Logo
শিরোনাম

লন্ডন হাই কমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

লন্ডন প্রতিবেদক :

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। 

এ উপলক্ষে বুধবার লন্ডনে ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জাতির পিতা এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন,“ “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধ ভিত্তিক বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গত এক দশকে আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, উন্নত, আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গঠন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাইকমিশনার বলেন, “গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সংলাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শীর্ঘই দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।” তিনি “ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের উন্ননয়, অগ্রগতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক মঞ্চে জাতীয় পতাকাবাহী হিসেবে এ পর্যন্ত ৪৭ টি দেশে ৬৫টি মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

হাইকমিশনার গত মে মাসে যুক্তরাজ্যে রাজার করোনেশন প্যারেডে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দীর্ঘ এবং দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে উভয় দেশ সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থে প্রশিক্ষণ প্যাকেজ বিনিময় করে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সরঞ্জামও সংগ্রহ করেছে।

লন্ডন হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মতিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবাসহ জাতিগঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে।” তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সিকিউরিটি ও অপারেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোঃ মুহিব রহমান অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে ১৯৭২ সালে লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে স্যার এডওয়ার্ড হীথের সাথে ইতিহাসিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশের চেয়ার বিরেন্দ্র শর্মা এমপি, সাইপ্রাসের হাইকমিশনার এন্ড্রিয়াস এস কাকউরিস(Andreas S Kakouris) এবং নামিবিয়ার হাই কমিশনার মিসেস লিন্ডা স্কটসহ (Linda Scott) বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, কূটনৈতিক ফোরামের সদস্য, যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ ও এফসিডিও এর সম্মানিত প্রতিনিধিগণ এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকবৃন্দ, বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং লন্ডনে বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকা সম্বলিত বর্ণিল ব্যানারে সুসজ্জিত অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের সহকারি প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা উইং কমান্ডার মোঃ সাইফুর রহমান, অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।


আরও খবর



ঢাকায় হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল!

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এবার সেই সংকট আরও বেশি ঘনীভূত হয়েছে। বাজারে এক ও দুই লিটারের বোতল প্রায় ৯০ শতাংশ উধাও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ তেল দেওয়া হচ্ছে তাদের। বাজারে কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।

কারওয়ান বাজারের মুদি দোকনি নোমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। যার কারণে অন্য মালামাল বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে। মূলত দাম বাড়াতেই কোম্পানি ও ডিলাররা মিলে এমন কারসাজি করছে।

বাজারে তেল কিনতে আসা তোফায়েল বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি করছে না। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে।

আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে তেল সরবরাহ কমেছে। বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো।

এ বিষয়ে ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে দুই দফায় শুল্ক-কর কমায় সরকার। মূলত, কোনো পণ্যের ওপর শুল্ক-কর কমানো মানে ওই পণ্যের আমদানি বাড়বে এবং দাম কমবে। কিন্তু দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমার বিপরীতে উল্টো বাড়তে দেখা যায়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




মাভাবিপ্রবিতে ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

কর্মসূচির মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে সকাল ৭.৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের-এর নেতৃত্বে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রোভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকবৃন্দ, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এছাড়া সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মনিরুজ্জামান নামে এক আইনজীবী। সেইসঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনাও চেয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ ব্যাপারে আদেশ প্রার্থনা করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

এদিকে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, সারাদেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেনো আদালত না নেয়। কারণ সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন ১ নম্বর এজেন্ডা।

তিনি বলেন, যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এ সময় উদ্বেগ জানিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে। এছাড়া ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ আগামীকালের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




সফলতার বিচারে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে শেখ বসিরের নিয়োগ সর্বশ্রেষ্ঠ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গোলাম মাওলা রনি, 

ডঃ ইউনুস সরকার এযাবৎ কালে যতো নিয়োগ দিয়েছেন সবগুলোর মধ্যে যদি যোগ্যটা, অভিজ্ঞতা এবং  ! 

জনাব বসিরকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে । কেন হচ্ছে - কারা করছেন এসব নিয়ে আমি কিছু বলবো না । তবে বসির সম্পর্কে যা জানি তা যদি না বলি তবে নিজের প্রতি জুলুম করা হবে । তাঁর ভাইদের সবাই দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং তাদের নিজেদের মধ্যে চমৎকার একটি পারিবারিক সমঝোতা এবং মিল মহব্বত রয়েছে যা বাংলাদেশে বিরল । 

মরহুম আকিজ উদ্দিনের এক ছেলে সংসদ সদস্য ছিলেন । আরেক ছেলে নাসিরের শ্বশুর এবং শ্যালকও এমপি ছিলেন । যশোর জেলায় এই পরিবারের যে জনপ্রিয়তা, এবং গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সেক্ষেত্রে দেশের সব বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য  সব সময়ই আগ্রহী ছিল এবং এখনো আছে ! 

