Logo
শিরোনাম

অননুমোদিত পরিবহন এশিয়ায় শীর্ষে খুলনা ও ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ২০ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ( বিআরটিএ ) । যদিও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বাইরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গ্রামাঞ্চলে আরো বেশ কয়েক ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনের জন্য রিকশা , স্কুলভ্যান , ইজিবাইক , স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার কিংবা ঘোড়ার গাড়ির মতো অননুমোদিত যানবাহনের ব্যবহার সড়কে রয়েছে। এর পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন বাস - মিনিবাস , মাইক্রোবাস , সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের মতো যানবাহনও সড়কে চলছে।

জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ( এসকাপ ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই এমন যানবাহন ( ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট ) চলাচলে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের দুই শহর খুলনা ও ঢাকা। এর মধ্যে খুলনা শহরে যত যানবাহন চলে তার ৫৮ শতাংশেরই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। আর রাজধানীতে অননুমোদিত পরিবহনের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাব - রিজিওনাল মিটিং অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ওয়ার্কশপ অন এক্সিলারেটিং দ্য ট্রানজিশন টু ইলেকট্রিক মোবিলিটি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক শীর্ষক এক কর্মশালায় ওই প্রতিবেদনের এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ইউএন - এসকাপের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তা মদন বি রেগমি। তিনি জানান , এশিয়া মহাদেশের বড় শহরগুলোর মধ্যে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা। শহরটিতে ইনফরমাল ট্রান্সপোর্টের মোড শেয়ার ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার মোড শেয়ার ৫৪ শতাংশ। ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট চলাচলে এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ( ৫০ শতাংশ ), ফিলিপাইনের ম্যানিলা ( ৩৮ শতাংশ ), ভারতের সুরাট ( ৩০ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং ( ১৭ শতাংশ ), কম্বোডিয়ার নম পেন ( ১২ দশমিক ৪ শতাংশ ), ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ( ১১ শতাংশ ) ও ভারতের জয়পুর ( ১১ শতাংশ ) ।ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ কোনো দেশের রাস্তায় কী ধরনের যানবাহন চলাচল করবে , সেসব যানবাহনের মডেল কী হবে এ ধরনের বিষয়গুলো ওই দেশের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়। এটাকে আমরা টাইপ মডেল অনুমোদন বলি।

 এ টাইপ মডেলের অনুমোদন নিয়েই যানবাহন আমদানি বা উৎপাদন করে সেগুলো রাস্তায় চালানো হয়। কিন্তু অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলে। এ ধরনের যানবাহনকে আমরা বলি ইনফরমাল ট্রান্সপোর্ট । যেহেতু কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে না , সেহেতু এসব যানবাহনের কাঠামোগত দুর্বলতা , নিরাপত্তার ঘাটতির মতো বিষয়গুলো থেকেই যায়। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ বর্তমানে ২০ ধরনের যানবাহনকে রাস্তায় চলাচলের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স , অটোরিকশা , অটো টেম্পো , বাস , কার্গো ভ্যান , কাভার্ড ভ্যান , ডেলিভারি ভ্যান , হিউম্যান হলার , জিপ , মাইক্রোবাস , মিনিবাস , মোটরসাইকেল , পিকআপ , প্রাইভেট কার , স্পেশাল পারপাজ ভেহিকল , ট্যাংকার , ট্যাক্সিক্যাব , ট্রাক্টর , ট্রাক ও অন্যান্য। বিআরটিএর তথ্য বলছে , চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত এ ২০ ক্যাটাগরিতে দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৭ লাখের বেশি।

 সড়ক পরিবহন আইন - ২০১৮ অনুযায়ী , এসব ক্যাটাগরির যানবাহন ছাড়া সড়ক - মহাসড়কে চলাচল করা সব ধরনের মোটরযানই অবৈধ। অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষে থাকা খুলনা শহরজুড়ে রয়েছে ইজিবাইকের দাপট। এসব যানবাহনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে খুলনা সিটি করপোরেশন ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। যদিও এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ , অনুমতি পাওয়া ১০ হাজারের বাইরে আরো প্রায় ৪০ হাজার ইজিবাইক বর্তমানে এ শহরে চলাচল করছে। মূলত ইজিবাইকের কারণেই খুলনা অননুমোদিত পরিবহন চলাচলে এশিয়ার শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। অন্যদিকে প্যাডেলচালিত রিকশা , ব্যাটারি রিকশা , ইজিবাইক , বিভিন্ন ধরনের থ্রি - হুইলার যানবাহনের আধিক্যের কারণে ঢাকা দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।এসব যানবাহন কিন্তু লুকিয়ে চলে না।

 কর্তৃপক্ষের সামনে দিয়েই চলে। আবার ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের অননুমোদিত যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন বা আমদানি করাও সম্ভব নয়। অন্যদিকে এসব যানবাহনকে কেন্দ্র করে একটা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে। যখন এসব যানবাহন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন ছিল , তখন কর্তৃপক্ষ অলস বসে থেকেছে ’ , বলেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তিনি বলেন , ‘ এটা ঠিক যে অননুমোদিত যানবাহনগুলোয় নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। কাঠামোগত ত্রুটিসহ নানা ধরনের অসংগতি আছে। কিন্তু এসব যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া উচিত হবে না।

বরং অননুমোদিত যানবাহনগুলোর কাঠামোগত মানোন্নয়ন , নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এগুলো অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি চালকদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে , এসব যানবাহন যেন কখনই শহরের মূল সড়ক ও মহাসড়কের গণপরিবহন না হয়। শুধু শহরের ফিডার রোড ও সরু সড়কগুলোতেই এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। বাংলাদেশের শহরগুলোতে অননুমোদিত পরিবহনের আধিক্যের বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তবে তারা বলছেন , মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকার স্বার্থে চাইলেও এসব অননুমোদিত যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন তুলে দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বণিক বার্তাকে বলেন , ‘ বাংলাদেশের শহরগুলোকে বলা হয় রিকশার শহর। সংস্কৃতিগতভাবেই কিন্তু এটা চলে আসছে।

 দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ শহরে বসবাস করে। এসব মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য রিকশা , ইজিবাইকের মতো যানবাহন দরকার। কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা না করেই যদি আমরা এসব যানবাহন বন্ধ করে দিই , তাহলে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকার কী হবে ? ’ ‘ এটা মানুষের বিহেভিয়ারেরও বিষয়। অনেক কিছু জোর করে পরিবর্তন করা যায় না। যখন বিকল্প আসবে , মানুষ সেটাকে বেছে নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন , ‘ ঢাকার মতো জনবহুল একটা শহরে কিন্তু চাইলেই আমরা রিকশা তুলে দিতে পারি না। তবে আমরা বসে নেই। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় ঢাকা শহরে ঘোড়ার গাড়ি ছিল। এখন কিন্তু তা উঠে গেছে। আমরা ঢাকার বেশ কয়েকটি শহরে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি - হুইলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেশ থেকে সব ধরনের অননুমোদিত যানবাহন তুলে দেয়া হবে।


আরও খবর



সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এক আসর বিরতি দিয়ে আবারও এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের এবারের আয়োজক পাকিস্তান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। লাহোরের এই পিচে খেলা বেশ কঠিন, সে কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে, কঠিন এই কন্ডিশনেও নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়াই করতে চায় বাংলাদেশ।

স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন লিটন কুমার দাস। আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিটকে গিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তবে ইনজুরির কারণে আর খেলা হচ্ছেনা তার। শান্তর বিকল্প হিসেবে তিন নাম্বারে কে খেলবেন, তা নিয়েও আছে আলোচনা।
ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। ফিরছেন লিটন দাস, যে কারণে আবারো নিচে ব্যাট করতে হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। নাঈম শেখ থাকছেন আরেক ওপেনার হিসেবে। তিনে দেখা যেতে পারে তাওহীদ হৃদয়কে। আগের ম্যাচে ভাল না করলেও, তাকে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মিডল অর্ডার বিশ্বস্ত নাম সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। চারে সাকিব আর পাঁচে মুশফিক অনেকটাই নিশ্চিত। ছয়ে আফিফ হোসেন এবং সাতে দেখা যেতে পারে মিরাজকে। আটে থাকতে পারেন শামীম পাটোয়ারী।
নয় দশ এবং এগারো এই তিন পজিশনে থাকবেন টাইগার তিন পেসার। যথাক্রমে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম। এ ম্যাচে একাদশে জায়গা হবে না মুস্তাফিজুর রহমানের। একটা সময় তাকেই অটোচয়েজ ভাবা হতো, তবে অন্যান্য পেসারদের ভালো করাই সময় বদলাতে শুরু করাই মলিন পারফর্ম করা ফিজ থাকতে হচ্ছে অতিরিক্তের বেঞ্চে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ডাকাতীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার সহ ৯ জন ডাকাত আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ডাকাত চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত নগদ টাকা, স্বর্ণলঙ্কার সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে শনিবার দুপুরে ৯ জন ডাকাত সদস্যকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়।

