Logo
শিরোনাম

সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে !

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গাফফার খান চৌধুরী : নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরিসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ার পেছনে রয়েছে, নিয়মিত ওয়েবসাইট মনিটরিং না করা, পাসওয়ার্ড আদান প্রদান ও সাইবার অডিট না হওয়া। এসব দুর্বলতার কারণে প্রায়ই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সব সরকারি দপ্তরের প্রতি কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করেছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দেশের প্রযুক্তি খাত নিয়ে রীতিমতো সাইবার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতা চলছে দেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির সঙ্গে। আর সেই যুদ্ধে নেমেছে দেশি-বিদেশি অপেক্ষাকৃত বেশ কিছু ছোট ছোট কোম্পানি এবং একাধিক উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ বাংলাদেশের সরকারি প্রায় সব দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করছে অন্তত ১০টি টেক জায়ান্ট কোম্পানি। কোম্পানিগুলো সরকারি দপ্তরগুলোতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করছে। দেশীয় অন্যান্য কোম্পানি কোনো ধরনের সুযোগ পাচ্ছে না। বড় কোম্পানিগুলোকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে নানাভাবে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি ওয়েবসাইট ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকায় তৈরি করা যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বড় বড় কোম্পানিগুলো কম টাকায় ওয়েবসাইট নির্মাণ করে দিচ্ছে।

অথচ দেখানো হচ্ছে, বেশি টাকা। এসব টাকার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে। এছাড়া কোম্পানিগুলো নিজেদের যতটা বড় বলে প্রচার করছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো ওই রকম বড় মানের বা উচ্চমানসম্পন্ন কোম্পানি নয়। কোনো কোনো কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। এমনকি ওইসব কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সনদপ্রাপ্তও না। ফলে প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে জড়িত অক্টাগ্রাম লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ডিজিটাল নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছি। তথ্য ফাঁস হওয়ার অন্যতম কারণ নিম্নমানের ওয়েবসাইট। নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরি করার কারণে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকে নিম্নমানের। এমন সুযোগে হ্যাকাররা ওইসব দপ্তরের তথ্য ফাঁস করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারাও অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বা অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য ফাঁসে সহায়তা করছেন বা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণেও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোনভিত্তিক ওয়াইফাই ব্যবস্থা আছে। অনেক কর্মকর্তা নিজেরা ওইসব ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড না বুঝেই পরিচিত কাউকে দিয়ে দিচ্ছেন। যেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যিনি পাসওয়ার্ড নিয়ে তার মোবাইলে বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ব্যবহার করছেন, তার ওইসব ডিভাইস হ্যাক করে অনায়াসেই অফিসের পাসওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। আর সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য ফাঁস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটি তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনার জায়গা। এভাবেই অনেক দপ্তরের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। দেশের অধিকাংশ টেক জায়ান্ট কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। এমন সুযোগটিকেও কাজে লাগায় হ্যাকাররা।

হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে এর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ দপ্তরই বেশ উদাসীন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রযুক্তি বা ওয়েবসাইটের নানা বিষয়াদি মনিটরিং করতে হয়। কোথাও দুর্বলতা আছে কিনা তা শনাক্ত করে মেরামত করার নিয়ম। কিন্তু সেটি করা হয় না। এছাড়া সবচেয়ে বড় অনিয়ম হচ্ছে, সাইবার অডিট না হওয়া।

এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, ব্যাংকে যেমন একটি নির্ধারিত সময়ে সার্বিক বিষয়ে অডিট হয়, তেমনি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও অডিট করার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ দপ্তরে সাইবার অডিট হয় না। ফলে দিনকে দিন আসা নতুন নতুন প্রযুক্তির কাছে পুরনো প্রযুক্তি মার খেয়ে যায়। সেই সুযোগে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করে। এমনকি অনেক সময় ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণেও তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা সনদ নেই। এমনকি যারা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদেরও অধিকাংশেরই ট্রেইনার বা প্রশিক্ষক হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ নেই। ফলে অদক্ষ কোম্পানি আর অদক্ষ প্রশিক্ষকরা উপযুক্ত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে পারছেন না। এটি একটি বড় দুর্বলতা। যে কারণে বার বার দেশের সাইবার জগত নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগগুলো বলছে, দেশি-বিদেশি হ্যাকারদের কারণে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এসব হ্যাকারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু দেশীয় ও বিদেশি উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ তারা চায় না, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাক। এজন্য বিভিন্ন সময় প্রযুক্তি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভ চুরির ঘটনা। এরপর বরিশাল ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার ঘটনা। চলতি বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইট আংশিক হ্যাক হওয়া। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট হুবহু নকল বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয় ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি সদস্যদের নিয়ে 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করে ইসি। টিমটি সাইবার হামলা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে এবং সাইবার হামলা ঠেকাতেও উদ্যোগ নিতে সক্ষম।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এমন উদ্যোগের পরেও জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের সার্ভার বন্ধ ছিল। সাইবার হামলার আশঙ্কায় সার্ভারটি বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সবশেষ দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) ওয়েবসাইট থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্য চুরির দায়ে চারজন গ্রেপ্তার হন ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। যদিও ইসি দাবি করেছে, সরকারি বন্ধের দিন তাদের সার্ভার মেইনটেনন্যান্সের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে ১২ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসিতে। সবার তথ্যই সুরক্ষিত আছে বলেও ইসির দাবি।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করবে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।

আইসিসির ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন, এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন, আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেষ্টা করার একটি বিষয়। সেখানে এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যেকোনোভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুণ অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।

টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন, বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানসিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সাথে কথা বলেছি তখন তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপিল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।

সূত্র : বাসস

 

 


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৯ এবং ঢাকার বাইরের ৭০১ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন, ঢাকার বাইরের ৪ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৯৩ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩১ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে বাড়ছে প্রাণঘাতী রোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

স্মার্টফোন এক মিনিট হাতে না থাকলে অনেকেই নিজেকে অসহায় মনে করেন! স্মার্টফোন ছাড়া এখন এক মিনিট কাটানোও কঠিন। অনেকেই টয়লেটে যান হাতে ফোন নিয়েই। তবে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ, এমনই বলছে গবেষণা।

সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গবেষকরা দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ও ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।

৬০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক টয়লেটে যান হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভারতীয়রাও দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় একই কাজ করেন। এর ফলে যেসব সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে সেগুলোরও তালিকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

প্রায় ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোন নিয়ে যান টয়লেটে, এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। সংখ্যাটি কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বর্তমান পরিস্থিতি।

এই বদভ্যাস কিন্তু শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক। টয়লেট হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। ই কোলি, সি ডিফিসিলের মতো মারাত্মক ধরনের জীবাণু থাকে টয়লেটে।

খুব সহজেই কিন্তু এই জীবাণুগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে টয়লেঠে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে। ফোনে সহজেই এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।

এই জীবাণুর কারণেই মূলত ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয়ে যায়। জেনে নিন টয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়া কারণে কোন রোগ হতে পারে-

পাইলস হয়

পাইলস একটি গুরুতর ব্যাধি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। তবুও সচেতনতা নেই। তাই দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ বাথরুমে ফোন নিয়ে বসে থাকার কারণেও অনেকের অর্শ হয়। আর যাদের আগে থেকেই সমস্যা আছে, তাদেরও জটিলতা বাড়ে।

পেটের সমস্যা

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, টয়লেটে দর্ঘক্ষণ ফোন নিয়ে পেটের সমস্যাও বাড়ে। এক্ষেত্রে জীবাণুর সংক্রমণ অবশ্যই একটা কারণ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

টয়লেটে মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে যে জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু।

যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই এখন থেকে টয়লেটে ফোন হাতে যাওয়ার আগে একবার নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবুন।

বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে শুধু শারীরিক ক্ষতিই নয় সময়ও নষ্ট হতে পারেন। তাই এই অভ্যাস ছাড়ুন। চেষ্টা করুন নিজেকে এর থেকে মুক্ত করতে।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মাদক বিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ ২৪ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে, দেপাশাই নয়াপাড়া খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় অংশ গ্রহণ করেন সোমভাগ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বনাম ০৪ নং ওয়ার্ড।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা ২০ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমদ এসময় তিনি বলেন মাদক থেকে সন্তানকে দূরে রাখার জন্য অবশ্যই সন্তানকে খেলাধূলা করার জন্য সুযোগ দিতে হবে। খেলা ধুলা করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।খেলা দেখতে আশা হাজার ও মানুষের কাছে এসময় ধামরাইয়ের উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকায় ভোট এবং দোয়া চান। এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ এর উন্নয়নের জন্য আবারও নৌকার জন্য ভোট চাইলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন সিরাজ,উপজেলা আওয়ামী লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ভালুম আতাউর রহমান খান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম.এ.জলিল,সোমভাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল মোত্তালিব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রফিক, সজাগ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল মতিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার বিএসসি, ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার রবিউল করিম সেন্টু, ২নং ওয়ার্ড নাসির উদ্দিন সহ উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। খেলার শেষে বিজয়ী মাঝে একটি বড় গরু উপহার দেওয়া হয়।


আরও খবর

বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন পাপন

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




গাজায় মাহাথিরের হাসপাতাল ধ্বংস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।

অব্যাহত এই হামলার মধ্যে গাজায় ধ্বংস হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র। মাহাথির মোহাম্মদ নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ১৭ নভেম্বর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন- গাজায় তার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহাথির।

শুক্রবার তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত ডা. সিতি হাসমাহ অ্যান্ড এনায়া ফিজিওথেরাপি সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে গেছে তা জানতে পেরে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন।

মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পেরদানা গ্লোবাল পিস ফাউন্ডেশন গাজায় এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছিল। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ২০১৯ সালে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালু করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে অবস্থিত এই হাসপাতালে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হামলার কোনও কারণ ছিল না।

তিনি বলেন, দক্ষিণের অবকাঠামোগুলোকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করবে না বলে আগে ঘোষণা দেওয়া হলেও তা কেবল কথার কথা প্রমাণিত হয়েছে। হামলাগুলো এখন ফিলিস্তিনি বেসামরিক ও যোদ্ধা নন এমন মানুষকে গণহত্যার অভিযানে পরিণত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটি সামরিক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ নয়, বরং গাজাকে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে মুক্ত করার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে গণহত্যা চালাচ্ছে। হাসপাতাল ও বাসস্থানে বোমা হামলার পর ফিজিওথেরাপি কেন্দ্রেও এই ধরনের হামলা এটাই প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে এসব স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই সাড়ে ১১ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ৮০০ জনের বেশি নারী ও শিশু।


আরও খবর