Logo
শিরোনাম
পেটব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি

পেটে থেকে ১৫টি কলম বের করলো চিকিৎসকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

অবিস্বাস্য হলেও সত্য, একজন মানুষ এর পেটের ভেতর থেকে একে একে ১৫টি কলম বের করলেন চিকিৎসকরা। যে ব্যক্তির পেটের ভেতর থেকে কলম গুলো বের করা হয়, সেই ব্যাক্তি একজন মানসিক রোগী। মানসিক রোগী হওয়ায় আলাদা কোন দিন বা সময় তিনি রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে খাদ্যভেবে কলম খেয়ে ফেলেছিলেন বলেই ধারনা  করছেন চিকিৎসকরা। 

সম্পতি সিরাজগঞ্জ এর শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এর সার্জারি বিভাগে এন্ডোস স্কপির মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে একে একে বের করে আনা হয় মোট ১৫ টি কলম। বর্তমানে সেই মানসিক রোগী সুস্থ্য রয়েছেন।

মানসিক রোগীর পেটের ভেতর থেকে কলম বের করার সত্যতা নিশ্চিত করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এর সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৬ মে পেটে প্রচন্ড ব্যথা হওয়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। মানসিক ঐ রোগী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার খুকনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান এর ছেলে আব্দুল মোতালেব (৩৫)। হাসপাতালে নেওয়ার পর পরিক্ষার এক পর্যায়ে তার পেটের ভেতর অনেকগুলো কলম দেখা যায়। 

তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং গত ২৫ মে কোনো অপারেশন না করে এন্ডোস স্কপির মাধ্যমে এক এক করে পেট থেকে বের করে আনা হয় ১৫টি কলম।


এসময় ডাঃ জাহিদ আরো বলেন, আব্দুল মোতালেব একজন মানসিক রোগী। এজন্য সে বিভিন্ন সময় খাদ্য ভেবে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া কলম খেয়ে ফেলেছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও সুস্থ আছেন। এছাড়া তাকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়ার পস্তুতি চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জশনে জুলুস পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

চট্টগ্রামে শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী'র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস 

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন এক শ্রেষ্ঠ ইবাদত ও উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা

মক্কা বিজয় ঘটেছে প্রিয় নবীর (দ.) নেতৃত্বে জশনে জুলুসের মাধ্যমে 

‘ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন এক শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটা উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী।'

তিনি বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস (আনন্দ র‌্যালি) আয়োজনের মধ্য দিয়ে সত্যপন্থীদের জাগরণ ঘটেছে এবং বাতিল অপশক্তির আদর্শিক পতনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে।'

২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদে জুমা চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী মাদাম বিবির হাট হযরত শাহ্ জাহানী শাহ্ রহ. মাওলানা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। 

সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ‘মদিনা শরিফ থেকে প্রিয় নবী (দ.) হাজার হাজার হা্জার সাহাবি নিয়ে জুলুসসহ মক্কা শরিফে গমন করেন। মক্কা বিজয় ঘটেছে জশনে জুলুসের মাধ্যমে প্রিয় নবীর (দ.) নেতৃত্বে। আল্লাহ পাক প্রিয় নবীর (দ.) সৃষ্টির পর ফেরেশতাদের মাধ্যমেও জশনে জুলুস পালন করে নবীজীর (দ.) মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে। তাই এটি কখনোই বিদআত বা মন্দ কাজ হতে পারে না।

বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমানে একশ্রেণির লোক ইসলামের মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কারণে শান্তি সমপ্রীতির ধর্ম ইসলামকে নেতিবাচক ধারায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ মহানবীর (দ.) সব কর্মের প্রধান উপজীব্য হল মানবতাবোধ, মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ সাধন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন সাম্য মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ, বৈষম্যহীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার।


তিনি আগামী ১২ রবিউল আউয়াল (২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে দলে দলে যোগদান করতে সকল নবী প্রেমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন, হযরত শাহজাহান শাহ (রহঃ) মাওলানা জামে মসজিদের খতিব শাহজাদা মাওলানা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী।

এতে সভাপতিত্ব করেন, ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন জশনে জুলুস পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলম ।

এ ছাড়াও এলাকার অন্যান্য নেতৃস্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক সহ হাজারো নবী প্রেমিক জনতা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




১৫৯ আরোহী নিয়ে শস্যখেতে রাশিয়ান বিমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ায় একটি শস্যখেতে জরুরি অবতরণ করেছে একটি বিমান। রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি দেশটির সোচি শহর থেকে ওমস্কে যাচ্ছিল এবং মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ার পর পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে এটি জরুরি অবতরণ করে।

বেশ কয়েকটি বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে সোচি থেকে ওমস্কের দিকে যাওয়ার সময় পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করেছে বলে রাশিয়ান সংস্থাগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে।

অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কারও আহত হওয়ার কোনও খবর বা জরুরি অবতরণের কারণও জানা যায়নি।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৫৯ জন আরোহী ছিলেন। এর আগে আরেক বার্তাসংস্থা তাস জানায়, জরুরি অবতরণ করা বিমানটিতে আরোহীর সংখ্যা ছিল ১৫৬ জন।

পৃথক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, সোচি থেকে ওমস্ক যাওয়ার পথে এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের একটি বিমান মঙ্গলবার সকালে মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং সেটিকে নোভোসিবিরস্কের একটি এয়ারফিল্ডে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানটি সেখানেও পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় বলে জরুরি পরিষেবাগুলো রাশিয়ান মিডিয়াকে জানিয়েছে।

পরে বিমানটি নোভোসিবিরস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হাইড্রলিক্সের ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আরটি বলছে, ইউরাল এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটে ২৩ শিশুসহ ১৭০ জন লোক ছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জরুর অবতরণের ঘটনায় যাত্রী বা ক্রুদের কেউই গুরুতর আহত হননি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি অবতরণ করার পরে প্লেনের বডিতে কোনও ফাঁটল বা ভাঙন দেখা দেয়নি এবং আগুনও ধরে যায়নি।

শস্যখেতে অবতরণের পর জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে সবাই নিরাপদে বিমানটি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

রুশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল ঘটনাস্থল থেকে ওই বিমানের ছবি শেয়ার করেছে। এসব ছবিতে অবতরণের পর ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে বেষ্টিত অবস্থায় শস্যখেতের মধ্যে জরুরি নির্গমণের স্লাইডসহ বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে।

অন্যান্য ছবিতে যাত্রীদের একটি দলকেও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




আত্মসমালোচনার পথ খোলা রাখুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

-- আমিনুল ইসলাম কাসেমী :

আমরা মাঝে- মাঝে ভুল করি। বড় ভুল হয় আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের। তবে সে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করিনা। বরং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে গালমন্দ করে থাকি।

আমরা কেউ চাই না আমাদের কোন সন্তান ভাদাইম্মা হয়ে যাক।কেউ চায়না তার ছেলে কট্টরপন্হী  গ্রুপে যোগদান করুক। এমনকি আজকাল কোন অভিভাবক চায়না তার সন্তান প্রচলিত রাজনীতিতে শরীক হোক বা মিছিল - মিটিং-এ যাক। কিন্তু বর্তমান যে অবস্হা তাতে সন্তানেরা গার্জিয়ানের অপছন্দের  ওইসব কর্মকান্ড টপকিয়ে ভাদাইম্মার স্তর থেকেও উপরে উঠে গেছে। এখন আর স্বাভাবিক অবস্হাতে নেই। বরং বর্তমান তাদের কার্যকলাপগুলো স্কুল- কলেজ- ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের হার মানিয়ে দিচ্ছে।

আমরা কারো পাগড়ি বাঁধা দেখলে ফেরেস্তা মনেকরি। মনেহয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ। কিন্তু বর্তমানে  কিছু কিছু পাগড়ির নিচেও শয়তানে বাসা বেঁধে ফেলেছে সেটা ভেবে দেখিনা। 

এজন্য আত্মসমালোচনার রাস্তা খোলা রাখতে হবে।  নিজের সন্তানদের ভুল হলে সেটা সংশোধনের নিয়্যাতে ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা ইসলাহ হয়ে যায়। সামনে থেকে আর ওই ভুলগুলো না করে।

মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ( রহ,)  একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে "কলরব" গঠন করেছিলেন। বিশেষ করে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় একটা সুস্হ - সুন্দর এবং শালীন সংস্কৃতি জাতিকে উপহার দিবেন।  কিন্তু বর্তমান "কলরব" এর শিল্পিদের যে অবস্হা তাতে আর সুস্হ- সংস্কৃতি বাকি নেই। বিশেষ করে কদিন পর পর "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে যে সব আপত্তিকর আওয়াজ শোনা  যায় সেটাতো জাহেল আর হুজুরদের মাঝে কোন ফারাক নেই।

 "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে আমি কোন  আপত্তি করতাম না। তারা পাগড়ি - জুব্বা খুলে কলরবের সাইনবোর্ড সরিয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করুক। কোনদিন আমি কথা বলবনা। কিন্তু জুব্বা- পাগড়ি লাগিয়ে  আবার প্রখ্যাত শিল্পি আইনুদ্দিন ( রহ,) এর নাম ভাঙিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চলবেন, শরীয়াতের হুকুমের তোয়াক্কা করবেন না, তাহলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে চরম অন্যায়। 

 কদিন আগে কলরব এর এক শিল্পি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ভিডিওগুলো অনলাইনে ঘুরছে।   তার বিয়ের গান নাকি তিন দিনেই একলক্ষ ভিউ হয়েছে। যেটা নিয়ে তিনি খুব শুকরিয়া আদায় করলেন।  তবে  আজব ব্যাপার হল  অধিকাংশ কমেন্টার এবং রিয়েক্টার মহিলা। তারাই ওইসব ভিডিওর আগাগোড়া দেখছে,আর অন্যরকম অনুভূতি ফিল করছে।

দেখলাম, শিল্পিরা গান গাচ্ছে " বিয়ে সুন্নাত মোতাবেক হোক"  

 মানে মুখে এক বুলি আর কর্মে আরেকটা।  ওনাদের কোন জিনিসটা সুন্নাত মোতাবেক হয়েছে?  হিন্দি- বাংলা সিনেমার নায়কদের স্টাইলে শেরওয়ানী আর টোপর পরে কোন সুন্নাত আদায় হয়েছে এখানে?  সারা জীবন পাগড়ি আর জুব্বা পরে গান গাইলেন আর বিয়ের সময় শাহরুখ খান আর সাকিব খানের বেশধরা এটা কোন সুন্নতের আওতায় পড়ে।

আমি এটা নিয়ে কিছু বলতাম না,  শুনেছি তিনি নাকি  যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। তাহলে একজন আলেম হয়ে এভাবে নায়কের বেশধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? 

 বিয়ের আদ্যপান্ত ভিডিও করে ছাড়া হল। শেরওয়ানী গায়ে জড়ানো থেকে নিয়ে ওয়ালীমা সবকিছু ধারণ করে ইউটিউব অনলাইনে ছাড়া হল। আবার বিশাল বহর নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেওয়া হল, এগুলো কোন সুন্নাতের আওতায় পড়ে? মানে সুন্নাতের কোন খোঁজ নেই, ওদিকে গান গাওয়া হচ্ছে " সুন্নাত মোতাবেক বিয়ে হোক, মানে স্পষ্ট প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এই তো বেশীদিন আগের কথা নয়, মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম ( রহ,) এক বিয়েতে বর পক্ষকে গালমন্দ করেছিলেন। ছেলে নাকি দ্বীনদার। বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলে এবং অভিভাবকদের বলেছিলেন, আপনারা কেমন দ্বীনদার? মেয়ের বাড়িতে গাড়ির বহর নিয়ে আসলেন এটা কেমন দ্বীনদারী? 

নব্বইদশক এবং এর পরবর্তি সময়গুলোতে দেখেছি, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা আমাদের ওলামায়েকেরাম সে বিয়েতে শরীক হতেন না। বয়কট করতেন। অহেতুক ছবি তোলা,  ভিডিও করা এটা কোন আলেম জায়েজ বলেন নি। আজ পর্যন্ত কোন আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়নি। আর এখন বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। 

