Logo
শিরোনাম

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিটিআরসির গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকার উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন এই নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় নতুন ডাটা প্যাকেজ ও মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অতিরিক্ত মুনাফা থেকে অপারেটরদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পূর্বে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত্রিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০ টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। বর্তমানে ০৩ দিনের প্যাকেজের যে মেয়াদ সেটাই ০৭ দিনের মেয়াদ হবে বলেও জানান তিনি।

সভার শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দৌড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্ত্রি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।

পরবর্তীতে কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার আদ্যোপান্ত বিশদভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সভা, আলোচনা, মতামত গ্রহণ, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকের সাথে সরাসরি মতবিনিময়সহ অনলাইন জরিপ পরিচালনা করেছে। উপস্থাপনায় তিনি নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেন:

প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ: একটি অপারেটরের নিয়মিত (regular package), বিশেষ প্যাকেজ (CCSP), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (R&D), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিলো ৮৫টি। এছাড়া, সকল প্যাকেজের সময়সীমা হবে ০৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড, যা আগে ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন।

আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম: প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিডেট ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি এবং ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।

ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন: যে সকল গ্রাহক (MyGP, MyRobi, MyBL, My Teletalk) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম,সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড ( অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া) : নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার ক্রয় করলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল ৪টি। সোশ্যাল প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।

ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ: একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ (এক) দিন পূর্বে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলতি প্যাক পুনরায় ক্রয় করার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।

৩ দিনের প্যাকেজে না রাখার কারণ: মোবাইল অপারেটর তিন দিনের প্যাকেজে যে পরিমাণ ডাটার অফার প্রদান করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ উক্ত সময়সীমার মধ্যে করতে ব্যর্থ হয় । এছাড়া, উক্ত প্যাকেজ সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং সময়সীমা কম হওয়ায় গ্রাহকরা পুনরায় প্যাকেজ ক্রয় করলে ডাটা ক্যারি ফর্ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত অনলাইনে জরিপে দেখা যায়, ৫৪.৬% গ্রাহক ০৩ দিনের প্যাকেজ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।

অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফল: বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬১% গ্রাহক মনে করে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ টি হওয়া উচিত এবং ৫৪% গ্রাহক ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদ রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, অপারেটরগুলো সবসময় গ্রাহকবান্ধব এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি। এর আগে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক সুফল ভোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ডাটার ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস আপাতত নির্ধারণ করা না হলেও ভবিষ্যতে সময়ের চাহিদানুযায়ী সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

দেশে সাইবার হামলার হুমকি

শনিবার ০৫ আগস্ট ২০২৩




বাস ও অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০' যানবাহন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় বাস ও সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিক উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ সময় দুটি বাস ও ১৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের শিকার হয়। দু- পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় চরম দূর্ভোগের পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। দু' পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মান্দাতে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা সহ নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, প্রথমে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার সাবাইহাট বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। এঘটনার পর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর শ্রমিকেরা মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় জড়ো হয়ে সিএনজি চালিত অটো-রিকশা শ্রমিকদের উপর চড়াও হোন এবং অটো-রিকশা ভাঙচুর করেন। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ফেরিঘাট সেতুর মুখে ও ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানান মোটর শ্রমিকরা।

সুত্র আরো জানায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাবাইহাট ও ফেরিঘাট এলাকায় দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে নওগাঁ টু রাজশাহী মহা-সড়কে বাস ও তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংবাদ সংগ্রহকালে ফেরিঘাট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান মতি বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী মহাসড়কে তিন-চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও অটো-রিকশা চালকরা নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজকে বেলা দুইটার দিকে সাবাইহাট এলাকায় সিএনজি চালক ও মালিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে যাত্রীবাহী দুটি বাস ভাঙচুর করেন। 

এ সময় বাস দু'টির চালক ও তার সহকারীকে মারধরও করা হয়। খবর পাওয়ার পর বাস শ্রমিকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার উপর বাস রেখে (বাস চলাচল বন্ধ করে) প্রতিবাদ জানান। 

অপরদিকে ঘটনার বিষয়ে সিএনজি-মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইন বোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেক পোস্ট বসিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। 

শুক্রবার নামাজের পর ফেরিঘাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার সময় নতুন চেকপোষ্টে একটি অটোরিকশা থামিয়ে চালককে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাস শ্রমিকেরা আবারও সিএনজি মালিক ও চালকের উপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১৫ জন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। সংঘর্ষ এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



মনোনয়ন কিনলেন ১৭ আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন দুই উপজেলার ১৭ জন নেতা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

এ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত সংসদ-সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সরকার এমদাদুল হক মোহাম্মদ আলী, গোরুদাশপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহমদ আলী, সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ আলী, রাজশাহী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এস এম রফিকুল পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রতন কোমার সাহা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য কে এম জাকির হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এস এম আসাদ-উজ জামান, সহ-সভাপতি একে এম শাহজাহান কবির, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, জেলা বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-কমিটির সাবেক সদস্য সুব্রত কোমার কুন্ডু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মো আতিকুর রহমান, গুরুদাশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কাদের।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে আসন শূন্য হওয়ায় এখানে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে।


আরও খবর



মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব '' দূর্গা পূজা উদযাপন'' উপলক্ষে থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় নওগাঁর মহাদেবপুর থানা ভবন চত্তরে আয়োজিত মতবিনিময় 

সভায় মহাদেবপুর উপজেলা

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সেক্রেটারি সহ ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার, হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আহসান হাবিব, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, থানা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। 

উক্ত মতবিনিময় সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে যাতে উদযাপিত হয় এ সংক্রান্তে সকলে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় 'সাথী সেবা ক্লিনিক' মালিকের ১লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ সাপাহারে সাথী সেবা ক্লিনিক এর মালিক মোঃ ইউনুস আলির ১ লাখ টাকা জরিমানা  করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

'সাথী সেবা ক্লিনিকের' ব্যবস্থা পত্রের উপরে ডাঃ মোঃ ইউনুস আলীর পরিচয় দেওয়া ব্যবস্থা পত্র এবং সেখানে ডাঃ আমিনুল ইসলামের সাক্ষর থাকলেও সেখানে সিল নেই এবং অপারেশন করার জন্য কোন সহকারী ডাক্তার নেই, আছে শুধু দু' জন নার্স। 

রোগীকে যে ডাক্তার অপারেশন করেছেন ওটি খাতায় সে ডাক্তারের সাক্ষর নেই, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের স্বাক্ষর নেই, অপারেশন থিয়েটারে ৯টি লাইটের মধ্যে ৩টি লাইট নষ্ট, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে একই হাতের লিখা কিন্তু স্বাক্ষর আলাদা আলাদা ডাক্তারের, ক্লিনিকে সার্বক্ষনিক ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকায় 

সোমবার বিকেল ৫টায় সাপাহার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন গোডাউনপাড়া মোড়ে 'সাথী সেবা ক্লিনিকে'  ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ক্লিনিক  মালিক মোঃ  ইউনুস আলীর ১লাখ টাকা জরিমানা  করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময়

সেখানে উপস্থিত ছিরেন, সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আরএমও ডাঃ আলমগীর কবির, সাপাহার থানার এস আই রবিউল ইসলাম। 


আরও খবর



নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নওগাঁয় পুকুরের পানি থেকে সাগর উড়াও নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের মৎস্য চাষি একটি পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর গ্রামে।

নিহত সাগর উড়াও মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর আদিবাসীপাড়া গ্রামের 

অনিল উড়াও এর ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টারদিকে চেরাগপুর মোড় থেকে পুকুরে মোটর সেট করে পানি সেচ দেওয়ার কথা বলে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যান চেরাগপুর ফকিরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী মন্ডল এর ছেলে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন (৩৮)। পরেদিন শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে চেরাগপুর গ্রামের মোড়ের পার্শ্বে অপর একটি পুকুরের পানিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পান স্থানিয়রা। মহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুকুর পাড়ে লোকজন ভীর জমান। খবর দেওয়া হয় থানা পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্র মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহায়তায় পুকুরের পানি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করার পর মৃতদেহটি সাগর উড়াও এর বলে সনাক্ত করেন স্বজনরা। ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানান ওসি। খবর পেয়ে মহাদেবপুর (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন পুলিশ।

স্থানিয়রা ও থানা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুঃ ৮ টারদিকে

মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন তার মাছ চাষের পুকুরের পানি বিদ্যুৎ চালিত মোটর দিয়ে সেচ দিবেন জানিয়ে গ্রামের মোড় থেকে সাগর উড়াও কে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরের দিন শুক্রবার মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন এর পুকুরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পদ্দপুকুর নামক অপর একটি পুকুর থেকে পিঠের নিচে কোমরের কাছে বিশাল ক্ষত অবস্থায় সাগর উড়াও এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশকে স্থানিয়রা অবগত করলে সাথে সাথে পুলিশ প্রথমে বেলাল হোসেন এর মাছ চাষকৃত পুকুরে গিয়ে পানি সেচ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানিয়দের উপস্থিতিতে বেলাল হোসেন এর বাড়ি থেকে পুকুরে পানি সেচ কাজে ব্যবহারীত কাঁদা-মাটি মাখা বিদ্যুতের তার উদ্ধার করেন। পুকুরের পানি সেচ দিতে  অবৈধ্যভাবে নিজ বাড়ি থেকে তার টেনে পুকুরে নিয়ে মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় সেখানে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে সাগর উড়াও এর মৃত্যু হয়েছে এবং সু-চতুর মৎস্য চাষি বেলাল হোসেন নিজেকে ঘটনার দায় থেকে রক্ষা করতে তার পুকুর পাড় থেকে মৃতদেহটি রাতের কোন এক সময় তুলে এনে পার্শ্বের অপর এক জনের পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার পর সে ও তার পরিবারের লোকজন গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন বলেই স্থানিয় লোকজন বলাবলি করছেন।

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। 


আরও খবর