Logo
শিরোনাম

সব বাড়ির মালিককে করের আওতায় আনতে নতুন পরিকল্পনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টুডে রিপোর্ট:

সিটি করপোরেশনের অধীনে বাড়ির মালিকদের বেশির ভাগেরই নেই করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)।

 অভিযোগ আছে, করযোগ্য আয় থাকার পরও আয়কর রিটার্ন জমা দেন না তারা। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এখন তাদের কর ফাঁকি রোধ ও করযোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

জানা গেছে, এনবিআরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ, ২০৩১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগ আন্তঃসংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তথ্য বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকায় বিদ্যুত্ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার। এর মধ্যে মাত্র ৩ লাখ ৬৫ হাজার ব্যক্তির টিআইএন রয়েছে।

 ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা ১২ লাখ ৪০ হাজার। তাদের আয়করের বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, করজালের বাইরে আছেন অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ গ্রাহক। 

এসব এলাকায় বিদ্যুতের গ্রাহক মানেই তারা সবাই বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক। অর্থাত্ বাড়ির মালিক হওয়া সত্ত্বেও আয়কর রিটার্ন বা আয়কর দেন না তারা। এটা মাঠ পর্যায়ে সেবা প্রদানকারী মাত্র দুটি সংস্থার চিত্র। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গ্রাহকসেবা দিচ্ছে এমন ডজনখানেক সংস্থা। আয়কর কর্মকর্তাদের দাবি, এসব গ্রাহক প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দিচ্ছেন।

এই রাজস্ব ফাঁকি রোধে এনবিআর তাদের সব সিস্টেমের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিদ্যুত্ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসি ও ডেসকো, বিআরটিএ, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইঅ্যান্ডই), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), বিডা, বেপজা, বেজা, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইবাস, বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, সিটি করপোরেশন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সেবাগ্রহীতাদের প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, নির্ভুল তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার হার কয়েক গুণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি ১৬টি সংস্থার সিস্টেমে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হবে। 

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে করজাল আরো বড় হবে এবং রাজস্ব আদায় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান ১ কোটি টিআইএন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিন গুণ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দ্রুতই এ কার্যক্রম শুরু হবে। শুধু বিদ্যুত্, গ্যাস আর সিটি করপোরেশনের ডাটাবেইসের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করতে পারলেই অন্তত ২ কোটি করদাতা বেরিয়ে আসবেন বলে ধারাণা করছে এনবিআর।

 মূলত আয়কর, ভ্যাট, আমদানি-রপ্তানি ও আবগারি শুল্ক আহরণের কার্যক্রম প্রযুক্তিনির্ভর পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন পরিকল্পনার পথে হাঁটছে এনবিআর।

করের আওতা বাড়াতে গত কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টিআইএনের আওতায় এনেছে এনবিআর। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি ৪৪টি সেবার বিপরীতে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব হিসেবে বর্তমানে টিআইএনধারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি করের আওতা বাড়াতে ও কর ফাঁকি বন্ধ করতে মোটরযান ও নৌযান নিবন্ধন, সব ধরনের ট্রেড লাইসেন্স এবং ঠিকাদার তালিকাভুক্তি কিংবা নবায়নে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০২২ সাল থেকে চিঠি চালাচালি করে আসছে এনবিআর।

আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী ই-টিআইএন থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ দাখিল না করার সুযোগ নেই। কিন্তু অনেকেই আয় গোপন ও কর পরিহারের উদ্দেশ্যে রিটার্ন দাখিল থেকে বিরত থাকছেন। সর্বশেষ তথ্যানুসারে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ব্যক্তি।


আরও খবর



একাত্তরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে ইমরানকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি  ডিজিটাল ডেস্ক:



১৯৭১ সালের পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ইমরান খানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।


 তিনি বলেছেন, এ ইস্যুতে বেশিদূর কথাবার্তা চললে দেশের রাজনীতিতে উদ্বেগ উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।


কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘প্রকৃত দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া খান না কি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানার জন্য প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদ উর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি পড়া।’


১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান খোয়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ উর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার।


 এই কমিশনের মূল দায়িত্ব ছিল, কেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব সৃষ্টি হলো এবং এই যুদ্ধ হলো তার কারণ অনুসন্ধান করা।



হামুদ উর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে আজ পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।


দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা জেলে রয়েছেন ইমরান খান। কারাগারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ নেই।


 তাই পোস্টটি তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। জানা গেছে, ইমরানের এক্স একাউন্টটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।



জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ পাকিস্তানের একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি এবং ইমরান খানও এ সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। 


কিন্তু তারপরও তিনি ইস্যুটি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’


‘ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ এবং আহ্বান থাকবে, তিনি যদি দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করতে না চান, তাহলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’




আরও খবর



নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডে রিপোর্ট:



ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টা ৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।


বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমান বন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।


লোকসভা নির্বাচনে জয়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। সফরকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং তারপর প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে।



 উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।


এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে বেশ কিছু আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। 



এটি ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। তিনি গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।


শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন।


শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে লাল গালিচা বিছানো হবে। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং এসময় দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে।



 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে তিনি স্বাক্ষর করবেন।


একই দিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার জন্য হায়দরাবাদ হাউসে যাবেন। উভয়েই সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন।



 এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেবেন। হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন।


বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।


স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পালাম বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাজধানী ত্যাগ করবেন এবং রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।-বাসস।


আরও খবর



স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে অশ্লিল ভিডিও সরবরাহকারী ৩ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতা সহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃত ৩ জনের মধ্যে ২ জন নওগাঁর।গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ২২ জুন শনিবার দিনগত রাতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানাধীন কলেজ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি (অশ্লিল) ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতা সহ জাহিদুল ইসলাম সহ মোট ৩ জনকে আটক করেন। আটককৃত ৩ জন হলেন, জাহিদুল ইসলাম (৩৩)

পিতা- মোঃ সামসুদ্দিন মন্ডল, গ্রাম আওয়ালগাড়ি, থানা-আক্কেলপুর, জেলা- জয়পুহাট এবং মোঃ আবুল কালাম (৪০) পিতা আমজাদ হোসেন, গ্রাম পূর্ব খাদাইল, থানা- বদলগাছী, জেলা- নওগাঁ ও রিপন হোসেন (৩০), পিতা আজিজুল হক, গ্রাম পশ্চিম কাদাইল, থানা-বদলগাছী, জেলা নওগাঁ। এছাড়া গ্রেফতার করে ও পলাতক আসামী শ্রী বণিক ঘোষ (৩৮), পিতা-শ্রী রণজিৎ ঘোষ, সাং-ঘোষ পাড়া, থানা-আক্কেলপুর, জেলা- জয়পুরহাট।

আটককৃত আসামীগণ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজ বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি চক্রের মূলহোতা জাহিদুলের নেতৃত্বে তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিক্সে অশ্লীল সিনেমা ও  ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ার পরই র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে উক্ত পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে সমর্থ হয় এবং পলাতক আসামী বণিক কৌশলে পালিয়ে যায়। এঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আটককৃত ৩ জনকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব।


আরও খবর



কোরবানির পশুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট

ঢাকায় সর্বোচ্চ ৬০ টাকা, বাইরে ৫৫ টাকা নির্ধারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে  ডেস্ক:

কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার দাম ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা।


 আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।


সোমবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।


বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার।


গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।


বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


গত বছর ঢাকার মধ‍্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৫-৪৮ টাকা।


আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১২-১৪ টাকা।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ‘জঙ্গি আস্তানা’য় সোয়াট টিম আরও একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:



নেত্রকোনার ভাসাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস টিম (সোয়াট)। 


রোববার (৯ জুন) সকালে এ তল্লাশি চালানো হয়। পাশাপাশি বনুয়াপাড়া নামের জায়গায় আরও একটি বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়দের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।



জানা গেছে, রোববার সকাল ৮টায় সোয়াট সদস্যরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালান। তবে বাড়িটি থেকে গত শনিবার পাওয়া গুলি-পিস্তল ছাড়া অন্য কিছু উদ্ধার হয়নি।


 

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমদ বলেন, সোয়াট সদস্যরা শনিবার রাতে নেত্রকোনায় পৌঁছায়। রোববার সকাল থেকে বাড়িটিতে তল্লাশি শুরু করে তারা। নেত্রকোনায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলত বলে আমাদের কাছে খবর ছিল। 


তাই ওই বাড়ির ওপর নজর রাখা হয়। বাড়িটিতে শনিবার দুপুর থেকে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িটি একটি জঙ্গি আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বোমা বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কাজ শুরু করেছে।


অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মো. সানোয়ার হোসেন ইত্তেফাককে জানান, এরই মধ্যে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়িটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। তল্লাশি শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।


উল্লেখ্য, নেত্রকোনা সদর উপজেলার ভাসাপাড়া গ্রামে আব্দুল মান্নান ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের (ডুয়েট) শিক্ষক ছিলেন। দুই বছর আগে বাড়িটি তিনি আরিফ নামের এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন। বাড়িটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলত বলে পুলিশ খবর পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বেলা একটার দিকে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাড়িটি ঘেরাও করে। 



এ ছাড়া নেত্রকোনা জেলা শহরের বনুয়াপাড়ায় তানভির কটেজ নামের আরও একটি বাড়িতে জঙ্গি সদস্য থাকার সন্দেহ করছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টায় বাড়িটি ঘেরাও করে তারা।


আরও খবর