Logo
শিরোনাম

মোবাইল ডেটার দাম নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিটিআরসির গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকার উদ্বোধন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নতুন এই নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

মন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ বিবেচনায় নতুন ডাটা প্যাকেজ ও মেয়াদসহ বিভিন্ন নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অতিরিক্ত মুনাফা থেকে অপারেটরদের বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পূর্বে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্ত্রিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০ টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। বর্তমানে ০৩ দিনের প্যাকেজের যে মেয়াদ সেটাই ০৭ দিনের মেয়াদ হবে বলেও জানান তিনি।

সভার শুরুতে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরিতে এবং প্রান্তিক জনগণের দৌড়গোড়াঁয় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বিটিআরসি। নতুন ডাটা প্যাকেজ নির্দেশিকার ফলে গ্রাহক ভোগান্ত্রি ছাড়াই তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডাটা প্যাকেজ বাছাই করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অপারেটরগণ নিজেদের স্বার্থেই ডাটার মূল্য কমিয়ে আনবে।

পরবর্তীতে কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ নতুন প্যাকেজ নির্দেশিকার আদ্যোপান্ত বিশদভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সভা, আলোচনা, মতামত গ্রহণ, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে গ্রাহকের সাথে সরাসরি মতবিনিময়সহ অনলাইন জরিপ পরিচালনা করেছে। উপস্থাপনায় তিনি নিম্নোক্ত বিষয় উল্লেখ করেন:

প্যাকেজ সংখ্যা ও মেয়াদ: একটি অপারেটরের নিয়মিত (regular package), বিশেষ প্যাকেজ (CCSP), রিসার্চ ও ডেভেলমেন্ট (R&D), সব ধরনের ব্র্যান্ড মিলিয়ে (ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান অনুযায়ী) প্যাকেজের সংখ্যা হবে ৪০টি, যা আগে ছিলো ৮৫টি। এছাড়া, সকল প্যাকেজের সময়সীমা হবে ০৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড, যা আগে ছিলো ৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন এবং ৩০ দিন।

আনলিমিটেড প্যাকেজের সংখ্যা ও ডাটা ভলিউম: প্রতিটি অপারেটর তিনটি ভিন্ন ভলিউমে আনলিমিডেট ডাটা প্যাকেজ অফার করতে পারবে আর তা হবে ২৫ জিবি, ৫০ জিবি এবং ৭৫ জিবি। অর্থাৎ উক্ত তিনটি ভলিউমের যেকোনো একটি আনলিমিটেড প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে পরবর্তীতে ভলিউম পরিবর্তন করা যাবে।

ফ্ল্যাক্সিবল প্ল্যান প্যাকেজ ডিজাইন: যে সকল গ্রাহক (MyGP, MyRobi, MyBL, My Teletalk) ব্যবহার করে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী টকটাইম, ডাটা ভলিউম,সোশ্যাল প্যাক, এসএমএস ইত্যাদি নির্বাচন করে নিজের প্যাকেজ নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। প্রদর্শিত মূল্য গ্রাহকের পছন্দ হলে নিজেই তার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্যাকেজটি গ্রহণ করতে পারবে এবং এটি একটি রেগুলার প্যাকেজ হিসেবে গণ্য হবে। বোনাসসহ অব্যবহৃত ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড ( অব্যবহৃত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হওয়া) : নতুন নির্দেশিকায় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। একই ভলিউমের ৭ বা ৩০ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক উক্ত প্যাকেজ আবার ক্রয় করলে ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে। ক্যারি ফরওয়ার্ড করা যাবে সর্বোচ্চ ৫০ জিবি ডাটা পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহককে অপারেটররা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ টি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে, যা পূর্বে ছিল ৪টি। সোশ্যাল প্যাকেজের ক্ষেত্রেও মেয়াদের মধ্যে একই প্যাক পুনরায় গ্রহণ করলে অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ড হবে এবং বোনাস হিসেবে প্রদান করা ডাটাও ক্যারি ফরওয়ার্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।

ডাটা শেষ হওয়ার পূর্বে গ্রাহককে অবহিতকরণ: একজন গ্রাহককে প্যাকেজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে নতুন প্যাকেজ অফার প্রদান করলে অফারটি অবশ্যই একই প্যাকেজ হতে হবে এবং অন্য দুটি প্যাকেজ তার ব্যবহারের প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ০১ (এক) দিন পূর্বে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে ডাটার মেয়াদ শেষ হওয়ার নোটিফিকেশন পাঠাতে হবে। অব্যবহৃত ডাটা ক্যারি ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলতি প্যাক পুনরায় ক্রয় করার নিদের্শনা উক্ত এসএমএস এ থাকবে।

