Logo
শিরোনাম

রাজাপুরে ৪শ গ্রাম গাঁজাও ৪টি গাছসহ যুবক আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image
মো. নাঈম হাসান ঈমনঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা গ্রাম থেকে ৪শ গ্রাম গাঁজা ও ৪টি গাঁজা গাছসহ এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃত যুবক এনায়েত হোসেন (৩১) ওই গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের পুত্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাসা থেকে আটক করে। পরে এনায়েতের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৪শ গ্রাম গাঁজা ও তার বাড়ি সংলগ্ন সবজি বাগান থেকে ৪টি জীবন্ত গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাজাপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজাপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কেওতা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে।

ওই গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের পুত্র এনায়েত হোসেন (৩১)কে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘরের ভেতর থেকে ৪শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েতের বাড়ি সংলগ্ন সবজি বাগান থেকে ৪টি জীবন্ত সবুজ গাঁজা গাছ জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ককে পদ থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শোয়েব আল হাসান সজলকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। সেই সাথে কেনো তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত শাস্তিমুলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার উপযুক্ত কারনসহ আগামী তিনদিনের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্বহস্তে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বি স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। এই নিয়ে ২য় বারের মত অব্যাহতি পেলেন শোয়েব আল হাসান সজল। 

জানা যায়,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে ১৬ আগস্ট শোয়েব আল হাসান সজলকে প্রথমবার সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর লিখিত জবাবের প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর তার অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেয় জেলা ছাত্রলীগ। প্রত্যাহার পত্রে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সতর্ক করা হয় তাকে। এই নিয়ে দুইবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন উপজেলা ছাত্রলীগের এই নেতা। 

শোয়েব আল হাসান সজলের ভাষ্য, তিনি দলীয় শৃঙ্খলা বা দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থী কোন কাজে জড়িত না। কি কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা জানেননা তিনি। এরপরেও জেলা ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত মেনে লিখিত ভাবে জবাব দিবেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বলেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



কমেছে মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারগুলোতে সোনালির কেজি ৩৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র গরমের কারণে মুরগি মরে যাওয়ার শঙ্কায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শেওড়াপাড়ার মুরগি বিক্রেতা মো. মিলন। তিনি বলেন, এ সময়ে দাম কমার কথা না, গত সপ্তাহেও ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গরমে হিট স্ট্রোক করছে মুরগি। তাই ক্ষতি এড়াতে ছোট ছোট মুরগি কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

শুক্রবার বাজারে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, শসা ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, সজনে ১৬০ টাকা এবং কাঁচা আম প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা, শিমের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারগুলোতে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বেলে ৭০০ টাকা এবং কাইক্কা মাছ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর