মেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে
সেজন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য
আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন
প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্যই আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের
আবারো নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল কতৃর্ক আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর যে আক্রমণ
এবং নির্বিচারে ছোট্ট শিশু ও নারী হত্যা করা হচ্ছে আমরা এটা কখনো চাই না।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সাধ্যমত ফিলিস্তিনের নারী-শিশু ও সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ ও
শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও মানবতার ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে
ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা চাই সকলে শান্তিতে বসবাস করুক। তার সাম্প্রতিক
বেলজিয়াম সফরেও তিনি বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের কাছে যুদ্ধ থামানোর আহবান
জানিয়েছেন বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং আন্তর্জাতিক
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শেখ ড.আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান
আল-বুয়াইজান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাসস