Logo
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় তিন মাসে ১৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসে প্রতারণার শিকার হওয়ায় ১৭১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গত শনিবার জোহর বাহরু প্রদেশের কোটা টিংগি জেলা থেকে তাদের আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক হওয়া বাংলাদেশিরা বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছে। কিন্তু গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা এজেন্টের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি তারা গত তিনমাস ধরে দেশটিতে বেকার রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে পুলিশ রিপোর্ট করার জন্য তারা নিজেদের বাসস্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে বেয়ু দামাই থানার উদ্দেশ্য প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা লাইন ধরে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনা মালয়েশিয়ার জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

কোটা টিংগি জেলার পুলিশ প্রধান হুসেন জামোরা দেশটির সংবাদমাধ্যম বারনামাকে জানায়, আটক বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা এজেন্টদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি নতুন পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে। আটকদের আরও তদন্তের জন্য জোহর বাহরুর সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটক বাংলাদেশিরা ১৯ থেকে ৪৩ বছর বয়সী। তাদের দেশটির অভিবাসন আইনের অধীনে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের শীর্ষে ফেরাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তারা ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-০ গোলে হারানোর পর একই দিন বার্সেলোনা লাস পালমাসকে হারিয়ে ফের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে।

দুই বদলি খেলোয়াড়ের গোলে ২-০ ব্যবধানে টেবিলের তলানির দিকে থাকা লাস পালমাসকে হারাল কাতালানরা। গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে তারা লাস পালমাসের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে।

শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠ গ্রান ক্যানেরিয়ায় প্রথমার্ধে বেশ ভুগতে হয়েছে সফরকারী বার্সেলোনাকে। ম্যাচের শুরুতেই ভালো সুযোগ পায় স্বাগতিক লাস পালমাস। কিন্তু তাদের নেওয়া নিচু শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। মিনিট দুয়েক পর বার্সাও সুযোগ পায়, কিন্তু রবার্ট লেভান্ডফস্কির হেডটি ঠিক লক্ষ্যে ছিল না। এরপর তিনি আরেকটি ফ্রি-কিক উড়িয়ে মারেন বাইরে দিয়ে। প্রথমার্ধজুড়ে লাস পালমাসের রক্ষণ ছিল জমাটবদ্ধ। এরই মাঝে তারা একাধিকবার বার্সার অর্ধেও উত্তাপ ছড়ায়। বিরতির আগে লামিনে ইয়ামালের নেওয়া একটি কোনাকুনি শটও চলে যায় বাইরে দিয়ে।

বিরতির পরও বল লক্ষ্যে রাখতে না পারার হতাশায় পোড়ে বার্সেলোনা। ৬১তম মিনিটে রাফিনিয়ার হেড অলক্ষ্যে যাওয়ার পরমুহূর্তেই ওলমোর গোলে বার্সা ম্যাচে লিড নেয়। ইয়ামালের দারুণ এক পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার। এরপর লেভান্ডফস্কি–ই পান পরপর দুটি সুযোগ। তার প্রথম হেডটি গোলরক্ষকের হাতে এবং অভিজ্ঞ পোলিশ ফরোয়ার্ড আরেকটি শট উড়িয়ে মারেন। ৮০ মিনিটে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে পেনাল্টির আবেদন নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়।

নিজেদের অর্ধে প্রতিপক্ষের অ্যালেক্স সুয়ারেজের শট গিয়ে লাগে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার হাতে। পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠার পরই দুই দলের খেলোয়াড়রা বিতণ্ডায় জড়ান। দু’পক্ষের একজন করে দেখেন হলুদ কার্ডও। তবে ভিএআরে সেই আবেদন অফসাইড হিসেবে কাঁটা পড়ে। বার্সেলোনা তাদের দ্বিগুণ লিড ও জয় নিশ্চিত করে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে। বদলি নামা ফারমিন লোপেজ রাফিনিয়ার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে বাঁ পায়ে জোরাল শটে বল জালে জড়ান।

এ নিয়ে নতুন বছরে ১৩ ম্যাচে অপরাজেয় থাকার নজির ধরে রাখল বার্সা। লা লিগায়ও জিতল টানা পাঁচ ম্যাচ।


আরও খবর



রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এজন্য মায়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ১৪ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মায়ানমারের নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি।

প্রথমত, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। এটি তাদের অধিকার, তারা বঞ্চনার শিকার।

আর দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরো ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে।

এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো।

কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে, দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প পরিদর্শন করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন, বলেন এবং ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে বিমানের একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।


আরও খবর



বিস্কুট-কেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিস্কুট ও কেকের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। হাতে ও মেশিনে তৈরি বিস্কুট ও কেকের ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে অর্ধেক কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বেকারিপণ্যে বিস্কুট ও কেকও।

গত জানুয়ারিতে মেশিনে প্রস্তুত করা বিস্কুটে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এছাড়া হাতে তৈরি বিস্কুটের (প্রতিকেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার।

একইভাবে কেকের (প্রতিকেজি ৩০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট, ফলের জুস, কলরেটসহ প্রায় শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

তবে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে ১০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। এরপর প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক কমাতে এনবিআরে একাধিকবার ধর্ণা দেয় বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।


আরও খবর



ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান৷

‘৫২-এর ভাষাশহীদদের পরিবারকে পরিপূর্ণ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র’ বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভাষাশহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা হলেও তাদের পরিবারকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল এ দায় তাদের।

