Logo
শিরোনাম

নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

  

তরুণদের বলবো, যত বড় বড় মানুষ হোকনা কেন, তুমি তাদের কথাকে নির্বোধের মতো বিশ্বাস করোনা | কাউকে ১০০% বিশ্বাস করতে গিয়ে তোমাকে যাতে সারাজীবন কাঁদতে না হয়, ঝড়ের ভিতরে পড়তে না হয় | বড় বড় মানুষ হলেই বড় বড় সত্যের উম্মেষ ঘটবে এমনটা নয় | মানুষ বড় হলে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন তার মিষ্টি কথায় কে পুড়ে মরলো, কে বেঁচে উঠলো সেটি কখনো সে চিন্তাও করেনা | কারণ এমন মানুষ সব সময় নিজেকে সামনের দিকেই টানতে থাকে, পিছনের ফেলে আসা সময় আর মানুষ তখন তাদের কাছে মূল্যহীন হয়ে যায় |

মানুষ বড় হয়ে উঠলে তার অভিনয়টাও বেড়ে যায়, লোভের নেশায় ক্রমাগত আক্রান্ত হয় | এই মানুষেরাই তাদের নিচে পড়ে থাকা মানুষদের নিয়ে খেলতে ভালোবাসে অথচ তাদের উপরের মানুষদের মিথ্যে আনুগত্য ও পরম বিশ্বাস দেখিয়ে আরও বড় থেকে বড় হবার পথ খুঁজে | পুরো জীবনটাই তাদের এমন অভিনয়ে কেটে যায় | হয়তো অভিনয়ে নিজেকে নায়ক-মহানায়ক হিসেবে প্রমান করতে গিয়ে সবাইকে জোকার হিসেবে দেখার মজা থাকে কিন্তু সুখ থাকেনা | যেখানে সুখ থাকেনা, সেখানে সত্য থাকেনা |

সবাই পৃথিবীতে বড় হবার স্বপ্ন দেখে, প্রতিযোগিতায় নামে | সে নগ্ন প্রতিযোগিতায় সত্যের চেয়ে মিথ্যের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে | খুব কম মানুষই আছে, যারা স্বপ্ন হয়তো দেখে কিন্তু সত্যকে বিসর্জন দিয়ে স্বপ্ন সফল হোক এটা তারা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারেনা | তারা সারাজীবন পিছনে পড়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সুখ থাকে, বিশ্বাস দিয়ে বিশ্বাসকে প্রমান করার মতো সাহস থাকে |

তরুণদের বলবো, অন্ধ ভালোবাসায় গা ভাসিওনা, অন্যের বিশ্বাসের স্রোতে ভেসে গিয়ে নিজের বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলনা | তুমি নিজে যাচাই করতে শেখো, সেটা একদিন, দুইদিনে নয়, আরও অনেকটা সময় নাও, তারপর যেদিন তোমার মন সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটন করতে পারবে সেদিনই তুমি বিশ্বাস করতে শেখো | তাহলে তুমি কখনো ঠকবেনা | বিশ্বাস একটা আয়নার মতো, সেটা ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগানো যায়না |

তুমি তোমার বিশ্বাসের পরীক্ষা নাও, সেখানে খাতা, কলম নিয়ে বসো, তারপর মা-বাবার বয়সের ভারে নুয়ে পড়া চোখের চশমাটা তার উপর রাখো | সে চশমাটা তোমাকে বুঝিয়ে দিবে তোমার বিশ্বাস আর ভালোবাসাকে জয় করতে গিয়ে তোমার মা-বাবাকে চোখে চশমা পড়তে হয়েছে | সবার চশমায় বিশ্বাসকে দেখা যায়না, কারণ সবাই চশমার দোষ দিয়ে নিজের চোখের মিথ্যা বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে | বিশ্বাস বিশ্বাসঘাতক হলে সে বিশ্বাসের উপর যত বড় মানুষই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন তার পায়ের নিচে যে মাটি নেই সেটা হয়তো তার পক্ষে যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষন বুঝে উঠাটা খুব কঠিন |

তরুণদের তাই আবারও বলবো, তুমি তোমার বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাও, মুখ থুবড়ে মাটিতে বার বার পড়ে গেলেও একসময় তোমার বিশ্বাসেরই জয় হবে | ভাড়া করা বিশ্বাস অনেক সময় ভঙ্গুর হয়


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




আ.লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না তা ঠিক করবে জনগণ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ বিএনপি দিচ্ছে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কে রাজনীতি করবে আর কে করবে না সেটা ঠিক করবে জনগণ। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কাউকে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু বিগত সময়ে গণহত্যা চালানো শেখ হাসিনাসহ সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরের ইস্কান্দার মজুমদার বাড়ি প্রাঙ্গণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিচ্ছে বলে কিছু গণমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি। গণমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে আসেনি। আমরা বলেছি আওয়ামী রাজনৈতিক দল, নির্বাচন করবে কি করবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন কারা রাজনীতি করবে কারা করবে না। আমরা সেখানে কিছু না।

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ঐক্য যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের দস্যুরা পালিয়েছে। দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, নতুন সরকার জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করে একটা নির্বাচন দেবেন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। নতুন সরকার কাজ শুরু করেছে রাতারাতি সব সম্ভব না। আমরা বলেছি নির্বাচনটা তাড়াতাড়ি করলে ভালো হয়।

বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জেলে থাকার কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন।

মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তাকে ছোট স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে থাকতে হতো। যার কারণে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন। ছয় বছর জেলে থাকলেও কখনো মাথা নত করেননি খালেদা জিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, চট্টগ্রাম বিভাগের সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব। ফেনী-১ আসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ রবিনসহ অনেক জাতীয় নেতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দশ দিনের সফরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন এবং এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেরেছেন প্রাথমিক আলাপ। সাক্ষাৎকালে ফখরুল দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অর্ন্তর্বতী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ের কৌশল নির্ধারণ করা, বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা, দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এসব ইস্যু নিয়েই মির্জা ফখরুল লন্ডনে গেছেন।

এদিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চান বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।

তাদের ভাষ্য, দেশের জনগণের কাছে মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের, ঠিক তেমনি মানুষকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের।

তারা আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে যে-ই সরকার গঠন করুক না কেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করাটাই বিএনপির টার্গেট।

এ বিষয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষে নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। তারাও এ বিষয়ে সম্মত। বলেছে সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে। এখন আমরা দেখব তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তবে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামতে পারি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয়ভাবে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এখন দুই নেতার বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি মনে করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক ধরনের কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, তখন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে লন্ডনে গেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর



‘যুদ্ধ শেষ হয়নি’, আবারও লাল ফেসবুক ওয়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তবে এখনো সেই স্বৈরাচারের সহযোগীদের নানা উপায়ে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরা। এমনকি প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা আবার নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল রঙের করেছেন।

গত রবিবার (১০ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নতুন করে আরও তিনজনকে উপদেষ্টা করা হয়, যাদের মধ্যে রয়েছেন আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপরই পূর্ববর্তী সময়ে তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনার পর সর্বপ্রথম আবারও ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার আহ্বান জানান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘জুলাই শেষ হয় নাই। আসেন আমরা আমাদের প্রোফাইল ফটো আবারো লাল করে রাখি।’ আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আজকে ১৩৬ জুলাই’।

এরপরই শুরু হয় প্রোফাইল লাল করার হিড়িক। এরপর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টা ৫২ মিনিটে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে তিনি ক্যাপশনে লিখেন, ‌‘সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪ শে জুলাই, ২০২৪।’

এর আগে আরেকটি পোস্টে হাসনাত লিখেন ‌‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে ওঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’

আরিফুল ইসলাম নামক এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘সবার ভেতরে থাকা লাল, আবার টগবগ করুক। চিরচেনা সেই উষ্ণতা, আবার ফিরে আসুক। হাজার হাজার প্রোফাইল লাল হওয়ার পরও যদি উপদেষ্টা পরিষদের টনক না নড়ে, তাহলে রাজপথ লাল হতে দেরি নাই।’

প্রতিবাদস্বরূপ ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। সেইসঙ্গে উপদেষ্টা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ১১টি প্রশ্নের উত্তরও চেয়েছেন তিনি। সেগুলো হলো— উপদেষ্টাদের কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় এবং কারা নির্বাচিত করেন? উপদেষ্টারা কি কোন বিশেষ ব্যক্তির নিয়োগ সুপারিশ করতে পারেন, কিসের ভিত্তিতে সুপারিশ করা হয়? ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তিনজন সমন্বয়ক ছাত্রকে কোন যোগ্যতায় উপদেষ্টা নির্বাচিত করা হয়েছে? এই আন্দোলনে জনতার পক্ষের যারা স্টেক হোল্ডার তাদের একজনও কেন উপদেষ্টা মণ্ডলীতে নেই?

আলোচিত এই সাংবাদিক প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু সরকারে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই কেন? উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রিকশাচালক এই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই কেন? আওয়ামী লীগের পদলেহনকারী সেনা কর্মকতারা এখনো কীভাবে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন, তাদের কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না? ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান কি? গ্রামীণ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের কিসের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? আলী ইমাম মজুমদারের মতো একটা আওয়ামী ভৃত্য কেন সরকারের অংশ? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদকে কার পরামর্শে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং কেন?

এর আগে আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে ‘তাওহিদি ছাত্র জনতা’-এর ব্যানারে আয়োজিত এক সভা পণ্ড হয়ে গেছে। সোমবার এই সভা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– শিবলী নোমান, ওসামা, মবিন ও তওকীর।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেছিলেন হাসনাতসহ অন্য সমন্বয়করা।


আরও খবর



নওগাঁতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরের জেলা নওগাঁয় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এটি চলতি বছরে এ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার ৭ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাস বইছে উত্তরের এই জনপদ নওগাঁতে। এতে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, উত্তরের এ জনপদ কৃষির উপর নির্ভরশীল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নওগাঁর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ফলে কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। নওগাঁ বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ কমে আসার সাথে সাথেই রাতে ঘনকুয়াশা থাকছে। শনিবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরো বলেন, এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে।


আরও খবর



স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):

এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে। 😜😂


২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):

এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত। 🙄🙄


৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

🙀🙀

৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):

এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

😼😼

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।🙏🙏🙏


৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):

এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।🙄🙄🙄😭


৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):

এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না। 😜😜😜


৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):

এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে। 🙄🙄🙄


৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):

এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।🤭🤭🤭


১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

🙄🙄🙄

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband): 

এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।🙀🙀🙀


১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):

এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