Logo
শিরোনাম

র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমান জাল টাকাসহ ২ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

ঈদ কে সামনে রেখে প্রতারক চক্র বা জাল টাকা কারবারি চক্রের সদস্যরা সক্রিয়। র‌্যাবের অভিযানে ৩ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকাসহ ২ জন আটক।

জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার তেতুলতলী এলাকা হতে মঙ্গলবার পূর্ব রাত দেরটার দিকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার জাল টাকাসহ মোঃ রিমন (২৭) ও মোঃ রনি মন্ডল (৩০) কে হাতেনাতে আটক করেছেন র‍্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এবং  স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলার সদর থানার নাকুরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ রিমন ও একই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মোঃ রনি মন্ডলকে জাল টাকা সহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

র‍্যাব আরো জানান, অভিযুক্ত মূলহোতা মোঃ রিমন জাল টাকা সরবরাহকারী ও বিপণনকারী সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য ও মোঃ রনি মন্ডল তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত।  তারা ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে এসব জাল টাকা লাখে ১২ হাজার টাকা মূল্যে কিনে এনে ব্যাংকের টাকার বান্ডিলের মধ্যে কৌশলে ঢুকিয়ে দিয়ে চালাতো বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন বিপণী বিতানে কৌশলে এসব নোট চালাতো বলে তারা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন যাবত জয়পুরহাট সদর ও আশেপাশের এলাকায় জাল টাকা বিতরণ করে আসছিল। জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‌্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের পূর্বক মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ঐ গ্রামের কশরত আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছেযদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


আরও খবর



সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

চু্য়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

প্রচণ্ড তাপদাহে এ অঞ্চলের হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছে না তারা।

তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।


আরও খবর



৩০ বছরেও হালনাগাদ হয়নি ওষুধের তালিকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো দেশের মানুষ যাতে সুলভ মূল্যে কিনতে পারে, সে জন্য ১৯৯৩ সালে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ওষুধের তালিকা করেছিল সরকার ৩০ বছর আগে তৈরি করা ওই তালিকার অনেক ওষুধই এখন উৎপাদন করে না কোম্পানিগুলো ছাড়া চিকিৎসকেরাও ব্যবস্থাপত্রে আরও উন্নত কার্যকর ওষুধ লেখেন কিন্তু তালিকাভুক্ত না হওয়ায় এসব ওষুধ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে রোগীদের এই অবস্থায় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি টারশিয়ারিএই তিন ভাগ করা আছে সে অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকেরা প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকাভুক্ত ওষুধ লিখবেন সেকেন্ডারি পর্যায়ের চিকিৎসায় আরও একধাপ ওপরের ওষুধ লিখবেন আর টারশিয়ারি পর্যায়ে চিকিৎসায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ লেখা যাবে

রোগের ধরন অনুযায়ী প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকার ১১৭টি ওষুধকে ১৩টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে এসব জেনেরিক ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে অন্যান্য ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে নিজ নিজ কোম্পানি তালিকাভুক্ত ওষুধের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ তৈরির বাধ্যবাধকতা রয়েছে কোম্পানিগুলোর ওপর কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান এসব ওষুধ তৈরি করছে না ফলে তালিকার বাইরের ওষুধ কিনতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে রোগী স্বজনদের

হৃদ্রোগ-সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ওষুধের আটটি জেনেরিকের নাম লেখা আছে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার তালিকায়, এগুলোর একটি হলো নিফিডিপিন এখন এর পরিবর্তে চিকিৎসাপত্রে অ্যামলোডিপিন জেনেরিকের ওষুধ লেখেন চিকিৎসকেরা ছাড়া অ্যাটেনোলোলের পরিবর্তে বিসোপ্রোলোল নেবিভোললের ব্যবহার হচ্ছে

সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লক্সাসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেটের পরিবর্তে ফ্লুক্লক্সাসিলিন ব্যবহৃত হয় এখন। আর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের সমস্যায় ডায়াজিপাম ওষুধের পরিবর্তে ক্লোনাজিপাম, থায়োপেনটাল ওষুধের পরিবর্তে প্রোপফল ইনজেকশন ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ওষুধগুলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহার হলেও তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় তা অন্তর্ভুক্ত হয়নি

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু আজহার বলেন, সময়ের প্রয়োজনে উন্নত নতুন নতুন অনেক ওষুধ বের হয়েছে। কারণে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ওষুধ অনেকে লিখছেন না। এই তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এটি করা না হলে ভুল ওষুধ প্রয়োগের ঝুঁকি তৈরি হবে

দেশে বর্তমানে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করছে ২৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে দেশে জেনেরিক ওষুধ ছিল ৩৫০-৪০০টি। বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে হাজারে পৌঁছেছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারণের ওষুধের তালিকা আর বাড়েনি

সম্প্রতি দেশের সর্ববৃহৎ ওষুধের পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, বাবুবাজার বাদামতলী এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী এবং ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে তালিকাভুক্ত ওষুধ নিয়ে কথা হলে তাঁরা বলেন, দেশে এখন নতুন নতুন ওষুধ তৈরি হচ্ছে। কারণে চিকিৎসকেরাও এসব ওষুধ আর ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন না। ব্যবস্থাপত্রে না থাকায় কেউ ওসব ওষুধ দোকানে তুলছেন না

২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের অ্যামক্সোসিলিন, অ্যাম্পিসিলিন, টেট্রাসাইক্লিন ওসব ওষুধের কার্যকারিতা থাকলেও এখন থার্ড ফোর্থ জেনারেশনের ওষুধ দেশে এসেছে। কারণে অনেকে আগের ওষুধ লিখছেন না। তবে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের তালিকা আপডেট করা উচিত।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির কোষাধ্যক্ষ হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হালিমুজ্জামান বলেন, ১১৭টি তালিকাভুক্ত ওষুধই দরকারি। এসব ওষুধের দাম না বাড়ানোয় কোম্পানিগুলো উৎপাদন করছে না। যারা করেছে, তাদের ৭০-৮০ শতাংশ লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয়েছে। কারণে এসব দরকারি ওষুধ ভারত থেকে পাচার হয়ে দেশে আসছে। ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্পমালিকদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে মন্ত্রী হালনাগাদ করার বিষয়ে তাগিদ দেন


আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর