Logo
শিরোনাম

নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য সহনীয় রাখতে বড় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য মূল্য সহনীয় রাখতে বড় ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বলা হয়েছে, কোনো প্রকার অর্থ বিনিয়োগ না করেই শতভাগ ব্যাংক ঋণে পণ্য আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তবে তা করতে হবে ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। একই সাথে আমদানি ঋণপত্রের কমিশনও যথাসম্ভব ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য এ ছাড় দেয়া হয়েছে আগামী ১০ মে পর্যন্ত। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় দেয়া ক্ষমতা বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের এ বড় ছাড়ের সুফল গ্রাহকের ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে ।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কোনো ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি করার জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি ঋণপত্র স্থাপন (এলসি খোলা) করে থাকে। এ জন্য গ্রাহক আমদানি মূল্যের একটি অংশ পরিশোধ করতে হয়। বাকি অর্থ ব্যাংক ঋণ দিত। কখনো আবার রাষ্ট্রের বিশেষ প্রয়োজনে শতভাগ ঋণে পণ্য আমদানি থাকে। চুক্তি অনুযায়ী পণ্য দেশে এলে ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পণ্য বাজারে বিক্রি করে থাকে। ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক অনুযায়ী কখনো পণ্য ব্যাংকের গোডাউনে রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক ব্যাংকের অর্থ পরিশোধের ভিত্তিতে পণ্য ছাড় করে থাকেন। কখনো বা বিশ্বাসের ঋণের (এলটিআর) ভিত্তিতে পণ্য দেশে আসার পর সরাসরি বাজারে বিক্রি করে ব্যাংকের অর্থ পরিশোধ করে থাকেন।

পণ্য আমদানির জন্য ব্যাংক এলসি খোলার বিপরীতে গ্রাহকের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন নিয়ে থাকে। এ বিষয়ে একটি ব্যাংকের তহবিল ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সাধারণত কোনো গ্রাহক শতভাগ অর্থ পরিশোধ করে ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুললে তার জন্য ১০০ টাকায় ন্যূনতম ২৫ পয়সা কমিশন আদায় করে থাকে। আর কোনো গ্রাহক মার্জিনে অর্থাৎ আমদানি মূল্যের আংশিক পরিশোধ করলে তার বিপরীতে প্রতি ১০০ টাকায় সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা পর্যন্ত কমিশন আদায় করা হয়ে থাকে। ব্যাংকের প্রতি বছর আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য আসে এই এলসি কমিশন থেকে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রমজানকে সামনে রেখে দেশে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর বিপরীতে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক কারণ উভয়ই রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের দাম।

এ কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য আমদানি ব্যয় তাই কমাতে এলসি মার্জিন শূন্য করা হয়েছে। সেই সাথে কমানো হয়েছে এলসি কমিশনও।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পবিত্র রমরজান মাস ও ঈদুল ফিতর আসন্ন। অপর দিকে কোভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী পরিস্থিতিসহ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিভিন্ন কারণে বাজারে আমদানিনির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এমনি পরিস্থিতিতে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে কিছু পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। পণ্যগুলো হলো ভোজ্যতেল, ছোলা, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, খেজুর, ফলমূল ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আলোচ্য ভোগ্যপণ্য আমদানিতে আমদানি ঋণপত্র ব্যাংকগ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে আমদানির ঋণপত্র স্থাপন বা এলসি খোলা যাবে।

একই সাথে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের কমিশন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে যথাসম্ভব ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে। এ নির্দেশনা আগামী ১০ মে পর্যন্ত কার্যকর রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের জন্য এ বড় ছাড় গ্রাহকদের ঘরে পৌঁছবে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বাজার তদারকি জোরদার করতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ীদের বড় ছাড়ের সুফল ব্যবসায়ীদের পকেটেই যাবে, গ্রাহকের ঘরে পৌঁছবে না।






আরও খবর



দশম বর্ষে পদার্পণ: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাফল্যের নয়টি বছর শেষ করে এক দশকে পদার্পণ করলো জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথম সংগঠন জাককানইবি সাংবাদিক সমিতি(জাককানইবিসাস)। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ মে ) সকাল ১১ টাই বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়  বিভিন্ন আয়োজন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর। আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ। 


প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন সাংবাদিক সমিতি নয় বর্ষ শেষ করে দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালে কিছু তরুণ মেধাবীর হাতে গড়ে উঠেছিলো। সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে সংগঠনটি আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। ঐক্য, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা স্লোগানকে বুকে ধারণ করে নিরলসভাবে সকলের স্বার্থে  কাজ করে চলেছে সাংবাদিক সমিতি।"


উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১২ মে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের হাত ধরে কার্যক্রম শুরু করে এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। গত ১২ মে এক দশম বর্ষে  পদার্পণ করেছে এই সংগঠনটি। নানা জটিলতার কারণে ১২ মে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা সম্ভব না হওয়াই ১৩ মে (সোমবার) বৃক্ষ রোপণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিভিন্ন যোক্তিক আন্দোলনে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এক দশক পদার্পণ করা এই সংগঠনটির আগামী পথচলা শুভ হউক এই কামনা করি।