৩ দিনের প্যাকেজে না রাখার কারণ: মোবাইল অপারেটর তিন দিনের প্যাকেজে যে পরিমাণ ডাটার অফার প্রদান করেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকগণ উক্ত সময়সীমার মধ্যে করতে ব্যর্থ হয় । এছাড়া, উক্ত প্যাকেজ সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবং সময়সীমা কম হওয়ায় গ্রাহকরা পুনরায় প্যাকেজ ক্রয় করলে ডাটা ক্যারি ফর্ওয়ার্ড নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। বিটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত অনলাইনে জরিপে দেখা যায়, ৫৪.৬% গ্রাহক ০৩ দিনের প্যাকেজ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়।

অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফল: বিটিআরসি কর্তৃক অনলাইনে প্যাকেজ ও ডাটার উপরে গ্রাহকদের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬১% গ্রাহক মনে করে প্যাকেজের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৪০-৫০ টি হওয়া উচিত এবং ৫৪% গ্রাহক ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদ রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, অপারেটরগুলো সবসময় গ্রাহকবান্ধব এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে বিটিআরসির সাথে আলোচনার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিআরসির নতুন নির্দেশিকায় অপারেটর ও গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া হয়েছে এবং টেলিপ্ল্যানগুলোতে গ্রাহকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টি প্যাকেজের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ এর মধ্যে রাখার বিষয়ে কাজ শুরু করেছে টেলিটক ।

রবির চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, রবি সবসময় গ্রাহককের গুণগত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ভূত প্রতিটি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রাহকদের সাথে নিয়ে অপারেটরগুলো কাজ করবে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিটিআরসির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

অ্যামটবের সভাপতি এবং বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলালিংক গ্রাহক সন্তুষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, টেলিযোগাযোগ আইনে কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছে বিটিআরসি। এর আগে এক দেশ এক রেট বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক সুফল ভোগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল ডাটার ফ্লোর প্রাইস ও সিলিং প্রাইস আপাতত নির্ধারণ করা না হলেও ভবিষ্যতে সময়ের চাহিদানুযায়ী সেটা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। অপারেটর ও গ্রাহক উভয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের   উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে র‌্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নিরবতা পালন,কালো ব্যাচ ধারণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড.মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দের নেতৃত্বে একটি শোক র‌্যালি নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার,ইকিউএসি এর ডিরেক্টর, হল প্রভোস্ট,ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক ,বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, সাংবাদিক সমিতি, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।


শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কমনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে  মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বছরব্যাপী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনীরা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় এর মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর সবথেকে বেশি বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়েছিল । পরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এই দিনকে "শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস" ঘোষণা করেন।


আরও খবর



শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে,যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে সেই তালিকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ বলেন, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্কবিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শুল্ক-কর হারে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় আয়কর অব্যাহতির বিধান বাতিল ও সংশোধনের কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায়, সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।

এনবিআর জানায়, গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয় বিধায় রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ব্যতিত অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা না গেলে বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে।

ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার ও পরিমাণ যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। মূল্য সংযোজন করের পাশাপাশি আয়করের ক্ষেত্রেও করের আওতা বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাড়তি রাজস্ব আদায়ে সিগারেট, মদ, পোশাকের শো-রুম, অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক রুটের বিমান টিকিট, হোটেল, রেস্তোঁরা ও ড্রিংসসহ অন্তত ৪৩ পণ্যের ওপর শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যার মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসবে বলে জানা গেছে। মূলত আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) শর্ত পরিপালনে কিছু কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো এবং যৌক্তিকীকরণ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে উপদেষ্টাদের সভায় এনবিআরের দেওয়া প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে, যা অনুমোদন হয়েছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার কোটি টাকার সম্পদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়ানো দাবানল তিন দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টো বাতাসে তা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়েছে। ভয়াবহ এই দাবানলে শত শত ঘরবাড়ি ও স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাণ গেছে অন্তত পাঁচজনের। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভয়াবহ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, প্রতিবেশী কাউন্টিগুলো থেকেও আনা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ও কর্মীবাহিনী। কিন্তু তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুনে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পদ পুড়ে গেছে।

হলিউড ও হলিউড হিলস এলাকায় দাবানলে বাধ্যতামূলকভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। টিসিএল চাইনিজ থিয়েটার এবং হলিউড ওয়াক অব ফেমের মতো বিখ্যাত স্থানগুলো এ আগুনের কবলে পড়েছে।

তীব্র বাতাসের কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভেনচুরা কাউন্টিতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রেড ফ্ল্যাগ সতর্কতা জারি করেছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে।

অভিজাত প্যাসিফিক পালিসেডস এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান জানিসে কুইনোনেস বলেন, শহুরে পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে দাবানল মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

