Logo
শিরোনাম

ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টুডেস ডেস্ক:


সমীকরণ একদম সহজ। বাংলাদেশকে যেকোনো ব্যবধানে হারালেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যাবে আফগানিস্তান। 


এবার রোমাঞ্চ জাগানিয়া ম্যাচে ৮ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে গেল আফগানরা।


মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানে থামে বাংলাদেশ।


আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম।


এরপর দলীয় ৫০ পেরোনোর আগেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে লাল-সবুজেরা। অধিনায়ক শান্ত ৫ বলে ৫, সৌম্য ১০ বলে ১০ এবং ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব আল হাসান।


সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন লিটন দাস। এরপর দ্রুতই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে ৪১ বলে সান্ত্বনার হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন।


লিটন উইকেট থিতু হলেও তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে আফগানদের জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করান নাভিন উল হক। শেষ পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৫ বলে ১০৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।


আফগানদের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন নাভিন ও রশিদ খান।


এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে সর্তক শুরু করেন দুই আফগান ওপেনার জাদরান-গুরবাজ। ইনিংসের প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো দলই ফায়দা লুফে নিতে পারেনি। টাইগার বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২৭ রান তোলে আফগানরা।


পাওয়ারপ্লের পর আক্রমণে এসেছিলেন সাকিব। তার প্রথম ৫ বল থেকে এসেছিল ৩টি সিঙ্গেল। এরপর ফুললেংথে পেয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সাইটস্ক্রিন বরাবর ছক্কা মারেন গুরবাজ।


এরপর বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জুটি হিসেবে একই আসরে ৪ বার ৫০ পেরোয় গুরবাজ-ইব্রাহিম। তবে ইনিংসের ১১তম এসে ভাঙে এই জুটি রিশাদ।


রিশাদকে জায়গা বানিয়ে তাকে খেলতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম। তবে ঠিকমত হয়নি। লং অফে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানজিম হাসান। ২৯ বলে ১৮ রান করলে এই ওপেনার ফিরলে ৫৯ রানে ভাঙে আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি।


এরপর বেশ চাপে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে বিদায় করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফেরার আগে ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি।


পরের ওভারে আক্রমণে এসেই জোড়া উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়েন রিশাদ। প্রথমে উইকেটে জমে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বিদায় করেন।


রিশাদকে অফ সাইডে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ কাভারে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৫৫ বলে করেন ৪৩ রান তিনি।


এরপর গুলবিদনকেও ফেরান রিশাদ। সৌম্যই ফের ক্যাচ নেন। দুর্দান্ত এক ড্রাইভে সেই ক্যাচ নেন সৌম্য।


ইনিংসের ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ নবিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের শর্ট লেংথের সিম-আপ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন নবি। তবে সেভাবে হয়নি। মিড অফে সময় নিয়ে ক্যাচ নেন শান্ত।


শেষ দিকে রশিদের ঝোড়ো ইনিংসে ১১৫ রানের পুঁজি পায় আফগানরা। ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন আফগান অধিনায়ক।


বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রিশাদ। এ ছাড়া তাসকিন ও মোস্তাফিজের শিকার একটি করে উইকেট।


আরও খবর



‎মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আধিপত্য, চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ঈদের ছুটির ফাঁকা সময়ে বাড়ছে বহিরাগতদের আড্ডা, মাদকসেবন, নিয়ন্ত্রিত বাইক চালনা, ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল ও অসামাজিক কার্যকলাপ এবং দৃষ্টিকটূ টিকটক ভিডিও তৈরি। এতে করে দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকি, বাড়ছে চুরির শঙ্কা, বাড়ছে উদ্বেগ।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করছে বহিরাগতদের বাইক; ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রেস। এছাড়া হাতির কবর, বিজয় অঙ্গন, ধ্রুবতারা ক্লাব, সিডিসি ক্লাব, শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী চত্বর, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা, প্রথম একাডেমিক ভবনের রাস্তাসহ বিভিন্ন আনাচে-কানাচে চলছে অবৈধ কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ড ও মুক্তমঞ্চের পেছনে বেড়েছে প্রকাশ্যে মাদকসেবন। ছেলেদের আবাসিক হলের আশপাশে চলছে ছেলে-মেয়েদের অশ্লীল টিকটক ভিডিও ধারণ।

‎এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল হাসান সোহাগ বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রশাসন একত্রে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ গড়ে তোলে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ক্যাম্পাস ছুটির দিনে বা দীর্ঘ বন্ধের সময় ফাঁকা পড়ে থাকে, আর সেই সুযোগে সেখানে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতরা। এই বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণহীন বিচরণ এখন এক ভয়াবহ সামাজিক সংকটে রূপ নিচ্ছে। ফাঁকা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনায় বাড়ছে অশ্লীলতা, মাদকসেবন, জুয়া কিংবা অবৈধ সমাবেশ। ক্যাম্পাসের গাছপালা, পেছনের মাঠ কিংবা নির্জন ভবন চত্বর ব্যবহার করা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি নিরাপদ শিক্ষাব্যবস্থাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।"

‎পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, "ক্যাম্পাস এখন এমন ফাঁকা, মনে হয় যেন ছাত্রদের নয়, বহিরাগতদের জন্যই বানানো হয়েছে! আর আমরা ভাবছি এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়, না যেন টিকটক স্টুডিও! অশ্লীলতার উৎসব চলতেছে, আর নিরাপত্তা? সেইটা তো গেটেই দাঁড়ায়নি এখনো। প্রশাসন আছেন ঠিকই, কিন্তু কাজকর্মে যেন ইনভিজিবল মোডে! এখনই যদি ক্যাম্পাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে 'প্রবেশ নিষেধ' সাইনটা ছাত্রদের জন্যই বসাতে হবে!”

‎টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, "ঈদের ছুটিতে যখন শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পড়ে প্রায় জনশূন্য। এই সুযোগে বহিরাগতরা মোটরবাইক নিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে, উচ্চ শব্দে বাইক চালাচ্ছে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছে এবং অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছুটির সময় বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, সেখানে আমাদের প্রশাসনের নজরদারির অভাব স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলো ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকেও বড় হুমকি তৈরি করে।"

‎এফটিএনএস বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান বলেন, "ঈদের এই ছুটিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে, ফাঁকা ক্যাম্পাসে যে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা নিরাপত্তাহীন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তা কর্মী থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের অবাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রশাসনের দুর্বলতা। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনে।"

‎ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, "আমরা দিনে কয়েকবার টহল দিচ্ছি। অপ্রীতিকর কোনো বিষয় আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। শিক্ষার্থীদেরও এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে প্রশাসনকে।"

‎নিরাপত্তার ঘাটতি বা দায়িত্বে কোনো অবহেলা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "আমাদের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা নেই। প্রথম গেট থেকে বাইকগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। আমাদের পর্যাপ্ত আনসার সদস্য না থাকায় আমরা কিছু জায়গায় তাদের নিয়োজিত করতে পারছি না। আমাদের ৮ জন আনসার সদস্য একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সেন্ট্রাল ফিল্ডে একজনকে নিয়োজিত করতে পারবো। আর অসামাজিক কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়লে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।"

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক শ্রেণি ও সচেতন মহল।



আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।শুক্রবার ৬ জুন সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।

টাঙ্গাইল মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চন্দ্রা এলাকায় গণপরিবহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ফলে রাত থেকে চন্দ্রা নবীনগর, চন্দ্রা চৌরাস্তা, চন্দ্রা মির্জাপুর সড়কের ২০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের ‍সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে উত্তরবঙ্গের থেকে ছেড়ে আসা পশুবাহী গাড়ি।

এদিকে রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে আজও পরিবহনের সংকট ও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় ট্রাক পিকআপ মোটরসাইকেলযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

পশুবাহী গাড়িচালক মিজানুর জানান, নওগাঁ থেকে গরু নিয়ে রাত ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসি। তবে রাস্তায় এত যানজট সকাল ৯টায় কালিয়াকৈর পৌঁছালাম। জানি না কখন ঢাকায় পৌঁছাতে পারব।