ডাকাত আটকের ঘটনায় শনিবার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

রাণীনগর উপজেলা ও পার্শবর্তী উপজেলায় বেশ কিছু গ্রামে কিছু দিন থেকে মাঝে মধ্যেই অস্ত্রের মূখে বাড়ির মানুষদের জিম্মি করে ডাকাতির সংঘটিত হয়ে আসছিলো। তবে অনেকেই মামলা করতে এগিয়ে আসেননি। 

আটককৃত ৯ জন ডাকাত সদস্য হলেন, রাণীনগর উপজেলার গহেলাপুর মধ্যপাড়ার মোজাম্মেল মন্ডেলের ছেলে মমিন মন্ডল ইদুন (২৬), গহেলাপুর কবিরাজপাড়ার জলিলের ছেলে মাসুদ রানা (২৮), গহেলাপুর হিন্দুপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সরন আলী (২২), গহেলাপুর নিশ্চিন্দাকুড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৩২), পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে জাকির হোসেন জেমস (৩৫), বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত শামচাঁনের ছেলে ইমদাদুল স্বপন (২৬), জামালের ছেলে মুনছুর মন্ডল (৩২), পশ্চিম চকবলরামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইমদাদুল হক বুলেট (২৭) এবং পূর্ব বালুভরা গ্রামের মো. মিলনের ছেলে হাফিজার হ্যাপি(২৬)। 

থানা সূত্র জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গহেলাপুর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের প্রণব সাহার বাড়িতে একদল ডাকাত সদস্যরা ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী ময়না রাণীর মুখ পেঁচিয়ে এবং গামছা দিয়ে দুই হাত-পা বেঁধে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ ২৬ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক প্রণব সাহা থাকায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় লুণ্ঠিত নগদ ২৬ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, বেশ কিছু দিন থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ডাকাতির সংঘটিত হয়ে আসছিলো। শুক্রবারে গহেলাপুর গ্রামের ঘটনায় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের পরামর্শে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত হওয়া টাকা, মালামাল সহ ডাকাতের পরিবহনের একটি যানবাহন উদ্ধার করা হয়। শনিবার দুপূরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্য মাসুদ রানার নেতৃত্বে এই ডাকাতি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



রাণীনগরে চোরাই বাইসাইকেলসহ যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে দু‘টি চোরাই বাইসাইকেলসহ রবিউল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। রবিউল উপজেলার পারইল লস্কর এলাকার সাইজার রহমানের ছেলে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান,সোমবার রাতে উপজেলার লস্করের মোড়ে চোরাই বাইসাইকেল বিক্রি হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন রবিউল ইসলামকে চোরাই একটি হিরো বেবি বাইসাইকেল এবং একটি দুরন্ত বাইসাইকেলসহ আটক করে। পরে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত আরো একজন পালিয়ে যায়। এঘটনায় থানার এসআই কিশোর কুমার পাল বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কর্মকর্তা আরো জানান,আটক রবিউল একজন পেশাদার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন এলাকায় বাইসাইকেল চুরি করে বিক্রি করে থাকে।


আরও খবর



নওগাঁয় চালককে অজ্ঞান করে অটো-বাইক ছিনতাইকালে একজন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগার বদলগাছী থেকে ইঞ্জিন চালিত অটো রিকশা চোর চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার এবং অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিম অটো-বাইক চালক কে উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্প এর চৌকস টিম।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক ও স্কোয়াড কমান্ডার ইমদাদ হোসেন বিপুল এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে  অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন চকবেনী এলাকা হতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা রাজু মন্ডল (৪০), পিতা-মৃত সোলায়মান মন্ডল, গ্রাম-নগরজান, থানা-শীবগঞ্জ, জেলা-বগুড়া কে গ্রেফতার করেন এবং অজ্ঞান অবস্থায় (ভিকটিম) অটো-বাইক চালক জিল্লুর রহমান রহমান, পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং-সিধাতৈল, থানা-পত্নীতলা, জেলা-নওগাঁকে উদ্ধার করেন।

