Logo
শিরোনাম
পেটব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

পেটে থেকে ১৫টি কলম বের করলো চিকিৎসকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

অবিস্বাস্য হলেও সত্য, একজন মানুষ এর পেটের ভেতর থেকে একে একে ১৫টি কলম বের করলেন চিকিৎসকরা। যে ব্যক্তির পেটের ভেতর থেকে কলম গুলো বের করা হয়, সেই ব্যাক্তি একজন মানসিক রোগী। মানসিক রোগী হওয়ায় আলাদা কোন দিন বা সময় তিনি রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে খাদ্যভেবে কলম খেয়ে ফেলেছিলেন বলেই ধারনা  করছেন চিকিৎসকরা। 

সম্পতি সিরাজগঞ্জ এর শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এর সার্জারি বিভাগে এন্ডোস স্কপির মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে একে একে বের করে আনা হয় মোট ১৫ টি কলম। বর্তমানে সেই মানসিক রোগী সুস্থ্য রয়েছেন।

মানসিক রোগীর পেটের ভেতর থেকে কলম বের করার সত্যতা নিশ্চিত করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এর সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ মে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হওয়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। মানসিক ঐ রোগী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার খুকনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৩৫)। হাসপাতালে নেওয়ার পর পরিক্ষার এক পর্যায়ে তার পেটের ভেতর অনেকগুলো কলম দেখা যায়। 

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং গত ২৫ মে কোনো অপারেশন না করে এন্ডোস স্কপির মাধ্যমে এক এক করে পেট থেকে বের করে আনা হয় ১৫টি কলম।


এসময় ডাঃ জাহিদ আরো বলেন, আব্দুল মোতালেব একজন মানসিক রোগী। এজন্য সে বিভিন্ন সময় খাদ্য ভেবে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া কলম খেয়ে ফেলেছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ আছেন। এছাড়া তাকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার পস্তুতি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরের জনপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পৌষ মাস শুরুর আগেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীত নেমেছে রাজধানীতেও। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন।

শীতের কারণে উত্তরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে গ্রামগ্রঞ্জে বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের অবস্থা কাহিল। ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা আরও করুণ। সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় অবশ্য বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আর সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। আর বর্ধিত ৫ দিনেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ঘনকুয়াশায় ঢাকা ঠাকুরগাঁও : তীব্র শীতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় প্রতিবছর এই জেলায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। এবছর অক্টোবর মাসে শীতের আমেজ শুরু হলেও নভেম্বরের দিকে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতো। তবে ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা কুয়াশা ও হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকলেও হঠাৎ করে ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে ঘনকুয়াশার দাপট অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে পথচারী ও জনসাধারণ পড়েন চরম বিপাকে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় উত্তরের এই জেলা। কুয়াশার এতোই ঘনত্ব যে যানবাহনের হেডলাইটও হার মেনেছে। লাইটের আলো ১০-১৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কে গাড়ি চালানো প্রায় অনোপুযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে চালকদের।

গাড়ি চালক স্বপন সরকার বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।

এর আগে কখনো এতো ঘন কুয়াশা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ দেখেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও কুয়াশা ও শীত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। রাস্তার ধারেই যে যা পারছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে ঠান্ডার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডার কারণে নবজাতক ও কমবয়সী শিশুরা বেশি ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনের ওপর রোগী ভর্তি থাকেন। সচরাচর শীতের সময় রোগীর বেশি চাপ থাকে। তবে এবার আগের মতোই রোগীর চাপ থাকলেও বর্তমানে বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালটিতে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড হলেও সোমবার রাত ১১ টার দিকে ১৩০ জনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলেন। যা ধারণ শয্যার থেকে তিন গুণ বেশি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু ওয়ার্ডে ভতিকৃত বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা।

শীতকালে নবজাতক শিশুদের ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ পানসহ অন্যান্য বয়সী শিশুদের পুষ্টিকর তাজা খাবার খাওয়ানোর, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে দেরি না তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজিব-উল-দোজা (তূর্য)’র।

তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা আমাদের পেশা ও দায়িত্ব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তার তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এমন আবহাওয়ায় কৃষিক্ষেত্রেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শীত সহনশীল পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পরামর্শসহ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকরা শীত সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার তেমন সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠকুরগাঁও জেলার জন্য ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দফতরের পাঠানো হয়েছে। সেগুলো পেলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।

তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন : উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে শীতের দাপট। হিমালয়ের হিম বাতাসে এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিনিয়ত ওঠানামা করছে। মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীত অনুভূত না হলেও ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। সে কারণেই এই অঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তেঁতুলিয়ায় ১১ ডিগ্রির নিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নামে একজন জানান, রাতে তীব্র ঠান্ডা লাগছে। আজও ভোরে কুয়াশা ছিল, তবে গতকালের মতো না। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসার মতো অবস্থা। রাতে এখন ডাবল কাঁথা-কম্বল নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে পৌষ মাসের ঠান্ডা শুরু হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।


আরও খবর



নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



নখ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নখ আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে একটি, যা আমাদের ব্যক্তিত্বেরও অংশ হয়ে ওঠে। সুন্দর এবং মজবুত নখ আমাদের স্বাস্থ্য এবং যত্নের পরিচায়ক। যদিও বাজারে নখের যত্নের জন্য নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক উপায়ে নখকে মজবুত এবং আকর্ষণীয় রাখা আরও স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকর হতে পারে। এই ফিচারে, নখের যত্নের প্রাকৃতিক উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ করুন নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন বি, সি, ই এবং জিঙ্ক, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, বাদাম, শাকসবজি, এবং মাছ নখকে মজবুত রাখে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও নখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