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়  - সাধারণত দুর্বল প্রার্থীরা দলের নমিনেশনের জন্য ফন্দি ফিকির, দলবাজি এবং দালালী করে । কিন্তু দল সব সময়ই  ভালো প্রার্থী খুঁজতে থাকে । সেই দিক থেকে শেখ বসির সব দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত এমপি প্রার্থী ! তাঁর পক্ষে বিজয়ী হয়ে পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া তেমন কোন সমস্যা ছিলো না ! কিন্তু তিনি সব সময়ই প্রত্যক্ষ রাজনীতি বিমুখ ছিলেন এবং নিজের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! 

সুতরাং শেখ বসির কেন উপদেষ্টা হতে গেলেন তা আমার মাথায় ধুকছে না ! আমি যতোটুকু জানি তা হলো - বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য ডঃ ইউনুস একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং সফল ব্যবসায়ী খুঁজছিলেন ! অনেককে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন - সবাই দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ! অন্য দিকে দেশের কুখ্যাত কয়েকজন লুটেরা ঐ পদে নিয়োগ লাভের জন্য নানাভাবে তদবির করেছেন । কিন্তু ডঃ ইউনুস ওসবের নিকট মাথা নত করেননি ! 

শেখ বসিরকে পাট মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে । কেউ কেউ এটাকে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বলার চেষ্টা করেছেন । কারন শেখ বসির এবং তাঁর পরিবার দেশের সবচেয়ে বড় এবং সফল পাটকল গুলোর মালিক । যারা সমালোচনা করছেন - তারা হয়তো দেশের পাট শিল্প, পাট মন্ত্রণালয়, বিজেএমসি এবং পাটের বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন ।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে দেউলিয়া এবং সমস্যা ভারাক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের নাম পাট মন্ত্রণালয় এবং এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীদেরকে সবাই করুণার দৃষ্টিতে দেখে এবং সুযোগ পেলে ঠাট্টা মশকরা করে ! 

আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশের কোন বাক্তিগত পাটকলের সঙ্গে এই মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সম্পর্ক নেই । বরং বাক্তিগত খাতে যারা সফল পাটকলের মালিক হয়েছেন তারা মন্ত্রনালয়ের বদদোয়া নিয়েই বেড়ে উঠেছেন । কারন - মন্ত্রনালয়ের সব কল বন্ধ , সীমাহীন দায়দেনা এবং চলতি ব্যয় মেটানোর জন্য তাদেরকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের গালি খেতে হয় এবং খোটা শুনতে হয় - শেখ বসিররা যদি পারেন তবে তোমরা পারোনা কেন ! 

উল্লেখিত অবস্থায়, শেখ বসির যদি পাট মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন করতে না পারেন তবে বর্তমানে দ্বিতীয় কোন বাক্তি নেই যিনি এই মন্ত্রনালয়ের যন্ত্রণা দুর করতে পারেন । অন্যদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি যে ভালো কিছু করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই !


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




একটা কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছে। তারা বলছে সংবিধানও সংস্কার করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন কিভাবে করবেন? একটা সংস্কার কমিটি দিয়েই সংবিধান সংস্কার হবে না। ওটা করতে গেলে সাংবিধানিক কিংবা সংসদের প্রতিনিধি লাগবে। সেটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সবচেয়ে প্রধান যে জিনিসটা দরকার, সেটি হলো নির্বাচন। একদিকে যেমন পরিবর্তনের জন্য জীবন দিয়েছে, তেমনি নির্বাচনের জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। যার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো কিছু পরিবর্তন করে ফেললে হবে না। সেটা কতটা টেকসই সেই চিন্তাও করতে হবে। তার জন্য গণতান্ত্রিক পথে যেতে হবে। তারা যদি বলত বিপ্লবী সরকার গঠন করেছি, তাহলে বিপ্লবী সরকার করত। আমাদের কিছু বলার ছিল না। এটা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) বিপ্লবী সরকার নয়, সাংবিধানিক সরকার। আপিল বিভাগ থেকে এই সরকারের বৈধতা নেওয়া হয়েছে। ওটাকে ধরে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।

শুক্রবার রাতে জিলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন : আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সামনে বড় ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ফ্যাসিস্টকে বিদায় দিয়েছি। আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে সঠিকভাবে রূপান্তর ঘটাতে হবে। যে রূপান্তরের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, চেতনাকে ফিরে এনে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক, মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকর দেশ গড়তে পারি। এটাই আমাদের সামনে লক্ষ্য।

সভায় বিগত দেড় দশকে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম, হামলা, মামলার কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের গোলটা দিয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এটা অস্বীকার করা যাবে না। এজন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।


আরও খবর