এখানেও আমি সমস্যা মনে করতাম না। যদি ওনারা এভাবে পাগড়ি - জুব্বা লাগিয়ে পাক্কা হুজুর না সাজতেন। অথবা রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য বা ইসলামী কোন বিষয় প্রতিষ্টার চিন্তাভাবনা থাকত। কিন্তু অহেতুক এবং মানুষকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে এমন ভিডিও সত্যি আপত্তিকর। এর দ্বারা দলিল হয়ে গেল।  হুজুরেরা বিয়ের শুরুতে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে, তারা সিনেমার নায়কদের মত শেরওয়ানী আর টোপর পরে, তাহলে আর আমরা করলে সমস্যা কোথায়? দিনে দিনে মানুষ অহেতুক এবং অনার্থক কাজের দিকে ঝুকে যাবে। এখন তাদের বড় দলিল "কলরব"এর হুজুরদের বিয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছে, " ইন্না আ'জমান নিকাহে বারাকাতান আইছারুহু মায়ুনাতান"

অর্থাৎ ওই বিয়েতে বরকত যেখানে আড়ম্বরি কম হয়।  কিন্তু বিয়েতে আজকাল হুজুরেরা, আলেমেরা, পীর সাহেবরা যেভাবে আড়ম্বারিতা দেখাচ্ছেন তাতে কোন বরকত বিয়ে- শাদীতে থাকছেনা। যার কারণে দেখবেন, কদিন পর পর এখন হুজুর শিল্পিদের  বউ ডিভোর্স হচ্ছে। বেশীদিন থাকছেনা। জাহেলদের বিয়েশাদীতে যা হয় আলেমদের বিয়েতে  এখন তাই হচ্ছে। একারণে বিয়ের পরে প্রায় জায়গাতে আজকাল কিছু কিছু হুজুরদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ বিয়েতে সুন্নাত নেই। এরপর জাহেলদের মত কিছু হুজুর শরীয়াত মানছেনা।যে কারণে বিপত্তি ঘটে যাচ্ছে।  

শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  টাকা পয়সা বেশী হলেই যে খুব বাড়াবাড়ি করতে হবে তা নয়। কেননা এখন তো শিল্পিদের টাকার অভাব নেই। আইতেও টাকা যাইতেও টাকা। তাই বলে "অর্থই যেন অনার্থের মুল"  এটা না হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কলরবের বিলুপ্তি চাই না। আমি চাই সংশোধন। তারা নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করে সামনে কদম রাখুক।  অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় জেগে উঠুক এমনটি চাই।

আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবিতে বিদ্যুত চুরির নেপথ্যে কে !!

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর   বিদ্যূৎ (এক্সপ্রেসওয়ে) লাইন থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিজের বাড়িতে আলাদা তার দিয়ে বিদ্যূৎ সংযোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট সংলগ্ন পাওয়ার হাউস থেকে এই  বিদ্যুত তিনি অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। 

আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান, শিক্ষার্থী  কল্যান ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক , জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ঘটনাস্থলে যান এবং এই ঘটনার প্রমান পান। 

বিদ্যূৎ চুরির ঘটনা জানতে চাইলে এস্টেট শাখার  অফিস প্রধান ড. মো. মুছা মিয়া বিডিটুডেসকে জানান, প্রাথমিকভাবে প্রমানসহ তার স্বীকারোক্তি পেয়েছি। অধিকতর তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন চলছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকৌশল অফিসের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার  (ইলেকট্রিক) মো. আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদপত্রের পরিচয় পেয়ে কথা বোঝ যাচ্ছেনা বলে কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি আর কোন কল রিসিভ করেননি। 

উল্লেখ্য যে,  দীর্ঘদিন তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুত লাইন ব্যবহার করছিলেন, ফলে গ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলেও তার বাসায় বিদ্যুৎ থাকতো।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে দ. কোরিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এ অনুদানকে স্বাগত জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এ আর্থিক সাহায্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে ইউএনএইচসিআরের কাজকে জোরদার করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের সহকারী প্রতিনিধি (ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ) সু-জিন রি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের সর্বশেষ ঢলের পর ছয় বছর পার হয়েছে। আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট এখন একটি প্রলম্বিত পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে, যেখানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী তাদের দৈনিক প্রয়োজন মেটাতে এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, কোরিয়া সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে পাওয়া এই অনুদানের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদা ও কল্যাণে কাজ করতে পারবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তার এই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এই অবদান সত্যিই অমূল্য।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া রাষ্ট্রদূত পাক ইয়ং-শিক বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের জন্য প্রতি বছর তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে।


আরও খবর