২. লেবু এবং অলিভ অয়েল ম্যাসাজ লেবু নখের দাগ দূর করতে এবং সাদা ভাব বাড়াতে সাহায্য করে। এক টুকরো লেবু দিয়ে প্রতিদিন নখে ঘষুন এবং পরে অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি নখের শুষ্কতা কমিয়ে নখকে মজবুত করে।

৩. নারকেল তেল ব্যবহার করুন নারকেল তেল নখ এবং নখের চারপাশের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। প্রতিদিন রাতে নারকেল তেল দিয়ে নখ ম্যাসাজ করলে নখের শুষ্কতা এবং ভঙ্গুরতা কমে। নারকেল তেলের অ্যান্টি-ফাংগাল বৈশিষ্ট্য নখকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

৪. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করা নখ এবং হাতের ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নখের চারপাশের কিউটিকলও ময়েশ্চারাইজ করতে হবে, কারণ এটি নখের শুষ্কতা কমায় এবং ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

৫. হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন গৃহস্থালির কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন। বিশেষত বাসন ধোয়া বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের সময় গ্লাভস পরলে নখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচে। এটি নখের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।

৬. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন অ্যাপল সিডার ভিনেগার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, যা নখকে সংক্রমণ মুক্ত রাখে। ভিনেগার এবং পানি মিশিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ নখ ডুবিয়ে রাখলে এটি নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৭. নিয়মিত নখ ছাঁটা নিয়মিত নখ ছাঁটা নখের ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি নখ ফাইলিংও জরুরি। নখ খুব ছোট বা বড় না করে মাঝারি দৈর্ঘ্যে রাখুন, যাতে এটি মজবুত থাকে।

৮. পেট্রোলিয়াম জেলি প্রয়োগ নখের শুষ্কতা রোধ করতে এবং নখকে নরম রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এটি নখে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৯. ডিটক্স পানীয় গ্রহণ প্রতিদিন সকালে ডিটক্স পানীয় গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায় এবং নখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। লেবু পানি, মধু ও আদার ডিটক্স পানীয় এই ক্ষেত্রে কার্যকর।

১০. কিউটিকল তোলা এড়িয়ে চলুন অনেকেই নখের কিউটিকল (নখের গোড়ার দিকে অবস্থিত একটি স্বচ্ছ, পাতলা চামড়ার আবরণ) তোলার অভ্যাস করেন, যা নখকে দুর্বল করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রাকৃতিকভাবে কিউটিকলকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কিউটিকল অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

সুন্দর ও মজবুত নখ ধরে রাখা শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, এটি শরীরের স্বাস্থ্যেরও প্রতিফলন। প্রাকৃতিক উপায়ে নখের যত্ন নিলে দীর্ঘমেয়াদে নখ মজবুত থাকবে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকবে না। তাই প্রাকৃতিক যত্নের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং নখকে স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর রাখুন।


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শীত এলে আমাদের ত্বক আর চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয় প্রায় সবারই। অনেক সময় নানা উপকরণ ব্যবহার করেও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। ব্যবহার কিছুক্ষণ পরই আবার ঠোঁট শুকিয়ে যায়। অনেক সময় ঠোঁট ফেটে রক্তও বের হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া উপাদান। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠোঁট ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়-

মাখন ব্যবহার

মাখন কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। বিশেষ করে ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় মাখন বেশ উপকারী। তাই সুযোগ পেলেই ঠোঁটে মাখন মাখতে পারেন। এভাবে নিয়মিত ঠোঁটে মাখন ব্যবহার করলে তা ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হতে সাহায্য করবে। এছাড়া মাখন সামান্য গরম করে ঠোঁটে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতেও আরাম পাবেন।

মধু ব্যবহার

রূপচর্চায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। এটি কাজে লাগাতে পারেন আপনার ঠোঁটের যত্নেও। ঠোঁটে নিয়মিত মধু মাখতে পারেন। মধু ফাটা ঠোঁট সারিয়ে তুলতে কাজ করে। প্রতিদিন গোসলের আগে হাতে মধু নিয়ে ম্যাসাজ করুন। ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হবে।

দুধের সর ব্যবহার

আমাদের ত্বকের যত্নে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হতে পারে দুধের সর। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে দুধের সর মেখে রাখতে পারেন। এই উপাদান ত্বক হাইড্রেটেড করতে দারুণ সাহায্য করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। তাই এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে দূর হবে ঠোঁট ফাটার সমস্যা।

অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার

ত্বকের পরিচর্যায় এর আগেও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেছেন নিশ্চয়ই? এটি চুল ভালো রাখতেও কাজ করে। তবে এবার আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন ঠোঁটের যত্নে। প্রথমে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট মোলায়েম হবে ও ফাটা ত্বক নিমেষে দূর হবে।

অলিভ অয়েল ব্যবহার

শীতে আপনার ঠোঁট ভালো রাখতে অন্যতম সঙ্গী হতে পারে অলিভ অয়েল। এই তেল আপনার ঠোঁটের ফাটা সারিয়ে তুলতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে ত্বককে হাইড্রেটেড করবে যাতে ত্বক শুষ্ক হয়া না পড়ে। নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর হয়।


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক ও আয় বৈষম্য এই মুহূর্তে বড় একটি দুশ্চিন্তার বিষয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এবিসিডি সম্মেলনে আলোচনা রাখতে গিয়ে এ দুশ্চিন্তার কথা জানান।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য দূর করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দরকার, যা থেকে অনেক দূরে রয়েছে বাংলাদেশ।

একই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত এস গিল বলেন, মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে বেরকরতে হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার জেনো বাড়ানো যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ারও তাগিদ দেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, এ কাজে এগুতে হলে প্রথমেই মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে কৌশল নিতে হবে। পাশাপাশি সেবা ও উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন বাড়াতে বাংলাদেশকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দেন ইন্দরমিত এস গিল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