Logo
শিরোনাম

মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দুর্নীতি ও অর্থ পাচার মামলায় মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। 

তাঁর বিরুদ্ধে একটি প্রাইভেট কোম্পানির কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইয়ামিন। ২০১৮ সালে ক্ষমতা হারান আবদুল্লা ইয়ামিন। তবে আগামী বছরের মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রগ্রেসিভ পার্টি থেকে তিনি প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ১০ লাখ ডলার আত্মসাতের জন্য তাঁকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ধীরে ধীরে পান করুন। ঠান্ডা ও বরফজাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে।

২. বাইরে যখন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তখন আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কখনোই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। সব সময় ধীরে ধীরে উষ্ণ পানি পান করুন।

৩. যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৪. তীব্র গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো।

৫. বাইরে বের হতে হলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না।

৬. তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।

৭. শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্চি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৮. বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।

৯. যারা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা থাকে এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ চট করে ধরে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।

১০. হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন।

১১. পুরোনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

১২. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।


আরও খবর

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪

বালুচরে শীতের পাঞ্জাবি-কটি

বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23




রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



কাঁচা পেঁপের কেজি ১০০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়ার বৈরী আচরণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মো. সোহেল। পেটের পীড়া থেকে উপশম পেতে কাঁচা পেঁপে বেশ কার্যকর। তবে পেঁপে কিনতে বাজারে গিয়ে যেন আকাশ থেকে পড়তে হয়েছে তাকে।

সোহেল বলেন, এক কেজি কাঁচা পেঁপে ১০০ টাকা! চিন্তা করা যায়? জরুরি দরকার ছিল, তাই এক পিস কিনে আনছি। ছোট একটা পেঁপে ৩০ টাকা পড়ল।

একই ভোগান্তিতে পড়েন মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম ছিল পেঁপের। তাও এখন ১০০ টাকা। দুই দিনের পুরনো পেঁপে ৮০ টাকা বিক্রি করছে৷

এদিন মোহাম্মদপুরের বাজারগুলোতে শুধু পেঁপে নয়, চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে- কাকরোল, করলা, বেগুনও। ১০০ থেকে ১২০ টাকা হারে গুনতে হচ্ছে এসব সবজির জন্য। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে গুনতে হচ্ছে বরবটির জন্য। বাজারে গোল আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

কচি ঢেঁড়স খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও দামে কমতি নেই। প্রতি কেজি ঢেঁড়স কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে খরচ হচ্ছে ৮০ টাকা। সব পরিমাণ ব্যয় করতে হচ্ছে ঝিঙা ও চিচিঙ্গা কিনতে। পটলের কেজি ৭০ টাকা।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, পাইকারি বাজারে সবজির দাম চড়া। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকার সবজি বিক্রেতা মো. লিটন বলেন, 'দাম আমরা বাড়াতে পারি না। পাইকারিতে দাম বেশি৷ আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আমাদের এখানেও দাম বেশি পড়ে।

এদিকে বাজারে নতুন করে বেড়েছে পুরনো পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে রান্নার এই অনুসঙ্গ। আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়৷ রসুনের কেজি ২৪০ টাকা।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর



শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে সবশেষ ফলাফল যা বলছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইন:

প্রশাসন ও ইসির সাথে বিরোধে জড়িয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই এড. জামিল হাসান দুর্জয়।


ইসির মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণার বিরুদ্ধে তিনি গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন,চেম্বার জজ আদালতে যার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে রোববার বিকেল ৩ টায়।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সকল মানুষের দৃষ্টি এখন আগামিকালের রায়ের দিকে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় তার পক্ষে আসার সম্ভাবনা কম।কারন তিনি ইসি ও স্থানীয় প্রশাসের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন এবং তার নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের শক্ত প্রমান রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

অনেকে বলছেন, রায় তার পক্ষে যাবে। তবে তার পক্ষে গেলেও তা তার কোন উপকারে আসবে না।যদি রায় পক্ষেও যায় তবে ইসি লীভ পিটিশন দায়ের করতে পারেন।গড়াতে পারে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত।কারন হিসেবে তারা মনে করছেন, ইসি ও প্রসাশন দুর্জয়ের বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বারবার আইন ভাঙার কারনে সংঘটিত যে বিরোধ তাতে নাখোশ তারা।

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শুক্রবারও চষে বেড়িয়েছেন।তার এ একগুয়েমি ও আইন না মানার ঐদ্ধত্যকে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন ভাল চোখে দেখছে না।ফলে রায় তার পক্ষে গেলেও প্রশাসনের মানসিকতা তার পক্ষে যে থাকবে না তা প্রতিটি ভোটার তা অনুধাবন করতে পারছেন।

এছাড়াও প্রার্থিতা বাতিলের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভোটারদের উপর পড়েছে এবং রোববারের রায় পক্ষে গেলেও তিনি আর প্রচারণায় আসতে পারছেন না, প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার কারনে।

বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচনী মাঠ তার জয়ের পথে অনুকূলে ছিল কিন্তু অরাজনৈতিক আচরনের কারনে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্ত থাকা জয়কে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে দুর্জয়ের প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিএ কে ভাগ্যবান মনে করছেন অনেকেই।ভাগ্য তার সহায় হয়েছে বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ।তারা বলছেন, দুর্জয় নিজের সর্বনাশ নিজে না করলে জটিল হত আব্দুল জলিলের জয়কে স্পর্শ করা।

এদিকে জলিলের প্রচারণার একটি গাড়ি বহরে একজন শিশু পৃষ্ট হয়ে তেলিহাটিতে মৃত্যুবরণ করায় ইসি আজ সকাল ৯ টায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য গ্রহন করেছে।তার বক্তব্যে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন সন্তুষ্ট কি না বা এ ব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ নেয় তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা, ভোটার, নানা ধরনের জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যদি দুর্জয় প্রার্থিতা ফিরেও পায় তবুও ৬৫% থেকে ৭০% ভোট জলিল ও ৩০% থেকে ৩৫% ভোট জামিল হাসান দুর্জয় পেতে পারেন।অথচ দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের আগে এই চিত্র ছিল উল্টো।

জানা গেছে, এখানকার ভোটাররা চেয়ে আছেন উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে।আদালতের রায় দুর্জয়ের দিকে গেলে উল্লেখিত ভোটের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।আর আদালতের রায়ে যদি ইসির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে এবং কোন পক্ষ যদি আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে শ্রীপুরের নির্বাচনটি হয়ে পড়বে একপেশে, প্রতিদ্বন্দিতাহীন।সেক্ষেত্রে আব্দুল জলিল বিএ দ্বিতীয়বারের মত নিশ্চিতভাবেই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

তিনি নির্বাচিত হলে এখানে তৃতীয় ধারার রাজনীতির সূচনা হবে।সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ও প্রয়াত এমপি এড রহমত আলী পরিবার রাজনৈতিক সংকটে পড়বেন।নির্বাচন পরবর্তি এখানকার ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য হারারেন ক্ষমতাসীনরা।তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাবে বর্তমানের দুই শক্তিতেই ফাটল ধরবে।টার্নিং পয়েন্টে এসে দাড়াবে রাজনীতি।

আর যদি রোববারের রায়ের বিপক্ষে কোন পক্ষই যদি আর আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে নির্বাচনটি ২১শে মে অনুষ্ঠিত হবে।তবে কোন এক পক্ষ যদি রোববারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়ে পিটিশন দায়ের করেন তবে ২১ মে'র অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করা হতে পারে,এমন সম্ভবানাও রয়েছে বলে অভিমত রয়েছে।


আরও খবর