আরও খবর



ট্রেন দুর্ঘটনায় ইমেজ সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ট্রেন দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভুল সিগন্যালে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং এর জেরে টানা কয়েক দিন ধরে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে রীতিমতো ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নিরাপদ বাহন হিসেবে রেলের সুনাম মুছতে শুরু করেছে। হারানো এই ইমেজ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সাম্প্রতিক ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরে রেলভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রেলসচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বারবার ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যেন ভীতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন রেলমন্ত্রী। ট্রেন চলে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিস্টেমের (সিআইবিএস) ভিত্তিতে। কিন্তু অনেক স্টেশন এখনো চলছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব স্টেশনকে দ্রুতই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আনার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

সূত্র আরও জানায়, নির্মাণকাজ চলাকালে অনেক স্থানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। এমন স্থানেই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার খবর এসেছে। পয়েন্টসম্যান ও স্টেশনমাস্টারের ভুলে এমনটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব স্থানে দ্রুত তদারকি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন রেলমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী জানান, বৈঠক হয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে। সেখানে নিরাপদ বাহন হিসাবে ট্রেনের ইমেজ ধরে রাখতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, প্রচলিত আইনকানুন অনুসারে ট্রেন পরিচালনার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয় গতকালের বৈঠকে। টিএলআর তথা অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের দায়বদ্ধতা কম। অনেক ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে অপারেশনাল কাজ চালাতে হয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি যেমন রয়েছে, তেমনি অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্র্মচারীও বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কর্মরত। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোয় জোর দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে এমন নির্মাণাধীন রেলপথে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কক্সবাজার ও জয়দেবপুরে সিগন্যালের ভুলে ট্রেন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসে রেল। এর পর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনে মৈত্রী ও ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনার যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতেও ছিল প্রায় একই রকম ভুল। রেলকর্মীদের এমন ভুলের খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনায় হতাহত এবং ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় রেল থেকে যাত্রীরা যেন মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, নন-ইন্টারলকিং বা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ট্রেন চালনায় চলে পেপার লাইন ক্লিয়ার বা পিএলসি। একটি চলন্ত ট্রেন সামনের স্টেশন অতিক্রম করবে কিনা, অথবা ট্রেনটিকে ক্রসিংয়ের জন্য কোথায় থামতে হবে, অথবা ট্রেনটির অনির্ধারিত স্টপেজ কোন স্টেশনে দেওয়া হয়েছে- এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা একটি কাগজে লেখেন স্টেশনমাস্টার। এরপর ওই কাগজটি নিয়ে স্টেশনের রেললাইনের পাশে উঁচু করে ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন স্টেশনমাস্টার। চলন্ত ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় ইঞ্জিনে থাকা লোকোমাস্টার নেন সেটি। সেখান থেকে সামনের স্টেশন সম্পর্কে ধারণা মেলে। আর পয়েন্ট তৈরির কাজটি করেন পয়েন্টসম্যান। তাদের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এখানে বড় সমস্যা জনবল সংকট। ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত দীর্ঘদিন জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। সহকারী স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যানসহ অপারেশনাল কাজে নিয়োজিতরা প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারেননি। দক্ষতা অর্জনের অভাবে ভুল করছেন কর্মক্ষেত্রে। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে- অনেকে অবসরে চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করছেন। তাদের জবাবদিহিতা ওই অর্থে রেলের কাছে নেই। পুরনো সংকেত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে দক্ষ নয়, নতুন নিয়োগ পাওয়া জনবল। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারের সরবরাহ করা পয়েন্টসম্যান রেলের বিশেষায়িত কাজ জানে না। এসব কারণে ভুল হচ্ছে।

দেশে মোট যাত্রীর ৮ শতাংশ রেলের। অথচ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে মোট পণ্য পরিবহনে রেলের অবদান ২৮ থেকে নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেলওয়ের আয় ছিল ৫৬১ কোটি টাকা। যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করে এই আয় করেছে রেল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ১৭৮৩ কোটি টাকা। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালন ব্যয়ও বেড়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করে তৈরি করা রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সময়মতো ট্রেন চালনা রেলের অন্যতম কাজ। এ কাজে গুরুত্ব কম। বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন আসা-যাওয়ায় বিলম্বের ঘটনা বেড়েছে। যাত্রাবিলম্ব ঘটে নানা কারণে। ইঞ্জিন ফেইলিওর, রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি, কোচের ত্রুটি, চালকের দুর্বলতাসহ নানা কারণ রেলসেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।


আরও খবর



কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

প্রায় এক মাস আগে সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২৩ নাবিকসহ কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায় জাহাজটি। এর আগে, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় জাহাজটি নোঙর করবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

দুই মাস আগে সোমালিয়া উপকূলে দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করা হয়। তারপর পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য নিয়ে জাহাজটি রওনা হয় বাংলাদেশের পথে। দীর্ঘ দুই মাস পর অবশেষে জাহাজটির নাবিক ও তাদের স্বজনদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর নাবিকরা কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম ফিরবেন। এরইমধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ঐ জাহাজ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।

জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিক হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়েলার হক আইনুল, শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে।

এছাড়াও আরো আছেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ, খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল, ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির, নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম, নেত্রকোনার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন, নাটোরের অর্ডিনারি সীম্যান মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে বুধবার (১৫ মে) এমভি আবদুল্লাহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।

এর আগে, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ দুপুরে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩ টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে, একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

 


আরও খবর



তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সালাউদ্দিন নওগাঁ জেলার পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড় বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিন কে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামী সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর