Logo
শিরোনাম

মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরিদী আমাদের গর্ব

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী,শিক্ষক ও কলামিস্ট :

নব্বই দশকের কথা। ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তখন নেয়ামতুল্লাহ  ফরিদী সাহেব। ঢাকা মহানগর ছাত্র আন্দোলনের কর্মি সন্মেলন আহবান করা হল। স্হান ছিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তন। উক্ত সন্মেলনে দেশের বরেণ্য ওলামায়েকেরাম, বুদ্ধিজীবী মহল এবং মরহুম পীর সৈয়দ ফজলুল করীম সাহেব উপস্হিত ছিলেন। সন্মেলনের এক পর্যায়ে বক্তৃতার পালা আসে নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী সাহেবের। তিনি মঞ্চে উঠে যে চমকপ্রদ বক্তৃতা করে ছিলেন, তাতে উপস্হিত অতিথিবৃন্দকে হতবাক করেদিয়েছিল। 

সেসময়ে মঞ্চে উপস্হিত ছিলেন মরহুম ব্যারিষ্টার কোরবান আলী সাহেব। ব্যারিষ্টার কোরবান আলী সাহেব তো একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি তো নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদীর বক্তৃতা শুনে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেন নি। মঞ্চের মাইক ধরে প্রায় পাঁচ মিনিট শুধু নেয়ামতুল্রাহ ফরিদীর বক্তৃতা এবং জ্ঞানের ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর কথা ছিল এমন, একজন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র এত্ত জ্ঞান রাখে? মাদ্রাসার ছাত্ররা এত তথ্যপূর্ণ আলোচনা করতে পারে? 

আজ  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সন। এর মধ্যে ৩০ বছর পার হয়ে গেছে।  ব্যারিস্টার কোরবান আলী সাহেবও নেই। জনাব ফরিদী সাহেব এখন এদেশের প্রথমশ্রেণীর  দেওবন্দী মাদ্রাসার মোহতামিম ও শাইখুল হাদীস। তবে দীর্ঘ এত বছর পার হয়েগেলেও নেয়ামতুল্রাহ আল ফরিদী ফুরিয়ে যান নি। বরং তাঁর বক্তৃতার স্পিরিট যেন আগের থেকে আরো গতিশীল।

আজ "জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ " এর জাতীয় সেমিনারে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, যে ভঙ্গিমা, যে ভাষার অংলকার, শব্দের গাঁথুনি এবং তথ্য নির্ভর সম্বলিত আলোচনা জাতির সামনে উপস্হাপন করেছেন, তাতে এ প্রজন্মের মানুষেরা উৎসাহিত হবে।  বিশেষ করে আকাবির- আসলাফের ইতিহাস- ঐতিহ্য রোমন্থন করে সাবলিল বাচন ভঙ্গিতে কথাগুলো তুলে ধরেছেন, সত্যি সেটা শুনতে ইচ্ছে করে।

আমি বারবার শিহরিত হচ্ছিলাম তাঁর কথায়। কী কথার জাদু!  কী অসম্ভব সুন্দর শব্দচয়ন! বক্তৃতা শুনে অভিভূত হলাম। তাছাড়া একটা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে এরকম  তাত্মিক আলোচনা শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিল মানুষ। জনাব ফরিদী সাহেবের বক্তৃতামালায় অবশ্য আজ পিপাসিত অন্তরগুলো সজীবতা ফিরে পাবে। উৎসাহ- উদ্দীপনা খুঁজে পাবে ভেঙেপড়া মানুষগুলো।

মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী আমাদের গর্ব। তিনি আমাদের অহংকার। তিনি যেন এখন নতুন প্রজন্মের চেতনা।  আমি তাঁর জন্য কায়মনোবাক্যে দুআ করি, আল্লাহ তাঁকে নেক হায়াত দান করেন। আমিন।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের 'স্টেট অফ গ্লোবাল ক্লাইমেট' রিপোর্টে ২০২৩ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছে। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে গরম অনুভূত হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের উষ্ণতা বিগত বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কিনা সেই শঙ্কা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি, ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, সমুদ্রের তাপ এবং অ্যাসিডিফিকেশন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ এবং অম্লকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফের আচ্ছাদন গলে যাওয়া এবং হিমবাহ পশ্চাদপসরণের মতো একাধিক ঘটনাও যা বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন তাপমাত্রার (বাড়ার) চেয়ে অনেক বেশি। ২০২৩ সালে আমরা যা প্রত্যক্ষ করেছি, বিশেষত সমুদ্রের অভূতপূর্ব উষ্ণতা, হিমবাহের পশ্চাদপসরণ এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ হ্রাস- এই সব কিন্তু বিশেষ উদ্বেগের কারণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের চরম প্রভাব বিশ্বের যে যে অংশে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা তার মধ্যে রয়েছে এশিয়াও। চলতি বছরে ইতোমধ্যে এশিয়ার অনেক দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ছবিটা প্রায় একইরকম দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও।

হাঁসফাঁস করা এই পরিস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভারতের একাধিক রাজ্যে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি।

অন্যদিকে, ইরানে গত বছর সর্বাধিক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই নিরিখে এ বছরের চলতি মাসের ছবি বিশেষ আশার আলো দেখাতে পারছে না।

দেখে নেয়া যাক দক্ষিণ এশিয়ার সেই সমস্ত শহর যার তাপমাত্রা এখন সর্বাধিক।

ভারত
গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার বারিপদাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে।

পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের তাপ মাপন কেন্দ্রে ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে গত এক সপ্তাহে। পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪৫ ডিগ্রি। বাঁকুড়াও রয়েছে ওই তালিকায়। পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে- রাজধানী দিল্লিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস না থাকলেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হবে আগামী তিনদিনে। গত এক সপ্তাহে ওই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ ডিগ্রির মধ্যে।

হরিয়ানাতেও তাপমাত্রার দিল্লির কাছাকাছি রয়েছে। বিহার, পূর্ব মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরির একাধিক অঞ্চল-সহ পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশরর কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশেই।

চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই অঙ্ক ঘোরাফেরা করেছে ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

সৈয়দপুরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফরিদপুরে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে।

পাকিস্তান
এই বছর পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিন্ধ প্রদেশের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সিন্ধের নওয়াব শাহতে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি, মহেঞ্জোদারোতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

লাহোরে গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

উষ্ণতম শহরের তালিকায় বেলুচিস্তানের তুরবত অঞ্চলের নাম অনেক আগেই নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলুচিস্তানের ন্নকুন্দিতে ৩৭ ডিগ্রি এবং সিব্বিতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে করাচিতে চলতি মাসে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত এক সপ্তাহে করাচীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রসঙ্গত, গত বছর তীব্র দাবদাহের শিকার হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বেলুচিস্তানের দালবন্দিনে এবং নক্কুন্দিতে জুলাই মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছিল যা অতিক্রম করেছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপ-চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কা
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কার গড় তাপমাত্রা ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলম্বোতে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক শহর অনুরাধাপুরার বিমানবন্দর অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সাবারাগামুওয়া প্রদেশের রাজধানী শহর রত্নপুরায় সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চল প্রদেশে অবস্থিত অন্যতম বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে গত এক সপ্তাহে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে তা হল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ত্রিঙ্কোমালি শহরেও সর্বাধিক তাপমাত্রা চ্ছিল ৩৫ ডিগ্রি। এটা ত্রিঙ্কোমালি জেলার প্রশাসনিক সদর দফতর এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রধান বন্দর শহর।

আবহাওয়া দফতরের তরফে ২০২৩-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গত বছর ওই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিভিন্ন অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩২ ডিগ্রির এর মধ্যে ছিল পুরো বছর।

মালদ্বীপ
চলতি মাসে মালের গড় তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি।

মালদ্বীপের আদ্দু অ্যাটলের দক্ষিণতম দ্বীপ গান-এ গত এক সপ্তাহে নথিভুক্ত করা তথ্য বলছে- সেখানে সর্বাধিক তাপমাত্রা রয়েছে ৩২ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রির মধ্যে। হিথাধুর পরে গান হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালদ্বীপের ফুভাহমুলাহতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মালদ্বীপের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-এর মে মাস ছিল সেখানকার উষ্ণতম মাস। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল- ওই বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নেপাল
চলতি মাসে নেপালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। রাজধানী কাঠমান্ডুর গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে কাঠমান্ডুর বাগমতি অঞ্চলের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

অন্যদিকে নেপালের লুম্বিনী অঞ্চলে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধ আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে গত এক সপ্তাহে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, বিরাটনগর বিমানবন্দর এলাকায় গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ৩৫ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

নেপালের জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের জলবায়ু রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের সারা বছরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে বছর তরাইয়ের নাওয়ালপারাসির দামকাউলি রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা (৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যা গত ৪৪ বছরে দেখা যায়নি।

 সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



দশমিনায় সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন ,দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীতে আইএফডিসি ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ফিট দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি এর উদ্যোগে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী নিজ হাওলা গ্রামে প্রায় আর্ধশতাধিক কৃষক-কৃষানীর অংশ গ্রহনে সুর্যমুখি শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সুর্যমুখি চাষি মো. মকবুল হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন-আইএফডিসি প্রকল্পের ফিল্ট সুপার ভাইজার মো. নাজমুল হক, সিএফডিসও মো. হাবিবুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রবি ফয়সাল ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর



তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র তাবদাহে নওগাঁয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। বৃষ্টির আশায় আকাশের দিকে চেয়ে আছে প্রাণীকুল। ঘর থেকে বাহিরে বেরোনো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। কিন্তু তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। 

গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে। প্রচন্ড গরমে আক্রান্ত হচ্ছে, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। যার বেশির ভাগ বয়স্ক ও শিশু। হঠাৎ করে হাসপাতালে রোগীর ভীড় বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, এক সপ্তাহে অন্তত ৩শ' রোগী ভর্তি হয়েছে। যার বেশির ভাগই বয়স্ক ও শিশু। আক্রান্ত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বরে। হাসপাতালের ৫ম তলায় শিশু ওয়ার্ডের বেড সংখ্যা ১৫টি হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ২৬ জন। তবে হাসপাতালে থেকে বাড়তি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার অধিকাংশ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী।

নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর তথ্যমতে, গত ৭ দিনে জেলার ১১টি উপজেলায় ডায়রিয়া চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭শ' ৯৮ জন এবং কলেরা (এআরআই) ২৪ জন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোনিম্ন ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

প্রচন্ড তাবদাহে কর্মজীবি মানুষদের কষ্ট বেড়েছে। হাপিয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষ। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রোদ থেকে বাঁচতে কেউ ছাতা ও কালো চমশা ব্যবহার করছেন।চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রচন্ড গরমে ঘরের বাহিরের না যাওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বলেন, বাচ্চার বয়স ৮ মাস। প্রচন্ড গরমে বাচ্চা কয়েক বার পাতলা পায়খানা করে। এরপর রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বারান্দায় বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাচ্চা কিছুটা সুস্থতা বোধ করছে। তবে হাসপাতাল থেকে ঔষধ পাওয়া গেলে একটু ভাল হতো। হাসপাতলে প্রচুর রোগীর চাপ।

জেলার মান্দা উপজেলা থেকে আসা নুরুল ইসলাম বলেন, বাচ্চার বয়স এক বছর। হঠাৎ করেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু করলে স্থানীয় চিকিৎককে দেখানো হয়। পরবর্তীতে তার পরামর্শে হাসপাতালে গত রাতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে খাওয়ার স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইন সহ অন্যান্য ঔষধ প্রায় ৫শ টাকা বাহির থেকে কিনতে হয়েছে। বাচ্চা এখন কিছুটা সুস্থ।

শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টার্ফ নাস সিমা খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই রোগীর চাপ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগী। আমরা ৯ জন স্টার্ফ। পর্যায়ক্রমে ডিউটি করতে হচ্ছ। হঠাৎ রোগীর চাপ সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদেরকে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে যেসব ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে তা রোগীদের দেয়া হচ্ছে।

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন, রজমানে রোজায় ভাজা পোড়া সহ অনিয়মত খাওয়া এবং প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরও খবর