Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় তিন মাসে ১৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসে প্রতারণার শিকার হওয়ায় ১৭১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গত শনিবার জোহর বাহরু প্রদেশের কোটা টিংগি জেলা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক হওয়া বাংলাদেশিরা বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছে। কিন্তু গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা এজেন্টের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি তারা গত তিনমাস ধরে দেশটিতে বেকার রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে পুলিশ রিপোর্ট করার জন্য তারা নিজেদের বাসস্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বেয়ু দামাই থানার উদ্দেশ্য প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা লাইন ধরে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনা মালয়েশিয়ার জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

কোটা টিংগি জেলার পুলিশ প্রধান হুসেন জামোরা দেশটির সংবাদমাধ্যম বারনামাকে জানায়, আটক বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা এজেন্টদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি নতুন পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে। আটকদের আরও তদন্তের জন্য জোহর বাহরুর সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটক বাংলাদেশিরা ১৯ থেকে ৪৩ বছর বয়সী। তাদের দেশটির অভিবাসন আইনের অধীনে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে।


আরও খবর

ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ৪ বাংলাদেশি আটক

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজশাহী মোহনপুর ধুরোইলে আব্দুর রউফকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::

রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ডি এস কামিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী আব্দুর রউফ কে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত ভেঙেছেন এবং মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন । আহত অবস্থায় আব্দুর রউফ বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় ১৫ থেকে ২০ টা সেলাই পড়েছে।

আহত আব্দুর রউফ বলেন (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুর ২ টার সময় বাড়ি থেকে বের হলে হঠাৎ করে ৯০ থেকে ১০০ জন সন্ত্রাসী আমাকে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে লোহা,হেসে , লাঠি, আমাকে মেরে ফেলার জন্য মারতে থাকে এবং আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে মোটরসাইকেল টিভি সাথে ২ লক্ষ টাকা তারা নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন যে আমার সাথে সাথে আমার ছেলেকেও আঘাত করেছেন আমরা বাবা ছেলে দুজনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। 

আহত আব্দুর রউফ কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন ধুরইল ডি এস কামিল মাদরাসার অবৈধ প্রিন্সিপাল নিয়োগে অধ্যক্ষ মোঃ দুরুল হুদার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কড়াই তার নেতৃত্বে তিনি তার লাঠি বাহিনী দিয়ে আমাকে এবং আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরেছেন। এ মত অবস্থায় আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা  মনে করেছে মারা গেছে বলে চলে যান। তিনি কয়েকজন সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করেন যেমন  হাজী মহাসিন, জিন্নাত ও কলাম পিতা - মংলা, হাজী মহাসিন এর দুই ছেলে আলামিন,ও আমিনুল,মোঃ মিলন ও সুমন পিতা- আজিজ মণ্ডল , আব্দুল বারী, পিতা আক্কাস,এখলাস পিতা- সোরাব, আব্দুর রহমান পিতা - আব্দুর রাজ্জাক সহ ৯০ থেকে ১০০ জন।

তিনি আরো জানান এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুস্থ তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে তিনি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে মোহনপুর থানায় একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও খবর



কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয় সাবেক এমপি বাহারের মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

এ.কে পলাশ - কুমিল্লা প্রতিনিধি ::


কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন কুমিল্লার সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক কুমিল্লার কাগজের সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের সাবেক স্টাফ রিপোর্টার আবুল কাশেম হৃদয়। সাবেক এমপি বাহারের চাটুকার ও দেশের একটি শীর্ষ পত্রিকার সাবেক প্রতিনিধিসহ আরো দুই সাবেক সাংবাদিকের প্ররোচনায় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়কে শিক্ষা দিতে ৫ কোটি টাকার মানহানী মামলা করেছিলেন সাবেক এমপি বাহার। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলার পলাতক আসামী ছিলেন এ মামলার আইনজীবী।


২০১১ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘এমপি বাহারের বাহারী রাজত্ব’ শিরোনামে প্রকাশিত এক রিপোর্টের প্রেক্ষিতে সাবেক এমপি বাহার নিজে বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছিলো। সে সময় এমপি বাহারের ২য় শীর্ষ নেতা ও প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাত বাদি হয়ে সাবেক এমপির কাছে ৫ লাখ টাকার চাঁদা চাওয়ার মামলা ও ৩য় শীর্ষ নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসার পর সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়া তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) কুমিল্লার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাওহিদা আক্তার কজ লিস্টে থাকা মামলাটি খারিজ করে দেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


সুত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকায় সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের কারনে ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর কুমিল্লার আদালতে ৫ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি দায়ের করেন হাজী বাহার । মামলায় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়াও ৫ জনকে বিবাদি করা হয়। কুমিল্লায় অবস্থান করার কারনে আবুল কাশেম হৃদয় ছাড়া এ মামলা আর কোন বিবাদি আদালতে আসেন নি।


সাবেক এমপি বাহারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. মাসুদুর রহমান শিকদার ও সৈয়দ নুরুর রহমান। ২০২১ সালের ৮ মার্চ মামলাটির শুনানীর সময় সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়ের আইনজীবী এড. মমতাজুল করিমের জেরার মুখে নাস্তানাবুধ হয় সাবেক এমপি বাহার। প্রকাশ্য আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে অনেকটা অসহায় দেখাচ্ছিল সে দিন। সাবেক এমপিকে অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিমের অসাধারন জেরার ঘটনা অনেকদিন কুমিল্লার আদালতে আলোচ্য বিষয় ছিল। অভিজ্ঞ আইনজীবী মমতাজুল করিম কয়েকদিন আগে ইন্তেকাল করেন।
 


আরও খবর



ভালো নেই জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করানো নওগাঁর সেই শিক্ষক

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের চাপের মুখে পদত্যাগ করার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলা নওগাঁর হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুই দিন চিকিৎসার পরেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি, বরং আরও অবনতির কথা জানিয়েছেন স্বজনরা।

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠাতে শিক্ষকদেরকে পদত্যাগের জন্য চাপের মধ্যে গত বুধবার এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গত ২৫ অগাস্ট থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে দাবি জানিয়ে আসছিলেন একদল শিক্ষার্থী। পরে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকে সমঝোতাও হয় তবে সেই সমঝোতার পরদিন আবার একদল শিক্ষার্থী তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে। সেখানে বহিরাগতরাও আসে, তারা অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। 


শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের কটূক্তি ও চাপের মধ্যে এক পর্যায়ে তাকে পদত্যাগপত্রে সই করতে দেখা যায়। হঠাৎ করেই তিনি বুকে চেপে ধরে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধরাধরি করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।অধ্যক্ষ নুরুলকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেল ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসার পর শুক্রবার সকালে অধ্যক্ষকে ঢাকায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাকে নিয়ে স্বজনরা ঢাকার পথে আছেন। এই শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক কাকলী হক। তিনি বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জ্ঞান হারানো অবস্থায় একজন শিক্ষককে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উনার জ্ঞান ফিরে আসে। “আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম উনি স্ট্রোক করেছিলেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অধ্যক্ষ নুরুলের ভাই আবু নাছের আহম্মেদ বলেন, পদত্যাগের দাবিতে গত রোববার থেকে তার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বহিরাগত লোকজন আন্দোলন করছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম রবীন শিষ শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন এবং উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। বুধবার সকালে নুরুল ইসলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে কিছু শিক্ষার্থী তাকে বিগত সময়ের কিছু হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিতে বলেন। নুরুল হিসাবনিকাশ বুঝিয়ে দেওয়ার এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে বহিরাগত কিছু লোকজন তার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শরীরে হাত দিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। এভাবে এক ঘণ্টা চলার পর নুরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, কথা যা বলছে, বোঝা যাচ্ছে না, ভেঙে ভেঙে বলছে। অবস্থা ভালো না বলেই ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন।

নওগাঁ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম রবীন শিষও সমঝোতার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরেই অধ্যক্ষকে নিয়ে একটা অস্থিরতা চলছিল। মঙ্গলবার উভয়পক্ষের সঙ্গে আমি সভাও করেছি, সমঝোতার মধ্যে সভাটি শেষ হয়। কিন্তু রোববার আবার অস্থিরতা দেখা দেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ওই অধ্যক্ষের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানেন উল্লেখ করে ইউএনও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান অস্থিরতা বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি সভা করেছি। যেখানে উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের অস্থিরতা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



জাতির পিতার শোক দিবস পালন করায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামালের অফিস কক্ষ ভাঙ্গচুর ও তালাবদ্ধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শোক দিবস পালন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষক, সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ক.ম.জামাল উদ্দীনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে তার অফিস কক্ষ বুধবার সকালে (২১ আগস্ট) ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।


এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র, মার্কস, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফাইনাল ও মিট-টার্মের উত্তরপত্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র, মার্কস, ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট সমূহ, ব্যাংক ডকুমেন্টস কার্ড, টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ সহ মূল্যবান ব্যবহার্য্য সামগ্রী খোয়া যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।


তারা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবীতে তার কক্ষেও তালা মেরে দেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ৪ দফা দাবীতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভাগীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে সকল কলাপসিবল গেটসমূহ তালাবদ্ধ করে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে।


উল্লেখ্য,  গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।


আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসের স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুরদিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়। 


এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে রিক্সায় করে পশ্চিম রাজা বাজারের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই বাড়ির দারোয়ান প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে জ্ঞান ফেরান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই এই ঘৃণিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। 



আরও খবর



সাবেক প্রতিতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর ও আত্রাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে নওগাঁ জেলা বিএনপি। সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক। 

লিখিত বক্তব্যে আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরের অপ-রাজনীতি, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন-গুম ও দুর্নীতির অবসানের পর দেশ যখন নতুন করে মুক্ত হয়েছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিরুদ্ধে নতুন করে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর জেলার অন্যান্য এলাকার মতো রাণীনগর ও আত্রাই এলাকায় বিএনপির লোকজন অত্যন্ত সচেতন অবস্থায় আছেন। তাদের দ্বারা কোনো প্রকার অপকর্ম, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি। অথচ আত্রাই-রাণীনগরের এলাকার শান্তিপ্রিয় এই পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সাবেক এমপি আলমগীর কবির উঠে-পড়ে লেগেছেন। আলমগীর কবির দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন উল্লেখ করে জেলা বিএনপির আহব্বায়ক বলেন, আলমগীর কবির বর্তমানে বিএনপির কেউ নন। এমনকি বিএনপিতে তাঁর প্রাথমিক সদস্য পদও নেই। অথচ তিনি আত্রাই-রাণীনগর এলাকায় সুকৌশলে বিএনপির নাম ব্যবহার করে সমাবেশ ডেকে বিএনপি, জিয়া পরিবার এবং বিএনপির দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের বিপক্ষে মিথ্যাচার ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে জনগণকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছেন। এতে যে কোনো সময় এলাকায় বড় ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। এমন ঘটনা ঘটলে সকল দায়-দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। এজন্য দলের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বিএনপির দলীয় লোকজনকে আলমগীর কবির সহ সকল সুযোগ সন্ধানীদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও জনসভা থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হচ্ছে। আবু বক্কর সিদ্দিক আরো বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিএনপির আন্দোলনে সংগ্রামের সাথে আলমগীর কবির বা তার পরিবারের কারও কোনো সম্পর্ক ছিল না। এমনকি বিএনপি কর্মীদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা, খুন-গুম হওয়া কোনো নেতাকর্মীদের বা তাদের পরিবারের সাথে কোনো প্রকার সহযোগিতা বা খোঁজখবর নেন নাই। ফলে তাঁর বা তাঁর পরিবারের কারো বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোনো মামলা হয়নি বরং বিগত সংসদ নির্বাচনে তাঁর নিকট আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক কে নওগাঁ-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এবং আর্থিক সহযোগিতা করে সংসদ সদস্য বানিয়ে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ১/১১ সময় বিএনপি ত্যাগ করে এলডিপিতে যোগ দিয়ে তিনি বিএনপির সঙ্গে বেঈমানী করে অত্র এলাকায় বেঈমান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আবারও তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহব্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম ও শফিউল আজম রানা, রাণীনগর উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। 

বহুল আলোচিত বাংলা ভাইয়ের দূর্গ বলে পরিচিত আত্রাই ও রানীনগর উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-৬ আসন। ২০০১  থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আলমগীর কবির গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তখন এলাকায় বাংলা ভাইয়ের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে আলমগীর কবির বিএনপি ত্যাগ করে এলডিপিতে যোগ দেন। তবে অতীতের বিতর্কিত ভূমিকার পরেও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলমগীর কবিরকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বনিদ্বতা করেন। আলমগীর কবিরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় সেই সময় আত্রাই ও রাণীনগর বিএনপির একাংশ তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।


আরও খবর