নাওজোড় (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার উপরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) শাহিন জানান, সড়কে যাত্রীর সংখ্যা বেশি ও গণপরিবহন সড়কের ওপর যাত্রী উঠানামা করে, যার কারণে এ যানজট সৃষ্টি হয়।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




জাহেল তবলীগ ও জাহেল জামাত - শিবির একই পর্যায়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

তাবলীগ জামাতের মধ্যে কিছু জাহেল মূর্খ লোক থাকে। ওরা তাবলীগ ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। বরং কুরআন - সুন্নাহ এর অপব্যখ্যা দিয়ে  সারা জীবন শুধু তাবলীগ করে যায়।  মুলত: ওরা নামে তাবলীগ করে, আসলে তারা তাবলীগের কেউ নয়।

জাহেল কিছু তাবলীগওয়ালা এমন রয়েছে, দীর্ঘ ৫০/৬০ ষাট বছর ধরে তাবলীগ করে যাচ্ছে, বছরের পর বছর চিল্লা লাগাচ্ছে,   কিন্তু আজো তাদের কুরআন পড়া সহী হয়নি। এখনো তাদের  ইমামতি করার যোগ্যতা হাসিল হয়নি। আবার ওই সকল জাহেল তাবলীগওয়ালাদের ধ্যান- ধারনা ও  চরিত্র বিধর্মীদের মত। তাদের ক্রিয়া- কর্ম এবং বন্ধুত্ব বিধর্মীদের সাথে। আবার কিছু লোক তো আলেম বিদ্বেষী।  মোটকথা,  নামে তাবলীওয়ালা হলেও ওরা আদর্শ বিবর্জিত এক গোষ্ঠী। 

তেমনি কিছু জাহেল জামাত- শিবির রয়েছে। ওরাও যুগ যুগ ধরে ইসলামী সংগঠন করে আসছে। ইসলামী দল করতে করতে একেবারে দলের শীর্ষ পর্যায়ে চলে যাচ্ছেন। এমনকি হাজার হাজার কর্মির নেতৃত্ব তিনি দেন। অথচ আজো তারা কুরআন হাদীসে বড্ড মূর্খ। অধিকাংশ নেতা- কর্মির কুরআন পড়া শুদ্ধ নয়।  তাছাড়া অনেকেরই ধ্যান- ধারণা সেই বিধর্মীদের মত। চাল- চলন এখনো সেই বিধর্মীদের স্টাইলে।

দেখুন! আজ যদি  জামাত - শিবির ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা তো ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টা করবেন। ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তুলবেন।  আর দেশ ও জাতির নেতৃত্ব তারাই দিবেন।  তাহলে ইসলামে যারা কাঁচা, যারা ইসলামের  প্রাথমিক বিষয়গুলো এখনো রপ্ত করতে পারেন নি, তাহলে তারা কীভাবে ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করবেন? 

দল ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই তারা হবেন, তাহলে জাতীয় মসজিদ, জাতীয় ঈদগাহ, এভাবে সময়ের বিবর্তনে তাদের ইমামতিতে আসা প্রয়োজন হবে। তাহলে যাদের কুরআন সহী নেই, যাদের ধ্যান- ধারণা শুদ্ধ নয়, তারা কীভাবে জাতির নেতৃত্ব দিবেন? 

ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ( রহ:) একবার বলেছিলেন, আপনারা ইসলামী সমাজ প্রতিষ্টা করতে চান, অথচ এ সমাজের অধিকাংশ মানুষ কুরআন পড়তে পারেনা। তাহলে যে সমাজের অধিকাংশ মানুষ কুরআন পড়তে পারেনা,  সেখানে ইসলামী সমাজ কীভাবে কায়েম হবে? 

তাই তো আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব মানুষকে কুরআন শেখানোর ব্যাপারে জোর দিতে বলেছিলেন।

এজন্য জামাতে ইসলামী এর নেতৃ্বৃন্দের প্রতি আহবান থাকবে, আপনাদের কর্মিগণ প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। যেহেতু জামাত - শিবির ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। ব্যাপক পড়াশুনা করার পরে একজন মানুষ জামাত এর নেতৃত্বে আসতে পারে, সুতরাং আপনারা যদি নেতা- কর্মিদের  কুরআন সহীশুদ্ধ করার ব্যাপারে জোর দেন, তাহলে আপনাদের সংগঠন আরো মজবুত হবে বলে আশাকরি।

আল্লাহ তায়ালা সকলকে সহী বুঝ দান করেন। আমিন।


আরও খবর



রাণীনগরে তিনটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার তিনটি কলেজের কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার রাতে কেন্দ্রীয়ভাবে ওই তিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহিদ হাসান শিমুল।

শিমুল জানান,গত ৪মে কেন্দ্রীয় টিম-১৬,নওগাঁ জেলা শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দসহ রাণীনগর উপজেলার রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারী মহাবিদ্যালয়,রাণীনগর মহিলা ডিগ্রী কলেজ এবং আবাদপুকুর কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের লক্ষে যাচাই-বাছাই করেন। এর পর গত ২০মে একযোগে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া হোসেন জাকির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা ওই তিনটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে রাণীনগর শের-এ-বাংলা সরকারী মহাবিদ্যালয়ে হুমায়ন কবিরকে সভাপতি,শিহাব হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আব্দুল মমিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫সদস্য বিশিষ্ঠ আংশিক কমিটি,রাণীনগর মহিলা ডিগ্রী কলেজে সুরাইয়া আক্তারকে সভাপতি,আসফিকা জান্নাতুনকে সাধারণ সম্পাদক এবং হাসি আক্তারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৮সদস্য বিশিষ্ঠ এবং আবাদপুকুর কলেজে তৌফিক হোসেনকে সভাপতি,সুরাইয়া খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক এবং ইমরান হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫সদস্য বিশিষ্ঠ আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তিন কমিটিই রোববার রাতে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিন কমিটিকেই আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা কমিটি বরাবর জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাণীনগর শের-এ-বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহান শেখ, সহ-সভাপতি আইউব হোসেন ও লিমন, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক নাইম হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম, নাদিম ও শিমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মমিন, প্রচার সম্পাদক জান্নাতুন নাইম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ মন্ডল, সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তৌফিক আহমেদ এবং যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মিলন খান।

রাণীনগর মহিলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের আংশিক কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি কুমারী পূজা রাণী, সহ-সভাপতি নুসরাত আক্তার, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মোছা: বর্ষা, দপ্তর সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার ও প্রচার সম্পাদক জেরিন আক্তার জুই।

আবাদপুকুর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মেফতাহুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক শিহাব ইসলাম।


আরও খবর



সে‌প্টেম্বরের ম‌ধ্যে ৭ শতাংশে নাম‌বে মূল‌্যস্ফী‌তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বললেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল‌্যস্ফী‌তি ৭ শতাংশ নেমে আসবে।মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, মূল‌্যস্ফী‌তির বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এক‌চেঞ্জ রেট। এটা কমাতে না পারলে জিনিসপত্রের দাম বাড়তো। এখন এটা স্বস্তিতে এসেছে। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপরে ছেড়ে দেওয়ার পরও তেমন পরিবর্তন হয়নি। এতে করে আস্থা এসেছে, মূল‌্যস্ফী‌তি একটি ভালো জায়গায় যাচ্ছে।

গভর্নর বলেন, আমরা যদি পরিসংখ্যান দেখি— খাদ্য মূল‌্যস্ফী‌তি সাড়ে ১৪ শতাংশ ছিল, এখন তা সাড়ে ৮ শতাং‌শে নে‌মে এসে‌ছে। খাদ‌্যব‌হির্ভূত মূল‌্যস্ফী‌তি একটু বে‌শি আছে, এটি কম‌ছে, ১০ শতাংশের নি‌চে আছে। বিশ্ববাজা‌রে খাদ‌্য, তেল-গ‌্যা‌সের দর ক‌মতির দি‌কে। এর সুফল পা‌বো। এ ছাড়া মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ম‌ধ্যে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপ‌স্থিত ছি‌লেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও প‌রিকল্পনা উপ‌দেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপ‌দেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য, বিমান এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব‌্যাং‌কের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও এন‌বিআর চেয়ারম‌্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বি‌ভিন্ন আর্থিক খা‌তের প্রধানরা।

গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা এটি।


আরও খবর