লস অ্যাঞ্জেলসের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলা হচ্ছে একে। দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েক হাজার একর জমি। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে পৌনে ২ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে। বাড়ি-ঘর হারিয়ে আর্তনাদ করছেন লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দারা।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধারে আগামী ১৮০ দিনের কর্মযজ্ঞের সব খরচ সরকার বহন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিনোদন জগতের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লস অ্যাঞ্জেলেসে এ দাবানলের সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ছয়টি আলাদা দাবানল সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ডগতিতে বয়ে চলা ঝড় আরও বিপদ বাড়িয়েছে। ঝড়ো বাতাসে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহুমূল্যের ঘর ও গাড়ি। এরই মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলারের সম্পদের।

আলাদা ছয়টি দাবানলের মধ্যে তিনটি নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। প্রাণে বাঁচতে লস অ্যাঞ্জেলেসের পৌনে দুই লাখেরও বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।

দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকাগুলোর মধ্যে আগুনের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ দেখা গেছে অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেইডসে। সেখানে ১৫ হাজার ৮৩২ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। এই এলাকার একটি বাড়িতে ১৯৭৯ সাল থেকে বসবাস করে আসছেন হলিউডের তারকা অভিনেতা বিলি ক্রিস্টাল। আগুনে সেটিও পুড়ে গেছে। আগুন ছড়িয়েছে হলিউড হিলসেও।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আগুনে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বিনোদনজগতের আরও অনেকে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। যেমন টেলিভিশনে নিজের বাড়ি আগুনে পুড়তে দেখেছেন অভিনেত্রী প্যারিস হিলটন। ভয়াবহ এই দাবানলকে ‘সানসেট ফায়ার’ নামে ডাকা হচ্ছে।


আরও খবর



শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের এক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্টিত হয় সংগঠনটির নিজস্ব কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। উক্ত সম্মেলনে সর্ব সম্মতিক্রমে মোঃ রেজাউল কবির দিপুকে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক সেলিম লালু, সধারণ সম্পাদক নুরুল আল-আমিন (সম্রাট), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাঈদুল ইসলাম,সহ মহিলা সম্পাদক রোকসানা মনোয়ার এবং মোঃ জাহিদুল ইসলাম (রাজু) দস্তুর সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কেন্দ্রীয় পূর্ণনাঙ্গ কমিটিগঠন করা হয় প্রযোজনে এই কমিটির আকার আরো বৃদ্ধি করা যাবে। এই কমিটি ছাড়া কোন জেলা/মহানগর/পৌরসভা/উপজেলা অন্য কেউ কমিটি দিলে তাহা অবৈধ বলিয়া ঘোষণা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। এই নতুন কমিটির মাধ্যমে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ পরিচালিত হবে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংগঠনটির নামে অবৈধ ভাবে পদ ব্যবহার করলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে। এই সংগঠনকে আরো গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ নব কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আহিদুল ইসলাম (রাজু) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান হয়।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টাইগারদের সিরিজ জয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না টাইগারদের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যারিবিয়ান মাটিতে পা রেখেছিল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে। সেখানে দুই টেস্টের সিরিজ ড্রয়ের পর আবার ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু মধুর প্রতিশোধের উপলক্ষ্য হয়ে এলো টি-২০ সিরিজ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে লিটন দাসের দল। ক্যারিবিয়ানদের তাদেরই মাটিতে আজ ২৭ রানে হারিয়ে অর্ধযুগের এক আক্ষেপও মিটিয়েছেন লিটন-সোম্য-মিরাজরা। সেইন্ট ভিনসেন্টের অ্যারন্স ভ্যালেতে লো স্কোরিং ম্যাচটি জেতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় হলো টাইগারদের।

১৩০ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিজের করা প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং।

এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। টাইগার এই স্পিডস্টারের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাসকিনের তোপে দলীয় ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর জনসনকে চার্লসকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান। এরপর তিনি ফিরিয়েছেন নিকোলাস পুরাণকেও।

উইকেট নেয়ার উৎসবে যোগ দেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবও। এ দুজনও একটি করে উইকেট নিলে ৯ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিকে ৬ উইকেট হারানোর পর আকিল হোসেইনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন রোস্টন চেজ।

সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভেঙেছেন রিশাদ হোসেন। ১৭তম ওভারে রিশাদের করা দ্বিতীয় বলেই বিশাল এক ছক্কা হাকিয়েছিলেন চেজ। তবে সেই ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে ৩৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি। চেজ ফিরলে ভাঙে আকিলের সঙ্গে তার ৪৭ রানের জুটি।

একই ওভারে গুদাকেশ মোতিকেও আউট করেন রশাদ। এরপর আলজারি জোসেফকে সাকিব এবং আকিলকে তাসকিন সাজঘরের পথ দেখালে ২৮ রানের দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ৬ বছরে এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।


আরও খবর