র‌্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামী রাজু মন্ডল আন্তঃজেলা চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রথমে সারাদিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া করেন এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যা হলেই অটো (ড্রাইভার) চালক কে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীর স্বীকারোক্তিতে জানা যায় এর আগেও বিভিন্ন জেলায় সে ৫টি ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা একই কায়দায় চুরি করেছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানান, গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজু মন্ডল ১হাজার টাকায় সারা দিনের জন্য অটো রিক্সা ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে দিন গড়িয়ে রাত হলে আসামী কৌশলে ভিকটিম অটো বাইক চালককে চেতনা নাশক জুস খাইয়ে অজ্ঞান করেন এবং ভিকটিমকে সুবিধাজনক জায়গায় ফেলে দেয়ার সুযোগ খুজে বেড়াচ্ছিল তখন তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সোর্সের মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের মূলহোতা কে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



আত্মসমালোচনার পথ খোলা রাখুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

-- আমিনুল ইসলাম কাসেমী :

আমরা মাঝে- মাঝে ভুল করি। বড় ভুল হয় আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের। তবে সে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করিনা। বরং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে গালমন্দ করে থাকি।

আমরা কেউ চাই না আমাদের কোন সন্তান ভাদাইম্মা হয়ে যাক।কেউ চায়না তার ছেলে কট্টরপন্হী  গ্রুপে যোগদান করুক। এমনকি আজকাল কোন অভিভাবক চায়না তার সন্তান প্রচলিত রাজনীতিতে শরীক হোক বা মিছিল - মিটিং-এ যাক। কিন্তু বর্তমান যে অবস্হা তাতে সন্তানেরা গার্জিয়ানের অপছন্দের  ওইসব কর্মকান্ড টপকিয়ে ভাদাইম্মার স্তর থেকেও উপরে উঠে গেছে। এখন আর স্বাভাবিক অবস্হাতে নেই। বরং বর্তমান তাদের কার্যকলাপগুলো স্কুল- কলেজ- ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের হার মানিয়ে দিচ্ছে।

আমরা কারো পাগড়ি বাঁধা দেখলে ফেরেস্তা মনেকরি। মনেহয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ। কিন্তু বর্তমানে  কিছু কিছু পাগড়ির নিচেও শয়তানে বাসা বেঁধে ফেলেছে সেটা ভেবে দেখিনা। 

এজন্য আত্মসমালোচনার রাস্তা খোলা রাখতে হবে।  নিজের সন্তানদের ভুল হলে সেটা সংশোধনের নিয়্যাতে ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা ইসলাহ হয়ে যায়। সামনে থেকে আর ওই ভুলগুলো না করে।

মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ( রহ,)  একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে "কলরব" গঠন করেছিলেন। বিশেষ করে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় একটা সুস্হ - সুন্দর এবং শালীন সংস্কৃতি জাতিকে উপহার দিবেন।  কিন্তু বর্তমান "কলরব" এর শিল্পিদের যে অবস্হা তাতে আর সুস্হ- সংস্কৃতি বাকি নেই। বিশেষ করে কদিন পর পর "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে যে সব আপত্তিকর আওয়াজ শোনা  যায় সেটাতো জাহেল আর হুজুরদের মাঝে কোন ফারাক নেই।

 "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে আমি কোন  আপত্তি করতাম না। তারা পাগড়ি - জুব্বা খুলে কলরবের সাইনবোর্ড সরিয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করুক। কোনদিন আমি কথা বলবনা। কিন্তু জুব্বা- পাগড়ি লাগিয়ে  আবার প্রখ্যাত শিল্পি আইনুদ্দিন ( রহ,) এর নাম ভাঙিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চলবেন, শরীয়াতের হুকুমের তোয়াক্কা করবেন না, তাহলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে চরম অন্যায়। 

 কদিন আগে কলরব এর এক শিল্পি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ভিডিওগুলো অনলাইনে ঘুরছে।   তার বিয়ের গান নাকি তিন দিনেই একলক্ষ ভিউ হয়েছে। যেটা নিয়ে তিনি খুব শুকরিয়া আদায় করলেন।  তবে  আজব ব্যাপার হল  অধিকাংশ কমেন্টার এবং রিয়েক্টার মহিলা। তারাই ওইসব ভিডিওর আগাগোড়া দেখছে,আর অন্যরকম অনুভূতি ফিল করছে।

দেখলাম, শিল্পিরা গান গাচ্ছে " বিয়ে সুন্নাত মোতাবেক হোক"  

 মানে মুখে এক বুলি আর কর্মে আরেকটা।  ওনাদের কোন জিনিসটা সুন্নাত মোতাবেক হয়েছে?  হিন্দি- বাংলা সিনেমার নায়কদের স্টাইলে শেরওয়ানী আর টোপর পরে কোন সুন্নাত আদায় হয়েছে এখানে?  সারা জীবন পাগড়ি আর জুব্বা পরে গান গাইলেন আর বিয়ের সময় শাহরুখ খান আর সাকিব খানের বেশধরা এটা কোন সুন্নতের আওতায় পড়ে।

আমি এটা নিয়ে কিছু বলতাম না,  শুনেছি তিনি নাকি  যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। তাহলে একজন আলেম হয়ে এভাবে নায়কের বেশধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? 