জামায়াত আমির বলেন, ‘একাত্তরের শহীদদের জাতি মোটামুটি স্মরণ করে। তবে কতটা মর্যাদা দিতে পারে, তা আলোচনার বিষয়। অনুরূপভাবে যারা ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারি সেই দিনটির কথা স্মরণ করুন, তাদের পরিবারকে বুকে টানুন আর সম্মান জানান। তাহলে তারা কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাবেন। আর বর্তমান প্রজন্ম এখান থেকে শিক্ষা নেবে।’

ডা. শফিকুর রহমান আফসোস করে বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসকে কেটে টুকরো টুকরো করেছে। সব জায়গায় অন্যায্যভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। প্রত্যেক জাতির যুবসমাজ সাধারণত অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকে। আমাদের যুবকরাও সেই গৌরব ধারণ করে চলেছে।’

ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশ, অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবদান সরকারিভাবে সামনে আনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।


আরও খবর



মশুরীখোলা দরবার শরীফে ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানী নারিন্দায় ঐতিহ্যবাহী মশুরীখোলা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ক্বেবলা শাহ আহসানুল্লাহ (রহ.)’র ১৫৫তম পবিত্র ওরস মোবারক পালিত হয়েছে। গদ্দিনিশীন পীর সাহেব- আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে মশুরীখোলা দরবার প্রাঙ্গণে মশুরীখোলা আঞ্জুমানে আহসানিয়া বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২০ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মশুরীখোলা দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ মুহাম্মাদ আহসানুজ্জামান (মা.জি.আ.) বলেন, শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.) ছিলেন আধ্যাতিক জগতের দীপ্তমান একজন সূর্য সন্তান । বাংলা ও আসামের হাজারো মানুষ তাঁর সংশ্রব ও শিক্ষা নিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে দিশা লাভ করেন। ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন দুদু মিয়ার বেজুম্মা দলের নির্মম অত্যাচার বন্ধ ও পুনরায় বাংলার জনপদে জুমা নামাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শাহ্ সূফি আহসানুল্লাহ (রহ.)’র অবদান ছিলো অনস্বীকার্য। 

তিনি আরো বলেন, এদেশের ৯২% মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস সংস্কৃতিকে উপেক্ষা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সকল জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান আমাদের। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বতন্ত্রতার রক্ষা করেই আধুনিকায়ন করতে হবে। দেশে ইসলাম প্রচার প্রসার হয়েছে হক্কানি তরিকতের পীর ওলিদের মাধ্যমে। সুতরাং বর্তমান চতুর্মূখী ফেতনা ও মুসলিমসমাজ দ্বীনের প্রতি উদাসীনতার পরিস্থিতিতে আউলিয়াগণের আদর্শ অনুসরন করাই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তির একমাত্র উপায়”। লক্ষাধিক ভক্ত আশেকানদের উপস্থিতিতে তিনি সরকারের কাছে উদাত্ব আহবান জানিয়ে বলেন, মুসলমানদের পবিত্র আত্মশুদ্ধির মাস; পবিত্র  রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করে পণ্যসামগ্রীর দাম নির্ধারণ উচিত। যেন সমাজের বিত্তশালীদের মতো অল্প আয়ের মানুষরাও স্বাচ্ছন্দ্যে সিয়াম পালন করতে পারে।  

সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, ক্রমাগত মাযারের হামলা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের নীল নকশার অংশ। সুফিদের মাজার-দরগাহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। শতাব্দীর পর শতাব্দী দরে এই উপমহাদেশে ইসলামের হুকুম-আহকাম প্রচারে পীর আউলিয়াদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ মধ্যে দিয়ে ইসলামের ইতিহাস থেকে সুফিয়ানে কেরামের অবদানকে মুছে ফেলার যাবে না।

পরিশেষে তিনি বলেন, পবিত্র এই দরবার শরীফে তরিকা গ্রহণ করে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরীয়তের পথে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন হাফেজ, মাওলানা, মুফতি হয়েছে। সুতরাং আলোর দিশা ছড়িয়ে দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। আউলিয়া ও তাদের আশেকানদের উপর নির্বিচারে হামলার চেষ্টা করা হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। একইসাথে দেশের এসব প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দরবার শরীফের পীর সাহেব।

এসময় জাকেরীনদের জিকির আযকার তালিম প্রদান করেন শাহ্জাদা মাওলানা হাফেজ শাহ্ মুহাম্মদ সাইফুজ্জামান এরফান। এতে বক্তব্য রাখেন,অধ্যক্ষ মুফতি কাজী আবু জাফর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম ফজলুল হক,ডক্টর মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন সাইফী, সহ-অধ্যাপক মাও. আবুল বাশার, মাও. গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্, পীর মাও. আহমদুল হুদা খান, মাও. মুফতি মঈন উদ্দিন হেলাল, মাও. তাওহীদুল ইসলাম, মাও. জিয়াউর রহমান আবু শাহ, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল কাদেরী,। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, প্রখ্যাত বুযুর্গ, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। খতমে কুরআন, দরসে হাদিস, দরবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওরসের মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে সারারাত হক্কানি ওলামায়ে কেরাম ও পীর-মাশায়েখদের বয়ান, নসিহত, যিকির, তাহাজ্জুদ নামায, মিলাদ-ক্বিয়াম, তাবারুক বিতরণ এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।


আরও খবর