Logo
শিরোনাম

নওগাঁর মুনসুর হত্যা রহস্য উদঘাটন-স্ত্রী'র প্রেমিকের পরিকল্পনায় হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার:


নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোয়াল মান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী মনসুর রহমান হত্যা রহস্য উদর্ঘাটন। প্রথম স্ত্রী'র পরক্রিয়া প্রেমিক দুই জাহাঙ্গীর এর পরিকল্পনায় মনসুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী'র পরক্রিয়া দুই প্রেমিকের এক জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গ্রেফতার এক জনের নাম হলো জাহাঙ্গীর আলম (২৯)। সে হত্যা ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।

গত বুধবার রাতে সাভার থানার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

নিহত মনসুর রহমান এর প্রথম স্ত্রী হাসিনা একাধিক পরক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। সে জাহাঙ্গীর নামেই স্থানীয় দুই যুবকের সঙ্গে প্রেমে ''সম্পর্কে'' জড়ায়। তার এই পরক্রিয়া প্রেমের সম্পর্কে বাধা দিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দু' জাহাঙ্গীর ''প্রেমিক'' মনসুরকে হত্যা করেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, নওগাঁর মান্দা উপজেলার গোয়ালমান্দা গ্রামের বাসিন্দা নিহত মনসুর রহমান ও গ্রেফতারকৃক আসামী জাহাঙ্গীর আলম পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। নিহত মনসুর বিভিন্ন দোকানে চানাচুর বিক্রি করতেন। নিহত মুনসুর দুটি বিয়ে করেন এবং স্ত্রীদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রী হাসিনা ও দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা। হাসিনা বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে পরক্রিয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো। প্রথমে হাসিনা সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়ায়। এরপর মোজাহার এর ছেলে জাহাঙ্গীর এর সঙ্গেও পরক্রিয়া প্রেমের সম্পর্ক জড়ায়। 

গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী মনসুর রহমান এর নিজ বাড়িতে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর সহ আরও কয়েকজন বন্ধু হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বন্ধুদের পাশের ঘরে বসিয়ে হাসিনা ও জাহাঙ্গীর মনসুরের ঘড়ে ঢুকে সম্পর্কে জড়ান। এ সময় মুনসুর এসে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এই ঘটনায় জাহাঙ্গীর সাথে কাটাকাটি শুরু হয় মনসুর এর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর এর বন্ধুরা মনসুর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিবাদ মীমাংসার কথা বলে মনসুরকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সময় মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা জাহাঙ্গীর এবং মনসুরকে বাড়ি থেকে বাগানের দিকে যেতে দাখেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরও জানান, হাসিনা ও জাহাঙ্গীর এর আপত্তিকর অবস্থাটি দেখে ফেলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত। এঘটনার পেছনের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল নিহতের স্ত্রী হাসিনার প্রেমিক ও একই এলাকার মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর। এক জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সাহেব আলীর ছেলে ও হাসিনা'র প্রেমিক অপর জাহাঙ্গীর। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ২/৩ দিন আগে থেকেই মনসুরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও করেন। মনসুরকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও মূল পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আগে থেকেই বাগানে অপেক্ষা করছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী মনসুরকে বাগানে নিয়ে যাওয়ার পর মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে সবাই মিলে প্রথমে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহত মনসুর কে হত্যা নিশ্চিত করতে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর তার মাফলার দিয়ে মনসুরের গলায় পেঁচিয়ে গাছের ডালের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। 

ঘটনার পরদিন সকালে মৃত মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রী মেঘনা স্বামীকে খোঁজা খুঁজির এক পর্যায়ে বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মৃতদেহ দেখতে পান। স্বামীকে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বের হতে দেখেছিলো মেঘনা। তাই এই জাহাঙ্গীরকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে গত ১৭ নভেম্বর নিহতের বাবা বদের আলী ওরফে বুদু কবিরাজ বাদী হয়ে সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা একটি মামলা দায়ের করেন।তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও মোজাহারের ছেলে জাহাঙ্গীর আড়ালেই থেকে যান। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অত্যন্ত সু-কৌশলে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় এসে আত্মগোপন করেন এবং একটি গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করেন। তবে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গভীর তদন্তে সামনে আসে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান র‍্যাবের কর্মকর্তা। 


আরও খবর



হজবিধি ভাঙলেই কঠিন শাস্তি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, ২-২০ জুন অনুমোদন ছাড়া কেউ যদি হজের বিধি এবং নির্দেশনা লঙ্ঘন করে, তবে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সময়ে সৌদি আরবের নাগরিক, অধিবাসী ও পর্যটকেরা যদি অনুমোদন ছাড়া মক্কা, গ্র্যান্ড মসজিদের আশপাশে, হজের স্থানগুলোতে, আল-রুসাফা হারামাইন স্টেশন, সিকিউরিটি কন্ট্রোল সেন্টার, বাছাই কেন্দ্র, সাময়িক নিরাপত্তা কেন্দ্রে নিয়ম ভাঙলে তার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২,৬৬৬ ডলার) জরিমানা হবে।

সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, কোনো বিদেশী নাগরিক আইন ভঙ্গ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে এবং তাকে আর কখনো সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লঙ্ঘনকারীকে প্রতিবার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল করে জরিমানা করা হবে। হাজযাত্রীরা যাতে সহজে, নিরাপত্তায় ও সুরক্ষায় হজের নিয়ম-কানুন পালন করতে পারে, তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, কেউ যদি লঙ্ঘনকারীকে পরিবহন করার সময় ধরা পড়ে, তবে তাকে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।

এছাড়া ওই গাড়িটি জব্দ করা হবে, লঙ্ঘনকারী যদি প্রবাসী হয়, তবে সাজা ভোগের পর তাকে তার দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর যত লোককে অবৈধভাবে পরিবহন করা হচ্ছিল, তার আলোকে জরিমানা বাড়ানো হবে।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা। গত বুধবার পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। শেষ সময়ে কোনো চাল আমদানি করেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। এতে বরাদ্দ করা চাল আমদানি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২ বছরে মাত্র ২৮০ টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

চাল রপ্তানিতে ভারত সরকারের শুল্ক করারোপ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকটের কারণে অনুমতি থাকলেও এতদিন চাল আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের ২১ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল দুই ধাপে দেশের ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় ছিল ১৫ মে।

বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর দেশের চালের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। গত বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে চাল আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত ১৩ মার্চ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল রয়েছে ৪৯ হাজার ও আতপ চাল ৩৪ হাজার টন। পরবর্তী সময়ে ১৬ এপ্রিল আরো ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার ও আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। সরকার আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় আমদানির সময়সীমা। সময় শেষ হওয়ায় ও শুল্ক বৃদ্ধি বহাল থাকায় বরাদ্দ করা অবশিষ্ট চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।

সাধারণ ক্রেতা আবদুর রহিম জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে চাল আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে শুনতে পারছি। বেনাপোল বাজারের চাল বিক্রেতা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৬ টাকা, মোটা চাল ৫০, কাজল লতা ৫৫ ও বাসমতি চাল ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি হলে আর নতুন ধানের চাল কৃষকের ঘরে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করছি।

চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের নিপুণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী লিপু হোসেন জানান, এবার তারা সরকারের কাছ থেকে ৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তবে চালের ওপর ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যেই আমদানির সময় শেষ হয়েছে। এতে তার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।

চাল আমদানিকারক হাজি মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আবদুস সামাদ জানান, চাল আমদানিতে ভারতে ২৫ ও বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করে তেমন লাভ নেই। নতুন করে যদি সরকার আমদানির সময়সীমা বাড়ায়, তবে তারা আমদানির সুযোগ পাবেন। বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নতুন করে চাল আমদানির অনুমতি পেলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর



গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির দাম আরও বেড়েছে। প্রচ- গরমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে। অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গরমের প্রভাব পড়েছে সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে সব সময় ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল।এ ছাড়া বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মাহমুদ খান বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচ- গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

 

শনির আখরা বাসিন্দা ইমরান বলেন, যেভাবে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে কেনাই মুশকিল। সাধারণ মানুষ মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েই চলছে। অথচ এক-দেড় বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। সাধারণ ক্রেতার কথা ভেবে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। এত দাম দিয়ে সাধারণ নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।


আরও খবর



র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সদরুল আইনঃ

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।


ব্রিফিং চলাকালে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, হোয়াইট হাউজ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ে র‍্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আগ্রহী। 


হোয়াইট হাউজ ও পররাষ্ট্র দফতর এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


এ সময় প্যাটেল বলেন, এ দাবিগুলো অসত্য। র‍্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এসব দাবি অসত্য। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা প্রচার।



আরও খবর