 বিয়ের আদ্যপান্ত ভিডিও করে ছাড়া হল। শেরওয়ানী গায়ে জড়ানো থেকে নিয়ে ওয়ালীমা সবকিছু ধারণ করে ইউটিউব অনলাইনে ছাড়া হল। আবার বিশাল বহর নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেওয়া হল, এগুলো কোন সুন্নাতের আওতায় পড়ে? মানে সুন্নাতের কোন খোঁজ নেই, ওদিকে গান গাওয়া হচ্ছে " সুন্নাত মোতাবেক বিয়ে হোক, মানে স্পষ্ট প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এই তো বেশীদিন আগের কথা নয়, মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম ( রহ,) এক বিয়েতে বর পক্ষকে গালমন্দ করেছিলেন। ছেলে নাকি দ্বীনদার। বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলে এবং অভিভাবকদের বলেছিলেন, আপনারা কেমন দ্বীনদার? মেয়ের বাড়িতে গাড়ির বহর নিয়ে আসলেন এটা কেমন দ্বীনদারী? 

নব্বইদশক এবং এর পরবর্তি সময়গুলোতে দেখেছি, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা আমাদের ওলামায়েকেরাম সে বিয়েতে শরীক হতেন না। বয়কট করতেন। অহেতুক ছবি তোলা,  ভিডিও করা এটা কোন আলেম জায়েজ বলেন নি। আজ পর্যন্ত কোন আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়নি। আর এখন বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। 

এখানেও আমি সমস্যা মনে করতাম না। যদি ওনারা এভাবে পাগড়ি - জুব্বা লাগিয়ে পাক্কা হুজুর না সাজতেন। অথবা রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য বা ইসলামী কোন বিষয় প্রতিষ্টার চিন্তাভাবনা থাকত। কিন্তু অহেতুক এবং মানুষকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে এমন ভিডিও সত্যি আপত্তিকর। এর দ্বারা দলিল হয়ে গেল।  হুজুরেরা বিয়ের শুরুতে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে, তারা সিনেমার নায়কদের মত শেরওয়ানী আর টোপর পরে, তাহলে আর আমরা করলে সমস্যা কোথায়? দিনে দিনে মানুষ অহেতুক এবং অনার্থক কাজের দিকে ঝুকে যাবে। এখন তাদের বড় দলিল "কলরব"এর হুজুরদের বিয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছে, " ইন্না আ'জমান নিকাহে বারাকাতান আইছারুহু মায়ুনাতান"

অর্থাৎ ওই বিয়েতে বরকত যেখানে আড়ম্বরি কম হয়।  কিন্তু বিয়েতে আজকাল হুজুরেরা, আলেমেরা, পীর সাহেবরা যেভাবে আড়ম্বারিতা দেখাচ্ছেন তাতে কোন বরকত বিয়ে- শাদীতে থাকছেনা। যার কারণে দেখবেন, কদিন পর পর এখন হুজুর শিল্পিদের  বউ ডিভোর্স হচ্ছে। বেশীদিন থাকছেনা। জাহেলদের বিয়েশাদীতে যা হয় আলেমদের বিয়েতে  এখন তাই হচ্ছে। একারণে বিয়ের পরে প্রায় জায়গাতে আজকাল কিছু কিছু হুজুরদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ বিয়েতে সুন্নাত নেই। এরপর জাহেলদের মত কিছু হুজুর শরীয়াত মানছেনা।যে কারণে বিপত্তি ঘটে যাচ্ছে।  

শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  টাকা পয়সা বেশী হলেই যে খুব বাড়াবাড়ি করতে হবে তা নয়। কেননা এখন তো শিল্পিদের টাকার অভাব নেই। আইতেও টাকা যাইতেও টাকা। তাই বলে "অর্থই যেন অনার্থের মুল"  এটা না হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কলরবের বিলুপ্তি চাই না। আমি চাই সংশোধন। তারা নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করে সামনে কদম রাখুক।  অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় জেগে উঠুক এমনটি চাই।

আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