Logo
শিরোনাম

অবশেষে বাংলাদেশে এলেন সানি লিওন

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওনের বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়েছিল। সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়  সিদ্ধান্তটি জানায়। এরপরও সানি লিওন চলে এসেছেন ঢাকায়! আর তথ্যটি সানি নিজেই জানিয়েছেন।

শনিবার (১২ মার্চ) বিকালে নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট দেন সানি লিওন। সেখানে দেখা যায়, তিনি ঢাকার বিমানবন্দরে। তার পেছনে লেখা রয়েছে ‘ওয়েলকাম টু বাংলাদেশ’।

ছবিটির ক্যাপশনে সানি লিওন লেখেন, ‘এই সুন্দর দেশটিতে এসে খুব খুশি আমি।’

ঢাকায় আসার পর সানি লিওনকে বরণ করে নিয়েছেন গানবাংলা টিভির কর্ণধার ও সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস। সানির সঙ্গে তার স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েভারও এসেছেন।

গত ২ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। একটি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য তিনি ও ভারতের ১০ জন অভিনয়শিল্পীকে ওই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে গত ৯ মার্চ আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সানির ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়।

এর কারণ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতীয় যে অভিনয়শিল্পী দলকে ভিসা দেওয়া হয়, তাদের একজন ছিলেন সানি লিওন। কিন্তু তার সানি লিওন নামটি গোপন করে মার্কিন নাগরিক পরিচয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এভাবে পরিচয় গোপন করে অনুমতি নেওয়া আইন-বহির্ভূত। এটি যখন মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে, তখন তার বাংলাদেশে কাজের অনুমতি বাতিল করা হয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে একটি ইভেন্টে অংশ নিতে সানি লিওনের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। ওই সময় বাংলাদেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো প্রবল আপত্তি তুললে আয়োজক কর্তৃপক্ষ সানি লিওনের সফর বাতিলের ঘোষণা দেয়।





সুত্রঃ  ইত্তেফাক


আরও খবর



অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই পরিপ্রেক্ষি‌তে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেগুলো হলো-

রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমির প্রভাব বাংলাদেশে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ। বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে। ফলে একদিকে যেমন তাপমাত্রা কমছে না। অন্যদিকে বৃষ্টির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্থায়ী স্বস্তি পাওয়ার কোনো আভাস নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে চরম ভাবাপন্ন ওয়েদার বিরাজ করছে সিস্টেমে। সেটা আরও ১০ দিন থাকবে। আগামী সাতদিনে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা কম। মে মাসের তিন তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম।

ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে পুরো মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এ সময় ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে। টানা বা স্থায়ী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের গাণিতিক মডেলগুলো অনুযায়ী, তাপমাত্রা এত বাড়বে না। ৪০ কিংবা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটা বলা যায়। এরপর আসলে সঠিকভাবে বলা যায় না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে। তবে ঢাকায় তেমন হবে না। এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেড়েছে। এতে তাপমাত্রা অতিতীব্র না হলেও গরম অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি মে মাসে পাওয়া যাবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলছেন, মে মাস হচ্ছে উষ্ণতম মাস। আমাদের দেশে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা মে মাসেই। মে মাসে ৩ থেকে ৪টি তাপপ্রবাহ থাকে। এক্ষেত্রে টানা বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টিপাতেরে কোনো সম্ভাবনা নেই।

অনেকেই বলছেন তাপমাত্রা বেশি বা গড় তাপমাত্রা বেশি এই কথাটা মোটেই ঠিক নয়। গড় তাপমাত্রাও বাড়েনি। এপ্রিলের ২৩ তারিখ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই বাড়ল কোথায়। তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আছে। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। তাপমাত্রার গড় হিসেব করা হয় ৩০ বছরে। কাজেই ৩০ বছরের গড় তো বাড়েনি। এছাড়া গড় কখনও সঠিক পরিসংখ্যান দেয়ও না।

২০১৪ সালের পর থেকে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি

বর্তমানে এপ্রিল মে মাসের তাপপ্রবাহ সাতদিন, ১৫ দিন, ২৩ দিন এমনভাবে স্থায়ী হয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সময়কাল বা স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে। এজন্য তাপমাত্রাটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। প্যানিক তৈরি হচ্ছে। অনেক গণমাধ্যমও এভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে। ফলে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাপমাত্রা আগের তুলনায় অস্বাভাবিক নয়।

বৃষ্টিপাত না হাওয়ার তিন কারণ

বাতাসের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি নামছে না। জলীয় বাষ্প আসে সাগর থেকে, সেটা হচ্ছে না। এর পেছনে আবার কারণ হচ্ছে এল নিনোর প্রভাব। পেরুর কাছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো সক্রিয় থাকার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প কম আসছে বলেছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

তাপমাত্রা বেশি থাকলে বৃষ্টি হয় না। কারণ বাতাসে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা বেশি তাপমাত্রার কারণে ঘনীভূত হতে পারে না। ফলে বজ্রমেঘ তৈরি হয় না। এছাড়া বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার একটা বিরাগ আধিপত্য রয়েছে দেশের বাতাসে। সেখানে অতিতীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আর সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণ হলো ভারতের রাজস্থানের থর মরুভূমি। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমি এটা। থর মরুভূমির তপ্ত বাতাসই বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের আসছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, দেশে বৃষ্টিপাত হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। সেটা ভূমধ্যসাগরে তৈরি হয়ে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত হয়ে দেশের সিস্টেমে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে ওইসব দেশের তাপমাত্রা কমলে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও কমে। এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরে আগের মতো পশ্চিমা লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে না, যেটা এ সময়ে বাংলাদেশের দিকে আসে।

অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরে সৃষ্টি হওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ যেটা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা পূর্বদিক হয়ে চীনের দিকে সরে গেছে। সেখানে কিন্তু অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাকিস্তান থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত সব দেশেই বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের বাতাস উত্তর দিকে মাঝে মধ্যে সরে গেলে এমন হয়। এদিকে তখন পশ্চিমা লঘুচাপ আসতে দেরি হয়। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবকেও দায়ী করছেন তিনি।

এপ্রিলের শুরু থেকেই চলছে তাপপ্রবাহ। তিন তিনটি হিট অ্যালার্টও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখনও একটি হিট অ্যালার্ট চলছে। অতিতীব্র তাপপ্রবাহ কেটে গেলেও দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করছে সরকার। জনজীবন যখন কাহিল তখন খুব একটা সুখবর নেই দেশবাসীর জন্য।

চলতি মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এখনও যা বিদ্যমান আছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।


আরও খবর



চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন ও পদযাত্রা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, জাককানইবি প্রতিনিধি :

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচী করেছে জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) বেলা ১২ টায় অগ্নীবিণা হলের সামনে থেকে জাতীয় ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাতে নিয়ে বিশাল র‍্যালি বের করা হয়।

সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় ছাত্রলীগের অন্যান্য  নেতাকর্মী  স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। দলীয় নেতাকর্মী ছারাও কর্মসূচীতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য সমর্থকরা। পদযাত্রাটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে অগ্নীবিণা হলের সামনে ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন স্লোগানও দেন সমর্থকরা। 

ছাত্র সমাবেশে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল সরকার বলেন, "ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং মানবতার বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে কবি নজরুল শাখা ছাত্রলীগ। ফিলিস্তিনের নারী পুরুষ এবং অবুঝ শিশুদের প্রতি যে জঘন্য নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, আমরা এর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। এই সমাবেশ থেকে  ফিলিস্তিনিদের প্রতি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই।"

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ষোষণার অংশ হিসেবে সারাদেশে একযোগে  ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিতে এই পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি পালন করা হয়।


আরও খবর